প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ইপিজেড শ্রমিক সংঘ ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০০৪

( ২০০৪ সনের ২৩ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী না হইলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(১) “সালিসকারী” অর্থ ধারা ৫৩-এর অধীন নিযুক্ত অনুরূপ কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(২) “আপীল ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ৫৯-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল;
 
 
 
 
(৩) “সংঘ” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত কোন শ্রমিক সংঘ;
 
 
 
 
(৪) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ৩৬ নং আইন)-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ;
 
 
(৫) “রোয়েদাদ” অর্থ শ্রম ট্রাইব্যুনাল, সালিসকারী অথবা শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কোন শিল্প বিরোধ অথবা উহার সহিত সম্পর্কিত কোন বিষয়ে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, এবং কোন অন্তর্বর্তীকালীন রোয়েদাদ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(৬) “যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট” অর্থ কোন শিল্প ইউনিট বা ইউনিটসমূহ সম্পর্কে ধারা ৪৫-এর অধীন শ্রমিক সংঘ যাহা যৌথ দর-কষাকষির বিষয়ে উক্ত ইউনিট বা ইউনিটসমূহে দর-কষাকষির উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(৭) “কোম্পানী” অর্থ ১৯৯৪ সালে কোম্পানী আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন কোম্পানী যাহার অধীন কোন অঞ্চলে এক বা একাধিক শিল্প ইউনিট রহিয়াছে;
 
 
 
 
(৮) “মীমাংসা কার্যক্রম” অর্থ এই আইনের অধীন মীমাংসাকারীর নিকট নিষ্পন্নাধীন কোন কার্যক্রম;
 
 
 
 
(৯) “মীমাংসাকারী” অর্থ ধারা ৪৮-এর অধীন অনুরূপ পদে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(১০) “মালিক” অর্থ কোন শিল্প ইউনিট সম্পর্কে এইরূপ কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ, নিগমিত হইয়া থাকুন বা না থাকুন, যিনি বা যাহা নিয়োগ সম্পর্কিত চুক্তির অধীন শ্রমিকগণকে কোন শিল্প ইউনিটে নিয়োগদান করিয়া থাকেন বা থাকে; এবং কোন অঞ্চলে এক বা একাধিক শিল্প ইউনিটে শ্রমিক নিয়োগকারী কোন নিবন্ধিত কোম্পানী মালিক বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(১১) “নির্বাহী চেয়ারম্যান” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(১২) “নির্বাহী পরিষদ” অর্থ কোন সংঘের গঠনতন্ত্র দ্বারা উক্ত সংঘের বিষয়াদির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষদ;
 
 
 
 
(১৩) “ইপিজেড” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৮০-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল;
 
 
 
 
(১৪) “অবৈধ লক-আউট” অর্থ এই আইনের বিধানাবলীর ব্যত্যয়ে ঘোষিত, সূচিত বা অব্যাহত লক-আউট;
 
 
 
 
(১৫) “অবৈধ ধর্মঘট” অর্থ এই আইনের বিধানাবলীর ব্যত্যয়ে ঘোষিত, সূচিত বা অব্যাহত কোন ধর্মঘট;
 
 
 
 
(১৬) “শিল্প বিরোধ” অর্থ মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে উদ্ভূত কোন বিরোধ বা মতপার্থক্য যাহা কোন ব্যক্তির নিয়োগ বা অনিয়োগ বা নিয়োগের শর্তাবলী বা কর্মের শর্তাদির সহিত সম্পর্কিত;
 
 
(১৭) “শিল্প ইউনিট” অর্থ কোন অঞ্চলে কোন দ্রব্য বা পণ্য প্রস্তুত বা উত্পাদন করিবার জন্য প্রতিষ্ঠিত কোন শিল্প ইউনিট; এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে একটি অঞ্চলে একই মালিকের অধীন একাধিক শিল্প ইউনিট একটি শিল্প ইউনিট হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(১৮) “লক-আউট” অর্থ মালিক কর্তৃক কোন কর্মস্থল বন্ধ করা অথবা উক্ত কর্মস্থলের কোন অংশ বন্ধ করা, অথবা সামগ্রিক বা আংশিকভাবে সাময়িক কাজ বন্ধ করা, অথবা কোন শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ের সহিত জড়িত হইবার ফলে মালিক কর্তৃক অনুরূপভাবে সাময়িক বা পূর্ণকালীন বন্ধ ইউনিটের সামগ্রিকভাবে বা শর্তাধীনে কর্মচারীদিগকে কাজ করিতে দিতে অস্বীকার করা, অথবা চাকুরীর সহিত জড়িত কোন শর্তাবলী মানিয়া লইবার জন্য কর্মচারীদিগকে বাধ্য করাইবার উদ্দেশ্যে মালিক কর্তৃক ইউনিট বন্ধকরণ, সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখা, অথবা কাজ করিতে দিতে অস্বীকার করা;
 
 
 
 
(১৯) “সংগঠন” অর্থ শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নতিসাধন করিবার উদ্দেশ্যে কোন শিল্প ইউনিট বা ইউনিটসমূহে যোগ্য শ্রমিকগণের সমন্বয়ে গঠিত শ্রমিক সংঘ;
 
 
 
 
(২০) “কর্মকর্তা” অর্থ কোন সংঘ সম্পর্কে উক্ত সংঘের নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য;
 
 
 
 
(২১) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
 
 
(২২) “প্রবিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন প্রবিধি;
 
 
 
 
(২৩) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি;
 
 
 
 
(২৪) “মীমাংসা” অর্থ মীমাংসা কার্যক্রমে উপনীত কোন মীমাংসা, এবং মীমাংসা কার্যক্রমবহির্ভূত অন্য কোন পদ্ধতিতে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে উপনীত লিখিতভাবে সম্পাদিত এবং স্বাক্ষরিত কোন চুক্তি;
 
 
 
 
(২৫) “ধর্মঘট” অর্থ কোন শিল্প ইউনিটে কর্মে নিযুক্ত একদল শ্রমিক কর্তৃক সাধারণ ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধভাবে কাজ বন্ধ করা;
 
 
 
 
(২৬) “স্বাক্ষর” অর্থ বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যদি উক্ত শব্দ কোন শ্রমিক সম্পর্কে ব্যবহৃত হইয়া থাকে;
 
 
 
 
(২৭) “ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ৫৬-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল;
 
 
 
 
(২৮) “শ্রমিক সংঘ” অর্থ এই আইনের অধীন শ্রমিক ও মালিকগণের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করিবার উদ্দেশ্যে শ্রমিকগণ কর্তৃক গঠিত সংঘ;
 
 
 
 
(২৯) “শ্রমিক” অর্থ মালিকের সংজ্ঞায় পড়ে না এমন যে কোন ব্যক্তি (শিক্ষানবিস হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তিসহ), যিনি, বেতন বা পারিতোষিকের ভিত্তিতে কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিটে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী অথবা করণিক কার্য করিবার জন্য, সরাসরিভাবে বা ঠিকাদারের মাধ্যমে যেভাবেই হউক না কেন, নিযুক্ত হইয়াছেন, এবং উক্তরূপ নিযুক্তির শর্ত স্পষ্টভাবে ব্যক্ত থাকুক বা না থাকুক, সেই ব্যক্তি শ্রমিক হিসাবে গণ্য হইবেন, এবং কোন শিল্প বিরোধের প্রশ্নে এই আইন অনুসারে কার্যক্রম শুরু করিবার ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে,যাহাকে শাস্তিমূলকভাবে বরখাস্ত, পদচ্যুত, ছাঁটাই অথবা লে-অফ করা হইয়াছে, অথবা উক্ত বিরোধের সূত্র ধরিয়া বা উক্ত বিরোধের কারণে অন্য কোনভাবে চাকুরী হইতে অপসারিত করা হইয়াছে, অথবা যাহার শাস্তিমূলক পদচ্যুতি, বরখাস্ত, লে-অফ অথবা অপসারণের কারণে উক্ত বিরোধের উত্পত্তি হইয়াছে, কিন্তু নিম্নলিখিত ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:-
 
 
 
 
(ক) ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড (watch and ward) সদস্য, কনফিডেনসিয়াল সহকারী, সাইফার সহকারী, অনিয়মিত শ্রমিক এবং রন্ধনশালা বা খাদ্য প্রস্তুতকারী ঠিকাদার কর্তৃক নিয়োজিত শ্রমিক;
 
 
 
 
(খ) ব্যবস্থাপক বা প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি;
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যক্তি যিনি, সুপারভাইজারী পদে নিয়োজিত হইলেও, তাহার পদের সহিত সংযুক্ত কর্তব্য অথবা তাহাকে প্রদত্ত ক্ষমতার কারণে, ম্যানেজার বা প্রশাসনিক ধরণের কাজ করিয়া থাকেন; এবং
 
 
 
 
(৩০) “অঞ্চল” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৮০-এর ধারা ১০-এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কোন অঞ্চল৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs