প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৪৭ নং আইন )

সিলেট সরকারী ভেটেরিনারি কলেজের বিলুপ্তকরণ ও হেফাজত
৫৯৷ (১) এই আইন প্রবর্তনের সংগে সংগে সিলেট সরকারী ভেটেরিনারি কলেজ বিলুপ্ত হইবে৷
 
 
(২) সিলেট সরকারী ভেটেরিনারি কলেজ, অতঃপর বিলুপ্ত কলেজ বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবার সংগে সংগে-
 
 
(ক) বিলুপ্ত কলেজের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং সিকিউরিটিসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং অন্যান্য দাবি, অধিকার, দায়-দেনা ও ঋণ বলিয়া গণ্য হইবে; তবে বিলুপ্ত কলেজের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও সম্পদের পরিসংখ্যানপত্র (Inventory) প্রস্তুত করিতে হইবে;
 
 
(খ) বিলুপ্ত কলেজের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন পকল্প ও দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প ও দায়িত্ব হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
(গ) বিলুপ্ত কলেজের সকল তহবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত কলেজ কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বা সূচিত কোন মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বা সূচিত মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
 
 
(ঙ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত বিলুপ্ত কলেজের অধিভূক্তি হইবে এবং এই আইনের অধীনে বিলুপ্ত কলেজের বিষয়-সম্পত্তি, শিক্ষক, কর্মচারী বা ছাত্র সম্পর্কে এই আইন অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এখতিয়ার থাকিবে না;
 
 
(চ) বিলুপ্ত কলেজে এই আইন প্রবর্তনের পূর্ব হইতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীগণ এই আইনের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলিয়া গণ্য হইবেন এবং চলমান কোর্স সমাপ্ত না হওয়া পযর্ন্ত বিলুপ্ত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হিসাবে বিবেচিত হইবেন এবং তাঁহাদের ক্ষেত্রে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আনুষংগিক নিয়মাবলী আর প্রযোজ্য হইবে না, তবে কোন ছাত্র-ছাত্রী ইচ্ছা করিলে সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর বহাল রাখিয়া সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারভুক্ত অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাইবেন;
 
 
(ছ) বিলুপ্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরীর তাত্ক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীতে ন্যস্ত হইবেঃ
 
 
তবে এইরূপ ন্যস্ত হইবার পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন; বিশ্ববিদা্যালয় কর্তৃক উক্ত শর্ত পরিবর্তিত না হওয়া পযর্ন্ত সেই একই শর্তে তাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের চাকুরীর সময়কাল ধরিয়া অবসরকালীন পূর্ণ আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হইবেনঃ
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, ডিগ্রী ও মাস্টার্স পরীক্ষার কোন একটিতে প্রথম শ্রেণী না থাকিলে শিক্ষক পদে কেউ আত্মীকরণের যোগ্য হইবেন না, তবে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা, এম. ফিল এবং পি,এইচ, ডি ডিগ্রী থাকিলে তাহার ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, কর্মরত কোন শিক্ষকের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষার কোন একটিতে প্রথম শ্রেণী না থাকিলে অনধিক পাঁচ বত্সরের মধ্যে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা বা এম. ফিল বা পি,এইচ, ডি ডিগ্রী করার শর্তে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিতে পারিবেন৷
 
 
(জ) বিলুপ্ত কলেজে প্রেষণে কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যদি থাকে, সরকার কর্তৃক পুনরাদেশ না দেওয়া পযর্ন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে বদলী হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন; এবং
 
 
(ঝ) দফা (ছ) এর অধীন ন্যস্তকৃত কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত না থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া যদি এই আইন কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট লিখিত আবেদন করেন কিংবা নিয়োজিত হইবার অযোগ্য হন, তাহা হইলে তিনি বিলুপ্ত কলেজের চাকুরীর শর্তাধীনে যে সব আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হইতেন সেইসব সুবিধাদি গ্রহণ করিয়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিবেন কিংবা ক্ষেত্রমত অব্যাহতি পাইবেন৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs