প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ১৩ নং আইন )

অধ্যায়-১১

অপরাধ ও শাস্তি

শাস্তি
৪২৷ যদি কোন ব্যক্তি এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের বিধান লঙ্ঘন করেন, তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সরের কারাদণ্ড বা অন্যুন ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং অপরাধ অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে প্রতি দিনের জন্য অনধিক ৩,০০০ (তিন হাজার) টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
আদেশ লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা ও শাস্তি
৪৩৷ যদি কোন লাইসেন্সী বা অন্য কোন ব্যক্তি, যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত, এই আইনের অধীন প্রদত্ত কমিশনের কোন আদেশ বা নির্দেশ পালন করিতে অস্বীকার করেন বা ব্যর্থ হন, তাহা হইলে-
 
 
 
 
(ক) কমিশন উক্ত ব্যক্তির উপর প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রশাসনিক জরিমানা হিসাবে আরোপ করিতে পারিবে এবং এইরূপ জরিমানা সরকারী পাওনা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে; বা
 
 
 
 
(খ) ইহা অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড বা অন্যুন ২,০০০ (দুই হাজার) টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং অপরাধ অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে প্রতি দিনের জন্য অনধিক ৫০০ (পাঁচশত) টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
এনার্জি চুরির শাস্তি
৪৪৷ (১) কোন ভোক্তা বিদ্যুত্ বা বিদ্যুতের মালামাল চুরি করিলে বা সহায়তা করিলে বা অনুরূপ কাজের সহিত জড়িত থাকিলে তিনি Electricity Act, 1910 (Act No. IX of 1910) এর অধীন দণ্ডিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) কোন ভোক্তা গ্যাস বা পেট্রোলিয়াম পদার্থ চুরি করিলে, চুরিতে সহায়তা করিলে বা অনুরূপ কাজের সহিত জড়িত থাকিলে তিনি সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বত্সরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অন্যুন ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন চুরি বলিতে নিম্নর এক বা একাধিক বিষয়কে স্বতন্ত্রভাবে বা যৌথভাবে বুঝাইবে:-
 
 
 
 
(ক) লাইসেন্সীর যথাযথ অনুমোদন বা নির্দেশনা ব্যতীত বা ব্যবহারের অনুমোদিত উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা বা কার্যক্রমের ব্যত্যয় ঘটাইয়া কাহারও নিকট হইতে গ্যাস বা পেট্রোলিয়াম পদার্থ ব্যবহার করিলে;
 
 
 
 
(খ) এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির আওতায় প্রযোজ্য যথাযথ মিটার ব্যতীত গ্যাস বা পেট্রোলিয়াম পদার্থ ব্যবহার করিতে দিলে;
 
 
 
 
(গ) ভোক্তা মিটার বাইপাস বা টেম্পারিং বা পাইপ লাইনে ছিদ্র করিয়া বা কোনরূপ পরিবর্তন করিয়া বা গ্যাস বা পেট্রোলিয়াম পদার্থের ব্যবহারের নির্দেশিকা বা পদ্ধতি বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান ভঙ্গ করিয়াছেন; এবং
 
 
 
 
(ঘ) গ্যাস বা পেট্রোলিয়াম পদার্থের অপচয় বা অপব্যবহার বা অননুমোদিত বা চুক্তি বহির্ভূত বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার করিলে বা করিবার কারণ হইলে বা সহায়তা করিলে৷
বিদ্যুত্ লাইন বা গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন ইত্যাদি নির্মাণ বা মেরামতে বাধা প্রদানের শাস্তি
৪৫৷ কেহ কোন লাইসেন্সীকে বা তাহার অনুমোদিত প্রতিনিধকে বিদ্যুত্ বা গ্যাস সরবরাহ সম্পর্কিত লাইন বা পাইপ লাইন বা তদ্‌সংশ্লিষ্ট কোন সরঞ্জাম, স্থাপনা, নির্মাণ বা মেরামত কার্যে বাধা প্রদান করিলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অন্যুন ১,০০০ (এক হাজার) টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৪৬৷ এই আইনের অধীন যদি কোন কোম্পানী কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হয় তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা যিনি এই অপরাধ সংঘটনকালে কোম্পানীর ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, তিনি অপরাধী বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকে বুঝাইবে৷
অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ
৪৭৷ কমিশন কর্তৃক লিখিতভাবে সাধারণ বা বিশেষ ক্ষমতা প্রদত্ত উহার কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না৷
অন্য আইনের অধীন ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ন না করা
৪৮৷ এই আইন, বিধি বা প্রবিধান এর অধীন গৃহীত কার্যধারা বা ব্যবস্থা অন্য কোন আইনের অধীন গৃহীত ব্যবস্থার অতিরিক্ত হইবে এবং উক্তরূপ ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ন করিবে না৷
আমল আদালতের এখ্‌তিয়ার
৪৯৷ (১) শুধুমাত্র ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কমিশনের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার লিখিত রিপোর্টের ভিত্তিতে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ আমলে লইতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উক্ত আদালত কোন অপরাধ আমলে লইলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করিবার উদ্দেশ্যে সমন বা গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীসহ মামলাটি বিচারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করিবার জন্য ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে৷
বিচার আদালতের এখ্‌তিয়ার
৫০৷ ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সেশন (দায়রা) আদালতের নিম্্নতর কোন আদালত এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধের বিচার (trial) করিবে না৷
অভিযোগ দায়ের ও তদন্ত পদ্ধতি
৫১৷ (১) এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধের তদন্ত করিবার জন্য কমিশন পরিদর্শক বা অন্য কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) পরিদর্শক বা উক্ত কর্মকর্তা, অতঃপর তদন্তকারী কর্মকর্তা বলিয়া উল্লিখিত, কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ বা অন্য যে কোন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধারার অধীন কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত অপরাধ সম্পর্কে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন যে, বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা অথবা এই আইন বা প্রবিধান অনুসারে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা আদৌ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সমীচীন কি না এবং তদ্‌নুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কোন অপরাধ তদন্তের ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) তদন্ত সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহার তদন্ত রিপোর্টের মূলকপি এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বা উহাদের সত্যায়িত অনুলিপি এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করিবেন, এবং একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে জমা করিবেন৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্ত্বেও, তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে, উক্ত উপ-ধারার অধীন আনুষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পূর্বেই অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন, যদি তিনি সন্তুষ্ট হন যে, বিলম্বের কারণে উক্ত দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে এবং অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন যদি তিনি মনে করেন যে, তাহার পলাতক হইবার সম্ভাবনা আছে৷
ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
৫২৷ (১) এই আইন এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান সাপেক্ষে, এই আইনে বর্ণিত যে কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল এবং আনুষংগিক সকল বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতে সূচিত মামলা ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে সূচিত মামলা বলিয়া গণ্য হইবে৷
পাবলিক প্রসিকিউটর ইত্যাদিকে কমিশনের কর্মকর্তা কর্তৃক সহায়তা
৫৩৷ এই আইনের অধীন সেশন আদালতে কোন মামলা পরিচালনার সময় পাবলিক প্রসিকিউটর বা সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরকে কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত কর্মকর্তা সহায়তা করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির থাকিয়া তাহার বক্তব্য পেশ করিতে পারিবেন৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs