প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

চর্তুদশ অধ্যায়

বিরোধ নিষ্পত্তি, শ্রম আদালত, শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল, আইনগত কার্যধারা, ইত্যাদি

ধর্মঘট ও লক-আউট
২১১৷ (১) যে পক্ষ কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপন করে সে পক্ষ ধারা ২১০ (১১) এর অধীন ব্যর্থতার প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে পনর দিনের মধ্যে অন্য পক্ষকে ধর্মঘট অথবা, ক্ষেত্রমত, লক আউটের নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে, যাহাতে নোটিশ প্রদানের পর অন্যুন সাত দিন এবং অনধিক চৌদ্দ দিনের মধ্যে কোন তারিখ হইতে উহা শুরু হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে, অথবা উক্ত বিরোধ উত্থাপনকারী পক্ষ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি ধর্মঘটের কোন নোটিশ জারী করিতে পারিবে না, যদি না বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় সালিসের তত্ত্বাবধানে, এতদ্‌উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে অনুষ্ঠিত কোন গোপন ভোটের মাধ্যমে উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যুন 1[ ৫১ শতাংশ] সদস্য ধর্মঘটের পক্ষে তাহাদের রায় প্রদান করেন৷
 
(২) যদি কোন ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইয়া যায়, তাহা হইলে বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য বিরোধে জড়িত যে কোন পক্ষ শ্রম আদালতে দরখাস্ত পেশ করিতে পারিবে৷
 
(৩) যদি কোন ধর্মঘট বা লক-আউট ত্রিশ দিনের বেশী স্থায়ী হয়, তাহা হইলে সরকার, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত ত্রিশ দিনের পূর্বে ও যে কোন সময়ে, লিখিত আদেশ দ্বারা কোন ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্তরূপ অব্যাহত ধর্মঘট বা লক-আউট জনজীবনে সাংঘাতিক কষ্টের কারণ হইয়াছে অথবা ইহা জাতীয় স্বার্থের হানিকর৷
 
(৪) কোন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার, ইহাতে কোন ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইবার পূর্বে অথবা পরে যে কোন সময়, লিখিত আদেশ দ্বারা উহা নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে৷
 
(৫) কোন ক্ষেত্রে সরকার উপ-ধারা (৩) অথবা (৪) এর অধীন কোন ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিলে সরকার তত্ক্ষণাত্ বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে প্রেরণ করিবে৷
 
(৬) শ্রম আদালত বিরোধের উভয় পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দিয়া যথাশীঘ্র সম্ভব, বিরোধটি উহার নিকট প্রেরণের তারিখ হইতে অনধিক ষাট দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিয়া উহার রোয়েদাদ প্রদান করিেবঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, শ্রম আদালত প্রয়োজনবোধে বিরোধীয় কোন বিষয়ে অন্তর্বর্তী রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবেঃ
 
আরোও শর্ত থাকে যে, রোয়েদাদ প্রদানে কোন বিলম্বের কারণে রোয়েদাদ অবৈধ হইবে না৷
 
(৭) শ্রম আদালতের কোন রোয়েদাদ তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমা, যাহা দুই বত্সরের অধিক হইবে না, পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে৷
 
(৮) যদি কোন প্রতিষ্ঠান নূতন স্থাপিত হয়, অথবা বিদেশী মালিকানাধীন হয়, অথবা বিদেশী সহযোগিতায় স্থাপিত হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ প্রতিষ্ঠানে উত্পাদন শুরু হওয়ার পরবর্তী তিন বত্সর পর্যন্ত ধর্মঘট কিংবা লক-আউট নিষিদ্ধ থাকিবে৷ তবে, উক্তরূপ প্রতিষ্ঠানে উত্থিত কোন শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ে বর্ণিত অন্যান্য বিধান প্রযোজ্য হইবে৷

  • 1
    ‘‘৫১ শতাংশ’’ সংখ্যা ও শব্দগুলি ‘‘দুই-তৃতীয়াংশ’’ শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs