প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

অষ্টাদশ অধ্যায়

শিক্ষাধীনতা

শিক্ষাধীন শ্রমিকের বাধ্যবাধকতা
২৮০৷ (১) এই অধ্যায় এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে কোন শিক্ষাধীন শ্রমিক-
 
 
(ক) তাহার পেশা বা বৃত্তি বিবেক-বুদ্ধিসহকারে ও অধ্যবসায়ের সহিত শিখিবেন এবং শিক্ষাধীনতার মেয়াদ শেষ হইবার পর নিজেকে একজন দক্ষ শ্রমিক হিসাবে যোগ্য করিবার চেষ্টা করিবেন;
 
 
(খ) মালিক কর্তৃক প্রণীত কর্মসূচী অনুযায়ী ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও তাত্ত্বিক শিক্ষা প্রদানকালে হাজির থাকিবেন;
 
 
(গ) শিক্ষাধীনতা সম্পর্কে মালিক অথবা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত সকল আইনানুগ আদেশ মানিয়া চলিবেন এবং শিক্ষাধীনতা চুক্তির অধীন তাহার সকল দায়-দায়িত্ব পালন করিবেন;
 
 
(ঘ) তাহার প্রশিক্ষণের উন্নতি যাচাই করিবার জন্য সময় সময় গৃহীত কোন পরীক্ষা দিতে তিনি বাধ্য থাকিবেন;
 
 
(ঙ) তাহার সমশ্রেণীর শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন ব্যতীত অন্য কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইবেন না;
 
 
(চ) তাহার শিক্ষাধীনতা সম্পর্কে মালিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকিলে এবং মালিকের নিকট হইতে ইহার কোন প্রতিকার না পাইলে, তিনি প্রতিকারের জন্য যোগ্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং এই সম্বন্ধে যোগ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিবেন; এবং
 
 
(ছ) যোগ্য কর্তৃপক্ষের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে, তাহার শিক্ষাধীনতাকাল সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি শিক্ষাধীনতা ছাড়িয়া যাইবেন না৷
 
 
(২) যদি কোন শিক্ষাধীন শ্রমিক তাহার শিক্ষাধীনতা চুক্তির শর্ত পালনে ব্যর্থ হন অথবা যদি শিক্ষাধীনতাকালের কোন সময়ে স্বেচ্ছায় শিক্ষাধীনতা ছাড়িয়া যান অথবা তাহার প্রশিক্ষণের উন্নতি সম্পর্কে অব্যাহত বিরূপ রিপোর্ট পাওয়া যায় অথবা অবাধ্যতা, বিধি লঙ্ঘন, কাজে অনুপস্থিতি, কর্তব্যে অবহেলা করেন, তাহা হইলে তিনি বা, ক্ষেত্রমত, তাহার পিতা বা অভিভাবক বা জামিনদার এককভাবে অথবা যৌথভাবে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং শিক্ষাধীনতা কাজে তাহার জন্য ব্যয়িত অর্থ মালিককে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবেন৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs