প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

ত্রয়োদশ অধ্যায়

ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সম্পর্ক

অংশগ্রহণকারী কমিটি
২০৫৷ (১) অন্যুন পঞ্চাশ জন শ্রমিক সাধারণতঃ কর্মরত আছেন এরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মালিক 1[ উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করিয়া] বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় তাহার প্রতিষ্ঠানে একটি অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠন করিবেন৷
 
(২) উক্ত কমিটি মালিক ও শ্রমিকগণের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
 
(৩) উক্ত কমিটিতে শ্রমিকগণের প্রতিনিধির সংখ্যা মালিকের প্রতিনিধির সংখ্যার কম হইবে না৷
 
2[ ***]
 
3[ (৬)যে প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠিত হইবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক প্রতিনিধিগণ উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের মধ্য হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্বাচিত হইবেন।]
 
4[ (৬ক) যে প্রতিষ্ঠানে টেড্র ইউনিয়ন নাই সেই প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীকমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিগণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে।]
 
(৭) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের অন্যুন পঞ্চাশ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছেন এমন কোন ইউনিট থাকে, সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী কমিটির সুপারিশে, উহার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় একটি ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠন করা যাইবে৷
 
(৮) উক্ত ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটি মালিক এবং উক্ত ইউনিট ও উহার অধীনে কর্মরত শ্রমিকগণের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
 
5[ (৯) অংশগ্রহণকারী কমিটিতে শ্রমিক পক্ষের নির্বাচিত বা মনোনীত কর্মকর্তা ও সদস্যদের কমিটির মেয়াদকালে তাহাদের সম্মতি ব্যতিরেকে মালিক বদলী করিবেন না।
 
(১০) অংশগ্রহণকারী কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিদেরকে কমিটির দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনাকালে সরল বিশ্বাসে সম্পাদিত কাজের জন্য মালিক তাহাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন না।
 
(১১) অংশগ্রহণকারী কমিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই ধারার বিধানাবলী, ইউনিট অংশগ্রহণকারী কমিটির ক্ষেত্রেও, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে।]
 
6[ (১২) কোনো প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন থাকিলে সেই প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কমিটি গঠনের প্রয়োজন হইবে না।
 
(১৩) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে অংশগ্রহণকারী কমিটির প্রত্যয়নপত্র এবং অন্যান্য দলিল-দস্তাবেজের অবিকল নকল সংগ্রহ করা যাইবে।]

  • 1
    ‘‘উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করিয়া’’ শব্দসমূহ ‘‘মালিক’’ শব্দটির পর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ৫৮(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৪) ও (৫) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ৩২(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 3
    উপ-ধারা (৬) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ৩২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    উপ-ধারা (৬ক) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ৫৮(গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 5
    উপ-ধারা (৯), (১০) ও (১১) উপ-ধারা (৯) এর পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ৫৮(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    উপ-ধারা (১২) ও (১৩) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ৩২(গ) ধারাবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs