প্রিন্ট ভিউ

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৩২ নং আইন )

ষষ্ঠ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড, ইত্যাদি

কতিপয় অপরাধের শাস্তি
৩৫৷ (১) কোন ব্যক্তি কর্তৃক কৃত নিম্নবর্ণিত কোন কার্য এই আইনের অধীন অপরাধ হইবে-
 
 
(ক) এই আইনের অধীন সনদপ্রাপ্ত না হইয়া ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করিলে বা অনুরূপ কার্যক্রম অব্যাহত রাখিলে; বা
 
 
(খ) ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল হইয়া যাইবার পরেও উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্ষুদ্রঋণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করিলে; বা
 
 
(গ) সনদ প্রাপ্তির জন্য পেশকৃত আবেদনে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করিলে; বা
 
 
(ঘ) সনদে উল্লিখিত কোন শর্ত পালনে ব্যর্থ হইলে; বা
 
 
(ঙ) এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করিয়া কোন কার্যক্রম পরিচালনা করিলে; বা
 
 
(চ) এই আইন বা বিধির অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করিলে; বা
 
 
(ছ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লাভবান হইবার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করিলে ; বা
 
 
(জ) ক্ষুদ্র্‌ঋণ প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিলে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সর কারাদন্ডে, বা অনধিক ৫ (পাচঁ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দন্ডে, দন্ডনীয় হইবেন৷
অসহযোগিতার জন্য প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ
৩৬৷ এই আইনের অধীন কোন পরিদর্শন, তদন্ত বা নিরীক্ষাকালে কোন ক্ষুদ্‌্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিদর্শক, তদন্তকারী বা নিরীক্ষকের চাহিদা মোতাবেক কোন হিসাব বহি, হিসাব বা দলিল-দস্তাবেজ বা তথ্য সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হইলে বা জিজ্ঞাসাবাদে বাধা দিলে বা অসত্য সাক্ষ্য দিলে, কর্তৃপক্ষ, এই আইনের অধীন অন্য কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া তাহাকে, যুক্তিসংগত কারণ দর্শাইবার সুযোগ প্রদান করিয়া, এককালীন অনধিক ১ (এক) মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রশাসনিক জরিমানা করিতে পারিবে, যাহা তাহার বেতন হইতে কর্তন করিয়া আদায় করা যাইবে৷
প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ক্ষমতা
৩৭৷ (১) কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করিলে বা এই আইনের যে সকল বিধান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপনীয় সেই সকল ক্ষেত্রে, কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত লঙ্ঘন বা কৃত অপরাধের জন্য ফৌজদারী মামলা দায়ের না করিয়া উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট লঙ্ঘনকারী বা অপরাধীকে এই মর্মে নোটিশ দিবে যে, উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর তাহার দোষ স্বীকার করিয়া নোটিশে নির্ধারিত প্রশাসনিক জরিমানা উহাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রদানের মাধ্যমে দায়মুক্ত হইতে পারেন এবং এই বিষয়ে তাহার কোন বক্তব্য থাকিলে তাহা তিনি কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷
 
 
(৩) এই ধারার অধীন নোটিশ প্রদান পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন নোটিশ জারীর পর নোটিশে উল্লিখিত লঙ্ঘন বা অপরাধের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ স্বীকার করিয়া নোটিশে উল্লিখিত সম্পূর্ণ প্রশাসনিক জরিমানা জমা দিতে পারিবেন বা উক্ত জরিমানা কমানোর জন্য আবেদন করিতে পারিবেন বা অভিযোগ অস্বীকার করিয়া উহার সমর্থনে লিখিত জবাব ও প্রয়োজনীয় দলিল বা তথ্য দাখিল করিয়া উক্ত জরিমানার দায় হইতে অব্যাহতির আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আবেদন করা হইলে কর্তৃপক্ষ উহা বিবেচনাক্রমে তত্সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক অবিলম্বে আবেদনকারীকে উক্ত সিদ্ধান্তের বিষয় অবহিত করিবে৷
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
(৭) কোন লঙ্ঘনকারী বা অপরাধী এই ধারার অধীন তাহার উপর আরোপিত প্রশাসনিক জরিমানা উহা আরোপের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জমা দিলে বা নোটিশের প্রেক্ষিতে হাজির না হইলে উহা এই আইনের অধীন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে৷
প্রশাসনিক জরিমানা ও অর্থদন্ডের নিষ্পত্তি
৩৮৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন আদায়কৃত জরিমানা তহবিলে জমা হইবে৷
সন্দেহজনক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে তদন্ত
৩৯৷ কর্তৃপক্ষের নিকট যদি এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, বা বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘনক্রমে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করিতেছে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ বা তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা-
 
 
(ক) উক্ত ব্যক্তির দখলে, জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে আছে এমন কোন তথ্য, দলিল, নথিপত্র, বহি, হিসাব ও রেকর্ডপত্র উহার নিকট এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাখিল করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং
 
 
(খ) উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হইতেছে এমন যে কোন অঙ্গনে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে বা সংশ্লিষ্ট দলিল, নথিপত্র, বহি, হিসাব ও রেকর্ডপত্র আটক করিতে পারিবে৷
কোম্পানী, ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৪০৷ কোন কোম্পানী বা ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের এমন প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
ব্যাখ্যাঃ এই ধারায়-
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ এবং সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত; এবং
 
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ
৪১৷ কর্তৃপক্ষ বা তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উহার কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না৷
অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা
৪২৷ এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) ও জামিনযোগ্য (bailable) হইবে৷
ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
৪৩৷ এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs