প্রিন্ট

15/05/2025
অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ৮ নং আইন )

৭ম পরিচ্ছেদ

আপীল ও রিভিশন

দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের প্রয়োগ
৪০৷ এই পরিচ্ছেদের অধীন আপীল ও রিভিশন কার্যক্রমে, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
আপীল দায়ের ও নিষ্পত্তি সম্পর্কিত বিশেষ বিধান
৪১। (১) মামলার কোন পক্ষ, কোন অর্থ ঋণ আদালতের আদেশ বা ডিক্রী দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, যদি ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অপেক্ষা অধিক হয়, তাহা হইলে উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, 1[পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিবসের] মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে, এবং যদি ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অথবা তদ্অপেক্ষা কম হয়, 2[তাহা হইলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে জেলাজজ আদালতে আপীল করিতে পারিবেন।]
 
 
(২) আপীলকারী, ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণের ৫০% এর সমপরিমাণ টাকা বাদীর দাবীর আংশিক স্বীকৃতিস্বরূপ নগদ ডিক্রীদার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অথবা বাদীর দাবী স্বীকার না করিলে, জামানতস্বরূপ ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে জমা করিয়া উক্তরূপ জমার প্রমাণ দরখাস্ত বা আপীলের মেমোর সহিত আদালতে দাখিল না করিলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আপীল কার্যার্থে গৃহীত হইবে না৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও, বিবাদী-দায়িক ইতিমধ্যে ১৯(৩) ধারার বিধান মতে ১০% (দশ শতাংশ) পরিমাণ টাকা নগদ অথবা জামানত হিসাবে জমা করিয়া থাকিলে, অত্র ধারার অধীনে আপীল দায়েরের ক্ষেত্রে উক্ত ১০% (দশ শতাংশ) টাকা উপরি-উল্লিখিত ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) টাকা হইতে বাদ হইবে৷
 
 
(৪) উপরি-উল্লিখিত বিধানাবলী সত্ত্বেও, বাদী-আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধারার অধীনে কোন আপীল দায়ের করিলে, উহাকে উপরি-উল্লিখিত মতে কোন টাকা বা জামানত জমা দান করিতে হইবে না৷
 
 
(৫) জেলা জজ কোন আপীল গ্রহণ করা মাত্রই লিখিতভাবে উল্লেখ করিবেন যে, তিনি নিজেই উক্ত আপীল শুনানী করিবেন কি না, এবং তিনি নিজে উক্ত আপীল শুনানী না করিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, অনতিবিলম্বে উক্ত আপীলটি শুনানীর জন্য তাহার অধিক্ষেত্রের অধীন কোন একজন অতিরিক্ত জেলা জজের নিকট, যদি থাকে, প্রেরণ করিবেন; এবং কোন অতিরিক্ত জেলা জজ না থাকিলে, জেলা জজ নিজেই উক্ত আপীল শ্রবণ করিবেন৷
 
 
(৬) আপীল আদালত, আপীল গৃহীত হইবার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে, এবং ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে, আদালত, লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক, উক্ত সময়সীমা অনধিক আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারিবে৷
রিভিশন দায়ের ও নিষ্পত্তি সম্পর্কিত বিধান
৪২৷ (১) কোন আদালত, আপীলে প্রদত্ত রায় বা ডিক্রীর বিরুদ্ধে কোন রিভিশনের দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না, যদি না দরখাস্তকারী, আপীল আদালত কর্তৃক প্রদত্ত বা বহালকৃত ডিক্রীর টাকার ৭৫% এর সমপরিমাণ টাকা, আপীল দায়ের কালে দাখিলকৃত ৫০% টাকাসমেত, উক্ত পরিমাণ টাকার স্বীকৃতি স্বরূপে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অথবা বাদীর দাবী স্বীকার না করিলে জামানত স্বরূপে ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা নগদায়নযোগ্য অন্য কোন বিনিমেয় দলিল (Negotiable Instrument) আকারে ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে জমা করিয়া উক্তরূপ জমার প্রমাণ দরখাস্তের সহিত আদালতে দাখিল করেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, বাদী-আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধারার অধীনে রিভিশন দায়ের করিলে, উহাকে উপরি-উল্লিখিত মতে কোন টাকা বা জামানত জমা বা দাখিল করিতে হইবে না৷
 
 
 
 
(৩) উচ্চতর আদালত, রিভিশনের দরখাস্ত গৃহীত হইবার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে, এবং ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে রিভিশন নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে, আদালত, লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক, উক্ত সময়সীমা অনধিক আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারিবে৷
সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীল
৪৩৷ এই আইনের অধীনে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আপীল বা রিভিশনে প্রদত্ত কোন রায়, ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আপীল দায়েরের জন্য ঋণ গ্রহীতা-বিবাদীকে আপীল বিভাগ অনুমতি প্রদান করার ক্ষেত্রে, সংগত মনে করিলে, ৪২(১) ধারার অনুরূপ পদ্ধতিতে ডিক্রীকৃত টাকার অপরিশোধিত অবশিষ্টাংশের যে কোন পরিমাণ টাকা নগদ বাদী-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অথবা জামানতস্বরূপ ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে জমাদান করার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
অন্তবর্তীকালীন আদেশ
৪৪৷ (১) অর্থ ঋণ আদালত, মামলার সঠিক ও পরিপূর্ণ বিচার ও ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে এবং বিচার কার্যক্রমের অপব্যবহার প্রতিরোধকল্পে যেরূপ অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা সংগত মনে করিবে, সেরূপ অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীনে কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন অন্তবর্তীকালীন আদেশকে উচ্চতর কোন আদালতে আপীল বা রিভিশন আকারে বিতর্কিত করা যাইবে না৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও, কোন পক্ষ ধারা ৪১ এর অধীন দায়েরকৃত আপীলে এইরূপ কোন বিষয় যুক্তি হিসাবে গ্রহণ করিতে পারিবে, যাহা উপরি-উল্লিখিত বিধানের কারণে বিতর্কিত করা যায় নাই, এবং আপীল আদালত ঐরূপ বিষয় বিবেচনায় গ্রহণ করিয়া ন্যায়বিচারের স্বার্থে উপযুক্ত যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
আপীল বা রিভিশনের পর্যায়ে মধ্যস্থতা
3[৪৪ক। (১) ৭ম পরিচ্ছেদের অধীন আপীল বা রিভিশন কার্যক্রম অব্যাহত থাকার যে কোন পর্যায়ে পক্ষগণ মধ্যস্থতার মাধ্যমে আপীল বা রিভিশন মামলার বিষয়বস্তু নিষ্পত্তি করিয়া আদালতকে অবহিত করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে ধারা ২২ এর উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।
 
(৩) আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন অবহিত হইলে এবং নিষ্পত্তির বিষয়ে সন্তুষ্ট হইলে, উক্ত আপীল বা রিভিশন মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করিয়া আদেশ প্রদান করিবে।]

  • 1
    "পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিবসের" শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে "পরবতর্ী ৬০(ষাট) দিবসের" শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    "তাহা হইলে জেলাজজ আদালতে আপীল করিতে পারিবেন" শব্দগুলির পরিবর্তে "তাহা হইলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে জেলাজজ আদালতে আপীল করিতে পারিবেন" শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    ধারা ৪৪ক অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs