প্রিন্ট ভিউ

মানিলণ্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২

( ২০০২ সনের ৭ নং আইন )

এই আইনটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, ২০০৮ (২০০৮ সনের ১২ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে ।

তৃতীয় অধ্যায়

মানিলন্ডারিং আদালত

মানিলন্ডারিং আদালত প্রতিষ্ঠা
৬৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সকল দায়রা আদালত মানিলন্ডারিং আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং সকল দায়রা জজ মানিলন্ডারিং আদালতের বিচারক হইবেন৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন সকল মামলা দায়রা জজ নিজে নিষ্পত্তি করিবেন অথবা তাহার অধীনস্থ যে কোন অতিরিক্ত দায়রা জজের নিকট নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন৷
আদালতের এখতিয়ার
৭৷ (১) আদালত এই আইনের অধীন অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড আরোপ এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে তদন্তাদেশ, অবরুদ্ধকরণাদেশ, ক্রোকাদেশ, অর্থদণ্ড এবং ক্ষতিপূরণ আদেশসহ অন্যান্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন আইনের কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সংগে বা একই মামলায় করা প্রয়োজন, তাহা হইলে এই আইনের অধীন অপরাধের বিচার উক্ত অন্য আইনের অধীন অপরাধের সহিত একই সংগে উক্ত আদালতে করা যাইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের তফসিলে বর্ণিত কোন আইনের অধীন অনূর্ধ্ব তিন বত্সর কারাদণ্ডযোগ্য কোন অপরাধের সহিত মানিলন্ডারিং জড়িত থাকিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না৷
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি
৮৷ (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় (cognizable) হইবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না৷
 
 
 
 
(৩) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ অ-জামিনযোগ্য (Non-bailable) হইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, অভিযুক্ত বা শাস্তিযোগ্য কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হইবে না, যদি-
 
 
 
 
(ক) তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া না হয়; এবং
 
 
 
 
(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হন; অথবা
 
 
 
 
(গ) তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে আদালত সন্তুষ্ট না হন৷
1[দেওয়ানী কার্যবিধি ও] ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি
৯৷ (১) এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, ক্রোক, সম্পদ অবরুদ্ধকরণ, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে 2[* * *] ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) আদালতে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) আদালত উহার বিচারাধীন কোন মামলা সংক্রান্ত অপরাধ সম্পর্কে অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্তকারী ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে৷
সম্পত্তির ক্রোকাদেশ
১০৷ বাংলাদেশ ব্যাংক বা ইহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই মর্মে ক্রোকাদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদ, যেখানে যে অবস্থায় থাকুক না কেন বিক্রয় বা হস্তান্তর নিষিদ্ধ থাকিবে৷
সম্পদ অবরুদ্ধকরণ
১১৷ (১) এই আইনের অধীন অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত উক্ত সম্পদ অবরুদ্ধকরণের জন্য আদেশ (freezing order) প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অবরুদ্ধকরণ আদেশ প্রদান করা হইলে-
 
 
 
 
(ক) আদালত বিষয়টি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য বাংলাদেশ গেজেট এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করিবে;
 
 
 
 
(খ) সংশ্লিষ্ট সম্পদ হস্তান্তর বা উক্ত সম্পদকে কোনভাবে দায়যুক্ত করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীন অবরুদ্ধকরণ আদেশে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, পদবী, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা, পেশা ইত্যাদি যতদূর সম্ভব উল্লেখ থাকিবে৷
 
 
 
 
(৪) কোন ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধকরণের আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায়, উক্ত আদেশে ভিন্নরূপ উল্লেখ না থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি প্রাপ্য হইয়াছে এইরূপ সমুদয় অর্থ তাহার অবরুদ্ধ ব্যাংক একাউন্টে জমা হইবে৷
আপীল
3[১২৷ ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রায় বা আরোপিত দণ্ড দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত আদেশ, রায় বা দণ্ডাদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন৷]
 
 
 
 

  • 1
    “দেওয়ানী কার্যবিধি ও” শব্দগুলি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 2
    ", ক্ষেত্রমত দেওয়ানী কার্যবিধি ও" কমা ও শব্দগুলি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 3
    ধারা ১২ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs