প্রিন্ট

16/07/2025
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ১৩ নং আইন )

অধ্যায়-৪

কমিশনের কাযাবর্লী, ক্ষমতা এবং কার্যধারা

কমিশনের কার্যাবলী
২২৷ এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কমিশনের কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এনার্জি ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, উহার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের মান নিরূপণ, এনার্জি অডিটের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জ্বালানী ব্যবহারের খরচের হিসাব যাচাই, পরীক্ষণ, বিশ্লেষণ, জ্বালানী ব্যবহারের দক্ষতার মান বৃদ্ধি ও সাশ্রয় নিশ্চিতকরণ;
 
 
 
 
(খ) বিদ্যুত্ উত্পাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিপণন, সরবরাহ, মজুতকরণ, বিতরণ, দক্ষ ব্যবহার, সেবার মান, ট্যারিফ নির্ধারণ ও নিরাপত্তার উন্নয়ন;
 
 
 
 
(গ) লাইসেন্স প্রদান, বাতিল, সংশোধন, লাইসেন্সের শর্ত নির্ধারণ, লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা হইতে অব্যাহতি প্রদান এবং অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক পালনীয় শর্ত নির্ধারণ;
 
 
(ঘ) লাইসেন্সীর সামগ্রিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে স্কীম অনুমোদন এবং এই ক্ষেত্রে তাহার চাহিদার পূর্বাভাষ (load forecast) ও আর্থিক অবস্থা (financial status) বিবেচনায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ;
 
 
 
 
(ঙ) এনার্জির পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পর্যালোচনা এবং প্রচার;
 
 
 
 
(চ) গুণগত মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কোডস্‌ ও স্ট্যান্ডার্ডস্‌ প্রণয়ন করা ও উহার প্রয়োগ বাধ্যতামূলক করা;
 
 
 
 
(ছ) সকল লাইসেন্সীর জন্য অভিন্ন হিসাব পদ্ধতি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(জ) লাইসেন্সীদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টিতে উত্সাহ প্রদান;
 
 
 
 
(ঝ) বিদ্যুত্ উত্পাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিপণন, মজুতকরণ, বিতরণ ও সরবরাহ বিষয়ে, প্রয়োজনবোধে, সরকারকে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান;
 
 
 
 
(ঞ) লাইসেন্সীদের মধ্যে এবং লাইসেন্সী ও ভোক্তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা করা এবং প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে আরবিট্রেসনে প্রেরণ করা;
 
 
 
 
(ট) ভোক্তা বিরোধ, অসাধু ব্যবসা বা সীমাবদ্ধ (monopoly) ব্যবসা সম্পর্কিত বিরোধের উপযুক্ত প্রতিকার নিশ্চিত করা;
 
 
 
 
(ঠ) প্রচলিত আইন অনুযায়ী এনার্জির পরিবেশ সংক্রান্ত মান নিয়ন্ত্রণ করা; এবং
 
 
 
 
(ড) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কমিশন কর্তৃক যথাযথ বিবেচিত হইলে 1[বিদ্যুত্ উত্পাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিপণন, সরবরাহ, মজুতকরণ, দক্ষ ব্যবহার, সেবার মান, ট্যারিফ নির্ধারণ ও নিরাপত্তার উন্নয়ন] সংক্রান্ত যে কোন আনুষঙ্গিক কার্য সম্পাদন করা৷
তদন্ত সম্পর্কিত ক্ষমতা
২৩৷ (১) এই আইনের অধীন কোন তদন্ত বা কার্যধারার উদ্দেশ্যে কমিশনের ঐ সকল ক্ষমতা থাকিবে যেইসকল ক্ষমতা দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন মামলা বিচারকালে কোন দেওয়ানী আদালতের থাকে, যেমন-
 
 
 
 
(ক) সাক্ষীর সমন ও উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও শপথের মাধ্যমে সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা;
 
 
 
 
(খ) কোন দলিল বা সাক্ষ্য হিসাবে দাখিল হইতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ কোন দলিল উদ্‌ঘাটন এবং উপস্থাপন করা;
 
 
 
 
(গ) শপথ পত্রের মাধ্যমে প্রমাণাদি সংগ্রহ;
 
 
 
 
(ঘ) কোন আদালত বা অফিস হইতে পাবলিক রেকর্ড তলব করা;
 
 
(ঙ) শুনানী মুলতবী রাখা;
 
 
 
 
(চ) পক্ষগণের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি নিশ্চিতকরণ; এবং
 
 
 
 
(ছ) কমিশন কর্তৃক উহার সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা আদেশ পুনর্বিবেচনা করা৷
 
 
 
 
(২) কমিশন উহার সম্মুখে পরিচালিত কোন কার্যধারা বা শুনানী বিষয়ে অন্তর্বর্তী আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, বিদ্যুত্ উত্পাদন এবং এনার্জি ক্রয়, উত্পাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, সরবরাহ বা ব্যবহার সম্পর্কিত বা উক্তরূপ কোন আন্ডারটেকিং এর কর্মকাণ্ড বা অন্য কোন বিষয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন বই, হিসাব বা অন্য কোন দলিল, যাহার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে বা এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনের স্বার্থে প্রয়োজন, কোন ব্যক্তির হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণে রহিয়াছে, তাহা হইলে কমিশন উক্ত ব্যক্তিকে বই, হিসাব বা দলিল কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত কমিশনের কোন কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করিতে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাইতে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তির নিকট বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোন তথ্য, যাহা এই আইনের অধীন কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন, উক্ত কর্মকর্তাকে সরবরাহ করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) এই আইনের অধীন কোন তদন্ত বা কার্যধারা চলাকালীন কমিশনের নিকট যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, তদন্তাধীন ইউনিট বা ব্যক্তির স্বার্থ সম্পর্কিত কোন বই বা হিসাব বা দলিল, যাহা উক্ত তদন্তে উপস্থাপন করা প্রয়োজন হইবে, উহার ধ্বংস, আংশিক নষ্ট, পরিবর্তন, জাল করা হইতেছে বা লুকানো হইতেছে বা হইতে পারে, তাহা হইলে কমিশন, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহার কোন কর্মকর্তাকে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮নং আইন) এর অধীন নিযুক্ত পরিদর্শক প্রবেশ, অনুসন্ধান এবং জব্দ করিবার যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৫) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশন, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন উহার কার্যাবলী সম্পাদনের স্বার্থে কোন ব্যক্তি বা লাইসেন্সীর নিকট হইতে নিম্নোক্ত বিষয়ে তথ্য যে কোন সময়তলব করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বিদ্যুত্ উত্পাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিতরণ, ক্রয়, সরবরাহ বা ব্যবহারের সহিত সম্পর্কিত কোন বিষয়;
 
 
 
 
(খ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য বিষয়৷
 
 
 
 
(৬) কমিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির সাথে কমিশন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে, প্রয়োজনে, আলোচনা করিতে পারিবে৷
 
 
(৭) বিদ্যুত্ আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশন, লিখিত আদেশ দ্বারা, বিদ্যুত্ উত্পাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিতরণ বা সরবরাহ কাজে নিযুক্ত কোন লাইসেন্সী Telegraph Act, 1885 (XIII of 1885) এর অধীন টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের টেলিগ্রাফ লাইন ও পোস্ট বসানো সংক্রান্ত বিষয়ে যেই ক্ষমতা রহিয়াছে সেই ক্ষমতা, আদেশে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, অর্পণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৮) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে লিখিত আদেশ দ্বারা, গ্যাস সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিতরণ বা সরবরাহের কাজে নিযুক্ত কোন লাইসেন্সীকে প্রাকৃতিক গ্যাস নিরাপত্তা বিধিমালা, ১৯৯১ এর অধীন এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়ে যে ক্ষমতা রহিয়াছে সেই ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 

  • 1
    "বিদু্যৎ উৎপাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিপণন, সরবরাহ, মজুতকরণ, দক্ষ ব্যবহার, সেবার মান, ট্যারিফ নির্ধারণ ও নিরাপত্তার উন্নয়ন " শব্দগুলি ও কমাগুলি "এনার্জি" শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০০৫ (২০০৫ সনের ৩ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs