প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ৮ নং আইন )

৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

জারী

দেওয়ানী আটকাদেশ
৩৪৷ (১) উপ-ধারা (১২) এর বিধান সাপেক্ষে, অর্থ ঋণ আদালত, ডিক্রীদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে, ডিক্রীর টাকা পরিশোধে বাধ্য করিবার প্রয়াস হিসাবে, দায়িককে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত বিধান, মূল ঋণ গ্রহীতার মৃত্যুর কারণে পারিবারিক উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী স্থলাভিষিক্ত দায়িক-ওয়ারিশদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(৩) জারী মামলা কোন কোম্পানী (Company), যৌগ কারবারী প্রতিষ্ঠান (Firm) অথবা অন্য কোন নিগমবদ্ধ সংস্থা (Corporate body) এর বিরুদ্ধে কার্যকর করিতে বিবাদী-দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করা আবশ্যক হইলে, উল্লিখিত কোম্পানী, যৌথ কারবারী প্রতিষ্ঠান বা নিগমবদ্ধ সংস্থা আইন বা বিধি মোতাবেক যে সকল স্বাভাবিক ব্যক্তির (Natural person) সমন্বয়ে গঠিত বলিয়া গণ্য হইবে, সেই সকল ব্যক্তি এককভাবে ও যৌথভাবে দেওয়ানী কারাগারে আটকের জন্য দায়ী হইবেন৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধান এইরূপ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর হইবে না যিনি ডিক্রীর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহণের পরবর্তীতে উত্তরাধিকার সূত্রে উপরি-উল্লিখিত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) বা (৩) এর অধীনে দেওয়ানী কারাগারে আটক কোন ব্যক্তি, ডিক্রীর দাবী সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করা পর্যন্ত, অথবা ৬ (ছয়) মাসের সময়সীমা অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত, যাহা পূর্বে হয়, দেওয়ানী কারাগার হইতে মুক্তি লাভ করিবে না, এবং ডিক্রীর সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার সংগে সংগে আদালত তাহাকে দেওয়ানী কারাগার হইতে মুক্তির নির্দেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সত্ত্বেও, দেওয়ানী কারাগারে আটক দায়িক যদি ডিক্রীদারের অপরিশোধিত পাওনার ২৫% এর সমপরিমাণ অর্থ নগদ পরিশোধ করিয়া এই মর্মে বন্ড প্রদান করেন যে, তিনি পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধ করিবেন, তবে সেক্ষেত্রে আদালত দায়িককে মুক্তি প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত বন্ডের শর্ত মোতাবেক যদি দায়িক অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, তবে তিনি পুনরায় গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক হইতে দায়ী থাকিবেন, এবং এইরূপ দেওয়ানী কারাগারে পুনরায় আটকাদেশ হইলে, উহা ছয় মাস পর্যন্ত বহালযোগ্য নতুন আটকাদেশ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৮) এই আইনের অধীনে দেওয়ানী কারাগারে আটককৃত ব্যক্তির ভরণপোষণ খরচ সরকার কর্তৃক বিচারাধীন আসামীর অনুরূপ খরচের ন্যায় বহন করা হইবে, এবং পরবর্তীকালে সরকার ডিক্রীদারের নিকট হইতে সরকারী পাওনা হিসাবে উক্ত খরচের অর্থ আদায় করিতে পারিবে, এবং ডিক্রীদার দায়িকের নিকট হইতে মামলার খরচ বাবদ উক্ত অর্থ আদায় করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৯) এই ধারার অধীনে আদালত কোন দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করার আদেশ প্রদান করিবে না, যদি না তত্পূর্বে অন্ততঃ একটি নিলাম বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে এবং উহার দ্বারা ডিক্রীদারের প্রাপ্য পরিপূর্ণভাবে আদায় হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(১০) যদি কোন কারণে উপ-ধারা (৯) এর অধীন একটিও নিলাম বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে দায়িককে সরাসরি গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাইবে৷
 
 
 
 
(১১) ১৮ (আঠার) বত্সরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে ডিক্রী কার্যকর করার নিমিত্ত গ্রেফতার এবং দেওয়ানী কারাগারে আটক করা বা রাখা যাইবে না৷
 
 
 
 
(১২) এই আইনের অধীনে কোন ডিক্রী বা আদেশ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরিচালিত জারী মামলায়, জারী মামলার সংখ্যা একাধিক হইলেও, কোন একজন দায়িককে গ্রেফতার করিয়া পরিপূর্ণ মেয়াদের জন্য একবার দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা হইলে, তাহাকে পুনর্বার গ্রেফতার করা ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(১৩) এই ধারার অধীনে কোন দায়িককে আংশিক বা পূর্ণ মেয়াদের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার কারণে তিনি দেনার দায় হইতে মুক্ত গণ্য হইবেন না, এবং এই আইনের অধীন নির্ধারিত তামাদি দ্বারা বারিত না হইলে, তাহার বিরুদ্ধে নতুন করিয়া জারী মামলা দায়ের করা যাইবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs