প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

ত্রয়োদশ অধ্যায়

ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সম্পর্ক

রেজিস্ট্রিকরণ

১৮২৷ (১) 1[ মহাপরিচালক], কোন ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক এই অধ্যায়ের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়াদি পালিত হইয়াছে 2[এই মর্মে নিশ্চিত হইবার পর], বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে উহাকে রেজিস্ট্রি করিবেন, এবং রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দরখাস্ত প্রাপ্তির 3[ পঞ্চান্ন] দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি রেজিস্ট্রিকরণ-প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবেন৷

 

(২) যদি 4[ মহাপরিচালক] উক্ত দরখাস্তে অত্যাবশ্যক কোন তথ্যের অসম্পূর্র্র্ণতা দেখিতে পান তাহা হইলে তিনি দরখাস্ত প্রাপ্তির 5[ বারো] দিনের মধ্যে উক্ত বিষয়ে তাহার আপত্তি ট্রেড ইউনিয়নকে লিখিতভাবে জানাইবেন, এবং ট্রেড ইউনিয়ন উহা প্রাপ্তির পনর দিনের মধ্যে ইহার জবাব দিবে 6[ । ] 7[***]

 

(৩) যখন শ্রম পরিচালক কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তি সন্তোষজনকভাবে মিটানো হয়, তখন তিনি উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়নটিকে রেজিস্ট্রি করিবেন; এবং উহা যদি সন্তোষজনক ভাবে মিটানো না হয়, তাহা হইলে তিনি দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করিবেন৷

 

(৪) যে ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক কোন দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করেন অথবা আপত্তি মিটানোর পরেও উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত 8[ পঞ্চান্ন] দিন সময়সীমার মধ্যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি না করেন, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন উক্তরূপ প্রত্যাখ্যানের তারিখ অথবা উল্লিখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার তারিখ, যাহা আগে হইবে, উহা হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷

 

(৫) শ্রম আদালত আপীলটি শুনানীর পর উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, উহার রায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া শ্রম পরিচালককে ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রি করিবার জন্য এবং উহার তারিখ হইতে সাত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে অথবা আপীলটি খারিজ করিতে পারিবে৷

 

(৬) উপ-ধারা (৫) অনুসারে শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ শ্রম আদালতের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শ্রম আপীল আদালতে আপলি দায়ের করিতে পারিবেন৷

 

9[ (৭) রেজিস্ট্রেশনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সরকার এই ধারার বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মানসম্পন্ন পরিচালনা পদ্ধতি (Standard Operating Procedure) প্রণয়ন করিবে।]

 

10[(৮) রেজিস্ট্রেশন প্রদানের কার্যপ্রণালির আওতায় কোনো বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে, সে বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে গঠিত তদারকি কমিটির সুপারিশের আলোকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করিতে হইবে।]


  • 1
    ‘‘মহাপরিচালক’’ শব্দটি ‘‘শ্রম পরিচালক’’ শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৩ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    “এই মর্মে নিশ্চিত হইবার পর” শব্দগুলি “এই মর্মে সন্তুষ্ট হওয়ার পর” শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৭(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    ‘‘পঞ্চান্ন’’ শব্দটি ‘‘ষাট’’ শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৩ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    ‘‘মহাপরিচালক’’ শব্দটি ‘‘শ্রম পরিচালক’’ শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৩ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    ‘‘বারো’’ শব্দটি ‘‘পনর’’ শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৩ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    দাড়ি (।) চিহ্ন কমা (,) চিহ্নের পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৭(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    “তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষের জবাব পাওয়া না গেলে আবেদনটি নথিজাতকরণের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাইবে” শব্দগুলি বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৭(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 8
    ‘‘পঞ্চান্ন’’ শব্দটি ‘‘ষাট’’ শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৩ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    উপ-ধারা (৭) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৩ (ঘ) ধারাবলে সংশোধিত।
  • 10
    উপ-ধারা (৮) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৭(গ) ধারাবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs