প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২

( ২০০২ সনের ২৮ নং আইন )

মামলা নিষ্পত্তির মেয়াদ
১০৷ (১) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত কোন মামলা স্থানান্তরের তারিখ হইতে নব্বই কার্য দিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) কোন অনিবার্য কারণে উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ত্রিশ কার্য দিবসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিতে পারিবে এবং তত্সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বর্ধিত সময়ের মধ্যেও যদি যুক্তিসঙ্গত কোন কারণে কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য সর্বশেষ আরো পনের কার্য দিবস সময় নিতে পারিবে এবং এইরূপ সময় বর্ধিতকরণ সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কোন ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেও যদি কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে মামলাটি যে আদালত হইতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত করা হইয়াছিল সেই আদালতে উক্ত ট্রাইব্যুনাল কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ উহা ফেরত পাঠাইবে এবং উক্তরূপে ফেরত পাঠানো সম্পর্কে কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ সুপ্রীম কোর্টকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন মামলা কোন আদালতে ফেরত আসিলে সেই মামলাটির বিচারকার্য উক্ত আদালতে বিচারাধীন অন্যান্য সকল মামলার উপর প্রাধান্য পাইবে এবং যে পর্যায়ে মামলাটি ফেরত আসিয়াছে সেই পর্যায় হইতে উহার বিচারকার্য পরিচালনা করা হইবে, যেন উক্ত আদালতে মামলাটি ঐ পর্যায়ে বিচারাধীন ছিল এবং ইহা কখনও স্থানান্তরিত হয় নাই:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদালতে উক্ত সময়ে যদি অন্য কোন মামলার শুনানী চলিতে থাকে, তবে ঐ মামলার শুনানী শেষ হইবার পর ফেরতপ্রাপ্ত মামলাটির শুনানী শুরু করিতে হইবে এবং ইহার শুনানী শুরু করিবার পর ইহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটানা চলিতে থাকিবে এবং অনিবার্য কোন কারণ ব্যতীত, যাহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, ইহার শুনানী মুলতবী করা যাইবে না৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs