সদস্যের অপসারণ
১১৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, রাষ্ট্রপতি কমিশনের যে কোন সদস্যকে অপসারণ করিতে পারিবেন, যদি তিনি-
(ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন বা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানান;
(খ) কারণ ব্যতীত তিন মাস দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন;
(গ) ধারা ৭(২) (৩) ও (৪) এর অধীন সদস্য থাকিবার অযোগ্য হইয়া পড়েন;
(ঘ) এমন কোন কাজ করেন যাহা কমিশনের জন্য ক্ষতিকর হয়;
(ঙ) এমনভাবে নিজেকে পরিচালনা করেন, বা নিজের পদকে অপব্যবহার করেন যাহা এই আইনের উদ্দেশ্য বা জনস্বার্থকে ব্যাহত করে৷
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণে কোন সদস্য তাহার পদে বহাল থাকিবার অযোগ্য মনে করিলে, রাষ্ট্রপতি, উক্ত [কারণের] যথার্থতা যাচাই করিবার জন্য, সুপ্রীমকোর্টের একজন বিচারক সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন [করিবেন] এবং কমিটি গঠনের আদেশে উক্ত তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমাও নির্ধারণ করিয়া [ িদবেন]৷
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী গঠিত তদন্ত কমিটি [রাষ্ট্রপতির] নিকট সুনির্দিষ্ট তথ্যাদি ও কারণসহ এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করিবে যে, সংশ্লিষ্ট [সদস্যের] বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হইয়াছে কিনা এবং উক্ত [সদস্যকে] অপসারণ করা সমীচীন কিনা, এবং [রাষ্ট্রপতি] যথাসম্ভব উক্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ [করিবেন]৷
(৪) প্রস্তাবিত অপসারণের ব্যাপারে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ [প্রদান] না করিয়া এই ধারার অধীনে [রাষ্ট্রপতি] কোন [সদস্যকে] অপসারণ [করিবেন না]৷
(৫) কোন [সদস্যের] ব্যাপারে উপ-ধারা (২) এর অধীনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হইলে, [রাষ্ট্রপতি], সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, উক্ত [সদস্যকে], তাহার দায়িত্ব পালন হইতে বিরত থাকিবার নির্দেশ দিতে [পারিবেন] এবং এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হইলে উক্ত [সদস্য] তাহা পালনে বাধ্য থাকিবেন৷
(৬) তদন্ত কমিটি Commission of Enquiry Act, 1956 (VI of 1956) এর অধীনে নিযুক্ত কমিশন বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে উক্ত Act এর বিধানাবলী তদন্ত কমিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
(৭) এই ধারার অধীন অপসারিত কোন ব্যক্তি কমিশনের সদস্য হিসাবে বা সরকারের বা সরকারী সংস্থার বা কমিশনের অন্য কোন পদে পুনঃনিয়োজিত হইতে পারিবেন না৷