প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ৮ নং আইন )

৮ম পরিচ্ছেদ

বিবিধ

সুদ, মুনাফা সম্পর্কিত বিধান
৫০। (১) ধারা ৪৭ এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কোন আদালত, ঋণ প্রদানের দিবস হইতে মামলা দায়েরের দিবস পর্যন্ত সময়কালে কোন ঋণের উপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কতর্ৃক আইনানুগভাবে ধার্যকৃত সুদ, বা, ক্ষেত্রমত, মুনাফা বা ভাড়া হ্রাস, মাফ বা নামঞ্জুর করিতে পারিবে না।
 
 
(২) অর্থ ঋণ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রীর বিরুদ্ধে বিবাদী-দায়িক পক্ষ কোন আপীল, রিভিশন, আপীল বিভাগে আপীল বা অন্য কোনরূপ দরখাস্ত কোন উচ্চতর আদালতে দায়ের না করিলে, মামলা দায়েরের দিবস হইতে ডিক্রীর টাকা আদায় হইবার দিবস পর্যন্ত সময়ের জন্য ডিক্রীকৃত টাকার উপর 1[১২% (বার শতাংশ)] বার্ষিক সরল হারে, কোন আপীল, রিভিশন বা অন্য কোন দরখাস্ত কোন উচ্চতর আদালতে দায়ের করিলে পূর্বোক্ত সময়কালের জন্য 2[১৬% (ষোল শতাংশ)] বার্ষিক সরল হারে, এবং আপীল বা উচ্চতর আদালতের ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আপীল করিলে, পূর্বোক্ত সময়কালের জন্য ১৮% (আঠার শতাংশ) বার্ষিক সরল হারে, উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, সুদ, বা, ক্ষেত্রমত, মুনাফা আরোপিত হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও উচ্চতর আদালত আপীল, রিভিশন, আপীল বিভাগে আপীল বা অন্য কোন দরখাস্তে আপীলকৃত বা বিতর্কিত ডিক্রী বা আদেশের গুণগত পরিবর্তন করিয়া কোন আদেশ বা ডিক্রী প্রদান করিলে, উক্ত আদালত, উপরি-উলি্লখিত সংশ্লিষ্ট বর্ধিত সুদ বা মুনাফার হার আপীল বা দরখাস্তকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
3[(৪) এই ধারার পূববর্তী উপ-ধারাসমূহে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৪১ ও ৪২ এর বিধান অনুযায়ী বিবাদী-দায়িক কতৃর্ক নির্ধারিত পরিমাণ টাকা বা, ক্ষেত্রমত, জামানত জমা করিয়া উচ্চতর আদালতে আপীল বা রিভিশন দায়ের করিবার সুযোগ থাকা সত্বেও যদি কোন বিবাদী-দায়িক অনুরূপ নির্ধারিত পরিমাণ টাকা বা, ক্ষেত্রমত, জামানত জমা না করিয়া নিম্ন আদালতের আদেশ বা ডিক্রীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তর্কিত করিয়া হাইকোর্ট বিভাগে রীট আবেদন দায়ের করেন এবং উক্ত রীট আবেদন হাইকোর্ট বিভাগ বা আপীল বিভাগ কতৃর্ক খারিজ হয়, তাহা হইলে উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়ের জন্য ২৫% বার্ষিক সরল হারে সুদ বা, ক্ষেত্রমত, মুনাফা আরোপিত হইবে।]

  • 1
    "০৮% (আট শতাংশ)" সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে "১২% (বার শতাংশ)" সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১৭(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    "১২% (বার শতাংশ)" সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে "১৬% (ষোল শতাংশ)" সংখ্যা, চিহ্ন, বন্ধনী ও শব্দগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১৭(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    উপ-ধারা (৪) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১৭(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs