প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী

শ্রমিকগণের শ্রেণী বিভাগ এবং শিক্ষানবিশীকাল
৪। (১) কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণকে নিম্নলিখিত শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) শিক্ষাধীন;
 
 
(খ) বদলী;
 
 
(গ) সাময়িক;
 
 
(ঘ) অস্থায়ী;
 
 
1[(ঙ) শিক্ষানবিশ;
 
 
(চ) স্থায়ী ; ও
 
 
(ছ) মৌসুমী শ্রমিক।]
 
 
(২) কোন শ্রমিককে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে হয়; এবং প্রশিক্ষণকালে তাহাকে ভাতা প্রদান করা হয়।
 
 
(৩) কোন শ্রমিককে বদলী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহাকে কোন স্থায়ী শ্রমিক বা শিক্ষানবিসের পদে তাহাদের সাময়িক অনুপস্থিতিকালীন সময়ের জন্য নিযুক্ত করা হয়।
 
 
2[(৪) কোন শ্রমিককে সাময়িক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে সাময়িক ধরনের কাজে সাময়িকভাবে তাহাকে নিয়োগ করা হয়;]
 
 
(৫) কোন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহার নিয়োগ এমন কোন কাজের জন্য হয় যাহা একান্তভাবে অস্থায়ী ধরনের এবং যাহা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
 
 
(৬) কোন শ্রমিককে শিক্ষানবিস শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী পদে তাহাকে আপাততঃ নিয়োগ করা হয় এবং তাহার শিক্ষানবিশীকাল সমাপ্ত না হইয়া থাকে।
 
 
(৭) কোন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাহাকে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করা হয়, অথবা প্রতিষ্ঠানে তিনি তাহার শিক্ষানবিশীকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়া থাকেন।
 
 
(৮) কেরানী-সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত কোন শ্রমিকের শিক্ষানবিশীকাল হইবে ছয় মাস এবং অন্যান্য শ্রমিকের জন্য এই সময় হইবে তিন মাসঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, একজন দক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে তাহার শিক্ষানবিশীকাল আরও তিন মাস বৃদ্ধি করা যাইবে যদি কোন কারণে প্রথম তিন মাস শিক্ষানবিসীকালে তাহার কাজের মান নির্ণয় করা সম্ভব না হয়3[:
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, শিক্ষানবিশকাল শেষে বা তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি শেষে কনফরমেশন লেটার দেওয়া না হইলেও উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শ্রমিক স্থায়ী বলিয়া গণ্য হইবে।]
 
 
(৯) যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী তাহার শিক্ষানবিসীকালে, বর্ধিত সময়সহ, অবসান হয়, এবং ইহার পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে যদি তিনি একই মালিক কর্তৃক পুনরায় নিযুক্ত হন তাহা হইলে তিনি, যদি না স্থায়ীভাবে নিযুক্ত হন, একজন শিক্ষানবিসী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তাহার নতুন শিক্ষানবিশীকাল গণনার ক্ষেত্রে পূর্বের শিক্ষানবিশীকাল হিসাবে আনা হইবে।
 
 
(১০) যদি কোন স্থায়ী শ্রমিক কোন নতুন পদে শিক্ষানবিস হিসাবে নিযুক্ত হন, তাহা হইলে তাহার শিক্ষানবিসীকালে যে কোন সময় তাহাকে পূর্বের স্থায়ী পদে ফেরত আনা যাইবে।
 
 
4[(১১) কোন শ্রমিককে মৌসুমী শ্রমিক বলা হইবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে মৌসুমকালে কোন শ্রমিককে মৌসুমী কাজে নিয়োগ করা হয় এবং মৌসুম চলাকালীন পর্যন্ত কর্মরত থাকেন।
 
 
(১২) চিনি কল, চাতাল প্রভৃতি শিল্প এবং মৌসুমী কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বৎসরে নিয়োগকৃত শ্রমিকদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করিতে হইবে।]

  • 1
    দফা (ঙ),(চ)ও(ছ) দফা (ঙ)ও (চ) এর পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সংযোজিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৪) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    কোলন “:” প্রান্তস্থিত দাঁড়ি “।” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর উপ-ধারা (৪) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ৬(গ) ধারবলে সংযোজিত।
  • 4
    উপ-দফা (১১) ও (১২) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ৬(ঘ) ধারবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs