প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ১৩ নং আইন )

অধ্যায়-১১

অপরাধ ও শাস্তি

অভিযোগ দায়ের ও তদন্ত পদ্ধতি
৫১৷ (১) এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধের তদন্ত করিবার জন্য কমিশন পরিদর্শক বা অন্য কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) পরিদর্শক বা উক্ত কর্মকর্তা, অতঃপর তদন্তকারী কর্মকর্তা বলিয়া উল্লিখিত, কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ বা অন্য যে কোন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধারার অধীন কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত অপরাধ সম্পর্কে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন যে, বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা অথবা এই আইন বা প্রবিধান অনুসারে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা আদৌ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সমীচীন কি না এবং তদ্‌নুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কোন অপরাধ তদন্তের ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) তদন্ত সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহার তদন্ত রিপোর্টের মূলকপি এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বা উহাদের সত্যায়িত অনুলিপি এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করিবেন, এবং একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে জমা করিবেন৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্ত্বেও, তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে, উক্ত উপ-ধারার অধীন আনুষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পূর্বেই অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন, যদি তিনি সন্তুষ্ট হন যে, বিলম্বের কারণে উক্ত দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে এবং অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন যদি তিনি মনে করেন যে, তাহার পলাতক হইবার সম্ভাবনা আছে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs