আদালতের একক এখ্তিয়ার
৫৷ (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৫) ও (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায় সম্পর্কিত যাবতীয় মামলা ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত, ঘোষিত বা গণ্য হওয়া অর্থ ঋণ আদালতে দায়ের করিতে হইবে এবং উক্ত আদালতেই উহাদের নিষ্পত্তি হইবে৷
(২) এই আইনের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্থাবর সম্পত্তি জামানত স্বরূপ বন্ধক গ্রহণপূর্বক প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে উক্ত বন্ধকী স্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় (Sale) বা নিষ্ক্রিয় সমাপ্তির (Foreclosure) উদ্দেশ্যে The
Transfer of Property Act, 1882 (Act No. IV of 1882) এর section 67 এর অধীন এবং The
Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর Order XXXIV এর বিধান অনুযায়ী কোন বন্ধকী মামলা (Mortgage suit) দায়ের করিতে চাহিলে, উক্ত মামলাও এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত অর্থ ঋণ আদালতেই দায়ের করিতে হইবে; এবং এইরূপ ক্ষেত্রে The
Code of Civil Procedure, 1908 এর বিধানসমূহ এই আইনের বিধানসমূহের সহিত, যতদূর সম্ভব, সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রযোজ্য হইবে৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা নিষ্ক্রিয় সমাপ্তির (Foreclosure) উদ্দেশ্যে একটি বন্ধকী মামলা (Mortgage suit) হইলে, কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী প্রাথমিক ডিক্রী (Preliminary decree) হইবে এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে ঋণ আদায়ার্থ দায়েরকৃত মামলায় আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী চূড়ান্ত ডিক্রী (Final decree) হইবে৷
(৪) The
Transfer of Property Act, 1882 অথবা বর্তমানে প্রচলিত অন্য কোন আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৩) এর অধীন বন্ধকী মামলা ব্যতিরেকে, এই আইনের অধীন দায়েকৃত কোন মামলায়, আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বাদী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিষ্ক্রিয় সমাপ্তির (Foreclosure) প্রাথমিক ডিক্রী হিসাবে গণ্য হইবে; এবং ঋণের বিপরীতে বাদীর অনুকূলে বন্ধকী স্থাবর সম্পত্তি ডিক্রীর ধারাবাহিকতায় নিলাম বিক্রয় হওয়া মাত্রই উক্ত প্রাথমিক ডিক্রী চূড়ান্ত ডিক্রী হিসাবে গণ্য হইবে, এবং বিক্রয় চূড়ান্ত ও ক্রয় বৈধ গণ্য হইবে এবং অতঃপর উক্ত সম্পত্তি পূনরুদ্ধার করিবার কোনরূপ অধিকার (Right to redeem) বিবাদী-দায়িকের থাকিবে না৷
(৫) The
Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অর্থ ঋণ আদালত কর্তৃক আদায়যোগ্য ঋণ “সরকারী পাওনা” হইলেও উহা আদায়ার্থ মামলা এই আইনের অধীন আদালতেই দায়ের করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনূর্ধ্ব [৫,০০,০০০ টাকার (পাঁচ লক্ষ টাকা)] দাবী সম্বলিত মামলাসমূহ অর্থ ঋণ আদালতে দায়ের না করিয়া The
Public Demands Recovery Act, 1913 এর বিধান অনুযায়ী সার্টিফিকেট মামলা হিসাবেও দায়ের করা যাইবে৷
(৬) কোন বিশেষ আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ আদায়ার্থ কোন বিশেষ বিধান উক্ত বিশেষ আইনে থাকিলে, এই আইনের বিধান উক্ত আইনের বিধানের অতিরিক্ত গণ্য হইবে; এবং অনুরূপ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই আইনের অধীন আদালতে ঋণ আদায়ার্থ মামলা দায়ের করা হইলে এই আইনের বিধানাবলীই প্রযোজ্য হইবে৷
(৭) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, এই ধারার কোন কিছুই কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ধারা ২ এর দফা (ক) এর উপ-দফা (১২), (১৩), (১৪), (১৫), (১৬) ও (১৭) এর অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারকে প্রদত্ত ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কার্যকর হইবে না৷
(৮) এই আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলা “অর্থ ঋণ মামলা” নামে রেজিিষ্ট্র হইবে৷
(৯) কোন জেলায় একাধিক অর্থ ঋণ আদালত থাকিলে, মামলা দায়েরের জন্য উহাদের স্থানীয় অধিক্ষেত্র জেলা জজ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
(১০) জেলা জজ স্বেচ্ছায় বা মামলার কোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে একান্ত প্রয়োজন মনে করিলে, কোন অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন কোন মামলা তাঁহার নিজ এখ্তিয়ারাধীন এলাকায় অবস্থিত অন্য কোন অর্থ ঋণ আদালতে, যদি থাকে, স্থানান্তর করিতে পারিবেন৷
(১১) অর্থ ঋণ আদালত একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে এবং, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, দেওয়ানী আদালতের সমস্ত ক্ষমতা ও এখ্তিয়ার উহার থাকিবে৷