মধ্যস্থতা
[২২। (১) চতুর্থ পরিচ্ছেদে বর্ণিত সাধারণ পদ্ধতিতে মামলার বিচার বা শুনানী সম্পর্কিত যে বিধানই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দায়েরকৃত কোন মামলায় বিবাদী কর্তৃক লিখিত জবাব দাখিলের পর, আদালত, ধারা ২৪ এর বিধান সাপেক্ষে, মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে, মামলাটি, নিযুক্ত আইনজীবীগণ কিংবা আইনজীবী নিযুক্ত না হইয়া থাকিলে পক্ষগণের নিকট প্রেরণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত মামলায় নিযুক্ত আইনজীবীগণ মামলার পক্ষগণের সহিত পরামর্শক্রমে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে অপর একজন আইনজীবী, যিনি কোন পক্ষ কর্তৃক নিয়োজিত নহেন, অথবা কোন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অথবা অন্য যে কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে মামলা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নিযুক্ত করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীন মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত হইবার অযোগ্য হইবেন।
(৩) কোন মামলা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির প্রয়াসের জন্য প্রেরণ করিবার সময় আদালত আইনজীবীগণ ও মধ্যস্থতাকারীর পারিশ্রমিক এবং মধ্যস্থতার পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া দিবেন না; সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, পক্ষগণ মধ্যস্থতাকারী পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে পারিশ্রমিক ও মধ্যস্থতার পদ্ধতি নির্ধারণ করিবেন।
(৪) পক্ষগণের তথ্যের গোপনীয়তা রৰা করিয়া মধ্যস্থতাকারী মধ্যস্থতা কার্যক্রম সমাপ্তির পর একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করিবেন এবং উক্ত প্রতিবেদনে সম্পাদনকারী হিসাবে পক্ষগণের স্বাক্ষর, কিংবা, ক্ষেত্রমত, বাম হস্তের বৃদ্ধাংগুলির ছাপ, এবং মধ্যস্থতাকারী ও আইনজীবীগণের স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে হইবে; তবে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলার বিরোধ নিষ্পত্তি হইয়া থাকিলে, অনুরূপ নিষ্পত্তির শর্তাদি লিখিতভাবে চুক্তি আকারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৫) আদালত, যে তারিখে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদেশ প্রদান করিবে, উক্ত তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে মধ্যস্থতা কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে হইবে, যদি না আদালত উভয় পক্ষ কতৃর্ক লিখিত দরখাস্ত দ্বারা অনুরুদ্ধ হইয়া, অথবা কারণ উল্লেখপূর্বক স্বীয় উদ্যোগে, উক্ত সময়সীমা অনধিক আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিয়া থাকে।
(৬) উপ-ধারা (১) এর অধীনে মধ্যস্থতার আদেশের ১০ (দশ) দিবসের মধ্যে পক্ষগণ আদালতকে লিখিতভাবে মধ্যস্থতাকারীর নাম অবহিত করিবেন এবং এই সময়ের মধ্যে পক্ষগণ মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করিতে ব্যর্থ হইলে আদালত একজন মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করিবে।
(৭) আদালত উপ-ধারা (৪) এ উলি্লখিত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করিয়া এবং ধারা ২৪ এর বিধান সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আদেশ বা ডিক্রী প্রদান করিবে।
(৮) এই ধারার অধীন মধ্যস্থতা কার্যক্রম গোপনীয় হইবে এবং পক্ষগণ, তাহাদের নিযুক্ত আইনজীবী, প্রতিনিধি এবং মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে অনুষ্ঠিত কোন আলোচনা বা পরামর্শ, উপস্থাপিত কোন সাক্ষ্য, প্রদত্ত কোন স্বীকৃতি, বিবৃতি বা মন্তব্য গোপনীয় বলিয়া গণ্য হইবে এবং পরবতর্ীতে অনুষ্ঠিত উক্ত মামলার শুনানির কোন পর্যায়ে বা অন্য কোন কার্যক্রমে উহাদের উল্লেখ করা যাইবে না বা সাক্ষ্য হিসাবে উহা গ্রহণযোগ্য হইবে না।
(৯) Court Fees Act, 1870 (Act No. VII of 1870) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি এই ধারার অধীন কোন মামলার বিরোধ মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়, তাহা হইলে আদালত কালেক্টরের নিকট হইতে আরজির উপর প্রদত্ত সমুদয় কোর্ট ফি ফেরত প্রদানের লক্ষ্যে বাদীর অনুকূলে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবে এবং উহার ভিত্তিতে বাদী প্রদত্ত কোর্ট ফি ফেরত পাইবার অধিকারী হইবেন।
(১০) এই ধারার অধীন মধ্যস্থতার মাধ্যমে কোন মামলার নিষ্পত্তির আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে কোন আপীল বা রিভিশন দায়ের করা যাইবে না।
(১১) মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়াস ব্যর্থ হইলে আদালত মধ্যস্থতা কার্যক্রমের পূর্ববর্তী অবস্থান হইতে মামলার শুনানীর কার্যক্রম আরম্ভ করিবে।]