প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

কর-ন্যায়পাল আইন, ২০০৫

( ২০০৫ সনের ১৯ নং আইন )

কর-ন্যায়পালের দায়িত্ব ও এখতিয়ার
১৩৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কর-ন্যায়পাল কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির অভিযোগ, অথবা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বা জাতীয় সংসদের রেফারেন্স, অথবা সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনাপ্রাপ্ত হইয়া অথবা স্বীয় বিবেচনাক্রমে বোর্ড বা কোন কর কর্মচারীর অপশাসনের অভিযোগ তদন্ত করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে কর-ন্যায়পালের তদন্ত বা অনুসন্ধান করার কোন এখতিয়ার থাকিবে না, যথা:-
 
 
 
 
(ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অভিযোগ বা রেফারেন্স প্রাপ্তির তারিখে যদি উক্ত অভিযোগ বা রেফারেন্সে বর্ণিত বিষয়বস্তু যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বা, ক্ষেত্রমত, বোর্ডের বিবেচনাধীন থাকে, তাহা হইলে উক্ত অভিযোগ বা রেফারেন্স; এবং
 
 
 
 
(খ) আয় নিরূপণ, কর বা শুল্কের দায় নির্ধারণ, পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস বা মূল্যায়ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন কোন আপীল, রিভিউ বা রিভিশনের ব্যবস্থা থাকিলে উক্তরূপ আয় নিরূপন, কর বা শুল্কের দায় নির্ধারণ, পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস, বা মূল্যায়নের ব্যাখ্যা সম্পর্কে কোন কর কর্মচারীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোন অভিযোগ:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আয় নিরূপন, কর বা শুল্কের দায় নির্ধারণ, পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস বা মূল্যায়নের বিষয়ে কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অপশাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি কর-ন্যায়পালের নিকট অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন কর কর্মচারী কর্তৃক বা তাহার পক্ষে আনীত তাহার চাকুরী সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অভিযোগ কর-ন্যায়পাল বিবেচনার জন্য গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(৪) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিশেষ করিয়া, ন্যায়ভ্রষ্টতা, স্বেচ্ছাচারিতা, পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্যের কারণ নিরূপণার্থে কর-ন্যায়পাল, সময় সময়, সমীক্ষা বা গবেষণা করিতে পারিবেন, এবং সমীক্ষা বা গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে উক্তরূপ ন্যায়ভ্রষ্টতা, স্বেচ্ছাচার, পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য দূরীকরণের জন্য অর্থমন্ত্রীর নিকট প্রয়োজনীয় সুপারিশ করিতে পারিবেন৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs