প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

সপ্তম অধ্যায়

স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য বিধি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষ বিধান

কতিপয় বিপদের ক্ষেত্রে পরিদর্শকের ক্ষমতা

৮৫৷ (১) এই আইনে কোন বিষয় সম্বন্ধে সুস্পষ্ট বিধান নাই এরূপ কোন ক্ষেত্রে, যদি পরিদর্শকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠান বা উহার অংশবিশেষ অথবা উহাতে বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট নষ্ট বা উহা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত কোন ব্যাপার বা রীতি মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক, অথবা এমন ত্রম্নটিপূর্ণ যে উহা মানুষের শারীরিক ক্ষতি করিতে পারে, তাহা হইলে তিনি লিখিত নোটিশ দ্বারা তত্সম্পর্কে মালিককে অবহিত করিতে পারিবেন এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ও পদ্ধতিতে, যে যে কারণে উহা বিপজ্জনক বা ক্ষতিকারক বা ত্রুটিপূর্ণ তাহা দূরীভূত করার নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

 
 

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানের হানি না করিয়া, পরিদর্শক লিখিত আদেশ দ্বারা কোন প্রতিষ্ঠানের মালিককে তাহার প্রতিষ্ঠানের বা উহার কোন অংশের কোন স্তম্ভ উপড়াইয়া ফেলা বা কমাইয়া ফেলা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন, যদি তাহার মতে ইহা দ্বারা অন্য কোন স্তম্ভভ ভাঙ্গিয়া পড়ার অথবা প্রতিষ্ঠানের কোন অংশ অকালে ধ্বসিয়া পড়ার সম্ভাবনা থাকে অথবা ইহা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক হয়৷

 
 

1[(৩) যদি পরিদর্শক মনে করেন যে, কোনো প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার জন্য আসন্ন বিপদ রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি সংশ্লিষ্ট মালিককে তাহার এই মতামতের কারণ লিখিতভাবে জানাইবেন, একইসাথে, পরিদর্শক লিখিত আদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কোনো অংশ, প্ল্যান্ট, লে-আউট বা কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন এবং ঐ অংশে কোনো ব্যক্তিকে কাজ করানো থেকে বিরত রাখিতে পারিবেন, এবং এই নিষেধাজ্ঞা ততক্ষণ পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে যতক্ষণ না পরিদর্শক নিশ্চিত হবেন যে, বিপদ সম্পূর্ণরূপে দূর হইয়াছে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি উক্ত বিপদ অপসারণের কাজে নিযুক্ত থাকিলে তৎসম্পর্কে এই আদেশ প্রযোজ্য হইবে না।]

 
 

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ কোন মালিক আদেশ প্রাপ্তির দশ দিনের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে প্রধান পরিদর্শকের নিকট আপীল করিতে পারিবেন, এবং তিনি এই আদেশ বহাল, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবেন৷

 
 

2[(৫) উপ-ধারা (১) এবং (৩) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যেক আদেশ সম্পর্কে পরিদর্শক তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের নিকট রিপোর্ট পেশ করিবেন, এবং সংশ্লিষ্ট মালিককে এই রিপোর্ট প্রদান সম্পর্কে অবহিত করিবেন।]

 
 

(৬) প্রধান পরিদর্শক উপ-ধারা (৪) এর অধীন তৎকর্তৃক প্রদত্ত বাতিলের আদেশ ব্যতীত অন্য কোন আদেশ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের নিকট রিপোর্ট পেশ করিবেন, এবং এই রিপোর্ট প্রদান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মালিককেও অবহিত করিবেন৷

 
 

(৭) কোন মালিকের উপ-ধারা (১), (৩) অথবা (৪) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপত্তি থাকিলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির বিশ দিনের মধ্যে উক্ত আপত্তি এবং উহার কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ সরকারের নিকট লিখিতভাবে জানাইবেন এবং সরকার উহা একটি কমিটির নিকট সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করিবে৷

 
 

(৮) উক্ত কমিটির সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত, যে আদেশের বিরম্নদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছে মালিককে উহা মানিয়া চলিতে হইেবঃ

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, মালিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি উহার সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিতে পারিবে৷


  • 1
    উপ-ধারা (৩) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ২৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৫) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ৬৫ নং অধ্যাদেশ) এর ২৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs