প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

সপ্তদশ অধ্যায়

ভবিষ্য তহবিল

বেসরকারী খাতে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল
২৬৪৷ (১) বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠান উহার শ্রমিকগণের সুবিধার জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিতে পারিবে৷
 
(২) উপরিউক্ত ভবিষ্য তহবিল ধারা ৩ এর অধীন কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এতদ্‌উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় গঠিত হইবে৷
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে সরকার বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, এবং যদি উক্তরূপ বিধি প্রণীত হয় তাহা হইলে যে প্রতিষ্ঠানে উহা প্রযোজ্য হইবে সে প্রতিষ্ঠান উহার বিধানাবলী মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবে৷
 
(৪) উক্তরূপ ভবিষ্য তহবিল একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হইবে৷
 
(৫) উক্তরূপ ট্রাস্টি বোর্ড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং উহাতে নিযুক্ত শ্রমিকগণের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হইবে; এবং সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি ইহার চেয়ারম্যান হইবেন৷
 
(৬) মালিকের প্রতিনিধি মালিক কর্তৃক মনোনীত হইবেন এবং শ্রমিকগণের প্রতিনিধি যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক মনোনীত হইবেন 1[ :
 
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি থাকিবে না সেই ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী কমিটি কর্তৃক শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনীত হইবেন।]
 
(৭) যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি 2[ বা অংশগ্রহণকারী কমিটি নাই, সে ক্ষেত্রে শ্রমিকগণের প্রতিনিধি মহাপরিচালকের] তত্ত্বাবধানে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের দ্বারা নির্বাচিত হইবেন৷
 
(৮) ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য দুই বত্সরের মেয়াদে তাহাদের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেনঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন৷
 
(৯) যে প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্য তহবিল গঠন করা হইয়াছে সে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক স্থায়ী শ্রমিক উহাতে তাহার চাকুরী এক বত্সর পূর্ণ করিবার পর প্রত্যেক মাসে উহার ভবিষ্য তহবিলে, ভিন্নরূপ কোন চুক্তি না থাকিলে, তাহার মাসিক মূল মজুরীর অন্যুন সাত শতাংশ এবং অনধিক আট শতাংশ হারে চাঁদা প্রদান করিবেন; এবং মালিকও ইহাতে উক্ত হারে চাঁদা প্রদান করিবেন৷
 
(১০) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠান উহার শ্রমিকগণের সুবিধার জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিতে বাধ্য থাকিবে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্যুন তিন-চতুর্থাংশ শ্রমিক মালিকের নিকট লিখিত দরখাস্ত পেশ করিয়া উক্তরূপ ভবিষ্য তহবিল গঠনের দাবী করেন৷
 
(১১) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১০) এর অধীন ভবিষ্য তহবিল গঠনের দাবী করা হয়, সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মালিক দরখাস্ত প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে উহা গঠনের জন্য ধারা ৩ এর অধীন প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করিবেন এবং ভবিষ্য তহবিল উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পূর্বেই চালু করিবেন৷
 
(১২) উক্ত ভবিষ্য তহবিলে জমাকৃত মোট অর্থের অন্যুন অর্ধেক অর্থ নিম্নরূপ উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করিতে হইবে, যথাঃ-
 
(ক) আই, সি, বি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেট;
 
(খ) আই, সি, বি, ইউনিট সার্টিফিকেট; এবং
 
(গ) প্রতিরক্ষা ও ডাক সঞ্চয় পত্রসহ অন্য কোন সরকারী ঋণপত্র৷
 
(১৩) উক্ত ভবিষ্য তহবিলের পরিচালনা ব্যয় মালিক বহন করিবেন৷
 
(১৪) প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব যেভাবে নিরীক্ষিত হয়, ভবিষ্য তহবিলের প্রতি বত্সরের আয়-ব্যয়ের হিসাবও সেভাবে প্রতিষ্ঠানের খরচে নিরীক্ষিত হইবেঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার নিজ খরচে উক্ত তহবিলের আয়-ব্যয়ের কোন বিশেষ নিরীক্ষার জন্য স্বতন্ত্র নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
(১৫) ভবিষ্য তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব তত্সম্পর্কে নিরীক্ষা রিপোর্টসহ, নিরীক্ষা রিপোর্ট পেশ করার এক মাসের মধ্যে শ্রম পরিচালকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
(১৬) যে ক্ষেত্রে সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, বেসরকারী খাতের কোন প্রতিষ্ঠানে গঠিত ভবিষ্য তহবিল সন্তোষজনকভাবে কাজ করিতেছে এবং ইহার বিরুদ্ধে শ্রমিকগণের কোন অভিযোগ নাই, সেক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকের নিকট হইতে প্রাপ্ত দরখাস্তের ভিত্তিতে লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত প্রতিষ্ঠানকে এই ধারার প্রয়োগ হইতে রেহাই দিতে পারিবে৷
 
(১৭) এই ধারার বিধান অনুযায়ী ভবিষ্য তহবিল গঠনকারী কোন প্রতিষ্ঠান ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫ সনের ১৯নং আইন) এর উদ্দেশ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
(১৮) এই ধারায় বেসরকারী খাতের প্রতিষ্ঠান বলিতে এমন কোন প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে যাহা সরকার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সরাসরি মালিকানায় বা ব্যবস্থাপনায় নাই অথবা যাহার ক্ষেত্রে সরকার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত কোন ভবিষ্য তহবিল বিধি প্রযোজ্য হয় না৷

  • 1
    কোলন দাঁড়ির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং শর্তাংশ বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ৩৭(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    ‘‘বা অংশগ্রহণকারী কমিটি নাই, সে ক্ষেত্রে শ্রমিকগণের প্রতিনিধি মহাপরিচালকের’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘নাই, সে ক্ষেত্রে শ্রমিকগণের প্রতিনিধি শ্রম পরিচালকের’’ শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ৩৭(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs