প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

কর-ন্যায়পাল আইন, ২০০৫

( ২০০৫ সনের ১৯ নং আইন )

তদন্ত কার্যে কর-ন্যায়পালের বিশেষ ক্ষমতা
২২৷ (১) এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে কর-ন্যায়পাল বা তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নিম্নরূপ ক্ষমতা থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সাক্ষীর প্রতি সমনজারী ও তাহার উপস্থিতি নিশ্চিত করা;
 
 
 
 
(খ) কোন দলিল উদঘাটন এবং উপস্থাপন করা;
 
 
 
 
(গ) হলফনামার মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা;
 
 
 
 
(ঘ) সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং দলিল পরীক্ষা করার জন্য পরওয়ানা জারী করা; এবং
 
 
 
 
(ঙ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নির্ধারিত অন্য কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে, কর-ন্যায়পাল (Code of Civil Procedure, 1908 (V of 1908) এর অধীন দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) কর-ন্যায়পাল তদন্তাধীন কোন বিষয়ের সহায়ক বা প্রাসঙ্গিক হইতে পারে, এইরূপ কোন বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করিবার জন্য যে কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবেন; এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত ব্যক্তি তাহার হেফাজতে রক্ষিত উক্তরূপ তথ্যাদি সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড বা কোন কর কর্মচারী কর-ন্যায়পালের কোন আদেশ পালনে ব্যর্থ হইলে এইরূপ আদেশ অমান্যকারী-
 
 
 
 
(ক) বোর্ড হইলে তজ্জন্য বোর্ডের সদস্যগণ যৌথভাবে বা, ক্ষেত্রমত, ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন; এবং
 
 
 
 
(খ) কোন কর-কর্মচারী হইলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কর-ন্যায়পালের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ ব্যক্তি বা কর কর্মচারীর বিরুদ্ধে কর-ন্যায়পাল শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর-কর্মচারীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতাসমূহ এই আইনের বিধানাবলীর অধীন তদন্ত পরিচালনার সময় কর-ন্যায়পালের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রয়োগ করা যাইবে৷
 
 
(৭) যে ক্ষেত্রে কর-ন্যায়পাল সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অভিযোগ মিথ্যা, অসার ও হয়রানিমূলক, সেইক্ষেত্রে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা সেই কর কর্মচারী যাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনীত হইয়াছে এর অনুকূলে যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দান করিতে পারিবেন; উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ অভিযোগকারীর নিকট হইতে বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীন ক্ষতিপূরণের আদেশ সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির দেওয়ানী ও ফৌজদারী প্রতিকার প্রার্থনায় বাধা হইবে না৷
 
 
 
 
(৮) যদি কর-ন্যায়পালের যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন কর কর্মচারী এইরূপ আচরণ করিয়াছেন যাহার কারণে তাহার বিরুদ্ধে ফৌজদারী বা শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ অত্যাবশ্যক, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর-কর্মচারীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং কর-ন্যায়পালের সুপারিশ অনুযায়ী উক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৯) কর-ন্যায়পাল এই আইনের উদ্দেশ্যে শপথপাঠ পরিচালনা এবং এই আইনের অধীন সকল কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন হলফনামা বা ঘোষণা সত্যায়নের জন্য কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(১০) কর-ন্যায়পাল কর্তৃক গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত বা সুপারিশ অথবা প্রদত্ত যে কোন আদেশ সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে স্বীয় উদ্যোগে পুনর্বিবেচনা করিতে পারিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সিদ্ধান্ত, সুপারিশ বা আদেশ প্রদানের ৬০ (ষাট) দিন উত্তীর্ণ হইবার পর সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত কোন আবেদন পুনর্বিবেচনাযোগ্য হইবে না৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs