সপ্তম অধ্যায়
দন্ড ও পদ্ধতি
অন্যায় আচরণের জন্য দণ্ড
৭৪৷ (১) কোন ব্যক্তি ধারা ৪১ এর বিধান লংঘন করিয়া থাকিলে, তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয়মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
(২) কোন শ্রমিক ধারা ৪২ এর বিধান লংঘন করিয়া থাকিলে তিনি দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
(৩) কোন শ্রমিক সংঘ, অথবা শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, ধারা ৪২ এর বিধান লংঘন করিয়া থাকিলে তিনি বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
কোন মীমাংসা ভংগ করিবার জন্য দণ্ড
৭৫৷ কোন ব্যক্তি কোন আপোষ রফার শর্ত, রোয়েদাদ অথবা তাহার উপর বাধ্যকর, কোন সিদ্ধান্ত ভংগ করিয়া থাকিলে, তিনি-
(ক) প্রথম বার অনুরূপ অপরাধ করিবার জন্য পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন;
(খ) প্রতিটি অনুরূপ অপরাধের জন্য দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
আপোষ রফা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দণ্ড, ইত্যাদি
৭৬৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন তাহার উপর বাধ্যকর মীমাংসার কোন শর্ত, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে, তিনি বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
মিথ্যা বিবৃতি প্রদানের দণ্ড, ইত্যাদি
৭৭৷ কোন ব্যক্তি এই আইন কিংবা উহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির অধীন দাখিলকৃত কোন আবেদনপত্রে বা অন্য কোন দলিলপত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোন বিবৃতি প্রদান করিয়া বা করাইয়া থাকেন, যাহা অসত্য বলিয়া তিনি জানেন অথবা বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে এই আইন বা উহার অধীন বিধি বা প্রবিধির অধীন সংরক্ষণ বা পেশ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি করিয়া থাকেন বা ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবে৷
বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউটের জন্য দণ্ড
৭৮৷ (১) কোন শ্রমিক কোন বেআইনী ধর্মঘট আরম্ভ করিলে, চালাইলে অথবা উহার সমর্থনে অন্য কোনভাবে কোন কার্য করিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
(২) কোন মালিক বেআইনীভাবে কোন লক-আউট আরম্ভ করিলে, চালাইলে অথবা উহার সমর্থনে অন্য কোনভাবে কোন কার্য করিয়া থাকিলে, তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের পুনরাবৃত্তি করিবার ক্ষেত্রে প্রথম অপরাধের পর অনুরূপ অপরাধ অব্যাহত থাকাকালীন সময়ে প্রতি দিনের জন্য অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউট করিতে প্ররোচনা প্রদান করিবার দণ্ড
৭৯৷ কোন ব্যক্তি বেআইনী ধর্মঘট বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করিবার জন্য অন্যান্যদিগকে প্ররোচিত বা উত্তেজিত করিলে, কিংবা উক্ত উদ্দেশ্যে অর্থ সরবরাহ করিলে অথবা অন্য কোনভাবে সহায়তা করিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ধারা ৬৮ এর বিধান লংঘন করিবার দণ্ড
৮০৷ কোন মালিক বা কোম্পানী ধারা ৬৮ এর বিধান লংঘন করিলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাক পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
তহবিল তসরূপ বা আত্মসাতের দণ্ড
৮১৷ (১) কোন নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উক্ত শ্রমিক সংঘের তহবিল তসরূপ বা আত্মসাতের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, এবং তদুপরি যে পরিমাণ অর্থ তসরূপ বা আত্মসাত হইয়াছে মর্মে ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রমাণিত হইবে, অনধিক উক্ত পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অর্থদণ্ডের টাকা আদায় হইয়া থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল উক্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংঘকে প্রত্যার্পণ করিতে পারিবেন৷
অন্যান্য অপরাধের দণ্ড
৮২৷ কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের কোন বিধান লংঘন করিবার, অথবা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইবার ক্ষেত্রে অনুরূপ লংঘন বা ব্যর্থতার জন্য এই আইনের অধীন কোন শাস্তির বিধান করা না থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ধারা ৫২ এর বিধান লংঘন করিবার দণ্ড
৮৩৷ কোন ব্যক্তি, সন্তোষজনক কারণ ব্যতিরেকে, এই আইনের ধারা ৫২ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লংঘন করিয়া মীমাংসাকারীর নিকট হাজির হইতে বা প্রতিনিধি প্রেরণ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে, তিনি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয়মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
কোম্পানী কর্তৃক কৃত অপরাধ
৮৪৷ এই আইনের অধীনকৃত অপরাধে দোষী ব্যক্তি কোন কোম্পানী বা নিগমবদ্ধ সংস্থা (Body Corporate) হইলে, উহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্যান্য কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি, যদি তিনি প্রমাণ করিতে না পারেন যে, কৃত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংগঠিত হইয়াছে বা তাহার অসম্মতিক্রমে করা হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি বা তাহারা সকলেই উক্ত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইবেন৷
অপরাধের বিচার
৮৫৷ (১) এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত শ্রম ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত অন্য কোন ট্রাইব্যুনাল বা আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না, এবং এই অধ্যায়ের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যান অথবা তদুদ্দেশ্যে তত্কর্তৃক অনুমোদিত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক বা তাহার কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে কোন ফৌজদারী কার্যধারা রুজু করা যাইবে না৷
(২) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ আমলঅযোগ্য (non-cognizable) এবং জামিনযোগ্য (bailable) হইবে৷
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs