প্রিন্ট ভিউ
ত্রয়োদশ অধ্যায়
ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সম্পর্ক
1[১৭৫। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে এবং ধারা ১(৪) ও ২(৬৫) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই অধ্যায়ে “শ্রমিক” অর্থ ধারা ২(৬৫) এ সংজ্ঞায়িত “শ্রমিক” এর পাশাপাশি স্ব-নিয়োজিত শ্রমিক, দৈনিক বা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিক, কিংবা কোনো ডিজিটাল শ্রম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিয়োজিত ব্যক্তি, এবং এই অধ্যায়ের অধীন শিল্পবিরোধ সম্পর্কে কোনো কার্যধারার প্রয়োজনে, উক্ত বিরোধের সূত্রে অথবা বিরোধের ফলে লে-অফকৃত, ছাঁটাইকৃত, ডিসচার্জকৃত, বরখাস্তকৃত অথবা অন্যভাবে চাকুরি হইতে অপসারিত কোনো শ্রমিক অথবা যাহার লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা অপসারণ হইতে উক্ত বিরোধ উত্থিত হইয়াছে এইরূপ কোনো শ্রমিক ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন, কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের পাহারা টহলদারি অথবা নিরাপত্তা স্টাফ, অগ্নি-নির্বাপক স্টাফের কোনো সদস্য এবং গোপনীয় সহকারী ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না।
(২) প্রশাসনিক, তদারকি কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তাহাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়া আলাদাভাবে অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি গঠন করিতে পারিবেন।]
১৭৬৷ এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে-
(ক) মুখ্যতঃ শ্রমিক এবং মালিকের সম্পর্ক, অথবা শ্রমিক এবং শ্রমিকের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে কোন পার্থক্য ছাড়াই সকল শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র সাপেক্ষে তাহাদের নিজস্ব পছন্দের ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের অধিকার থাকিবে;
3[(কক) মুখ্যত প্রশাসনিক, তদারকি কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত এমন ব্যবস্থাপনামূলক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের তাহাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো পার্থক্য ছাড়াই অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি গঠন করিবার এবং সংশ্লিষ্ট সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে তাহাদের নিজস্ব পছন্দের সমিতিতে যোগদানের অধিকার থাকিবে;]
(খ) মুখ্যতঃ মালিক এবং শ্রমিকের সম্পর্ক, অথবা মালিক এবং মালিকের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে কোন পার্থক্য ছাড়াই সকল মালিকের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র সাপেক্ষে তাহাদের নিজস্ব পছন্দের ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের অধিকার থাকিবে;
(গ) শ্রমিকগণের এবং মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়নের ফেডারেশন গঠন করার এবং উহাতে যোগদান করার অধিকার থাকিবে, এবং উক্তরূপ কোন ইউনিয়ন বা ফেডারেশন এর শ্রমিক অথবা মালিকগণের সংগঠনের কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কনফেডারেশনের সহিত সম্বন্ধীকরণের অধিকার থাকিবে; এবং
(ঘ) ট্রেড ইউনিয়নসমূহের এবং মালিকদের সমিতিসমূহের নিজস্ব গঠনতন্ত্র ও বিধিমালা প্রণয়নের, সম্পূর্র্র্ণ স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রতিনিধদের নির্বাচনের, সমিতির প্রশাসন ও কর্মতত্পরতা, সংগঠনের এবং কর্মসূচী প্রণয়নের অধিকার থাকিবে4[;
(ঙ) যে প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হইবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মোট শ্রম শক্তি বা সদস্যের শতকরা ২০ ভাগ নারী থাকিলে সে ক্ষেত্রে ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটিতে ন্যূনতম ১০% নারী সদস্য থাকিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন দ্বারা যে ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন হইবে সেই ইউনিয়ন এই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে।]
১৭৮৷ (১) কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত শ্রম পরিচালকের অথবা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পেশ করিতে হইবে৷
(২) উক্ত দরখাস্তের সহিত নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সংযোজিত থাকিবে, যথাঃ-
(ক) নিম্নলিখিত তথ্য সরবরাহ করিয়া একটি বিবরণ, যথাঃ-
(১) ট্রেড ইউনিয়নের নাম এবং উহার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা,
(২) ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের তারিখ,
7[ (৩) ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাগণের নাম, পিতা ও মাতার নাম, বয়স, 8[***], পেশা এবং ইউনিয়নে তাহাদের পদ এবং অনানুষ্ঠানিক সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ছবিসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ,]
(৪) সকল চাঁদা দানকারী সদস্যগণের বিবরণ,
(৫) যে প্রতিষ্ঠানের সহিত ট্রেড ইউনিয়নটি সংশ্লিষ্ট উহার নাম, এবং উহাতে নিযুক্ত বা কর্মরত শ্রমিকের মোট 9[সংখ্যা, এবং এই উপ-দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিষ্ঠানে কতজন শ্রমিক কর্মরত রহিয়াছেন, সেই বিষয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের কোনো শ্রমিক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট প্রত্যয়ন চাহিলে তাহা ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে সরবরাহ করিতে হইবে,]
(৬) কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ক্ষেত্রে, উহার সদস্য ইউনিয়নের নাম, ঠিকানা ও রেজিস্ট্রি নম্বর৷
10[(খ) সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সভাপতির স্বাক্ষরিত এবং অনুমোদিত গঠনতন্ত্র;]
11[***]
(ঘ) ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ক্ষেত্রে, উহার সদস্য হওয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করিয়া প্রত্যেক সদস্য ইউনিয়ন কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবের একটি কপি;
12[(২ক) ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের কোনো ব্যক্তিগত তথ্য, যাহা এই ধারা অনুসারে রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়া হইয়াছে তাহা মালিকসহ অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ করা যাইবে না।]
13[ ***]
১৭৯৷ (১) এই অধ্যায়ের অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হইবে না, যদি না উহার গঠনতন্ত্রে নিম্নলিখিত বিষয়াদির বিধান থাকে, যথাঃ-
(ক) ট্রেড ইউনিয়নের নাম ও ঠিকানা;
(খ) ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্য;
14[ (গ) কোনো শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পদ্ধতি এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে সদস্যপদ গ্রহণের ঘোষণা;]
(ঘ) ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের উত্স এবং উক্ত তহবিল কি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে তাহার বর্ণনা 15[ :
তবে শর্ত থাকে যে, ইউনিয়নের চাঁদা ব্যতিরেকে দেশি বা বিদেশি অন্য কোনো উৎস হইতে অর্থ সংগ্রহ করিবার ক্ষেত্রে তাহা সরকারকে অবহিত করিতে হইবে;]
(ঙ) ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র কর্তৃক নিশ্চিত কোন সুবিধা কোন সদস্য কর্তৃক পাওয়ার অধিকারী হওয়ার জন্য শর্ত এবং কোন সদস্যের উপর জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদানের শর্ত;
(চ) ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ এবং উহার কর্মকর্তা ও সদস্য কর্তৃক উহা পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা;
(ছ) গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, সংশোধন ও বাতিলের পন্থা;
(জ) ট্রেড ইউনিয়ন তহবিলের নিরাপদ 16[ সংরক্ষণ], উহার বাত্সরিক নিরীক্ষা, নিরীক্ষার পন্থা, এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও উহার সদস্য কর্তৃক উহার হিসাব বই পরিদর্শনের পর্যাপ্ত সুবিধা;
(ঝ) ট্রেড ইউনিয়ন অবলুপ্তির পন্থা;
(ঞ) ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক উহার কর্মকর্তা নির্বাচনের পন্থা, এবং কর্মকর্তাগণের কার্যকালের মেয়াদ যাহা কোন ক্ষেত্রেই 17[৩(তিন)] বত্সরের বেশী হইবে না 18[ এবং প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণের কার্যকালের মেয়াদ তিন বৎসরের বেশী হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Force majure) বা অনুরূপ কোন কারণে ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে 19[৩(তিন)] বৎসর অথবা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে ৩ বৎসরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলেও উক্ত কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করা যাইবে না।]
20[(ট) কর্মকর্তার সংখ্যা ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে;]
(ঠ) ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশের পদ্ধতি; এবং
21[(ড) ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ সদস্যদের সভা আহ্বান করিবার বিষয়টি গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হইবে, তবে সাধারণ সদস্যদের সভা বৎসরে অন্তত একবার আয়োজন করিতে হইবে;]
22[(২) কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্যূন ২০ জন শ্রমিক একত্রিত হইয়া এই অধ্যায়ের অধীন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রিকরণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন, তবে শ্রমিকগণের কোনো ট্রেড ইউনিয়ন এই অধ্যায়ের অধীন রেজিস্ট্রিকরণের অধিকারী হইবে না, যদি না উহার সদস্য সংখ্যা যে প্রতিষ্ঠানে উহা গঠিত হইয়াছে, সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগণের মোট সংখ্যার নিম্নরূপভাবে নির্ধারিত হয়:
(ক) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংখ্যা ২০ জন হইতে ৩০০ জন পর্যন্ত ২০ জন;
(খ) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংখ্যা ৩০১ জন হইতে ৫০০ জন পর্যন্ত ৪০ জন;
(গ) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংখ্যা ৫০১ জন হইতে ১৫০০ জন পর্যন্ত ১০০ জন;
(ঘ) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংখ্যা ১৫০১ জন হইতে ৩০০০ জন পর্যন্ত ৩০০ জন; এবং
(ঙ) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংখ্যা ৩০০১ জন হইতে তদূর্ধ্ব পর্যন্ত ৪০০ জন।]
23[(২ক) মহাপরিচালক অথবা এতৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ হইতে তালিকা সংগ্রহ করিয়া অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে ধারা ১৭৮ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (৫) এবং এই ধারায় বর্ণিত বিষয়াদির সঠিকতা যাচাই করিবেন;]
(৩) যে ক্ষেত্রে কোন দুই বা ততোধিক প্রতিষ্ঠান একই মালিকের অধীন কি না, অথবা একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে উহারা পরস্পর সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত কি না এইরূপ কোন সন্দেহ বা বিরোধ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করা যাইবে৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন শ্রম পরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি সিদ্ধান্তপ্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবেন, এবং এই বিষয়ে শ্রম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
24[(৫) কোনো প্রতিষ্ঠানে অথবা প্রতিষ্ঠানপূঞ্জে ধারা ১৭৫ এর উপ-ধারা (১) এবং (২) এর অধীন শ্রমিকগণের বা ব্যক্তিগণের বা কর্মকর্তাগণের বা মালিকগণের প্রতিক্ষেত্রে কোনো সময়ে ০৫ (পাঁচ) টির অধিক রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা যাইবে না।]
১৮০। (১) কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি উহার কর্মকর্তা অথবা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-
(ক) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যসত্দ হইয়া থাকেন, অথবা ধারা ১৯৬(২)(ঘ) অথবা ধারা ২৯৮ এর অধীন কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যসত্দ হইয়া থাকেন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর দুই বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
(খ) যে প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হইয়াছে সে প্রতিষ্ঠানে তিনি শ্রমিক হিসাবে নিয়োজিত বা কর্মরত না থাকেন 25[26[।
27[***]
(২) উপ-ধারা (১)(খ) এর কোন কিছুই কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ৰেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
১৮২৷ (১) 28[ মহাপরিচালক], কোন ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক এই অধ্যায়ের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়াদি পালিত হইয়াছে 29[এই মর্মে নিশ্চিত হইবার পর], বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে উহাকে রেজিস্ট্রি করিবেন, এবং রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত প্রাপ্তির 30[ পঞ্চান্ন] দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি রেজিস্ট্রিকরণ-প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবেন৷
(২) যদি 31[ মহাপরিচালক] উক্ত দরখাস্তে অত্যাবশ্যক কোন তথ্যের অসম্পূর্র্র্ণতা দেখিতে পান তাহা হইলে তিনি দরখাস্ত প্রাপ্তির 32[ বারো] দিনের মধ্যে উক্ত বিষয়ে তাহার আপত্তি ট্রেড ইউনিয়নকে লিখিতভাবে জানাইবেন, এবং ট্রেড ইউনিয়ন উহা প্রাপ্তির পনর দিনের মধ্যে ইহার জবাব দিবে 33[ । ] 34[***]
(৩) যখন শ্রম পরিচালক কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তি সন্তোষজনকভাবে মিটানো হয়, তখন তিনি উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়নটিকে রেজিস্ট্রি করিবেন; এবং উহা যদি সন্তোষজনক ভাবে মিটানো না হয়, তাহা হইলে তিনি দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করিবেন৷
(৪) যে ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক কোন দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করেন অথবা আপত্তি মিটানোর পরেও উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত 35[ পঞ্চান্ন] দিন সময়সীমার মধ্যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি না করেন, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন উক্তরূপ প্রত্যাখ্যানের তারিখ অথবা উল্লিখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার তারিখ, যাহা আগে হইবে, উহা হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷
(৫) শ্রম আদালত আপীলটি শুনানীর পর উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, উহার রায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া শ্রম পরিচালককে ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রি করিবার জন্য এবং উহার তারিখ হইতে সাত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে অথবা আপীলটি খারিজ করিতে পারিবে৷
(৬) উপ-ধারা (৫) অনুসারে শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ শ্রম আদালতের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শ্রম আপীল আদালতে আপলি দায়ের করিতে পারিবেন৷
36[ (৭) রেজিস্ট্রেশনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]
37[(৮) রেজিস্ট্রেশন প্রদানের কার্যপ্রণালির আওতায় কোনো বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে, সে বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে গঠিত তদারকি কমিটির সুপারিশের আলোকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করিতে হইবে।]
১৮৩৷ (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্যে কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ একটি প্রতিষ্ঠান বলিয়া বিবেচিত হইবে, এবং এই প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কোন স্বতন্ত্র ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাইবে না৷
(২) এই ধারার উদ্দেশ্যে কোন “প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ” বলিতে কোন নির্ধারিত এলাকায় একই প্রকারের কোন নির্ধারিত শিল্পে নিয়োজিত এবং অনধিক বিশ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছেন- এইরূপ সকল প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে৷
(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন নির্ধারিত এলাকায় নিম্নবর্ণিত যে কোন শিল্প পরিচালনারত সকল প্রতিষ্ঠান, উহাদের প্রত্যেকটিতে নিযুক্ত শ্রমিকসংখ্যা যাহাই থাকুক না কেন, উক্ত এলাকার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-
38[(ক) বাস,মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ইত্যাদি ব্যক্তি মালিকানাধীন যান্ত্রিক সড়ক পরিবহন;
(কক) রিক্সা, রিক্সাভ্যান, ঠেলাগাড়ী ইত্যাদি ব্যক্তি মালিকানাধীন অযান্ত্রিক সড়ক পরিবহন;]
(খ) ব্যক্তি মালিকানাধীন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন;
(গ) অনূর্ধ ১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত দর্জি ও পোষাক প্রস্তুতকারী শিল্প;
(ঘ) চা শিল্প;
(ঙ) জুট বেলিং;
(চ) চামড়া শিল্প;
(ছ) বিড়ি;
(জ) হস্তচালিত তাঁত;
(ঝ) হোশিয়ারী;
(ঞ) ছাপাখানা;
(ট) অনধিক পঁচিশ অতিথি কক্ষবিশিষ্ট হোটেল অথবা মোটেল;
(ঠ) হোটেলের অংশ হিসাবে নহে-এমন রেস্তোরাঁ;
(ড) ক্ষুদ্র ধাতব শিল্প;
(ঢ) বই-বাঁধাই;
(ণ) সিনেমা এবং থিয়েটার39[;
(ত) জাহাজ নির্মাণ ;
(থ) জাহাজ পুন: প্রক্রিয়াজাতকরণ (রিসাইক্লিং)
(দ) নির্মাণ শ্রমিক ;
(ধ) চাতাল বা চাল কল শ্রমিক ;
(ন) কৃষি খামার 40[;]]
41[(প) গৃহ পরিচারক;]
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যদি জাতীয় স্বার্থে উচিত বলিয়া মনে করে, তাহা হইলে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপরোক্ত শিল্পের তালিকার সহিত অন্য কোন শিল্প যোগ করিতে পারিবে৷
(৪) উপ-ধারা (২) অথবা (৩) এ উল্লিখিত নির্ধারিত এলাকা বলিতে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এতদউদ্দেশ্যে কোন নির্ধারিত শিল্পের জন্য নির্ধারিত কোন এলাকা বুঝাইবে; এবং উক্তরূপ এলাকা জাতীয়, আঞ্চলিক অথবা স্থানীয় ভিত্তিতে নির্ধারিত হইতে পারিবে; এবং ভিন্ন ভিন্ন শিল্পের জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারণ করা যাইবে৷
(৫) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নির্ধারিত শিল্প বলিতে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এতদ্উদ্দেশ্যে নির্ধারিত কোন শিল্পকে বুঝাইবে৷
(৬) কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রি করা যাইবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিকের মোট সংখ্যার অন্যুন 42[২০ (বিশ) জন] উহার সদস্য হয়৷
(৭) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে এরূপ বিধান থাকে যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত নহেন এরূপ কোন ব্যক্তি উহার কর্মকর্তা নির্বাচিত হইতে বা থাকিতে পারিবেন-তাহা হইলে উক্তরূপ কোন ব্যক্তি উহার কোন কর্মকর্তা নির্বাচিত হইতে বা থাকিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন অবস্থাতেই উক্তরূপ ব্যক্তির সংখ্যা উহার মোট কর্মকর্তার সংখ্যার এক-চতুর্থাংশের অধিক হইতে পারিবে না৷
(৮) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, কোন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অধ্যায়ের অন্য সকল ধারা কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷
43[***]
১৮৫৷ 44[(১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সমুদ্রগামী জাহাজে সাধারণত কর্মরত থাকেন এইরূপ নাবিকগণ (Seafarers) যথা- অফিসার ও রেটিংস, তাহাদের স্ব-স্ব ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে অফিসার ও রেটিংসদের স্ব-স্ব ইউনিয়ন যৌথ দর কষাকষি চুক্তি স্বাক্ষর করিতে পারিবেন।]
(২) কোন নাবিক উক্তরূপ কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইবেন না যদি না তাহার একটি অবিচ্ছিন্ন ডিসচার্জ প্রত্যয়নপত্র থাকে অথবা বাণিজ্যিক জাহাজ ব্যবসায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে নাবিক হিসাবে নিযুক্তির কোন নিয়োগ পত্র থাকে৷
45[***]
47[১৮৫ক। (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, 48[***] বন্দর কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিযুক্ত কর্মচারীগণ তাহাদের নিজস্ব ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।
(২) 49[***] বন্দর কর্তৃপক্ষে নিযুক্ত কর্মচারীগণ তাহাদের স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষে কেবল একটি করিয়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।
(৩) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, 50[***] বন্দর ব্যবহারকারী, বার্থ-অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর ও বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগ পত্রসহ কাজে নিযুক্ত শ্রমিক ও কর্মচারীগণ সমষ্টিগতভাবে স্ব-স্ব বন্দরে কেবল একটি করিয়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।
(৪) 51[***] বন্দর কর্তৃপক্ষে শ্রমিক নিয়োগকারী মালিকগণ স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষে সমষ্টিগতভাবে কেবল একটি করিয়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে পারিবেন।
(৫) কোন শ্রমিক বা কর্মচারী উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইতে পারিবেন না, যদি না-
(ক) তিনি বন্দর ব্যবহারকারী, বার্থ-অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর ও বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ১(এক) বৎসর অধিককাল 52[নিরবচ্ছিন্নভাবে] নিযুক্ত থাকেন ; এবং
(খ) তাহার শ্রমিক বা কর্মচারী হিসাবে নিযুক্তির কোন নিয়োগ পত্র থাকে।
(৬) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০০৯ কার্যকর হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এই ধারার বিধান অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করিতে হইবে।
53[(৭) এই আইনের অন্যান্য ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, জনস্বার্থে-
(ক) এই ধারার অধীন গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যেকোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে; এবং
(খ) ধারা ১৯০ এর অধীন যে কোনো ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।]
(৮) এই আইনের অন্যান্য ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, জনস্বার্থে,-
(ক) এই ধারার অধীন গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যে কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ; এবং
(খ) ধারা ১৯০ এর অধীন যে কোন ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ, করিতে পারিবে।]
১৮৮। 55[(১) কোনো ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের প্রত্যেক সংশোধন, উহার কর্মকর্তার প্রত্যেক পরিবর্তন, এবং উহার নাম ও ঠিকানার পরিবর্তন উক্তরূপ সংশোধন বা পরিবর্তনের ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অথবা হাতে হাতে নোটিশ প্রদান করিয়া মহাপরিচালককে অবহিত করিতে হইবে, এবং মহাপরিচালক নোটিশ প্রাপ্তির পর, উক্তরূপ সংশোধন বা পরিবর্তন এই আইন এবং তদনুযায়ী প্রণীত বিধি অনুযায়ী হইলে, ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রিকরণপূর্বক সঙ্গে সঙ্গে উহার একটি কপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক প্রতিনিধিকে এবং মালিককে তাহার অবগতির জন্য প্রেরণ করিবেন।]
56[ (২) মহাপরিচালক উক্তরূপ কোনো সংশোধন বা পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিতে পারিবেন যদি উহা এই অধ্যায়ের কোনো বিধানের খেলাপ করিয়া করা হয়।]
(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনকে উহার সহিত কোন নূতন সদস্য ইউনিয়নের সংযুক্তি অথবা উহা হইতে কোন সদস্য ইউনিয়নের বিযুক্তি সম্পর্কে, উহা সংগঠিত হওয়ার ষাট দিনের মধ্যে, রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরিত নোটিশ মারফত শ্রম পরিচালককে অবহিত করিতে হইবে।
57[(৪) যদি কোনো ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের বিষয়ে বিরোধ থাকে, তাহা হইলে উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মহাপরিচালক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।]
(৫) শ্রম আদালত উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আপীল প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে উহার শুনানীর পর, উপযুক্ত বিবেচনা করিলে উহার রায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংশিস্নষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের সংশোধন অথবা উহার কর্মকর্তার পরিবর্তন রেজিস্ট্রি করার জন্য শ্রম পরিচালককে নির্দেশ দিতে, অথবা শ্রম পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়নের নূতন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।
১৯০৷ (১) এই ধারার অন্য বিধান সাপেক্ষে, শ্রম পরিচালক কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি 58[বাতিলের জন্য আবেদন] করিতে পারিবেন, যদি-
59[ (ক) রেজিস্ট্রি বাতিলের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দরখাস্ত করে;]
(খ) উহার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়;
(গ) উহা প্রতারণা অথবা কোন তথ্যের মিথ্যা বর্ণনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রি হাসিল করিয়া থাকে 60[যাহা বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে];
61[ ***]
(ঙ) উহা কোন অসত্ শ্রম আচরণ করিয়া থাকে;
(চ) উহার সদস্য সংখ্যা এই অধ্যায়ের অধীন প্রয়োজনীয় সংখ্যার নীচে নামিয়া যায়; অথবা
(ছ) উহা এই অধ্যায় বা কোন বিধির বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে৷
(২) যে ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক তদন্তান্তে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করা উচিত, সে ক্ষেত্রে তিনি উহার রেজিস্ট্রি বাতিল করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিয়া শ্রম আদালতে দরখাস্ত পেশ করিবেন৷
(৩) শ্রম পরিচালক শ্রম আদালত হইতে অনুমতি প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করিয়া দিবেন৷
(৪) কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি উপ-ধারা (১) (ঙ) অনুযায়ী বাতিল করা যাইবে না যদি না উক্ত ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক অভিযোগে বর্ণিত অসত্ শ্রম আচরণ সংঘঠিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে শ্রম আদালতে দরখাস্ত করা হয়৷
১৯৫৷ 62[ (১)] কোন মালিক অথবা মালিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা তাহাদের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি-
(ক) কোন চাকুরী চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের কোন ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করা অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নে উহার সদস্য পদ চালু রাখার অধিকারের উপর বাধাসম্বলিত কোন শর্ত আরোপ করিবেন না;
(খ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন অথবা নহেন-এই অজুহাতে তাহার চাকুরীতে নিয়োজিত করিতে অথবা নিয়োজিত রাখিতে অস্বীকার করিবেন না;
(গ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন অথবা নহেন-এই অজুহাতে তাহার চাকুরীতে নিযুক্তি, পদোন্নতি, চাকুরীর শর্তাবলী অথবা কাজের শর্তাবলী সম্বন্ধে তাহার বিরুদ্ধে কোন বৈষম্য করিবেন না;
(ঘ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য অথবা কর্মকর্তা আছেন অথবা হইতে চাহেন, অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন, এই কারণে অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠন, কার্যকলাপ ও উহার প্রসারে অংশগ্রহণ করেন এই কারণে তাহাকে চাকুরী হইতে বরখান্ত, ডিসচার্জ অথবা অপসারণ করা যাইবে না বা উহা করার ভয় প্রদর্শন করা যাইবে না, অথবা তাহার চাকুরীর কোন প্রকার ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া যাইবে না;
(ঙ) কোন শ্রমিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন সুযোগ দিয়া বা সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করিয়া অথবা তাহার জন্য সুযোগ সংগ্রহ করিয়া অথবা সংগ্রহ করার প্রস্তাব দিয়া তাহাকে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হইতে বিরত রাখার জন্য অথবা উক্ত পদ ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করিবেন না;
(চ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক, শারীরিক আঘাত, পানি, শক্তি এবং টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করিয়া অথবা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া কোন যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি কর্মকর্তাকে কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়ার অথবা নিষ্পত্তিনামায় দস্তখত করার জন্য বাধ্য করিবেন না বা বাধ্য করার চেষ্টা করিবেন না;
(ছ) ধারা ২০২ এর অধীন কোন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিবেন না অথবা কোনভাবে ইহা প্রভাবিত করিবেন না;
(জ) ধারা ২১১ এর অধীন কোন ধর্মঘট চলাকালে অথবা অবৈধ নহে এরূপ কোন ধর্মঘট চলাকালে, কোন নূতন শ্রমিক নিয়োগ করিবেন না, তবে সালিস যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্র্র্ণ কর্ম বিরতির কারণে উহার যন্ত্রপাতি অথবা অন্য কোন স্থাপনার ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা আছে তাহা হইলে তিনি, প্রতিষ্ঠানের যে বিভাগে বা শাখায় অনুরূপ ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা আছে সেখানে সীমিত সংখ্যক অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করিতে অনুমতি দিতে পারিবেন;
(ঝ) অংশগ্রহণকারী কমিটির কোন সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইবেন না;
(ঞ) কোন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত কোন পত্রের উত্তর দিতে ব্যর্থ হইবেন না;
(ট) ধারা ১৮৭ এর বিধান ভংগ করিয়া কোন ট্রেড ইউনিয়নের 63[সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা কোনো কর্মকর্তাকে] বদলী করিবেন না; 64[***]
(ঠ) কোন বে-আইনী লক-আউট শুরু করিবেন না বা চালু রাখিবেন না অথবা উহাতে অংশ গ্রহণের জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করিবেন না।
65[(ড) কোনো শ্রমিক বা ইউনিয়নের কোনো সদস্যকে কোনো কারণে চাকুরির অবসান করা হইলে, ব্ল্যাক লিস্টিং (Black listing) করিয়া নোটিশ জারি বা ডাটাবেইজ এ অন্তর্ভুক্ত করিবেন না;
(ঢ) মালিক বা মালিকদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠাকে উদ্বুদ্ধ করিবেন না;
(ণ) মালিক বা মালিকদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক সংগঠনকে রাখিবার উদ্দেশ্যে আর্থিক বা অন্য কোনরূপ সহায়তা করিবেন না;
(ত) পক্ষপাতমূলকভাবে বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা এবং অন্য ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করিবেন না;
(থ) চাকুরির শর্তাবলি লঙ্ঘন করিয়া কোনো শ্রমিককে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং মালিকের বিরুদ্ধে আইন বা প্রবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের বা কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণের কারণে, হেল্পলাইনসহ, বা উপযুক্ত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের আশ্রয় নেওয়ার কারণে, অথবা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অসৎ শ্রম আচরণ তদন্তে সাক্ষ্য প্রদানের কারণে কর্মক্ষেত্রে কোনো প্রতিশোধমূলক (Retaliation) ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন না।]
66[ (২) অসৎ শ্রম আচরণ বিষয়ক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]
70[ ১৯৬ক। (১) শ্রমিক কর্তৃক ট্রেড ইউনিয়ন প্রক্রিয়া চলাকালে অথবা রেজিস্ট্রেশন দরখাস্ত অনিষ্পন্ন থাকাকালে অথবা রেজিস্ট্রেশনের পরে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরির শর্তাবলি লঙ্ঘন এবং কর্মস্থলে প্রতিশোধমূলক (retaliation) কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিলে ইহা উক্ত মালিকের পক্ষে এন্টি-ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন হইবে।
71[(১ক) যদি মালিক শ্রমিকদের চাকুরির শর্তাবলি লঙ্ঘন করেন এবং ধারা ১৯৫ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অসৎ শ্রম আচরণ তদন্তের আবেদনের কারণে কর্মক্ষেত্রে কোনো প্রতিশোধমূলক (Retaliation) ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তবে তাহা এন্টি ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন বলিয়া গণ্য হইবে।]
(২) এন্টি-ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন বিষয়ক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]
72[১৯৬খ। (১) যদি মালিক ধারা ১৯৫(১) এ উল্লিখিত কোনো অসৎ শ্রম আচরণ করেন অথবা ধারা ১৯৬ক(১) এ উল্লিখিত উপায়ে শ্রমিকের প্রতি বৈষম্য করেন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মালিককে মহাপরিচালক কর্তৃক অবিলম্বে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করিবার নির্দেশ দেওয়া যাইবে, যদি এই ধরনের কার্যকলাপের কারণে কোনো শ্রমিকের ক্ষতি হয়, তাহা হইলে মালিককে উক্ত ক্ষতি পুনরুদ্ধারসহ আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানেরও আদেশ মহাপরিচালক কর্তৃক দেওয়া যাইবে।
(২) শ্রম অধিদপ্তরের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) অনুসারে সম্পন্ন হইবে।]
২০২। (১) যে ৰেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একটিমাত্র ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সে ৰেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য উহা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সে ক্ষেত্রে 76[ ইউনিয়ন সমূহ নিজেদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নপূর্বক যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (CBA) নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে অথবা] কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা মালিক এতদ্উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করিলে শ্রম পরিচালক দরখাস্ত প্রাপ্তির একশত বিশ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানে কোন্ ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হইবে, ইহা নির্ধারণের জন্য গোপন ভোটের ব্যবস্থা করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন দরখাসত্দ প্রাপ্তির পর শ্রম পরিচালক লিখিত নোটিশ দ্বারা সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের সকল ট্রেড ইউনিয়নকে নোটিশে উলিস্নখিত সময়ের মধ্যে, যাহা পনের দিনের অধিক হইবে না, গোপন ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবে কি না ইহা জানাইবার জন্য নির্দেশ দিবেন।
(৪) যদি কোন ট্রেড ইউনিয়ন উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নোটিশের উলিস্নখিত সময় সীমার মধ্যে গোপন ব্যালটে উহার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে শ্রম পরিচালককে কিছু জানাইতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উহা, উক্ত ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবে না বলিয়া বুঝিতে হইবে।
(৫) যদি নোটিশে উলিস্নখিত সময়-সীমার মধ্যে কোন ট্রেড ইউনিয়নই গোপন ব্যালটে উহার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে শ্রম পরিচালককে কিছুই না জানায় তাহা হইলে যে ট্রেড ইউনিয়ন উপ-ধারা (২) এর অধীন দরখাসত্দ করিয়াছে উহাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে ঘোষণা করা হইবে, যদি প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকগণের মোট সংখ্যার অনূ্যন এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিক উহার সদস্য থাকে।
(৬) শ্রম পরিচালক কর্তৃক অনুরোদ্ধ হইলে প্রত্যেক মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে, বদলী ও সাময়িক শ্রমিক ব্যতীত, অনূ্যন তিন মাস যাবত নিযুক্ত আছেন এমন সকল শ্রমিকের একটি তালিকা তাহার নিকট প্রেরণ করিবেন, এবং উক্ত তালিকায় নিম্নলিখিত তথ্য সনি্নবেশিত থাকিবে, যথাঃ-
(১) প্রত্যেক শ্রমিকের নাম,
(২) তাহার পিতা ও মাতার নাম ও বয়স,
(প্রযোজ্য ৰেত্রে স্বামী/স্ত্রীর নামও দিতে হইবে)
(৩) তাহার শাখা বা বিভাগের নাম,
(৪) তাহার কর্মস্থলের নাম,
(৫) তাহার টিকেট নম্বর এবং নিয়োগের তারিখ।
(৭) শ্রম পরিচালক কর্তৃক অনুরোদ্ধ হইলে, প্রত্যেক মালিক উপ-ধারা (৬) এ উলিস্নখিত তালিকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত কপি সরবরাহ করিবেন এবং উক্তরূপ সরবরাহকৃত তালিকার সত্যতা যাচাই করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করিবেন।
(৮) মালিকের নিকট হইতে শ্রমিকগণের তালিকা প্রাপ্তির পর শ্রম পরিচালক উহার একটি করিয়া কপি প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রত্যেক ট্রেড ইউনিয়নের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং একটি কপি তাহার অফিসের কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া দিবেন এবং আরেকটি কপি সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া দিবেন, এবং উহার সহিত একটি নোটিশ দ্বারা উহাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত তালিকা সম্পর্কে কাহারও কোন আপত্তি থাকিলে তাহা তাহার নিকট পেশ করিবার জন্য আহবান করিবেন।
(৯) শ্রম পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন আপত্তি পাইলে তিনি তাহা প্রয়োজনীয় তদনত্দানত্দে নিষ্পন্ন করিবেন।
(১০) শ্রম পরিচালক উপ-ধারা (৯) এর অধীন তাহার প্রদত্ত সিদ্ধানত্দ মোতাবেক মালিক কতর্ৃক সরবরাহকৃত শ্রমিকগণের তালিকার প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পরিবর্তন করিবেন।
(১১) উপ-ধারা (১০) এর অধীন কোন সংশোধন অথবা পরিবর্তনের পর, অথবা যে ৰেত্রে শ্রম পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন আপত্তি পান নাই সে ৰেত্রে, উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকগণের একটি চূড়ানত্দ তালিকা প্রস্তুত করিবেন এবং উহা যথাযথভাবে প্রত্যয়ন করিয়া উহার কপি সংশিস্নষ্ট মালিক এবং প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ট্রেড ইউনিয়নের নিকট ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের অনত্দতঃ সাত দিন পূর্বে প্রেরণ করিবেন।
(১২) উপ-ধারা (১১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত এবং প্রত্যয়িত শ্রমিকগণের তালিকা ভোটার তালিকা বলিয়া গণ্য হইবে, এবং উক্ত তালিকায় যে শ্রমিকের নাম থাকিবে, তিনি যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকারী হইবেন।
(১৩) প্রত্যেক মালিক শ্রম পরিচালক কতর্ৃক অনুরোদ্ধ হইলে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করিবেন, কিন্তু তিনি নির্বাচনের ব্যাপারে কোনরূপ হসত্দৰেপ করিবেন না বা কোনভাবে তাহার প্রভাব খাটাইবেন না।
(১৪) ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের পঁয়তালিস্নশ মিটারের মধ্যে কোন ব্যক্তি ভোট প্রার্থনা করিতে পারিবেন না।
(১৫) যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য গোপন ভোট গ্রহণের উদ্দেশ্যে শ্রম পরিচালক-
(ক) ভোট গ্রহণের তারিখ ঠিক করিবেন, এবং ইহা প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নকে এবং প্রত্যেক মালিককে অবহিত করিবেন;
(খ) ভোট গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট তারিখে প্রত্যেক ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট প্রদানের জন্য ব্যালট বাঙ্ স্থাপন করিবেন, এবং উহা প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে, যদি থাকেন, সীল করিয়া দিবেন;
(গ) ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ পরিচালনা করিবেন, এবং উক্ত কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণকে উপস্থিত থাকিবার সুযোগ দিবেন;
(ঘ) ভোট গ্রহণ সমাপ্তির পর, উক্ত প্রতিনিধিগণ যদি উপস্থিত থাকেন, তাহা হইলে তাহাদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাঙ্ খুলিবেন এবং উহাতে প্রাপ্ত ভোট গণনা করিবেন; এবং
(ঙ) ভোট গণনা শেষে, যে ট্রেড ইউনিয়ন সর্্বোচ্চ সংখ্যক ভোট প্রাপ্ত হইবে, উহাকে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া ঘোষণা করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ট্রেড ইউনিয়নকে উক্তরূপ যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি ঘোষণা করা যাইবে না, যদি না উহার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত সকল শ্রমিকের মোট সংখ্যার অনূ্যন এক-তৃতীয়াংশ হয়।
(১৬) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৫) (ঙ) এর অধীন কোন ট্রেড ইউনিয়নকে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া ঘোষণা করা হয়, সে ৰেত্রে উহা উক্ত ঘোষণার তারিখ হইতে দুই বৎসরের জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি থাকিবে, এবং উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোন নূতন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য কোন দরখাসত্দ গ্রহণ করা হইবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ৰেত্রে কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ হইবে তিন বৎসর।
(১৭) উপ-ধারা (১৬) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে ৰেত্রে কোন ট্রেড ইউনিয়ন কোন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার পর উহার পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হইতে আগ্রহী, অথবা যে ৰেত্রে বিদ্যমান কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি পরবতর্ী মেয়াদের জন্য ও যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে থাকিতে আগ্রহী সে ৰেত্রে উহা বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের পূর্বে একশত বিশ দিন হইতে একশত পঞ্চাশ দিনের মধ্যে শ্রম পরিচালকের নিকট পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের লৰ্যে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাইয়া দরখাসত্দ পেশ করিতে পারিবে।
(১৮) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৭) এর অধীন কোন দরখাসত্দ পেশ করা হয়, সে ৰেত্রে দরখাসত্দ প্রাপ্তির একশত বিশ দিনের মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য গোপন ভোট গ্রহণ করিতে হইবে, তবে উক্ত নির্বাচনের ফলে ঘোষিত পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার তারিখ হইতে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হইবে।
(১৯) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৭) এর অধীন কোন দরখাসত্দ প্রাপ্তির পর, শ্রম পরিচালকের নিয়ন্ত্রণবহিভর্ূত কোন কারণে বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য পরবতর্ী যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণ করা সম্ভব না হয়, সে ৰেত্রে বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নূতন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারিত না হওয়া পর্যনত্দ উক্ত প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ চালাইয়া যাইবে।
(২০) যে ৰেত্রে উপ-ধারা (১৭) এর অধীন কোন দরখাসত্দ পাওয়া না যায় সেৰেত্রে শ্রম পরিচালক বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হইবার পর একশত বিশ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করিবেন, এবং বিদ্যমান যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি অনত্দবর্তীকালীন সময়ে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ চালাইয়া যাইবেন।
(২১) যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণী নির্বাচনে কোন বিষয় সম্বন্ধে কোন বিরোধ দেখা দিলে উহা শ্রম আদালতে পেশ করিতে হইবে, এবং ঐ বিষয়ে উক্ত আদালতের সিদ্ধানত্দ চূড়ানত্দ হইবে।
77[ ***]
(২৩) কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি, উহার অবস্থানের হানি না করিয়া এই অধ্যায়ের অধীন কোন কার্যধারায়, যাহাতে উহা নিজেই একটি পৰ, উহা সদস্য আছে এমন কোন ফেডারেশনকে পৰভুক্ত করিতে পারিবে।
(২৪) কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উহার যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি-
(ক) শ্রমিকদের চাকুরী না থাকা (Jobless) (কর্মহীনতা), চাকুরীর শর্তাবলী অথবা কাজের পরিবেশ সম্বন্ধে মালিকের সংগে যৌথ দরকষাকষি করার;
78[***]
79[(গ) ধারা ২১১ এর বিধান অনুযায়ী ধর্মঘটের নোটিশ প্রদানের এবং উহা ঘোষণা করিবার;]
(ঘ) কোন কল্যাণ প্রতিষ্ঠানে অথবা ভবিষ্য তহবিলে এবং পঞ্চদশ অধ্যায়ের অধীন প্রতিষ্ঠিত শ্রমিকগণের অংশগ্রহণ তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডে শ্রমিকগণের প্রতিনিধি মনোনয়ন করার; এবং
80[***]
(২৫) এই আইনের আওতায় ঘোষিত কোন প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণ অথবা নির্বাচনের ৰেত্রেও এই ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
81[ (২৬) প্রত্যেক মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (CBA) এর জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অফিস কক্ষ বরাদ্দ করিবে ।]
২০৩৷ (১) এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানে উহার কোন সদস্য ট্রেড ইউনিয়ন উহার নির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত কোন প্রস্তাব দ্বারা ফেডারেশনকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে উহার পক্ষে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন ক্ষমতা প্রদান অনুমোদনযোগ্য হইবে না, যদি না ফেডারেশনের এবং সদস্য ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে উক্তরূপ ক্ষমতা প্রদানের বিধান থাকে৷
(২) কোন ফেডারেশন কেবলমাত্র সেই প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করিবে, যে প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে উহার কোন সদস্য ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসাবে আছে৷
(৩) এই ধারার কোন কিছুই ধারা ২০০ (৫) এর অধীনে গঠিত এবং রেজিস্ট্রিকৃত কোন জাতীয় ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
84[(৪) যদি কোনো ফেডারেশন বা কনফেডারেশন, যাহারা কোনো সেক্টরে জাতীয় বা অন্য কোনো স্তরে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে, সেই সেক্টরের মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী এক বা একাধিক সংস্থাকে যৌথ দরকষাকষিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করে অথবা, যদি কোনো সেক্টরের মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা সেই সেক্টরের জাতীয় বা অন্য কোনো স্তরে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কোনো ফেডারেশন বা কনফেডারেশনকে যৌথ দরকষাকষিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করে, তাহা হইলে যে পক্ষ এই ধরনের অনুরোধ পাইয়াছে তাহারা যৌথ দর কষাকষিতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে।
(৫) যৌথ দরকষাকষির পক্ষ স্বাধীনভাবে আলোচনার বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারিবে, এবং কারখানার কর্মপরিবেশ, নিয়োগের শর্তাবলি এবং শ্রমিক-মালিক-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কিত যে কোনও বিষয়ে যৌথ দরকষাকষি করা যাইতে পারে।]
85[২০৩ক। (১) এক বা একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের ফেডারেশন বা কনফেডারেশন, যাহারা সেক্টর, জাতীয় বা অন্য কোনো পর্যায়ে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে, তাহারা মালিক সংগঠন বা সংগঠনসমূহের সহিত যৌথভাবে দরকষাকষির জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে।
(২) একটি সেক্টরের মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী এক বা একাধিক মালিক সংগঠন, যৌথভাবে কাজ করে, সেই সেক্টরের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী এক বা একাধিক যথাযথভাবে অনুমোদিত ট্রেড ইউনিয়নকে যৌথ দরকষাকষিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে।
(৩) যখন কোনো ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন বা কনফেডারেশন মালিক সংগঠন বা সংগঠনসমূহকে যৌথ দরকষাকষির জন্য অনুরোধ করিবে, অথবা কোনো মালিক সংগঠন বা সংগঠনসমূহ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন বা কনফেডারেশনকে যৌথ দরকষাকষির জন্য অনুরোধ করিবে, তখন অনুরোধপ্রাপ্ত সংগঠন অনুরোধ প্রাপ্তির ১০ (দশ) দিনের মধ্যে অনুরোধকারী পক্ষকে লিখিতভাবে জবাব দিবে।
(৪) খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা এবং যৌথ চুক্তি চূড়ান্ত করিবার প্রক্রিয়া ও সময়সীমা সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারণ করিতে পারিবে।]
২০৪৷ 87[(১) যদি কোনো যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (সিবিএ) বা ট্রেড ইউনিয়ন অনুরোধ করে, তাহা হইলে মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেই সকল শ্রমিকের মজুরি হইতে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ কর্তন করিবেন, যাহারা সেই সিবিএ বা ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য, এবং এই অর্থের পরিমাণ তাহাদের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকিতে হইবে অথবা সিবিএ বা ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক অন্যভাবে নির্ধারিত হইতে পারিবে, তবে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথক শ্রমিকের লিখিত সম্মতি থাকিতে হইবে, যাহা সিবিএ বা ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক আবেদনে উল্লেখ থাকিবে।]
(২) কোন মালিক উপ-ধারা (১) অনুসারে শ্রমিকগণের মজুরী হইতে টাকা কাটিয়া থাকিলে কর্তিত সম্পূর্র্র্ণ টাকা পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সিবিএ 88[বা ট্রেড ইউনিয়ন] ইউনিয়নের হিসাবে জমা দিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (১) মোতাবেক উহার সদস্যদের মজুরী হইতে টাকা কাটা হইতেছে কি না সংশ্লিষ্ট সিবিএ 89[বা ট্রেড ইউনিয়ন] তাহা যাচাই করিতে চাহিলে মালিক উহার পূর্ণ সুযোগ প্রদান করিবেন৷
২০৮৷ (১) অংশগ্রহণকারী কমিটির সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা, তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক 96[***] প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
(২) যদি কোন কারণে মালিক 97[***] নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারী কমিটির সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করিতে কোন কারণে অসুবিধা বোধ করেন, তাহা হইলে তত্সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করিতে হইবে, এবং উহা যথাশীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করিতে হইবে৷