প্রিন্ট ভিউ

ইপিজেড শ্রমিক সংঘ ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০০৪

( ২০০৪ সনের ২৩ নং আইন )

এই অাইনটি ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্র্পক আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৩ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

ষষ্ঠ অধ্যায়

ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল, আপীল ট্রাইবুনাল, ইত্যাদি

ট্রাইব্যুনালের নিকট দরখাস্ত
৫৫৷ কোন যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট বা শ্রমিক, কোন আইন বা রোয়েদাদ বা মীমাংসার অধীন কোন অধিকার বাস্তবায়নের জন্য ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত করিতে পারিবে৷
ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল
৫৬৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইহার বিবেচনায় যত সংখ্যক প্রয়োজন ততসংখ্যক ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসমূহের জন্য প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে এবং যে ক্ষেত্রে একের অধিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হইবে, সেক্ষেত্রে সরকার উক্ত গেজেটে প্রত্যেক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারভুক্ত অঞ্চল বা অঞ্চলসমূহ নির্দিষ্ট করিয়া দিবে৷
 
(২) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান এবং, একজন মালিকদের এবং একজন শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসাবে চেয়ারম্যানকে পরামর্শদানের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত, দুইজন সদস্যের সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে৷
 
(৩) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ লাভের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না, যদি না তিনি জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বা আছেন৷
 
(৪) ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
(ক) এই আইনের অধীন প্রেরিত বা দায়েরকৃত শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তি;
 
(খ) মীমাংসার শর্তাবলী কার্যকরকরণ বা লংঘনসংক্রান্ত কোন বিষয় নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত হইলে উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধান ও বিচার;
 
(গ) এই আইন, অথবা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির অধীনকৃত অপরাধ, এবং সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট অন্য যে কোন আইনের অধীনে কৃত অপরাধের বিচার; এবং
 
(ঘ) এই আইনের দ্বারা বা ইহার অধীন, অথবা অন্য যে কোন আইনের অধীন ইহার উপর ন্যস্ত বা আরোপিত অন্য কোন ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করা৷
 
(৫) The Workmen's Compensation Act, 1923 অথবা the Payment of Wages Act, 1936 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ট্রাইব্যুনালকে উক্ত যে কোন আইনের অধীন যে কোন কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের বা কার্য সম্পাদনের এখতিয়ার প্রদান করিতে পারিবে এবং, উক্তরূপে এখতিয়ার প্রাপ্ত হইলে, ট্রাইব্যুনাল উক্ত আইনের অধীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উক্তরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
 
(৬) ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য ট্রাইব্যুনালের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকিলে অথবা উপস্থিত হইতে অসমর্থ হইলেও, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অব্যাহত থাকিবে এবং উক্ত সদস্যের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে; এবং কেবল একজন সদস্যের অনুপস্থিতির কারণে ট্রাইব্যুনালের কোন কার্যক্রম, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ অবৈধ হইবে না, কিংবা এই বিষয়ে কোনরূপ প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
ট্রাইব্যুনালের কার্যপদ্ধতি ও ক্ষমতা
৫৭৷ (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারী কার্যধারার ক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮ এ বর্ণিত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮ এর অধীন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুরূপ ক্ষমতার অধিকারী হইবে এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়েরের প্রশ্নে উক্ত ট্রাইব্যুনাল উক্ত কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালতের সমমর্যাদাসম্পন্ন গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে, এবং দেওয়ানী কার্যবিধি আইন, ১৯০৮ এর অধীন দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ ক্ষমতাসহ উহার নিম্নোক্ত ক্ষমতাবলী থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) কোন ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হইতে বাধ্য করা এবং শপথ পাঠ করানোপূর্বক তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করা;
 
 
(খ) দলিলপত্র ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করিতে বাধ্য করা;
 
 
 
 
(গ) সাক্ষী ও দলিলপত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কমিশন নিয়োগ করা; এবং
 
 
 
 
(ঘ) কোন পক্ষের অনুপস্থিতিতে একতরফা সিদ্ধান্ত প্রদান করা৷
 
 
 
 
(৪) কোন মামলা দায়ের, দলিলপত্র প্রদর্শন বা রেকর্ড করিবার জন্য কিংবা ট্রাইব্যুনাল হইতে কোন দলিল সংগ্রহের জন্য কোনরূপ কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে না৷
ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ ও সিদ্ধান্ত
৫৮৷ (১) ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে ও প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে প্রদান করিতে হইবে, এবং উহার একটি অনুলিপি অবিলম্বে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) মামলা দায়েরের পর ট্রাইব্যুনাল ২৫ দিনের মধ্যে ইহার রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে, যদি না বিরোধে জড়িত পক্ষগণ লিখিতভাবে সময় বৃদ্ধির পক্ষে সম্মতি প্রদান করিয়া থাকে৷
 
 
 
 
(৩) ট্রাইব্যুনালের কোন সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, কেবল উহা প্রদানে বিলম্ব হইবার কারণে অকার্যকর হইবে না৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন রোয়েদাদের দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত রোয়েদাদ প্রদত্ত হইবার ৩০ দিনের মধ্যে আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করিতে পারিবে এবং উক্ত আপীলের বিষয়ে আপীল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত রোয়েদাদ ব্যতীত, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সকল সিদ্ধান্ত এবং ধারা ৫৭ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত দণ্ড চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত বিষয়ে কোনরূপ প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল
৫৯৷ (১) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন করিবে এবং সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিয়োগকৃত একজন সদস্য লইয়া উক্ত আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) আপীল ট্রাইব্যুনালের সদস্য এমন একজন ব্যক্তি হইবেন যিনি সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক পদে বহাল আছেন অথবা ছিলেন, এবং উক্ত সদস্যের নিয়োগের শর্তাবলী সরকার যেরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ হইবে৷
 
 
(৩) আপীল ট্রাইব্যুনাল, কোন আপীল বিবেচনার পর ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বহাল, বাতিল, সংশোধন, অথবা রদবদল করিতে পারিবে, এবং এই আইনের অধীন ট্রাইব্যুনালকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে; এবং আপীল ট্রাইব্যুনাল আপীল দায়ের হইবার ৪০ (চল্লিশ) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
 
 
(৪) আপীল ট্রাইব্যুনালের কোন সিদ্ধান্ত উহা প্রদানে বিলম্ব হইবার কারণে অকার্যকর হইবে না৷
 
 
 
 
(৫) আপীল-ট্রাইব্যুনাল নির্র্ধারিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৬) আপীল ট্রাইব্যুনাল উহার নিজের অথবা উহার আপীল এখতিয়ারের অধীন কোন ট্রাইব্যুনালের কর্তৃত্বের অবমাননার জন্য এইরূপ দণ্ড প্রদান করিতে পারিবে, যেন ইহা হাইকোর্ট বিভাগ৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড কিংবা ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকার ঊর্ধ্বের অর্থদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপীল বিভাগে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক লিভ মঞ্জুর হওয়া সাপেক্ষে, আপীল করিতে পারিবে৷
নিষ্পত্তি বা রোয়েদাদ যাহাদের উপর বাধ্যকর
৬০৷ (১) আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে উপনীত কোন নিষ্পত্তি, সালিসের রোয়েদাদ, ধারা ৫৮ এর অধীন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, অথবা ধারা ৫৯ এর অধীন আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত নিম্্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের উপর বাধ্যকর হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) শিল্প-বিরোধে জড়িত সকল পক্ষ;
 
 
 
 
(খ) শিল্প-বিরোধে জড়িত অন্যান্যরা, যাহাদের শ্রম আদালত, শিল্প-বিরোধের সহিত জড়িত থাকিবার কারণে আদালতের শুনানীতে উপস্থিত হইবার জন্য তলব করিয়াছে;
 
 
 
 
(গ) বিরোধের কোন পক্ষ হিসাবে মালিকের বংশধর, উত্তরাধিকারী বা আইনগত ক্ষমতাপ্রাপ্তগণ; এবং
 
 
 
 
(ঘ) যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট বিরোধের অন্যতম পক্ষ হইয়া থাকিলে, বিরোধ উত্পত্তির তারিখে সংশ্লিষ্ট ইউনিট শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন অথবা ইহার পরে নিযুক্ত হইয়াছে, এইরূপ সকল শ্রমিক৷
 
 
 
 
(২) আপোষ মীমাংসার মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোন প্রকারে মালিক এবং সংঘের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে কোন মীমাংসা হইয়া থাকিলে, চুক্তিভুক্ত পক্ষদের সকলের উপর উহা বাধ্যকর হইবে৷
মীমাংসা, রোয়েদাদ, ইত্যাদি কার্যকর হইবার তারিখ
৬১৷ (১) মীমাংসা কার্যকর হইবে-
 
 
(ক) বিরোধীয় পক্ষদ্বয় সর্বসম্মতভাবে কোন তারিখ তদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করিয়া থাকিলে, ঐ তারিখ হইতে; এবং
 
 
 
 
(খ) এইরূপ কোন তারিখ নির্দিষ্ট করিতে সম্মত না হইলে, পক্ষদ্বয় যে তারিখে মীমাংসা-স্মারক স্বাক্ষর করিয়াছে, সেই তারিখ হইতে৷
 
 
 
 
(২) পক্ষদ্বয় যত দিনের জন্য সম্মত হইবে, তত দিন তাহাদের উপর মীমাংসা বাধ্যকর থাকিবে, এবং এইরূপ কোন মেয়াদ নির্ধারণে তাহারা সম্মত না হইলে, মীমাংসা-স্মারক স্বাক্ষরের দিন হইতে এক বত্সর পর্যন্ত উহা বাধ্যকর থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) ধারা ৫৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত রোয়েদাদ, উহার বিরুদ্ধে আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করা না হইলে রোয়েদাদে উল্লিখিত তারিখ হইতে নির্দিষ্ট মেয়াদে অনধিক দুই বত্সর পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে৷
 
 
 
 
(৪) সালিশকারী, ট্রাইব্যুনাল, অথবা, ক্ষেত্রমত, আপীল ট্রাইব্যুনাল, রোয়েদাদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দাবী, প্রতিটি ক্ষেত্রে কোন তারিখে ও কী শর্তে কার্যকর হইবে, উহা উল্লেখ করিবে৷
 
 
 
 
(৫) ধারা ৫৯ এর অধীন আপীল আবেদনের উপর আপীল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত, রোয়েদাদ প্রদানের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন রোয়েদাদের কার্যকরতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও, এক পক্ষ অপর পক্ষের নিকট উহার সম্মতির কথা লিখিতভাবে অবগত করিবার তারিখ হইতে পরবর্তী দুই মাস পর্যন্ত উক্ত সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ বাধ্য থাকিবে৷
কার্যক্রমের সূচনা ও সমাপ্তি
৬২৷ (১) ধারা ৫০ এর অধীন মীমাংসাকারী যে তারিখে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ প্রাপ্ত হইবেন, সেই তারিখ হইতে মীমাংসা কার্যক্রম শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) মীমাংসা কার্যক্রম সেই তারিখে সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে-
 
 
 
 
(ক) মীমাংসায় উপনীত হইলে, মীমাংসা-স্মারকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ যে তারিখে স্বাক্ষর প্রদান করেন; এবং
 
 
 
 
(খ) যে ক্ষেত্রে কোন মীমাংসায় উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নাই-
 
 
 
 
(অ) ধারা ৫৩ এর অধীন বিরোধটি কোন সালিসকারীর নিকট প্রেরিত হইলে, উক্ত সালিসকারী যে তারিখে রোয়েদাদ প্রদান করেন, অথবা তাহা না হইলে,
 
 
(আ) ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশের মেয়াদ যে তারিখে উত্তীর্ণ হয়৷
 
 
(৩) ট্রাইব্যুনালে উত্থাপিত কার্যক্রম সেই তারিখে শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(ক) শিল্প বিরোধের ক্ষেত্রে, ধারা ৫৪ অথবা ৫৫ এর অধীন কোন আবেদন যে তারিখে পেশ করা হইয়াছে; এবং
 
 
 
 
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, যে তারিখে উহা ট্রাইব্যুনালে প্রেরিত হইয়াছে৷
 
 
 
 
(৪) ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত ধারা ৫৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন যে তারিখে প্রদত্ত হইয়াছে, সেই তারিখে ট্রাইব্যুনালে মোকদ্দমার কার্যক্রম সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
কতিপয় বিষয়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ
৬৩৷ (১) কোন সংঘ কিংবা ব্যক্তি, ইউনিট বা কোম্পানী বা মালিক কর্তৃক পরিচালিত কোন ব্যবসা বিষয়ে কোন তদন্ত বা অনুসন্ধান পরিচালনার সময় নির্বাহী চেয়ারম্যান, মীমাংসাকারী, ট্রাইব্যুনাল, সালিসকারী বা আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সংগৃহীত বা প্রাপ্ত কোন তথ্য যাহা ঐরূপ কর্তৃপক্ষের সম্মুখে সাক্ষ্য প্রদান ব্যতিরেকে অন্য কোন উপায়ে পাওয়া সম্ভব নহে, এবং যাহা সংশ্লিষ্ট সংঘ, ব্যক্তি, ইউনিট বা কোম্পানী গোপন রাখিবার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে অনুরোধ করিয়াছে, উহা এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোন প্রতিবেদন, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত হইবে না; এইরূপ কোন তথ্য, সংঘের সভাপতি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ইউনিট বা, ক্ষেত্রমত, কোম্পানী লিখিত সম্মতি প্রদান না করিলে, মোকদ্দমার কার্যক্রমে প্রকাশ করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার কোন কিছুই ১৮৬০ সালের দণ্ড বিধির ধারা ১৯৩ এর অধীন কোন মামলায় অনুরূপ কোন তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
শিল্প বিরোধ উত্থাপন
৬৪৷ যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট নির্ধারিত পদ্ধতিতে উত্থাপন না করা পর্যন্ত কোন শিল্প বিরোধের উদ্ভব হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না৷
কার্যক্রম চলাকালীন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা
৬৫৷ কোন মীমাংসা কার্যক্রম চলাকালীন, অথবা মীমাংসাকারী, সালিসকারী বা ট্রাইব্যুনালে কোন শিল্প বিরোধ কিংবা আপীল ট্রাইব্যুনালে এই সংক্রান্ত কোন আপীল শুনানীকালে উক্ত শিল্প বিরোধের সহিত জড়িত কোন পক্ষ সংশ্লিষ্ট বিরোধ বিষয়ে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারী করিতে পারিবে না৷
ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনালের ধর্মঘট, ইত্যাদি নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা
৬৬৷ (১) কোন শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র কিরা ট্রাইব্যুনালে ধারা ৫৫ এর অধীন কোন আবেদনের শুনানী চলাকালীন সময়ে উক্ত বিরোধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইয়া থাকিলে এবং উহা চলিতে থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল লিখিত আদেশ জারী করিয়া উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে৷
 
 
(২) শিল্প-বিরোধ সংক্রান্ত কেন বিষয়ে কোন আপীল ধারা ৫৯ এর অধীন আপীল ট্রাইব্যুনালে প্রেরিত হইয়া থাকিলে, আপীল দায়েরের তারিখে উক্ত শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া কোন ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইয়া থাকিলে বা চলিতে থাকিলে, আপীল ট্রাইব্যুনাল লিখিত আদেশ জারী করিয়া অনুরূপ ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে৷
বেআইনী ধর্মঘট ও লক-আউট
৬৭৷ (১) ধর্মঘট বা লক-আউট বেআইনী হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) উহা বিরোধে জড়িত অপর পক্ষের উপর নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধর্মঘট বা লক-আউট এর নোটিশ জারী না করিয়া, অথবা ধারা ৬৫ এর বিধান লংঘন করিয়া ঘোষিত হয়, শুরু হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়, অথবা
 
 
 
 
(খ) উহা ধারা ৬৪ এর বিধান ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতিতে, উদ্ভুত শিল্প-বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া ঘোষিত হয়, শুরু হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়; অথবা
 
 
 
 
(গ) উহা ধারা ৬৬ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ-এর লংঘনে অব্যাহত রাখা হয়; অথবা
 
 
 
 
(ঘ) উহা কোন মীমাংসা বা রোয়েদাদ দ্বারা সাব্যস্ত বিষয়ে উক্ত মীমাংসা বা রোয়েদাদ কার্যকর থাকাকালীন সময়ে ঘোষিত হয়, শুরু হয় বা অব্যাহত রাখা হয়৷
 
 
 
 
(২) অবৈধ ধর্মঘটের ধারাবাহিকতায় ঘোষিত লক-আউট এবং অবৈধ লক-আউটের ধারাবাহিকতায় ঘোষিত ধর্মঘট অবৈধ বলিয়া গণ্য হইবে না৷
কার্যক্রম চলাকালে চাকুরীর শর্ত অপরিবর্তিত থাকা
৬৮৷ (১) কোন মালিক, কোন মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত কোন মীমাংসা কার্যক্রম বা অন্য কোন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে, সংশ্লিষ্ট বিরোধে জড়িত কোন শ্রমিকের চাকুরীর শর্ত, মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে উক্ত কার্যক্রম শুরু হইবার পূর্বে যেরূপ ছিল সেইরূপ অবস্থা হইতে উক্ত শ্রমিকের স্বার্থের হানিকরভাবে পরিবর্তন করিতে পারিবেন না; এমনকি তিনি-
 
 
 
 
(ক) মীমাংসা কার্যক্রম অব্যাহত থাকাকালে, মীমাংসাকারীর অনুমতি ব্যতীত, অথবা
 
 
 
 
(খ) সালিসকারী, ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালে শুনানী অব্যাহত থাকাকালে, উক্ত সালিসকারী, ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ব্যতীত, কেবল সংশ্লিষ্ট বিরোধের সহিত জড়িত নহে এইরূপ ক্ষেত্রে অসদাচরণের কারণ ব্যতীত, কোন শ্রমিককে অপসারণ, বরখাস্ত অথবা অন্য কোনভাবে শাস্তি প্রদান কিংবা চাকুরীচ্যুত করিতে পারিবেন না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন কার্যধারা অব্যাহত থাকাকালে, কোন শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তাকে, ট্রাইব্যুনালের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, অপসারণ, বরখাস্ত অথবা অসদাচরণের জন্য অন্য কোনভাবে শাস্তি প্রদান করা যাইবে না৷
সংঘের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
৬৯৷ (১) কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা অন্য কোন কর্মকর্তাকে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে এক অঞ্চল হইতে অন্য অঞ্চলে অথবা এক শিল্প ইউনিট হইতে অন্য শিল্প ইউনিটে বদলি করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা অন্য কোন কর্মকর্তাকে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে চাকুরী হইতে বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোনভাবে কর্মচ্যুত করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) কোন শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তাকে এই আইন, বিধি বা প্রবিধির অধীন নিষিদ্ধ অন্যায় আচরণের অভিযোগের ভিত্তিতে চাকুরী হইতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে বা তাহার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিতে মালিক বারিত বলিয়া গণ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন মালিকের যে কোন কার্যের বৈধতার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত প্রদানে নির্বাহী চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব থাকিবে, এবং তিনি মালিকের সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা বাতিল করিতে এবং কোন কর্মকর্তাকে স্ব-পদে পুনর্বহাল এবং তাহার অপরিশোধিত মজুরী ও সুবিধাদি পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
কতিপয় ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধান
৭০৷ কোন ব্যক্তি কোন বেআইনী ধর্মঘটে বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করিতে, বা অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখিতে অস্বীকার করিলে, উক্ত অস্বীকৃতির কারণে তাহাকে কোন সংঘ হইতে বহিষ্কার করা যাইবে না, বা অন্য কোন জরিমানা আরোপ বা দণ্ড প্রদান করা যাইবে না, বা এমন কোন অধিকার বা সুবিধা হইতে তাহাকে বঞ্চিত করা যাইবে না, যাহা তিনি বা তাহার কোন প্রতিনিধি উহা না হইলে ভোগ করিবার অধিকারী হইতেন, অথবা সংঘের অন্যান্য সদস্যদের সহিত তুলনামূলকভাবে অধিকতর অসুবিধাজনক কোন অবস্থা বা অক্ষমতার মধ্যে তাহাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিপতিত করা যাইবে না৷
পক্ষদের প্রতিনিধিত্ব
৭১৷ (১) শিল্প বিরোধে পক্ষ কোন শ্রমিক এই আইনের অধীন যে কোন কার্যক্রম প্রতিনিধি হিসাবে সংঘের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে পরিচালনা করিতে অধিকারী হইবেন, এবং উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, শিল্প বিরোধের পক্ষ হিসাবে কোন মালিক তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তির মাধ্যমে নিজের পক্ষে অনুরূপ কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন৷
 
 
(২) শিল্প বিরোধের কোন পক্ষ এই আইনের অধীনে কোন মীমাংসা কার্যক্রম আইনজীবীর মাধ্যমে পরিচালনা করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(৩) শিল্প বিরোধের কোন পক্ষ, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনাল বা সালিসকারী সম্মুখে অনুষ্ঠিত কোন কার্যক্রম, উক্ত আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা সালিসকারীর অনুমতিক্রমে, আইনজীবীর প্রতিনিধত্বের মাধ্যমে পরিচালনা করিতে পারিবেন৷
মীমাংসা এবং রোয়েদাদের ব্যাখ্যা
৭২৷ (১) কোন রোয়েদাদ কিংবা মীমাংসার কোন বিষয়বস্তু বা অর্থের ব্যাখ্যা বিষয়ে কোন অসুবিধা বা সন্দেহ উদ্ভুত হইলে, উহা এই আইনের অধীন গঠিত আপীল ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) আপীল ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত কোন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে শুনানীর সুযোগদানের পর বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং ইহার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং পক্ষদের উপর বাধ্যকর হইবে৷
মীমাংসা বা রোয়েদাদ অনুযায়ী মালিকের নিকট হইতে পাওনা টাকা আদায়
৭৩৷ (১) কোন মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালের কোন রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মালিকের নিকট হইতে পাওনা কোন টাকা, নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উক্ত টাকার প্রাপক ব্যক্তির পক্ষে আবেদন করা হইলে, বকেয়া ভূমি রাজস্ব বা সরকারী পাওনা আদায়ের অনুরূপ পদ্ধতিতে আদায়যোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজিড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত অনুসারে মালিকের নিকট হইতে কোন শ্রমিক সংশ্লিষ্ট কোন সুবিধা পাওনা হইলে এবং অনুরূপ পাওনা টাকার অংকে নিরূপণ করিয়া আদায় করার উপযোগী হইলে, উহা, এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধি সাপেক্ষে, অনুরূপভাবে টাকার অংকে নিরূপিত হইবে, এবং উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী আদায় করিয়া সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs