প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

তৃতীয় অধ্যায়

কিশোর শ্রমিক নিয়োগ

শিশু ও কিশোর নিয়োগে বাধা-নিষেধ
৩৪৷ (১) কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷
 
 
(২) কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না, যদি না-
 
 
(ক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক তাহাকে প্রদত্ত সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র মালিকের হেফাজতে থাকে, এবং
 
 
(খ) কাজে নিয়োজিত থাকাকালে তিনি উক্ত প্রত্যয়নপত্রের উল্লেখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করেন
 
 
(৩) কোন পেশা বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরের শিক্ষাধীন হিসাবে অথবা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
(৪) সরকার যদি মনে করে যে, কোন জরুরী অবস্থা বিরাজমান এবং জনস্বার্থে ইহা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত সময়ের জন্য উপ-ধারা (২) এর প্রয়োগ স্থগিত ঘোষণা করিতে পারিবে৷
শিশু সংক্রান্ত কতিপয় চুক্তির ব্যাপারে বাধা-নিষেধ
৩৫৷ এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে, কোন শিশুর মাতা-পিতা বা অভিভাবক শিশুকে কোন কাজে নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিয়া কাহারও সহিত কোন চুক্তি করিতে পারিবেন না৷
 
 
ব্যাখ্যাঃ এই ধারায় "অভিভাবক" বলিতে শিশুর আইনগত হেফাজতকারী বা শিশুর উপর কর্তৃত্ব আছে এমন যে কোন ব্যক্তিকেও বুঝাইবে৷
বয়স সম্পর্কে বিরোধ
1[৩৬। যদি কোন ব্যক্তি শিশু নাকি কিশোর এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্কুল সার্টিফিকেট বা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত ব্যক্তির বয়স সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে উহা নিষ্পত্তি হইবে।]
সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র
৩৭৷ (১) কোন কিশোর কোন পেশা বা কোন প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য উপযুক্ত কিনা ইহা পরীক্ষা করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কিশোর বা তাহার পিতা-মাতা বা অভিভাবক কর্তৃক অনুরূদ্ধ হইলে, অথবা কোন মালিক কর্তৃক অনুরূপ ভাবে অনুরূদ্ধ হইলে, কোন রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কিশোরটিকে পরীক্ষা করিবেন এবং তাহার সক্ষমতা সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত দিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন কিশোর বা তাহার পিতা-মাতা বা অভিভাবক উক্তরূপ আবেদন পেশকালে আবেদনটির সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠানে কিশোর চাকুরী প্রার্থী, সে প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃক প্রদত্ত এই মর্মে পত্র সংযোজন করিতে হইবে যে, কিশোরটি সক্ষম বলিয়া প্রত্যয়িত হইলে তাহাকে চাকুরী প্রদান করা হইবে৷
 
 
(২) এই ধারার অধীন প্রদত্ত কোন সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র উহা প্রদানের তারিখ হইতে বারো মাস পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে৷
 
 
(৩) উক্তরূপ প্রত্যয়নপত্রের জন্য প্রদেয় ফিস মালিক প্রদান করিবেন, এবং ইহা সংশ্লিষ্ট কিশোর বা তাহার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের নিকট হইতে আদায় করা যাইবে না৷
ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আদেশ প্রদানের ক্ষমতা
৩৮৷ যে ক্ষেত্রে কোন পরিদর্শক এরূপ মত পোষণ করেন যে-
 
 
(ক) কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি কিশোর, কিন্তু তাহার সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র নাই; অথবা
 
 
(খ) উক্তরূপ প্রত্যয়নপত্রসহ কর্মরত কোন কিশোর প্রত্যয়নপত্রে উল্লিখিত কাজের জন্য আর সক্ষম নহেন;
 
 
সে ক্ষেত্রে তিনি নোটিশ মারফত মালিককে কোন রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কর্তৃক কিশোরটিকে পরীক্ষা করাইবার অনুরোধ করিতে পারিবেন, এবং কিশোরটি উক্তরূপ পরীক্ষান্তে সক্ষম বলিয়া প্রত্যয়িত না হওয়া পর্যন্ত অথবা কিশোরটি আর কিশোর নয় এই মর্মে প্রত্যয়িত না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে কোন কাজ না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা ঘোষণা ও কতিপয় কাজে কিশোর নিয়োগে বাধা
2[৩৯। (১) সরকার সময় সময়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঝুকিপূর্ণ কাজের তালিকা ঘোষণা করিবে।
 
 
(২) সরকার কর্তৃক ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাইবে না।
 
 
(৩) কোন প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় উহা পরিস্কারের জন্য, উহাতে তেল প্রদানের জন্য বা উহাকে সুবিন্যস্ত করার জন্য বা উক্ত চালু যন্ত্রপাতির ঘুর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে অথবা স্থির এবং ঘুর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে কোন কিশোরকে কাজ করিতে অনুমতি দেওয়া যাইবে না।]
বিপজ্জনক যন্ত্রপাতির কাজে 3[অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে] কিশোর নিয়োগ
৪০৷ (১) কোন কিশোর যন্ত্রপাতির কোন কাজ করিবেন না, যদি না-
 
 
(ক) তাহাকে উক্ত যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে এবং এই ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকেবহাল করানো হয়; এবং
 
 
(খ) তিনি যন্ত্রপাতিতে কাজ করার জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন, অথবা তিনি যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত অভিজ্ঞ এবং পুরোপুরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে কাজ করেন৷
 
 
(২) এই বিধান কেবলমাত্র ঐ সকল যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রযোজ্য হইবে যে সম্পর্ক সরকার বিজ্ঞপ্তি মারফত ঘোষণা করে যে, এইগুলি এমন বিপজ্জনক যে উহাতে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শর্তাদি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিশোরের পক্ষে কাজ করা উচিত নহে৷
 
 
4[***]
কিশোরের কর্ম-ঘন্টা
৪১৷ (১) কোন কিশোরকে কোন কারখানা বা খনিতে দৈনিক পাঁচ ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া হইবে না৷
 
 
(২) কোন কিশোরকে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দৈনিক সাত ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে বিয়াল্লিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷
 
 
(৩) কোন কিশোরকে কোন প্রতিষ্ঠানে সন্ধ্যা ৭-০০ ঘটিকা হইতে সকাল ৭-০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে কোন কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷
 
 
(৪) যদি কোন কিশোর অধিকাল কাজ করেন, তাহা হইলে অধিকালসহ তাহার কাজের মোট সময়-
 
 
(ক) কারখানা বা খনির ত্মেগত্রে, সপ্তাহে ছত্রিশ ঘন্টা;
 
 
(খ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ত্মেগত্রে, সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টা; এর অধিক হইবে না৷
 
 
(৫) কোন প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরের কাজের সময় দুইটি পালায় সীমাবদ্ধ রাখিতে হইবে, এবং উহার কোন পালার সময়সীমা সাড়ে সাত ঘন্টার বেশী হইবে না৷
 
 
(৬) কোন কিশোরকে কেবলমাত্র একটি রীলেতে নিয়োগ করা যাইবে এবং পরিদর্শকের নিকট হইতে লিখিত পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত ত্রিশ দিনের মধ্যে ইহা একবারের বেশী পরিবর্তন করা যাইবে না৷
 
 
(৭) এই আইনের অধীন সাপ্তাহিক ছুটি সংক্রান্ত্ম বিধান কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে এবং এই বিধানের প্রয়োগ কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রে স্থগিত করা যাইবে না৷
 
 
(৮) একই দিনে কোন কিশোর একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করিতে পারিবেন না৷
ভূগর্ভে ও পানির নীচে কিশোরের নিয়োগ নিষেধ
৪২৷ কোন কিশোরকে ভূগর্ভে বা পানির নীচে কোন কাজে নিয়োগ করা যাইবে না৷
কিশোরের কাজের সময়ের নোটিশ
৪৩৷ (১) কোন প্রতিষ্ঠানে কিশোর শ্রমিক নিযুক্ত থাকিলে উহাতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কিশোরের কর্মঘন্টা সম্পর্কে, তাহার কাজের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখসহ, একটি নোটিশ প্রদর্শন করিতে হইবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নোটিশে প্রদর্শিত সময়ে কাজ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে, প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের ত্মেগত্রে যেভাবে স্থির করা হয় সেভাবে স্থির করিতে হইবে, এবং ইহা এমন হইবে যেন উক্ত সময়ে কর্মরত কোন কিশোরকে এই আইনের খেলাপ কোন কাজ করিতে না হয়৷
 
 
(৩) কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পূর্ণ বয়স্ক শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এতদসংক্রান্ত্ম বিধান উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
(৪) সরকার বিধি দ্বারা উক্ত নোটিশের ফরম এবং উহা রতগণাবেতগণের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
কতিপয় ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শ্রমিক নিয়োগে বিধি-নিষেধ
5[ ৪৪। কোনো প্রতিবন্ধী শ্রমিককে বিপজ্জনক যন্ত্রপাতির কাজে অথবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাইবে না।]

  • 1
    ধারা ৩৬ বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    ধারা ৩৯ বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    "অথবা ঝুকিপূর্ণ কাজে" শব্দসমূহ “কাজে” শব্দটির পর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ১৯(ক) ধারাবলে সংযোজিত।
  • 4
    উপ-ধারা (৩) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ১৯(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 5
    ধারা ৪৪ বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs