প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ৮ নং আইন )

৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

জারী

তৃতীয় পক্ষ হইতে ডিক্রীর টাকা আদায়
৩৬৷ (১) যদি ডিক্রীদার আদালতকে দরখাস্ত দ্বারা অবহিত করে যে, কোন একজন ব্যক্তির নিকট হইতে দায়িক টাকা পাওনা আছে, তাহা হইলে আদালত, উক্ত ব্যক্তিকে শুনানী অন্তে যথার্থ মনে করিলে, তাহার নিকট হইতে দায়িক যে টাকা প্রাপ্য হন, উহা হইতে ডিক্রীকৃত টাকার সমপরিমাণ টাকা আদালতে জমা দানের জন্য লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করিবে এবং আদালত, উক্ত টাকা আদায় হওয়ার পর ঐ বাবদ একটি রসিদ প্রদান করিবে; এবং উক্ত রশিদ দ্বারা ঐ ব্যক্তি দায়িকের নিকট ঐ পরিমাণ অর্থের জন্য দেনা হইতে আইনতঃ মুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) প্রচলিত অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, উপ-ধারা (১) এর বিধানে উল্লেখিত মতে বিবাদী-দায়িক কোন পোষ্ট অফিস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ইনসিওরার এর নিকট হইতে কোন টাকা পাওনা হইলে, আদালত উক্ত পোষ্ট অফিস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ইনসিওরার এর নিকট হইতে ডিক্রী পরিতুষ্ট করার জন্য শুনানী করিয়া সন্তুষ্ট হইলে, উক্ত টাকা ক্রোক করিয়া আদায় করিতে পারিবে; এবং এক্ষেত্রে কোন পাস বই, ডিপোজিট রশিদ, পলিসি কাগজ, অন্য কোন প্রকার দলিল, এন্ট্রি, ইনডোরসমেন্ট বা অনুরূপ অন্য কোন ইনস্ট্রুমেন্ট আদালত কর্তৃক পেশ করা আবশ্যক হইবে না৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীনে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ অমান্য করিলে অমান্যকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দায়ী ব্যক্তির নিকট হইতে সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে, এবং একই আদালত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট গণ্যে এবং তত্সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবলে উক্ত টাকা জরিমানা হিসাবে আদায় করিবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs