প্রিন্ট

13/01/2025
অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ৮ নং আইন )

৪র্থ পরিচ্ছেদ

মামলা দায়ের, আদালতের রীতি ও কাযপর্দ্ধতি

বিচার পদ্ধতি
৬৷ (১) এই আইনের অধীন অর্থ ঋণ আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলার বিচার বা নিষ্পত্তি সম্পর্কিত কার্যক্রমে, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, The Code of Civil Procedure, 1908 এর সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
(২) এই আইনের অধীন কোন মামলা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আরজি দাখিলের মাধ্যমে দায়ের করিতে হইবে, আরজির বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট দালিলিক প্রমাণাদির সমর্থনে আরজির সহিত একটি হলফনামা (Affidavit) সংযুক্ত করিতে হইবে, আরজির সহিত প্রদেয় কোর্ট ফি (ad valorem) প্রদান করিতে হইবে এবং দাখিলকৃত আরজি যথাযথ হইলে আদালতের নির্ধারিত রেজিস্টারে উহা ক্রম অনুসারে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে৷
 
 
(৩) এই আইনের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বিবাদী কর্তৃক লিখিত জবাব দাখিলের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্ধিতা করা যাইবে, লিখিত জবাবের বক্তব্যের এবং সংশ্লিষ্ট দালিলিক প্রমাণাদির সমর্থনে লিখিত জবাবের সহিত একটি হলফনামা (Affidavit) সংযুক্ত করিতে হইবে 1[****] এবং দাখিলকৃত লিখিত জবাব মামলার নথিতে সামিল হইবে।
 
 
(৪) এই আইনের অধীন অর্থ ঋণ আদালতে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান অনুযায়ী সংযুক্ত হলফনামা (Affidavit) মৌলিক সাক্ষ্য (Substantive evidence) হিসাবে গণ্য হইবে, এবং আদালত কোন মামলার একতরফা বা তাত্ক্ষণিক নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোন সাক্ষীকে পরীক্ষা ব্যতিরেকে, কেবল এইরূপ হলফনামা-যুক্ত আরজি বা লিখিত জবাব ও সংশ্লিষ্ট দালিলিক প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করিয়া রায় বা আদেশ প্রদান করিবে৷
 
 
(৫) আর্থিক প্রতিষ্ঠান মূল ঋণগ্রহীতার (Principal debtor) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সময়, তৃতীয় পক্ষ বন্ধকদাতা (Third party mortgagor) বা তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টর (Third party guarantor) ঋণের সহিত সংশ্লিষ্ট থাকিলে, উহাদিগকে বিবাদী পক্ষ করিবে; এবং আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রী সকল বিবাদীর বিরুদ্ধে যৌথভাবে ও পৃথক পৃথক ভাবে (Jointly and severally) কার্যকর হইবে এবং ডিক্রী জারীর মামলা সকল বিবাদী-দায়িকের বিরুদ্ধে একইসাথে পরিচালিত হইবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ডিক্রী জারীর মাধ্যমে দাবী আদায় হওয়ার ক্ষেত্রে আদালত প্রথমে মূল ঋণগ্রহীতা-বিবাদীর এবং অতঃপর যথাক্রমে তৃতীয় পক্ষ বন্ধকদাতা (Third party mortgagor) ও তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টর (Third Party guarantor) এর সম্পত্তি যতদূর সম্ভব আকৃষ্ট করিবে:
 
 
আরো শর্ত থাকে যে, বাদীর অনুকূলে প্রদত্ত ডিক্রীর দাবী তৃতীয় পক্ষ বন্ধকদাতা (Third party mortgagor) অথবা তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টর (Third party guarantor) পরিশোধ করিয়া থাকিলে উক্ত ডিক্রী যথাক্রমে তাহাদের অনুকূলে স্থানান্তরিত হইবে এবং তাহারা মূল ঋণগ্রহীতার (Principal debtor) বিরুদ্ধে উহা প্রয়োগ বা জারী করিতে পারিবেন৷
সমন জারী সম্পর্কিত বিধান
৭। (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাদী আদালতের জারীকারক কর্তৃক এবং প্রাপ্তি স্বীকারসহ রেজিষ্ট্রীকৃত ডাকযোগে প্রেরণের নিমিত্ত, আরজির সহিত সমন জারীর জন্য সমুদয় তলবনামা আদালতে দাখিল করিবেন, এবং আদালত অবিলম্বে উহাদের একযোগে জারীর ব্যবস্থা করিবেন, এবং যদি সমন ইসু্যর ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে জারী হইয়া ফেরত না আসে, অথবা তৎপূর্বেই বিনা জারীতে ফেরত আসে, তাহা হইলে আদালত উহার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে বাদীর খরচায় যে কোন একটি বহুল প্রচারিত বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, এবং তদুপরি একটি স্থানীয় পত্রিকায়, যদি থাকে, এবং আদালত যদি ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করে, বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে সমন জারী করাইবেন, এবং অনুরূপ জারী আইনানুগ জারী মর্মে গণ্য হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান এর অতিরিক্ত হিসাবে বাদী যদি নিজ খরচায় কোন সমন ও নোটিশ বিবাদীর উপর জারী করাইতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে আদালত পূর্ববর্তী উপ-ধারায় আদালতের জারীকারক কর্তৃক সমন জারীকরণের প্রথমোক্ত ব্যবস্থাটির অতিরিক্ত এই ব্যবস্থাটিও কার্যকর করিবে৷
 
 
(৩) জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে সমন জারীর আগাম ব্যবস্থা হিসাবে বাদী আরজি দাখিলের সময় আদালতে আরজির সহিত একটি নমুনা বিজ্ঞাপন দাখিল করিবেন, এবং আদালত পূর্ববর্তী উপ-ধারার বিধান অনুযায়ী করণীয় হইলে, উক্ত বিজ্ঞাপনটি প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পরিবর্তন সাপেক্ষে, তাৎক্ষণিকভাবে জারীকরণের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করিবেন।
আরজি
৮৷ (১) আর্থিক প্রতিষ্ঠান আরজি দাখিলের মাধ্যমে মামলা দায়ের করিবে এবং উক্ত আরজিতে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্্নবর্ণিত বিষয়সমূহ উল্লিখিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বাদীর নাম, ঠিকানা, কর্মস্থল ইত্যাদির বিবরণ;
 
 
 
 
(খ) বিবাদীর নাম, ঠিকানা, কর্মস্থল, বাসস্থান ইত্যাদির বিবরণ;
 
 
 
 
(গ) দাবীর সহিত সম্পর্কিত সকল ঘটনা;
 
 
 
 
(ঘ) মামলার কারণ উদ্ভবের ঘটনা, স্থান এবং তারিখ;
 
 
 
 
(ঙ) কোর্ট ফি প্রদানের উদ্দেশ্যে মামলার তায়দাদ;
 
 
 
 
(চ) আদালতের এখ্‌তিয়ার রহিয়াছে মর্মে বিবরণ; এবং
 
 
 
 
(ছ) প্রার্থিত প্রতিকার৷
 
 
 
 
(২) পূর্ববর্তী উপ-ধারায় বর্ণিত বিষয়াদির অতিরিক্ত, বাদী, আর্জিতে আরও অন্তর্ভুক্ত করিবে-
 
 
 
 
(ক) একটি তফসিল, যাহাতে প্রদর্শিত হইবে-
 
 
 
 
(অ) বিবাদীকে প্রদত্ত মূল ঋণ বা, ক্ষেত্রমত, বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমাণ;
 
 
 
 
(আ) স্বাভাবিক সুদ বা, ক্ষেত্রমত, মুনাফা বা ভাড়া হিসাবে আরোপিত টাকার পরিমাণ;
 
 
 
 
(ই) দণ্ড সুদ হিসাবে আরোপিত টাকার পরিমাণ;
 
 
 
 
(ঈ) আর অন্যান্য বিষয় বাবদ বিবাদীর উপর আরোপিত টাকার পরিমাণ;
 
 
 
 
(উ) মামলা দায়েরের পূর্ব পর্যন্ত প্রণীত শেষ হিসাব মতে বিবাদী কর্তৃক বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বা পাওনা পরিশোধ বাবদে জমাদানকৃত টাকার পরিমাণ; এবং
 
 
 
 
(ঊ) বাদী কর্তৃক প্রদত্ত ও ধার্য মোট এবং বিবাদী কর্তৃক পরিশোধিত মোট টাকার তুলনামূলক অবস্থান;
 
 
 
 
(খ) একটি তফসিল, যাহাতে, ঐ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যাহা বন্ধক বা জামানত রাখিয়া বিবাদী কর্তৃক ঋণ গৃহীত হইয়াছে, উহাদের এবং সংশ্লিষ্ট বন্ধকী বা জামানতী দলিলের বিস্তারিত পরিচয়, বিবরণ, এবং আর্থিক মূল্যায়ন যদি হইয়া থাকে, প্রদর্শিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) বাদী তাঁহার দাবীর সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে কোন দলিলের উল্লেখ করিলে এবং ঐ দলিল তাঁহার দখলে থাকিলে, আর্জির সহিত উক্ত দলিল অথবা উহার সত্যায়িত নকল বা ফটোকপি ফিরিস্তি সহকারে দাখিল করিবে৷
 
 
 
 
(৪) বাদী তাঁহার দাবীর সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে তাঁহার দখলে নাই এমন কোন দলিলের উপর নির্ভর করিলে, উক্ত দলিল কাহার নিকট আছে তাহা উল্লেখ করিয়া উক্ত দলিলের একটি তালিকা আর্জির সহিত দাখিল করিবে৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধানের ব্যত্যয়ে, পরবর্তীতে কোন দলিল বাদী দাখিল করিলে, আদালত সংগত কারণ ও খরচ প্রদান ব্যতিরেকে উহা গ্রহণ করিবে না; এবং প্রদেয় খরচ সরকারী রাজস্ব হিসাবে নির্ধারিত খাতে জমা হইবে৷
 
 
 
 
(৬) আরজিতে একটি দফায়, পক্ষে কার্যকারক হিসাবে কে দায়িত্ব পালন করিবেন, বাদী উহা উল্লেখ করিবে৷
 
 
(৭) বাদী কোন মামলায় বিবাদীর সম্পত্তির কোন তফসিল প্রদান করিতে অসমর্থ হইলে, বাদীর আবেদনক্রমে আদালত বিবাদীকে লিখিত হলফনামা সহকারে তাহার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির হিসাব দাখিল করিতে নির্দেশ প্রদান করিবে এবং এইরূপ নির্দেশ প্রাপ্ত হইলে বিবাদী তদ্‌নুসারে তাহা অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির, যদি থাকে, তালিকা লিখিত হলফনামা সহকারে আদালতে পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(৮) এই ধারার অধীনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান মামলা দাখিল করার সময়, মোট যতসংখ্যক বিবাদী থাকিবেন, আরজি ও সংযুক্ত কাগজাদির ততসংখ্যক অনুলিপি আদালতে দাখিল করিবে৷
লিখিত জবাব
৯৷ (১) আদালত কর্তৃক জারীকৃত সমনে নির্ধারিত তারিখে বিবাদী আদালতে হাজির হইবেন এবং লিখিত জবাব দাখিল করিয়া বাদীর দাবী সম্পর্কে জবাব থাকিলে উহা উপস্থাপন করিবেন৷
 
 
 
 
(২) বিবাদী তাঁহার বক্তব্যের সমর্থনে কোন দলিলের উপর নির্ভর করিলে এবং ঐ দলিল তাঁহার দখলে থাকিলে, উক্ত দলিল বা উহার সত্যায়িত ফটোকপি একটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিয়া লিখিত জবাবের সহিত ফিরিস্তি সহকারে দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) বিবাদী তাঁহার জবাবের সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে তাঁহার দখল বা নিয়ন্ত্রণে নাই এমন কোন দলিলের উপর নির্ভর করিলে, উক্ত দলিল বা দলিলসমূহের একটি তালিকা, ঐগুলি কাহার দখলে আছে, নাম-ঠিকানা উল্লেখপূর্বক, লিখিত জবাবের সহিত দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধানের ব্যত্যয়ে, পরবর্তীতে কোন দলিল বিবাদী দাখিল করিলে, আদালত, সংগত কারণ ও খরচ প্রদান ব্যতিরেকে উহা গ্রহণ করিবে না; এবং প্রদেয় খরচ সরকারী রাজস্ব হিসাবে নির্ধারিত খাতে জমা হইবে৷
 
 
 
 
(৫) বাদীর দাবী বা উহার কোন অংশ বিবাদী স্বীকার করিয়া থাকিলে বিবাদী উক্ত স্বীকৃতির বিবরণ লিখিত জবাবের একটি দফায় সুস্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করিবেন৷
 
 
 
 
(৬) বাদীর দাবী বা দাবীর কোন অংশ অস্বীকার করিলে, বিবাদী লিখিত জবাবের একটি দফায় উহার পরিমাণ এবং অস্বীকারের সমর্থনে কারণ বা যুক্তি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করিবেন৷
 
 
 
 
(৭) লিখিত জবাবের একটি দফায় বিবাদী বা বিবাদীগণের পক্ষে কার্যকারক হিসাবে কে দায়িত্ব পালন করিবেন উহা উল্লেখ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৮) এই ধারার অধীনে বিবাদী লিখিত জবাব দাখিল করার সময়, লিখিত জবাব ও সংযুক্ত কাগজাদির একটি অনুলিপি বাদীর জন্য আদালতে দাখিল করিবে৷
লিখিত জবাব দাখিলের সময়সীমা
১০৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, অর্থ ঋণ আদালত, বিবাদী উপস্থিত হওয়ার ৪০ (চল্লিশ) দিবসের পরবর্তীতে বিবাদী কর্তৃক দাখিলকৃত কোন লিখিত জবাব গ্রহণ করিবে না, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে আদালত অবিলম্বে একতরফা সূত্রে মামলা নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, অন্যুন ২০০০ (দুই হাজার) এবং অনূর্ধ্ব ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা পর্যন্ত খরচ প্রদানের পূর্বশর্ত সাপেক্ষে আদালত উপরি-উক্ত সময়সীমা অনূর্ধ্ব আরো ২০ (বিশ) দিবস পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীন প্রদেয় খরচ সরকারী রাজস্ব হিসাবে নির্ধারিত খাতে জমা করিয়া উহার চালান প্রমাণস্বরূপ আদালতে দাখিল করিতে হইবে৷
লিখিত জবাবের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জবাব
১১৷ বিবাদী কর্তৃক দাখিলকৃত লিখিত জবাবের প্রত্যুত্তরে বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠান আরজির অতিরিক্ত কোন জবাব বা বিবরণ প্রদান করিতে চাহিলে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে, লিখিত জবাব দাখিলের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে উহা দাখিল করিবে৷
আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কতিপয় জামানত বিক্রয়
১২৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উহার নিজ দখল বা নিয়ন্ত্রণে থাকা বিবাদীর কোন সম্পত্তি যাহা পণ বা বন্ধক (Lien or pledge) রাখিয়া ঋণ প্রদান করা হইয়াছে, এবং যাহা বিক্রয় করিবার আইনগত অধিকার বাদীর রহিয়াছে বা বাদীকে অর্পণ করা হইয়াছে, উহা বিক্রয় না করিয়া এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঋণ পরিশোধ বাবদ সমন্বয় না করিয়া, অর্থ ঋণ আদালতে কোন মামলা দায়ের করিবে না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজ দখল বা নিয়ন্ত্রণে থাকা পণ বা বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রয় না করিয়া মামলা দায়ের করিলে অনতিবিলম্বে উক্ত সম্পত্তি পূর্ব-বর্ণিত মতে বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঋণের সহিত সমন্বয় করিবে এবং বিষয়টি আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে৷
 
 
(৩) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিবাদীর নিকট হইতে কোন স্থাবর সম্পত্তি (Immovable Property) বন্ধক (Mortgage) রাখিয়া অথবা অস্থাবর সম্পত্তি (Movable Property) দায়বদ্ধ রাখিয়া (Hypothecated) ঋণ প্রদান করিলে এবং বন্ধক প্রদান বা দায়বদ্ধ রাখার সময় বন্ধকী বা দায়বদ্ধ সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষমতা 2[*****] আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হইয়া থাকিলে, উহা বিক্রয় না করিয়া এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঋণ পরিশোধ বাবদ সমন্বয় না করিয়া, অথবা বিক্রয়ের চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ না হইয়া, অর্থ ঋণ আদালতে কোন মামলা দায়ের করিবে না।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এর বিধান, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিবে৷
 
 
3[(৫) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যদি উহার অনুকূলে উপ-ধারা (৩) এর অধীন বন্ধকি বা দায়বদ্ধ কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য এই ধারার অধীন গৃহীত কার্যক্রমের সুবিধার্থে অনুরূপ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দখল ও নিয়ন্ত্রণ বিক্রয়ের পূর্বে বা পরে বিবাদী বা ঋণ-গ্রহীতা হইতে নিজ দখল বা নিয়ন্ত্রণে সমর্পিত হওয়া অথবা, ক্ষেত্রমত, ক্রেতার অনুকূলে সমর্পণ করা প্রয়োজন মনে করে, তাহা হইলে উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান লিখিতভাবে অনুরোধ করিলে বিবাদী বা ঋণ-গ্রহীতা অনুরূপ দখল অবিলম্বে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, ক্রেতার অনুকূলে সমর্পণ করিবে৷
 
 
(৫ক) উপ-ধারা (৫) এর অধীন লিখিতভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও যদি বিবাদী বা ঋণ-গ্রহীতা উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত সম্পত্তির দখল ও নিয়ন্ত্রণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, ক্রেতার অনুকূলে সমর্পণ না করিয়া থাকেন, তাহা হইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট স্থানীয় অধিক্ষেত্রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দরখাস্ত করিয়া উক্ত সম্পত্তির দখল ও নিয়ন্ত্রণ বিবাদী বা ঋণ-গ্রহীতা হইতে উহার অনুকূলে বা, ক্ষেত্রমত, ক্রেতার অনুকূলে সমর্পণ করিতে অনুরোধ করিতে পারিবে; এবং অনুরূপভাবে অনুরূদ্ধ হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা তাহার মনোনীত প্রথম শ্রেণীর কোন ম্যাজিস্ট্রেট, উক্ত সম্পত্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে বন্ধক বা দায়বদ্ধ থাকার বিষয়ে সন্তুষ্ট হওয়া সাপেক্ষে, উহার দখল ও নিয়ন্ত্রণ বিবাদী বা ঋণ-গ্রহীতা হইতে উদ্ধার করিয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা, ক্ষেত্রমত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে ক্রেতার অনুকূলে সমর্পণ করিবেন৷]
 
 
(৬) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান পালন না করিলে, আদালত স্ব-উদ্যোগে অথবা দায়িকের লিখিত আবেদনক্রমে, ডিক্রী প্রদান করিবার সময় উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উক্ত সম্পত্তির প্রদর্শিত মূল্যায়নের, যদি থাকে, সমপরিমাণ অর্থ মামলার দাবী হইতে বাদ দিয়া ডিক্রী প্রদান করিবে এবং প্রদর্শিত মূল্য না থাকিলে, আদালত, সম্পত্তির স্থানীয় অধিক্ষেত্রের সাব-রেজিষ্ট্রারের প্রতিবেদন গ্রহণ করিয়া, মূল্য নির্ধারণ করিবে এবং নির্ধারিত উক্ত মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ মামলার দাবী হইতে বাদ দিয়া ডিক্রী প্রদান করিবে৷
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন যে সম্পত্তির নির্ধারিত মূল্য মামলার দাবী হইতে বাদ দিয়া ডিক্রী প্রদান করা হইবে, উক্ত সম্পত্তির মালিকানা ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৭) এর বিধানের অনুরূপ পদ্ধতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ন্যস্ত হইবে৷
 
 
(৮) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক lien, pledge, hypothecation অথবা Mortgage এর অধীন প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে কোন জামানতী স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করা হইলে, উক্ত বিক্রয় ক্রেতার অনুকূলে বৈধ স্বত্ব সৃষ্টি করিবে এবং ক্রেতার ক্রয়কে কোনভাবেই তর্কিত করা যাইবে না:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিক্রয় কার্যক্রমে কোনরূপ অবৈধতা বা পদ্ধতিগত অনিয়ম থাকিলে, জামানত প্রদানকারী ঋণ-গ্রহীতা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন৷
মামলার বিচার্য বিষয় গঠন ও নিষ্পত্তি
১৩৷ (১) বিবাদী কর্তৃক লিখিত জবাব দাখিল হওয়ার পরবর্তীতে ধার্য একটি নির্ধারিত তারিখে আদালত উভয় পক্ষকে, যদি উপস্থিত থাকে, শুনানী করিয়া এবং আরজি ও লিখিত বর্ণনা পর্যালোচনা করিয়া মামলার বিচার্য বিষয়, যদি থাকে, গঠন করিবে; এবং যদি বিচার্য বিষয় না থাকে, আদালত অবিলম্বে রায় বা আদেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত তারিখে, কোন বা উভয় পক্ষ যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহা হইলে আদালত, আরজি ও লিখিত বর্ণনা পর্যালোচনা করিয়া মামলার বিচার্য বিষয়, যদি থাকে, গঠন করিবে; এবং, যদি বিচার্য বিষয় না থাকে, আদালত অবিলম্বে রায় বা আদেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৩) মামলার যে কোন পর্যায়ে, লিখিত বর্ণনায় কিংবা অন্য কোনভাবে বিবাদী কর্তৃক বাদীর আর্জির বক্তব্য স্বীকৃত হইয়া থাকিলে, এবং উক্তরূপ স্বীকৃতির ভিত্তিতে যেরূপ রায় বা আদেশ পাইতে বাদী অধিকারী, সেরূপ রায় বা আদেশ প্রার্থনা করিয়া বাদী আদালতের নিকট দরখাস্ত করিলে, আদালত, বাদী ও বিবাদীর মধ্যে বিদ্যমান অপরাপর বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা না করিয়া, উপযুক্ত রায় বা আদেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৪) মামলার শুনানীর জন্য ধার্য প্রথম তারিখে অথবা মামলার যে কোন পর্যায়ে যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ঘটনা অথবা আইনগত বিষয়ে কোন বিবাদ নাই, তাহা হইলে, আদালত, অবিলম্বে রায় বা আদেশ প্রদান করিয়া মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করিবে৷
মামলার শুনানী মুলতবী
১৪৷ (১) ধারা ১৭ এর মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সম্পর্কিত বিধান সাপেক্ষে অর্থ ঋণ আদালতের কোন মামলার চূড়ান্ত শুনানীর জন্য ধার্য তারিখ কোন এক পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে একবারের অধিক মুলতবী করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, আদালত, এই পরিচ্ছেদে বিচার নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত সময়সীমার ব্যত্যয় না ঘটাইয়া, কোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঐ পক্ষ কর্তৃক অন্যুন ১,০০০/- (এক হাজার) এবং অনূর্ধ্ব ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা পর্যন্ত খরচা নির্ধারিত তারিখের পূর্বে প্রদান করার পূর্ব-শর্ত সাপেক্ষে, একবারের অধিক মুলতবী মঞ্জুর করিতে পারিবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান মতে প্রদেয় মুলতবী খরচার টাকা সরকারী রাজস্ব হিসাবে নির্ধারিত খাতে জমা করিয়া প্রমাণস্বরূপ রসিদ আদালতে দাখিল করিতে হইবে; এবং এই শর্তের ব্যত্যয় হইলে আদালত অবিলম্বে এক তরফা সূত্রে মামলা নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
 
 
(৪) মামলার শুনানী শুরু হইবার পর উহা ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকিবে এবং এইরূপ মামলার আংশিক শুনানী কেবল আদালতের পরবর্তী কার্যদিবস পর্যন্ত মুলতবী করা যাইবে৷
মৌখিক বা লিখিত যুক্তিতর্ক সম্পর্কিত বিধান
১৫৷ (১) এই আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলায় রায় প্রদানের পূর্বে মৌখিক যুক্তিতর্ক শ্রবণ করা অর্থ ঋণ আদালতের বিচারকের জন্য আবশ্যক হইবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, যদি কোন পক্ষ বা পক্ষগণ ইচ্ছা করেন, মামলার সাক্ষ্য সমাপ্ত হইবার অব্যবহিত পরেই আদালতকে লিখিতভাবে অবগত করিয়া এবং অপর পক্ষ বা পক্ষগণকে নকল সরবরাহপূর্বক, অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) দিবসের মধ্যে লিখিত যুক্তিতর্ক দাখিল করিতে পারিবে, তবে লিখিত যুক্তিতর্কের বিরুদ্ধে লিখিত উত্তর প্রদানের কোনরূপ সুযোগ থাকিবে না৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও, প্রয়োজন মনে করিলে আদালত কোন পক্ষ বা পক্ষদ্বয়কে লিখিত যুক্তিতর্কের অতিরিক্ত মৌখিক যুক্তিতর্ক পেশ করিতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
রায় প্রদান সম্পর্কিত বিধান
১৬৷ (১) মামলার সাক্ষ্য সমাপ্ত হইবার পর অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) দিবসের মধ্যে আদালত রায় প্রদান করিবে, তবে, ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (২) এর অধীনে পক্ষ বা পক্ষরা লিখিত যুক্তিতর্ক পেশ করিলে অথবা উপ-ধারা (৩) এর অধীনে আদালত মৌখিক যুক্তিতর্ক শ্রবণ করিলে, উক্তরূপ লিখিত যুক্তিতর্ক পেশ কিংবা মৌখিক যুক্তিতর্ক শ্রবণের তারিখ হইতে পরবর্তী অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) দিবসের মধ্যে আদালত রায় প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(২) আদালত, প্রদত্ত রায় বা আদেশে, ডিক্রীকৃত টাকা কিস্তিতে পরিশোধের জন্য দীর্ঘতর সময়সীমা নির্ধারণ করিয়া না থাকিলে, অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) দিবসের যে কোন একটি সময়সীমা নির্ধারণ করিয়া উক্ত সময়সীমার মধ্যে ডিক্রীকৃত টাকা পরিশোধের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান করিবে৷
মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সম্পর্কিত বিধান
১৭৷ (১) এই আইনের অধীনে দাখিলী মামলা, সমন জারী সত্ত্বেও বিবাদী হাজির না হইলে, সমন জারীর তারিখ হইতে অনূর্ধ্ব ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে, এবং বিবাদী হাজির হইয়া লিখিত জবাব দাখিল করিলে, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, লিখিত জবাব দাখিলের তারিখ হইতে অনূর্ধ্ব ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে নিষ্পন্ন করিতে হইবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, ৯০ (নব্বই) দিবসের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করিতে অসমর্থ হইলে, উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ, আদালত, উক্ত সময়সীমা অনূর্ধ্ব আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারিবে৷
মামলা দায়ের ও শুনানী সম্পর্কিত বিশেষ বিধান
১৮৷ (১) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক আত্মসাত্কৃত কোন অর্থ ঋণ গণ্যে এই আইনের অধীন আদালতের মাধ্যমে আদায়যোগ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন ঋণগ্রহীতা, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে, এই আইনের অধীন আদালতে, সংশ্লিষ্ট ঋণ হইতে উদ্ভূত কোন বিষয়ে, কোন প্রতিকার দাবী করিয়া মামলা দায়ের করিতে পারিবে না, এবং ঋণগ্রহীতা-বিবাদী, বাদী-আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় লিখিত জবাব দাখিল করিয়া, উক্ত লিখিত জবাবে প্রতিগণন (Set-off) বা পাল্টাদাবী (counter claim) অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(৩) ঋণগ্রহীতা-বিবাদী সংশ্লিষ্ট ঋণ হইতে উদ্ভূত বিষয়ে বাদী হইয়া কোন মামলা অন্য কোন আদালতে দায়ের করিয়া থাকিলে, উক্ত মামলা এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত আদালতে দায়েরকৃত মামলার সহিত একত্রে শুনানীযোগ্য (Analogous hearing) হইবে না, অথবা এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত আদালতে বিচারাধীন মামলাটি উপরি-উল্লিখিত অন্য আদালতে বিচারাধীন মামলার সহিত উক্ত অন্য আদালতেও একত্রে শুনানীযোগ্য হইবে না; এবং অনুরূপ কোন কারণে এই আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলা স্থগিত করা যাইবে না৷
একতরফা ডিক্রী সম্পর্কিত বিধান
১৯৷ (১) মামলার শুনানীর জন্য ধার্য কোন তারিখে বিবাদী আদালতে অনুপস্থিত থাকিলে, কিংবা মামলা শুনানীর জন্য গৃহীত হইবার পর ডাকিয়া বিবাদীকে উপস্থিত পাওয়া না গেলে, আদালত মামলা একতরফা সূত্রে নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন মামলা একতরফা সূত্রে ডিক্রী হইলে, বিবাদী উক্ত একতরফা ডিক্রীর তারিখের অথবা উক্ত একতরফা ডিক্রী সম্পর্কে অবগত হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে, উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত একতরফা ডিক্রী রদের জন্য দরখাস্ত করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী দরখাস্ত দাখিলের ক্ষেত্রে বিবাদীকে উক্ত দরখাস্ত দাখিলের তারিখের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে ডিক্রীকৃত অর্থের ১০% এর সমপরিমাণ টাকা বাদীর দাবীর সেই পরিমাণের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ নগদ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অথবা জামানতস্বরূপ ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা অন্য কোন প্রকার নগদায়নযোগ্য বিনিমেয় দলিল (Negotiable Instrument) আকারে জামানত হিসাবে আদালতে জমাদান করিতে হইবে৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধানমতে ডিক্রীকৃত অর্থের ১০% এর সমপরিমাণ টাকা জমাদানের সংগে সংগে দরখাস্তটি মঞ্জুর হইবে, একতরফা ডিক্রী রদ হইবে এবং মূল মামলা উহার পূর্বের নম্বর ও নথিতে পুনরুজ্জীবিত হইবে, এবং আদালত ঐ মর্মে একটি আদেশ লিপিবদ্ধ করিবে; এবং অতঃপর মামলাটি যে পর্যায়ে এক তরফা নিষ্পত্তি হইয়াছিল, ঐ পর্যায়ের অব্যবহিত পূর্ববর্তী পর্যায় হইতে পরিচালিত হইবে৷
 
 
 
 
(৫) বিবাদী উপ-ধারা (৩) এর বিধানমতে ডিক্রীকৃত অর্থের ১০% এর সমপরিমাণ টাকা বাদীর দাবীর সেই পরিমাণের জন্য স্বীকৃতস্বরূপ নগদ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অথবা জামানতস্বরূপ ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা অন্য কোন প্রকার নগদায়নযোগ্য বিনিমেয় দলিল (Negotiable Instrument) আকারে জামানত হিসাবে আদালতে জমাদান করিতে ব্যর্থ হইলে, উক্ত দরখাস্তটি সরাসরি খারিজ হইবে; এবং আদালত ঐ মর্মে একটি আদেশ লিপিবদ্ধ করিবে৷
 
 
 
 
(৬) অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন কোন মামলা, বাদীর অনুপস্থিতির বা ব্যর্থতা হেতু খারিজ করা যাইবে না, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে আদালত, নথিতে উপস্থাপিত কাগজাদি পরীক্ষা করিয়া গুণাগুণ বিশ্লেষণে মামলা নিষ্পত্তি করিবে৷
অর্থ ঋণ আদালতের আদেশের চূড়ান্ততা
২০৷ এই আইনের বিধান ব্যতিরেকে, কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন কোন কার্যধারা বা উহার কোন আদেশ, রায় বা ডিক্রীর বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না, এবং এই আইনের বিধানকে উপেক্ষা করিয়া কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিয়া কোন প্রতিকার দাবী বা প্রার্থনা করা হইলে, ঐরূপ আবেদন কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্য করিবে না৷
 
 
 
 

  • 1
    ",প্রদেয় কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে" কমা ও শব্দগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ২ ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 2
    "(Power of Attorney)" বন্ধনীগুলি ও শব্দগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 3
    উপ-ধারা (৫) এবং (৫ক) পূর্ববতর্ী উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs