প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

ত্রয়োদশ অধ্যায়

ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সম্পর্ক

রেজিস্ট্রি বাতিলকরণ

১৯০৷ (১) এই ধারার অন্য বিধান সাপেক্ষে, শ্রম পরিচালক কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি 1[বাতিলের জন্য আবেদন] করিতে পারিবেন, যদি-

 

2[ (ক) রেজিস্ট্রি বাতিলের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দরখাস্ত করে;]

 

(খ) উহার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়;

 

(গ) উহা প্রতারণা অথবা কোন তথ্যের মিথ্যা বর্ণনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রি হাসিল করিয়া থাকে 3[যাহা বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে];

 

4[ ***]

 

(ঙ) উহা কোন অসত্ শ্রম আচরণ করিয়া থাকে;

 

(চ) উহার সদস্য সংখ্যা এই অধ্যায়ের অধীন প্রয়োজনীয় সংখ্যার নীচে নামিয়া যায়; অথবা

 

(ছ) উহা এই অধ্যায় বা কোন বিধির বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে৷

 

(২) যে ক্ষেত্রে শ্রম পরিচালক তদন্তান্তে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করা উচিত, সে ক্ষেত্রে তিনি উহার রেজিস্ট্রি বাতিল করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিয়া শ্রম আদালতে দরখাস্ত পেশ করিবেন৷

 

(৩) শ্রম পরিচালক শ্রম আদালত হইতে অনুমতি প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি বাতিল করিয়া দিবেন৷

 

(৪) কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রি উপ-ধারা (১) (ঙ) অনুযায়ী বাতিল করা যাইবে না যদি না উক্ত ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক অভিযোগে বর্ণিত অসত্ শ্রম আচরণ সংঘঠিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে শ্রম আদালতে দরখাস্ত করা হয়৷


  • 1
    “বাতিলের জন্য আবেদন” শব্দগুলি “বাতিল” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ৪৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    দফা (ক) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৬(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    “যাহা বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে” শব্দগুলি “হাসিল করিয়া থাকে” শব্দগুলি পর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ৪৩(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
  • 4
    দফা (ঘ) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ২৬(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs