আপীল দায়ের ও নিষ্পত্তি সম্পর্কিত বিশেষ বিধান
৪১। (১) মামলার কোন পক্ষ, কোন অর্থ ঋণ আদালতের আদেশ বা ডিক্রী দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, যদি ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অপেক্ষা অধিক হয়, তাহা হইলে উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, [পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিবসের] মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে, এবং যদি ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অথবা তদ্অপেক্ষা কম হয়, [তাহা হইলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে জেলাজজ আদালতে আপীল করিতে পারিবেন।]
(২) আপীলকারী, ডিক্রীকৃত টাকার পরিমাণের ৫০% এর সমপরিমাণ টাকা বাদীর দাবীর আংশিক স্বীকৃতিস্বরূপ নগদ ডিক্রীদার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অথবা বাদীর দাবী স্বীকার না করিলে, জামানতস্বরূপ ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে জমা করিয়া উক্তরূপ জমার প্রমাণ দরখাস্ত বা আপীলের মেমোর সহিত আদালতে দাখিল না করিলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আপীল কার্যার্থে গৃহীত হইবে না৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও, বিবাদী-দায়িক ইতিমধ্যে ১৯(৩) ধারার বিধান মতে ১০% (দশ শতাংশ) পরিমাণ টাকা নগদ অথবা জামানত হিসাবে জমা করিয়া থাকিলে, অত্র ধারার অধীনে আপীল দায়েরের ক্ষেত্রে উক্ত ১০% (দশ শতাংশ) টাকা উপরি-উল্লিখিত ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) টাকা হইতে বাদ হইবে৷
(৪) উপরি-উল্লিখিত বিধানাবলী সত্ত্বেও, বাদী-আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধারার অধীনে কোন আপীল দায়ের করিলে, উহাকে উপরি-উল্লিখিত মতে কোন টাকা বা জামানত জমা দান করিতে হইবে না৷
(৫) জেলা জজ কোন আপীল গ্রহণ করা মাত্রই লিখিতভাবে উল্লেখ করিবেন যে, তিনি নিজেই উক্ত আপীল শুনানী করিবেন কি না, এবং তিনি নিজে উক্ত আপীল শুনানী না করিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, অনতিবিলম্বে উক্ত আপীলটি শুনানীর জন্য তাহার অধিক্ষেত্রের অধীন কোন একজন অতিরিক্ত জেলা জজের নিকট, যদি থাকে, প্রেরণ করিবেন; এবং কোন অতিরিক্ত জেলা জজ না থাকিলে, জেলা জজ নিজেই উক্ত আপীল শ্রবণ করিবেন৷
(৬) আপীল আদালত, আপীল গৃহীত হইবার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে, এবং ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে, আদালত, লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক, উক্ত সময়সীমা অনধিক আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারিবে৷