প্রিন্ট ভিউ

ইপিজেড শ্রমিক সংঘ ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০০৪

( ২০০৪ সনের ২৩ নং আইন )

এই অাইনটি ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্র্পক আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৩ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

তৃতীয় অধ্যায়

শ্রমিক সংঘ

শ্রমিক সংঘ গঠন
১৩৷ (১) ৩১ অক্টোবর ২০০৬ তারিখ উত্তীর্ণ হইবার এবং ১ নভেম্বর ২০০৬ তারিখ শুরু হইবার পর কোন অঞ্চলে অবস্থিত কোন শিল্প ইউনিটে নিয়োজিত শ্রমিকগণের, এই আইন দ্বারা বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধানাবলী সাপেক্ষে, শ্রম সম্পর্ক বিষয়ে কার্যসম্পাদনের নিমিত্ত সংঘ গঠন করিবার অধিকার থাকিবে৷
 
 
(২) পৃথক নিগমিতকরণ সনদসহ (certificate of incorporation) কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত কোন মালিক কোন অঞ্চলে কার্যরত থাকিলে উক্ত অঞ্চলে উহার অধীন একটি শ্রমিক সংঘ থাকিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত মালিকের অধীন কোন অঞ্চলে দুই বা ততোধিক শিল্প ইউনিট থাকিলে উহারা এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি শিল্প ইউনিট হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৩) শ্রমিক সংঘের মেয়াদ হইবে ১ নভেম্বর ২০০৬ তারিখ হইতে ৩১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখ পর্যন্ত।
সংঘ গঠন করিবার জন্য দাবী
১৪৷ (১) যদি কোন অঞ্চলে অবস্থিত কোন শিল্প ইউনিটে কর্মরত যোগ্য শ্রমিকগণ কোন সংঘ গঠন করিতে আগ্রহী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে উক্ত শিল্প ইউনিটে কর্মরত যোগ্য শ্রমিকগণের অন্যুন ৩০% (ত্রিশ শতাংশ) শ্রমিক নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত করিয়া একটি শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার দাবী পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্ত প্রাপ্তির পর নির্বাহী চেয়ারম্যান পরীক্ষা করিয়া নিশ্চিত হইবেন যে, অন্যুন ৩০% (ত্রিশ শতাংশ) যোগ্য শ্রমিক অনুরূপ দরখাস্তে স্বাক্ষর বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিয়া পক্ষ হইয়াছেন৷
 
 
 
 
(৩) ধারা ১৫ এর অধীন অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে যদি পরিশেষে কোন শ্রমিক সংঘ গঠিত না হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত কারণে কোন মালিক কোন প্রকারেই কোন শ্রমিকের প্রতি উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্তে পক্ষ হইবার জন্য কোনরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করিবেন না; এবং এইরূপ কোন বৈষম্যমূলক আচরণ করিলে তাহা ধারা ৪১ এর অধীন মালিক কর্তৃক অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৪) কোন শ্রমিক কর্তৃক এই ধারার অধীন স্বাক্ষরিত কোন ফরম, উহা স্বাক্ষরিত হইবার তারিখ হইতে ছয় মাস পর্যন্ত বৈধ থাকিবে; এবং ১ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখ এর পূর্বে অনুরূপ কোন ফরম পূরণ বা স্বাক্ষর করা যাইবে না৷
সংঘ গঠনের জন্য সমর্থন নিরূপণের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠেয় গণভোট
১৫৷ (১) নির্বাহী চেয়ারম্যান ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন যে, যোগ্য শ্রমিকগণের অন্যুন ৩০% নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত করিয়া সংঘ গঠন করিবার জন্য দাবী পেশ করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্ত প্রাপ্তির পর অনধিক ৫ দিবসের মধ্যে শ্রমিক সংঘ গঠনের অনুকূলে যোগ্য শ্রমিকগণের সমর্থন নিরূপণ করিবার উদ্দেশ্যে শিল্প ইউনিটে কর্মরত যোগ্য শ্রমিকদের গণভোট অনুষ্ঠান করিবেন৷
 
 
 
 
(২) ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক যোগ্য শ্রমিক ভোট প্রদান না করিয়া থাকিলে, এই ধারার অধীন অনুষ্ঠিত গণভোট অকার্যকর হইবে৷
 
 
 
 
(৩) যদি ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক শ্রমিক ভোট প্রদান করিয়া থাকেন এবং প্রদত্ত ভোটের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক ভোট শ্রমিক সংঘ গঠনের পক্ষে হইয়া থাকে, তাহা হইলে উহার দ্বারা উক্ত শিল্প ইউনিটে নিয়োজিত শ্রমিকগণ এই আইনের শ্রমিকসংঘ গঠনের বৈধ অধিকার অর্জন করিবে; এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান গণভোট অনুষ্ঠিত হইবার ২৫ দিনের মধ্যে উক্ত সংঘকে নিবন্ধন প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) গোপন ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং গণভোট অনুষ্ঠানের পদ্ধতি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে৷
পরবর্তী এক বত্সর গণভোট নিষিদ্ধ
১৬৷ ধারা ১৫ এর অধীন অনুষ্ঠিত গণভোটে শ্রমিকগণ যদি শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার পক্ষে সমর্থন অর্জন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে এক বত্সর অতিবাহিত হইবার পূর্বে উক্ত শিল্প ইউনিটে পুনরায় গণভোট অনুষ্ঠান করা যাইবে না৷
শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্র
১৭৷ (১) শ্রমিকগণ শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার পক্ষে ধারা ১৫ এর অধীন তাহাদের সমর্থন ব্যক্ত করিয়া থাকিলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান তত্পরবর্তী অনধিক ৫ দিবসের মধ্যে শ্রমিকগণকে, একজন আহ্বায়কসহ অনধিক নয় জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে, একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি (অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী “গঠনতন্ত্র কমিটি” বলিয়া অভিহিত) গঠন করিবার জন্য বলিবেন৷
 
 
(২) প্রস্তাব প্রাপ্তির ৫ দিবসের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান, তত্কর্তৃক সন্তুষ্ট হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত গঠনতন্ত্র কমিটি অনুমোদন করিবেন এবং ১৫ দিবসের মধ্যে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও পেশ করিবার জন্য গঠনতন্ত্র কমিটিকে বলিবেন৷
 
 
 
 
(৩) গঠনতন্ত্রের কোন বিধান এই আইনের কোন বিধানের পরিপন্থী হইবে না এবং এই আইনের বিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হইতে হইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই আইনের অধীন সংঘের গঠনতন্ত্রে নিম্নবর্ণিত প্রস্তাবসমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) একটি সাধারণ পরিষদ, যাহার সদস্য হইবেন উক্ত শ্রমিক সংঘের সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত সকল যোগ্য শ্রমিক; এবং
 
 
 
 
(খ) একজন সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক এবং একজন কোষাধ্যক্ষসহ অনধিক পনেরটি পদের সমন্বয়ে একটি নির্বাহী পরিষদ, যাহার সকল সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।
গঠনতন্ত্রের অধিকতর আবশ্যক বিষয়াদি
১৮৷ (১) সংঘ গঠন করিবার উদ্দেশ্যে প্রণীত কোন গঠনতন্ত্র এই আইনের অধীন অনুমোদিত হইবে না, যদি না উক্ত গঠনতন্ত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত হইয়া থাকে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) শ্রমিক সংঘের নাম ও ঠিকানা;
 
 
 
 
(খ) শ্রমিক সংঘ গঠনের উদ্দেশ্যসমূহ;
 
 
 
 
(ঘ) শ্রমিক সংঘের তহবিলের উত্স এবং উক্ত তহবিল প্রযোজ্য হইবার ক্ষেত্রসমূহ;
 
 
 
 
(ঙ) যে সমস্ত শর্তে একজন সদস্য শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন সুবিধা প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন এবং যাহার অধীনে কোন জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্তির আদেশ তাহার উপর আরোপিত হইতে পারিবে;
 
 
 
 
(চ) শ্রমিক সংঘের সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ এবং কর্মকর্তা কিংবা শ্রমিক সংঘের সদস্যগণ কর্তৃক উক্ত তালিকা পরিদর্শনের জন্য রাখা সুবিধাদির বিবরণ;
 
 
 
 
(ছ) গঠনতন্ত্র সংশোধিত, পরিবর্তিত বা বাতিল হইবার পদ্ধতি;
 
 
 
 
(জ) শ্রমিক সংঘের তহবিলের নিরাপত্তা, হেফাজত, উহার বাত্সরিক নিরীক্ষা, নিরীক্ষার পদ্ধতি এবং কর্মকর্তা ও শ্রমিক সংঘের সদস্যগণ কর্তৃক হিসাব বহিসমূহ পরিদর্শনের নিমিত্ত রাখা সুবিধাদি;
 
 
 
 
(ঝ) শ্রমিক সংঘ বাতিলকরণ সম্পর্কিত পদ্ধতি;
 
 
 
 
(ঞ) শ্রমিক সংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক কর্মকর্তাগণ নির্বাচিত হইবার পদ্ধতি এবং একজন কর্মকর্তা নির্বাচিত বা পুনঃ নির্বাচিত হইবার পর যে মেয়াদে ও যে পদে বহাল থাকিতে পারিবেন, উহার উল্লেখ;
 
 
(ট) শ্রমিক সংঘের সাধারণ পরিষদ হইতে পদত্যাগ ও সদস্যপদ বাতিল হইবার পদ্ধতি উল্লেখ;
 
 
 
 
(ঠ) শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপনের পদ্ধতি; এবং
 
 
 
 
(ড) শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সভাসমূহ, যাহাতে নির্বাহী পরিষদ অন্তত: প্রতি চার মাসে একবার এবং সাধারণ পরিষদ প্রতি বত্সরে অন্তত: একবার সভায় মিলিত হইবার বাধ্যবাধকতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন শ্রমিক সংঘ অঞ্চল বহির্ভূত কোন উত্স হইতে কোন অর্থ সংগ্রহ বা গ্রহণ করিবে না৷
গঠনতন্ত্র অনুমোদন
১৯৷ নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন যে, এই আইনের বিধানসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করিয়া গঠনতন্ত্র প্রণীত হইয়াছে এবং এই আইনের কিংবা উহার অধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির ব্যত্যয় করা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত গঠনতন্ত্র অনুমোদন এবং ৫ দিবসের মধ্যে তত্মর্মে একটি অনুমোদনপত্র জারী করিবেন৷
সংঘ নিবন্ধীকরণের জন্য আবেদন
২০৷ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ধারা ১৯-এর অধীন অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের অধীন গঠিত শ্রমিক সংঘের নিবন্ধীকরণের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিবেন৷
দরখাস্তের আবশ্যক বিষয়সমূহ
২১৷ শ্রমিক সংঘের নিবন্ধিকরণের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট আবেদনপত্র পেশ করিতে হইবে এবং উহাতে-
 
 
 
 
(ক) অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের তিনটি অনুলিপি সন্নিবেশিত হইবে; এবং
 
 
 
 
(খ) একটি বর্ণনা যাহাতে উল্লিখিত থাকিবে-
 
 
 
 
(অ) শ্রমিক সংঘের নাম ও ঠিকানা;
 
 
 
 
(আ) সংঘ গঠনের তারিখ;
 
 
 
 
(ই) শ্রমিক সংঘের সদস্যগণের পদবী, নাম, বয়স এবং ঠিকানা; এবং
 
 
 
 
(ঈ) চাঁদা প্রদানকারী সদস্যগণের পরিপূর্ণ বিবরণ৷
সংঘের নিবন্ধীকরণ
২২৷ (১) নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন যে, শ্রমিক সংঘ এই আইনের অধীন সকল আবশ্যকতা প্রতিপালন করিয়াছে এবং অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের কাঠামোর মধ্যেই উহা গঠিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি ধারা ২০-এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির ১০ দিবসের মধ্যে উক্ত শ্রমিক সংঘকে নির্ধারিত রেজিস্টারে নিবন্ধন করিবেন৷
 
 
(২) যদি নির্বাহী চেয়ারম্যান দেখিতে পান যে, দরখাস্তে প্রয়োজনীয় বিষয় বা বিষয়াদির অপূর্ণতা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে তাহার আপত্তি উক্ত শ্রমিক সংঘকে দরখাস্ত প্রাপ্তির ১০ দিবসের মধ্যে অবহিত করিবেন এবং অবহিত হইবার ১০ দিবসের মধ্যে শ্রমিক সংঘ উক্ত আপত্তিসমূহের জবাব প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তিসমূহ সন্তোষজনকভাবে পরিপূরণ করা হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে উক্ত শ্রমিক সংঘকে নিবন্ধিত করিবেন এবং যদি আপত্তিসমূহের সন্তোষজনক জবাব প্রদান করা না হয় তাহা হইলে নির্বাহী চেয়ারম্যান আবেদন প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হইলে অথবা নির্বাহী চেয়ারম্যান আপত্তি নিষ্পত্তি করিবার পর উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত ১০ দিবসের মধ্যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি না করিয়া বিলম্ব করিলে, শ্রমিক সংঘ ট্রাইব্যুনালে আবেদন পেশ করিতে পারিবে; এবং এই ট্রাইব্যুনাল উহার রায়ে কারণ উল্লেখপূর্বক, আদেশ প্রদান করিয়া নির্বাহী চেয়ারম্যানকে শ্রমিক সংঘ নিবন্ধন এবং নিবন্ধীকরণ সম্পর্কিত সনদ জারী করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, অথবা আবেদন খারিজ করিতে পারিবে৷
 
 
নিবন্ধীকরণ সম্পর্কিত সনদ
২৩৷ ধারা ২২ এর অধীন কোন সংঘকে নিবন্ধন করিবার পর নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্ধারিত ফরমে নিবন্ধন সম্পর্কিত সনদ জারী করিবেন৷ উক্ত সনদ এই আইনের অধীন উক্ত শ্রমিক সংঘ যথাযথভাবে নিবন্ধিত হইবার বিষয়ে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
নতুন শিল্প ইউনিটে ৩ মাস পর্যন্ত সংঘ গঠন নিষিদ্ধ
২৪৷ এই আইন কার্যকর হইবার পর প্রতিষ্ঠিত কোন শিল্প ইউনিটে বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু হইবার পরবর্তীতে তিন মাস অতিবাহিত হইয়া না থাকিলে উক্ত ইউনিটে এই আইনের অধীন কোন শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না৷
শ্রমিক সংঘের সংখ্যা সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা
২৫৷ (১) কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিটে একের অধিক শ্রমিক সংঘ গঠন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন অঞ্চলে একই মালিক কোম্পানীর অধীন একাধিক শিল্প ইউনিট থাকিলে এবং অনুরূপ শিল্প ইউনিটসমূহের কোন একটি ইউনিট ধারা ২৪-এর আওতাভুক্ত হইয়া থাকিলে, উহার দ্বারা অবশিষ্ট শিল্প ইউনিটসমূহে শ্রমিক সংঘ গঠন বারিত হইবে না৷
শিল্প ইউনিটের মালিকানা নির্ধারণে নির্বাহী চেয়ারম্যানের ক্ষমতা
২৬৷ একই অঞ্চলে দুই বা ততোধিক শিল্প ইউনিট একই মালিকের অধীন কিনা সেই প্রশ্নে কোন সন্দেহ বা বিরোধ উদ্ভূত হইয়া থাকিলে, তদ্‌বিষয়ে নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
সংঘের সদস্যপদ এবং কর্মকাণ্ড
২৭৷ (১) শ্রমিক সংঘের কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) একজন শ্রমিক যে শিল্প ইউনিটে নিযুক্ত থাকিবেন, তিনি কেবল উক্ত শিল্প ইউনিটে শ্রমিক সংঘের সদস্য হইবার অধিকারী হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) ধারা ৩২-এর অধীন শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন গঠনের অধিকার ব্যতীত, কোন একটি অঞ্চলে গঠিত কোন শ্রমিক সংঘ উক্ত অঞ্চলে গঠিত অন্য কোন শ্রমিক সংঘ কিংবা কোন অঞ্চল বহির্ভূত কোন শ্রমিক সংঘের সহিত অধিভুক্ত হইতে কিংবা অন্য কোন প্রকার সংশ্রব রক্ষা করিতে পারিবে না৷
নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন
২৮৷ (১) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংগঠিত ও পরিচালিত কোন নির্বাচনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ উক্ত শ্রমিক সংঘের নিবন্ধিত সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কেবল যোগ্য শ্রমিকগণ এই অধ্যায়ের অধীন নির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত হইতে এবং ভোট প্রদান করিতে অধিকারী হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “যোগ্য শ্রমিক” অর্থে-
 
 
 
 
(ক) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচন করিবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে চাকুরীতে নিয়োজিত হইবার প্রথম দিন হইতে একজন শ্রমিককে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(খ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্ততঃ ৯ (নয়) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(গ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পরে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচন করিবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্ততঃ ৩ (তিন) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে; এবং
 
 
 
 
(ঘ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পর বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্ততঃ ৩ (তিন) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে৷
নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন
২৯৷ নির্বাহী পরিষদ গঠনতন্ত্রের কাঠামোর অধীনে যথাযথভাবে নির্বাচিত হইয়া থাকিলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৫ (পাঁচ) দিবসের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান উহা অনুমোদন করিবেন৷
নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ
৩০৷ পূর্বেই নিবন্ধনচ্যুতি, কিংবা ৩১ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখের পূর্বে অন্য কোন প্রকারে অবসায়ন না হইয়া থাকিলে, কোন সংঘের নির্বাহী পরিষদ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হইবার পর চার বত্সরের জন্য বহাল থাকিবে৷
পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান
৩১৷ (১) কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন উহার নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্ববর্তী ৯০ দিবসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বেই যদি কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদ ভংগ হইয়া যায়, তাহা হইলে অনুরূপ ভংগ হইবার পরবর্তী ৯০ দিবসের মধ্যে উহার পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে৷
শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন
৩২৷ (১) কোন অঞ্চলে গঠিত শ্রমিক সংঘসমূহের ৫০ শতাংশের অধিক সম্মত হইলে, উহারা উক্ত অঞ্চলে একটি শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) পূর্বেই নিবন্ধনচ্যুত কিংবা অবসায়ন হইয়া না থাকিলে, এই ধারার অধীন গঠিত ফেডারেশন নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী চার বত্সরের জন্য বহাল থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) কোন অঞ্চলে গঠিত কোন শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন অন্য কোন অঞ্চলের ফেডারেশন অথবা কোন অঞ্চল বহির্ভূত কোন ফেডারেশনের সহিত অধিভুক্ত হইতে কিংবা অন্য কোন প্রকারে সংশ্রব রক্ষা করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষ প্রবিধি দ্বারা শ্রমিক সংঘের ফেডারেশনের নির্বাচনের পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করিবে৷
কোন শ্রমিক সংঘের সদস্য কিংবা কর্মকর্তা হইবার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা
৩৩৷ কোন শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্র বা বিধিসমূহে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি কোন শ্রমিক সংঘের কর্মকর্তা নির্বাচিত হইবার বা থাকিবার অধিকারী হইবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত বা এই আইন কিংবা তদ্‌ধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির অধীন কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া যে কোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়া মুক্তি পাইবার পর দুই বত্সরকাল অতিবাহিত হইয়া না থাকে৷
নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ কর্তৃক রেজিস্টার, ইত্যদি সংরক্ষণ
৩৪৷ প্রতিটি নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ সংরক্ষণ করিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) একটি রেজিস্টার, যাহাতে প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদার বিবরণ উল্লিখিত থাকিবে;
 
 
 
 
(খ) একটি হিসাব বহি, যাহাতে আয় ও ব্যয় সম্পর্কিত তথ্য উল্লিখিত থাকিবে; এবং
 
 
(গ) একটি কার্যবিবরণী বহি, যাহাতে সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ থাকিবে৷
শ্রমিক সংঘের নিবন্ধনচ্যুতি
৩৫৷ (১) কোন শ্রমিক সংঘ বহাল থাকাকালীন যে কোন সময়ে অন্যুন ৩০% যোগ্য শ্রমিক নির্ধারিত ফরমে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করিয়া সংঘের নিবন্ধনচ্যুতি দাবী করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)-এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর নির্বাহী চেয়ারম্যান সংঘের অনুরূপ নিবন্ধনচ্যুতির পক্ষে উত্থাপিত দাবী যাচাই করিবার উদ্দেশ্য পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন যে, প্রকৃতই অন্যুন ৩০% যোগ্য শ্রমিক স্বাক্ষর কিংবা অঙ্গুলির ছাপ প্রদান করিয়া আবেদন করিয়াছেন কিনা৷
 
 
 
 
(৩) নির্বাহী চেয়ারম্যান উপ-ধারা (২)-এর অধীন সন্তুষ্ট হইয়া থাকিলে, তিনি নিবন্ধনচ্যুতির পক্ষে সমর্থন যাচাই করিবার উদ্দেশ্যে ৫ দিবসের মধ্যে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য শ্রমিকদের ভোট গ্রহণের জন্য গণভোট অনুষ্ঠান করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) যদি গণভোট যোগ্য শ্রমিকগণের ৫০ শতাংশের অধিক শ্রমিক ভোট প্রদান করিয়া থাকেন এবং অনুরূপ প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশের অধিক ভোট যদি সংঘের নিবন্ধনচ্যুতির পক্ষে হইয়া থাকে, তাহা হইলে নির্বাহী চেয়ারম্যান উহার পরবর্তী ২৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনচ্যুতি প্রচার করিয়া একটি আদেশ জারী করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৩)-এর অধীন অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে যদি পরিশেষে কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধনচ্যুতি না হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত কারণে কোন মালিক কোন প্রকারেই কোন শ্রমিকের প্রতি উপ-ধারা (১)-এর অধীন দরখাস্তে স্বাক্ষর করিবার জন্য কোনরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করিবেন না; এবং এইরূপ কোন বৈষম্যমূলক আচরণ ধারা ৪১-এর অধীন মালিক পক্ষে অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারার অধীন অনুষ্ঠেয় গণভোট বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রবিধি দ্বারা পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(৭) এই ধারার অধীন কোন সংঘ নিবন্ধনচ্যুত হইয়া থাকিলে, নিবন্ধনচ্যুতি সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে পরবর্তী এক বত্সর অতিবাহিত হইবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট শিল্প ইউনিটের পুনরায় কোন সংঘ গঠন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৮) কোন শ্রমিক কর্তৃক উপ-ধারা (১)-এর অধীন স্বাক্ষরিত কোন ফরম স্বাক্ষরের তারিখ হইতে ছয় মাস পর্যন্ত বৈধ থাকিবে৷
শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন বাতিল
৩৬৷ (১) উপ-ধারা (২)-এর বিধান সাপেক্ষে, ধারা ৩৫-এর অধীন নিবন্ধনচ্যুতি সম্পর্কিত পদ্ধতির অতিরিক্ত, কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন নিম্নবর্ণিত যে কোন কারণে নির্বাহী চেয়ারম্যান বাতিল করিতে পারিবেন, যদি উক্ত সংঘ-
 
 
 
 
(ক) কোন কারণে অবসায়ন হইয়া থাকে;
 
 
(খ) প্রতারণা অথবা তথ্যের অসত্য উপস্থাপনার মাধ্যমে নিবন্ধিত হইয়া থাকে;
 
 
(গ) গঠনতন্ত্রের কোন বিধান লংঘন করিয়া থাকে;
 
 
 
 
(ঘ) অন্যায় আচরণ করিয়া থাকে;
 
 
 
 
(ঙ) এই আইন বা তদ্‌ধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ কোন বিধান গঠনতন্ত্রে সন্নিবেশ করিয়া থাকে;
 
 
 
 
(চ) এই আইনের অধীন আবশ্যক মতে বাত্সরিক প্রতিবেদন নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করিতে ব্যর্থ হয়;
 
 
 
 
(ছ) নির্বাচিত হইবার অযোগ্য কোন ব্যক্তিকে কর্মকর্তা পদে নির্বাচিত করে; অথবা
 
 
 
 
(জ) এই আইন অথবা তদ্‌ধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির বিধান লংঘন করে৷
 
 
 
 
(২) নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে অভিমত পোষণ করিয়া থাকেন যে, কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন বাতিল করা আবশ্যক, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিয়া ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) ট্রাইব্যুনাল হইতে অনুমতি প্রাপ্তির পাঁচ দিবসের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন বাতিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) যদি ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত দাখিল করিবার পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অন্যায় আচরণ সংগঠিত হইয়া না থাকে, তাহা হইলে কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) এ বর্ণিত কারণে বাতিল করা যাইবে না৷
নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আপীল
৩৭৷ ধারা ৩৬-এর উপ-ধারা (৩)-এর অধীন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হইয়া থাকিলে, অনুরূপ আদেশ প্রদত্ত হইবার ৩০ দিবসের মধ্যে শ্রমিক সংঘ শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করিতে পারিবে এবং আপীল ট্রাইব্যুনাল তর্কিত আদেশ বহাল, বাতিল বা সংশোধন করিতে পারিবে৷
নিবন্ধন ব্যতিরেকে শ্রমিক সংঘ কর্তৃক কার্য সম্পাদন নিষিদ্ধ
৩৮৷ (১) অনিবন্ধিত, নিবন্ধনচ্যুত অথবা নিবন্ধন বাতিল করা হইয়াছে, এইরূপ কোন শ্রমিক সংঘ যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট বা শ্রমিক সংঘ হিসাবে কার্য করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোন শ্রমিক সংঘের জন্য কোন ব্যক্তি কোনরূপ চাঁদা সংগ্রহ করিবেন না৷
নির্বাহী চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
৩৯৷ নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের অধীন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন এবং তদুদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ;
 
 
(খ) এই আইন কিংবা উহার অধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির বিধান লংঘন করিবার অথবা অন্যায় আচরণ করিবার অথবা কোন অপরাধ সংঘটন করিবার কারণে কোন শ্রমিক সংঘ বা মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা;
 
 
 
 
(গ) কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিট বা ইউনিটসমূহের জন্য গঠিত কোন শ্রমিক সংঘের বৈধতা এবং যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট হিসাবে উহার কার্য করিবার ক্ষমতার প্রশ্ন নির্ধারণ করা; এবং
 
 
 
 
(ঘ) বিধি বা প্রবিধি দ্বারা অন্য যেরূপ ক্ষমতা বা দায়িত্ব আরোপ করা হইতে পারে উহা প্রয়োগ বা পালন করা৷
শ্রমিক সংঘের নিগমবদ্ধকরণ (incorporation)
৪০৷ (১) প্রতিটি নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ নিগমবদ্ধ সংস্থা হইবে, যাহার স্থায়ী ধারাবাহিকতাসহ একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং নিবন্ধিত নামে ইহার চুক্তি সম্পাদন এবং সম্পত্তি অর্জন, ধারণ ও বিলি-বন্দোবস্ত করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে ইহা মামলা করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাইবে৷
 
 
 
 
(২) শ্রমিক সংঘের কার্যালয় স্থাপনের জন্য মালিক শিল্প অঞ্চলের অভ্যন্তরে স্থানের ব্যবস্থা করিবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs