প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪২ নং আইন )

1[ ষোড়শ-ক অধ্যায়

বিলুপ্ত ডক-শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড সংক্রান্ত বিধান

ডক-শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ডের বিলুপ্তি, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ বিধান
২৬৩ক। (১) ষোড়শ অধ্যায়ের বিলুপ্ত ধারা ২৫৪ এর অধীন চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে গঠিত ডক-শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড, অতঃপর উক্ত বোর্ডদ্বয় বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে এবং উক্ত বোর্ডদ্বয়ের রেজিস্ট্রিকৃত ডক-শ্রমিকগণের রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
 
 
(২) উক্ত বোর্ডদ্বয়ের বিলুপ্তি সত্ত্বেও, -
 
 
 
 
(ক) উহাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষে আত্নীকৃত হইবেন এবং তাহারা উহাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন, এবং উক্ত আত্নীকরণের পূর্বে তাহারা যে শর্ত বিলুপ্ত উক্ত বোর্ডদ্বয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ বা ক্ষেত্রমত, মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষ কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সে একই শর্তে তাহারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন;
 
 
 
 
(খ) দফা (ক) এর অধীন উহাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর আত্নীকরণের ক্ষেত্রে, Surplus Public Servants Absorption Ordinance, 1985 (Ord. No. XXIV of 1985) এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে;
 
 
 
 
(গ) উহাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুয়িটি, কল্যাণ তহবিল, লিকুইড ফান্ড দায়মুক্তভাবে, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে হস্তান্তরিত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ উহাদের রক্ষণ ও পরিচালনা করিবে;
 
 
 
 
(ঘ) উহাদের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত অর্থ, বিনিয়োগ, সকল হিসাবের বই, রেজিস্টার, নথি ও অন্যান্য দলিল-পত্র, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষে হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ উহাদের অধিকারী হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) বিলুপ্তির অব্যবহিত পূর্বে উহাদের সকল ঋণ বা দায় ও দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা বা উহাদের সহিত যে সকল চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে উহা, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহাদের দ্বারা বা উহাদের সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(চ) বিলুপ্তির অব্যবহিত পুর্বে উহাদের দ্বারা বা উহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা বা আইনগত কার্যধারা, যথাক্রমে, চট্রগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ ও মংলা বন্দর কতৃর্পক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী উহাদের শুনানী ও নিষ্পত্তি হইবে।
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রয়োগে অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার, উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, আদেশ দ্বারা, উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদান করতঃ প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।]

  • 1
    ষোড়শ ক অধ্যায় বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬৬ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs