প্রিন্ট ভিউ

ইপিজেড শ্রমিক সংঘ ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০০৪

( ২০০৪ সনের ২৩ নং আইন )

এই অাইনটি ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্র্পক আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৩ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

চতুর্থ অধ্যায়

অন্যায় আচরণ, চুক্তি ইত্যাদি

মালিকদের তরফে অন্যায় আচরণ
৪১৷ (১) কোন মালিক বা মালিকের দায়িত্ব পালনকারী কোন ব্যক্তি নিম্নোক্ত কোন কাজ করিলে উহা অন্যায় আচরণ হিসাবেগণ্যহইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) চাকুরী প্রদানের চুক্তিতে কোন ব্যক্তির, যিনি উক্ত চুক্তির পক্ষ, কোন সংঘে যোগদানের বা কোন সংঘের সদস্যপদ অব্যাহত রাখিবার অধিকার ক্ষুণ্ন করিয়া কোন শর্ত আরোপ করা;
 
 
 
 
(খ) কোন ব্যক্তি কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে বহাল আছেন বা নাই, উহার ভিত্তিতে উক্ত ব্যক্তিকে চাকুরীতে নিয়োগ, কিংবা চাকুরীতে বহাল রাখিতে অস্বীকার করা;
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যক্তি কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে বহাল আছেন বা নাই, উহার ভিত্তিতে উক্ত ব্যক্তির চাকুরীতে নিয়োগ, পদোন্নতি, চাকুরীর শর্ত বা কাজের শর্ত নির্ধারণে বৈষম্য করা;
 
 
 
 
(ঘ) কোন শ্রমিককে চাকুরী হইতে বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারণ করা বা বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারণের হুমকি প্রদর্শন করা অথবা চাকুরী ক্ষতিগ্রস্ত করিবার হুমকি প্রদর্শন করা, এই কারণে যে উক্ত শ্রমিক-
 
 
 
 
(অ) কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা হইয়াছেন বা হইবার ইচ্ছা পোষণ করিয়াছেন, অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হইবার জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে উত্সাহিত করিবার চেষ্টা করিয়াছেন;
 
 
(আ) কোন সংঘের উন্নয়ন, গঠন বা সংঘের কর্মতত্পরতা চালাইবার কাজে অংশগ্রহণ করিয়াছেন; অথবা
 
 
 
 
(ই) এই আইনের অধীন কোন অধিকার প্রয়োগ করিয়াছেন৷
 
 
 
 
(ঙ) কোন ব্যক্তিকে কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা না হইবার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হইয়া থাকিলে সেই পদ ত্যাগ করিবার জন্য প্রলুব্ধ করা এবং উক্ত উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান বা প্রদানে ব্যত্যয় করা;
 
 
 
 
(চ) ভীতি-প্রদর্শন, বলপ্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতি, পানি, বিদ্যুত্ বা টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা অনুরূপ কোন কৌশল অবলম্বনপূর্বক সংঘের কোন কর্মকর্তাকে কোন স্মারকে (memorandum) স্বাক্ষর করিতে বাধ্য করা;
 
 
 
 
(ছ) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা, অথবা অন্য কোনভাবে প্রভাব বিস্তার করা; অথবা
 
 
 
 
(জ) ধারা ৫৪-এর অধীন সংঘটিত ধর্মঘটের সময়, অথবা বে-আইনী নহে এমন ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে, কেবল যে ক্ষেত্রে নির্বাহী চেয়ারম্যান, কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হইয়া গেলে যন্ত্রপাতির বা ইউনিটের গুরুতর ক্ষতি হইবে এবং সেই প্রেক্ষিতে ইউনিটের যে শাখার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া সেই শাখায় সীমিত সংখ্যক শ্রমিককে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিয়াছেন, সেই ক্ষেত্র ব্যতীত কোন নূতন শ্রমিক নিয়োগ করা৷
 
 
 
 
(২) ব্যবস্থাপকের দায়িত্বসম্পন্ন পদে নিয়োগ বা পদোন্নতির কারণে কোন ব্যক্তির সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তার পদ বাতিল হইবার কিংবা সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে তাহার অধিষ্ঠিত থাকিবার যোগ্যতা হারাইবার বিষয়ে মালিকের অধিকার উপ-ধারা (১) এর বিধান দ্বারা ক্ষুণ্ন হইবে না৷
শ্রমিক বা সংঘের তরফে অন্যায় আচরণ
৪২৷ (১) কোন শ্রমিক বা শ্রমিক সংঘ এবং উক্ত শ্রমিক বা সংঘের পক্ষে কর্মসম্পাদনকারী কোন ব্যক্তি নিম্নোক্ত কোন কাজ করিলে উহা অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) শিল্প ইউনিটে কাজ চলাকালীন সময়ে কোন শ্রমিককে সংঘে যোগদানের জন্য বা যোগদান করা হইতে বিরত থাকিবার জন্য উত্সাহিত করা;
 
 
 
 
(খ) সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা হইবার জন্য, বা উহা হইতে বিরত থাকিবার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার বা না থাকিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন করা;
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যক্তিকে কোনরূপ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করিবার প্রলোভন দেখাইয়া, অথবা কোনরূপ সুযোগ-সুবিধা আদায় করিয়া বা, আদায় করিয়া দেওয়ার প্রলোভন দেখাইয়া, সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে যোগদান করা হইতে বিরত থাকিবার অথবা সদস্য পদ ত্যাগ করিবার জন্য প্রলুব্ধ করা;
 
 
 
 
(ঘ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতিসাধন, টেলিফোন, পানি বা বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া বা অনুরূপ অন্য কোন কৌশল অবলম্বনপূর্বক কোন মীমাংসা-স্মারকে স্বাক্ষর দানের জন্য মালিককে বাধ্য করা, বা বাধ্য করিবার চেষ্টা করা; অথবা
 
 
 
 
(ঙ) ভীতি-প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতি, টেলিফোন, পানি বা বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া বা অনুরূপ কোন কৌশল অবলম্বনপূর্বক কোন শ্রমিককে কোন শ্রমিক সংঘের তহবিলে চাঁদা প্রদানের জন্য বা চাঁদা প্রদান হইতে বিরত রাখিবার জন্য বাধ্য করা বা বাধ্য করিবার চেষ্টা করা৷
 
 
 
 
(২) কোন শ্রমিক বা সংঘ এই আইনের অধীন কোন গণভোট বা নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণে অবাঞ্ছিত প্রভাব বিস্তার, ভীতি প্রদর্শন, জালিয়াতি, অথবা নির্বাহী পরিষদ বা উহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির মারফত উত্কোচ প্রদানের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করিলে উহা শ্রমিক বা সংঘের জন্য অন্যায় আচরণ হইবে৷
চুক্তির বলবত্যোগ্যতা
৪৩৷ (১) সংঘ ও মালিকের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তি পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং উহা আদালতের মাধ্যমে বলবত্যোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই ধারার অধীন কোন চুক্তি বলবত্করণ বা চুক্তি ভঙ্গের কারণে ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন মামলা কোন দেওয়ানী আদালতে গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
হিসাব ও তথ্য দাখিল
৪৪৷ (১) প্রতি বত্সর নির্ধারিত তারিখে বা উহার পূর্বে প্রত্যেক শ্রমিক সংঘের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিগত বত্সরের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং উক্ত তারিখ পর্যন্ত সমগ্র বত্সরের সম্পদ ও দায়-দায়িত্বের হিসাব নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিরীক্ষিত সাধারণ বিবরণীসহ নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) সাধারণ বিবরণীর সহিত প্রেরণের তারিখ পর্যন্ত সংশোধনীসহ শ্রমিক সংঘের এক কপি গঠনতন্ত্র এবং উক্ত বত্সরে নির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের সকল সদস্যের হালনাগাদ পদের বিবরণী নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
(৩) শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্রের প্রত্যেক সংশোধনীর একটি কপি এবং গঠনতন্ত্রের বিধানসমূহের কার্যকরতা সংক্রান্ত সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের কপি উক্ত সংশোধনী বা প্রস্তাব গৃহীত হইবার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট (Collective Bargaining Agent)
৪৫৷ (১) কোন শিল্প ইউনিটে এই আইনের অধীন নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ উক্ত শিল্প ইউনিটের যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট হইবে৷
 
 
 
 
(২) মালিকের সহিত মজুরী, কর্মঘণ্টা (working hour) এবং নিয়োগের অন্যান্য শর্তাদি বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করিবার অধিকার কমিটির থাকিবে৷ আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্যে তথ্য প্রাপ্তির জন্য সংঘ কর্তৃক পেশকৃত কোন যুক্তিসংগত অনুরোধ মালিক অস্বীকার করিবে না৷
 
 
 
 
(৩) কোন শিল্প ইউনিট সম্পর্কিত যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট উপরোক্ত বিষয়ের অতিরিক্ত নিম্নোক্ত বিষয়েও কার্য সম্পাদনের অধিকারী হইবে, যথা-
 
 
 
 
(ক) শ্রমিকদের নিয়োগ, নিয়োগদানে অস্বীকার এবং নিয়োগের শর্ত সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকের সহিত যৌথ দর-কষাকষি করা;
 
 
 
 
(খ) কোন কার্যক্রমে সকল শ্রমিক বা কোন একজন শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করা; এবং
 
 
 
 
(গ) এই আইনের বিধানাবলী অনুসারে ধর্মঘটের নোটিশ প্রদান ও ধর্মঘট ঘোষণা করা৷
 
 
 
 
(৪) কোন অঞ্চলে অবস্থিত কোন মালিক বা কোম্পানী যেখানে নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ রহিয়াছে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র উক্ত প্রারম্ভিক মজুরী প্রযোজ্য হইবে, যাহা প্রবেশ পর্যায়ে, আইন অথবা প্রযোজ্য কোন আইনগত আদেশ দ্বারা, তাহাদের জন্য নির্ধারণ করা হইয়াছে৷ অন্যান্য মজুরী সম্পর্কিত বিষয়াদি যথা- মজুরী বৃদ্ধি, পদোন্নতি অথবা অন্যান্য বর্ধিত সুবিধাদি মালিক ও শ্রমিক সংঘের মধ্যে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে হইবে৷
চাঁদা কর্তন (check off)
৪৬৷ (১) যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট অনুরোধ করিলে, কোন সংঘের সদস্য- শ্রমিকদের মালিক, অনুরূপ প্রত্যেক শ্রমিকের সম্মতিক্রমে, উক্ত শ্রমিকদের বেতন হইতে মূল বেতনের অনূর্ধ্ব এক শতাংশ পরিমাণ টাকা সংঘ কর্তৃক পেশকৃত ডিমান্ড স্টেটমেন্ট অনুযায়ী কর্তন করিয়া সংঘের তহবিলে চাঁদা হিসাবে জমা করিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন মালিক উপ-ধারা (১) এর অধীনে বেতন হইতে টাকা কর্তন করিয়া থাকিলে উক্ত কর্তনের সমুদয় অর্থ পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে যে সংঘের পক্ষে উহা কর্তন করা হইয়াছে সেই সংঘের হিসাবে জমা করিবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে উহার সদস্যদের বেতন হইতে চাঁদা কর্তন করা হইতেছে কিনা তাহা যাচাই করিবার জন্য মালিক যৌথ দর-কষাকষি এজেন্টকে পূর্ণ সুযোগ প্রদান করিবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs