জারীর বিরুদ্ধে আপত্তি
৩২। (১) অর্থ ঋণ আদালতের ডিক্রী বা আদেশ হইতে উদ্ভুত জারী মামলায় কোন তৃতীয় পক্ষ দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের বিধানমতে দাবী পেশ করিলে, আদালত প্রাথমিক বিবেচনায় উক্ত দাবী সরাসরি খারিজ না করিলে, ডিক্রীদার অনূধর্্ব ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি দায়ের করিয়া শুনানী দাবী করিতে পারিবেন।
[(২) উপরোক্ত মতে দাবী পেশ করিবার ক্ষেত্রে, দরখাস্তকারী, ডিক্রীকৃত অর্থের, অথবা ডিক্রীকৃত অর্থের আংশিক ইতিমধ্যে আদায় হইয়া থাকিলে অনাদায়ী অংশের, ১০% এর সমপরিমাণ জামানত বা বন্ড দাখিল করিবে, এবং অনুরূপ জামানত বা বন্ড দাখিল না করিলে উক্ত দাবী অগ্রাহ্য হইবে।]
(৩) অর্থ ঋণ আদালত, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন দাবী বিবেচনার্থ গ্রহণ করিলে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে [লিখিত আপত্তি] দাখিল হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পন্ন করিবে এবং কোন কারণে ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে, কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ, উক্ত সময়সীমা অনূধর্্ব আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারিবে।
[(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন দাখিলকৃত লিখিত আপত্তি নিষ্পন্ন করিয়া আদালত যদি অবধারণ করিতে পারে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন দাবী সম্বলিত দরখাস্তটি ডিক্রীদারের পাওনা বিলম্বিত বা প্রতিহত করিবার অসাধু উদ্দেশ্যে দায়ের করা হইয়াছিল, তাহা হইলে আদালত উক্ত দরখাস্ত খারিজ করিবার সময় একই আদেশ দ্বারা উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত জামানত বা বন্ড বাজেয়াপ্ত করিবে এবং ডিক্রীকৃত টাকা যে পদ্ধতিতে আদায় করা হয়, বাজেয়াপ্ত জামানত বা বন্ডের অধীন টাকা একই পদ্ধতিতে আদালত আদায় করিবে এবং আদায়কৃত অর্থ ডিক্রীদারকে প্রদান করিবে।]