প্রিন্ট ভিউ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি
১৪৩। (১) আইনসঙ্গতভাবে প্রজাতন্ত্রের উপর ন্যস্ত যে কোন ভূমি বা সস্পত্তি ব্যতীত নিম্নলিখিত প্রজাতন্ত্রের উপর ন্যস্ত হইবে:
 
 
(ক) বাংলাদেশের যে কোন ভূমির অন্তঃস্থ সকল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যসম্পন্ন সামগ্রী;
 
 
(খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমার অন্তর্বর্তী মহাসাগরের অন্তঃস্থ কিংবা বাংলাদেশের মহীসোপানের উপরিস্থ মহাসাগরের অন্তঃস্থ সকল ভূমি, খনিজ ও অন্যান্য মূল্যসম্পন্ন সামগ্রী; এবং
 
 
(গ) বাংলাদেশে অবস্থিত প্রকৃত মালিকবিহীন যে কোন সম্পত্তি।
 
 
(২) সংসদ সময়ে সময়ে আইনের দ্বারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমা ও মহীসোপানের সীমা-নির্ধারণের বিধান করিতে পারিবেন।
সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি-প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব
১৪৪। প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্বে সম্পত্তি গ্রহণ, বিক্রয়, হস্তান্তর, বন্ধকদান ও বিলি-ব্যবস্থা, যে কোন কারবার বা ব্যবসায়-চালনা এবং যে কোন চুক্তি প্রণয়ন করা যাইবে।
চুক্তি ও দলিল

১৪৫। (১) প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তত্বে প্রণীত সকল চুক্তি ও দলিল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত বলিয়া প্রকাশ করা হইবে এবং রাষ্ট্রপতি যেরূপ নির্দেশ বা ক্ষমতা প্রদান করিবেন, তাঁহার পক্ষে সেইরূপ ব্যক্তি কর্তৃক ও সেইরূপ প্রণালীতে তাহা সম্পাদিত হইবে।

 
 

(২) প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্বে কোন চুক্তি বা দলিল প্রণয়ন বা সম্পাদন করা হইলে উক্ত কর্তৃত্বে অনুরূপ চুক্তি বা দলিল প্রণয়ন বা সম্পাদন করিবার জন্য রাষ্ট্রপতি কিংবা অন্য কোন ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হইবেন না, তবে এই অনুচ্ছেদ সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যধারা আনয়নে কোন ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ণ করিবে না।

আন্তর্জাতিক চুক্তি

1[১৪৫ক। বিদেশের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে, এবং রাষ্ট্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেনঃ

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, জাতীয় নিরাপত্তার সহিত সংশ্লিষ্ট অনুরুপ কোন চুক্তি কেবলমাত্র সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হইবে।]

 
 
বাংলাদেশের নামে মামলা
১৪৬। "বাংলাদেশ"-এই নামে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইতে পারিবে।
কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভৃতি

১৪৭। (১) এই অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয়, এইরূপ কোন পদে অধিষ্ঠিত বা কর্মরত ব্যক্তির পারিশ্রমিক, বিশেষ-অধিকার ও কর্মের অন্যান্য শর্ত সংসদের আইনের দ্বারা বা অধীন নির্ধারিত হইবে, তবে অনুরূপভাবে নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত

 
 

(ক) এই সংবিধান প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে ক্ষেত্রমত সংশ্লিষ্ট পদে অধিষ্ঠিত বা কর্মরত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাহা যেরূপ প্রযোজ্য ছিল, সেইরূপ হইবে; অথবা

 
 

(খ) অব্যবহিত পূর্ববর্তী উপ-দফা প্রযোজ্য না হইলে রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা যেরূপ নির্ণয় করিবেন, সেইরূপ হইবে।

 
 

(২) এই অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয়, এইরূপ কোন পদে অধিষ্ঠিত বা কর্মরত ব্যক্তির কার্যভারকালে তাঁহার পারিশ্রমিক, বিশেষ অধিকার ও কর্মের অন্যান্য শর্তের এমন তারতম্য করা যাইবে না, যাহা তাঁহার পক্ষে অসুবিধাজনক হইতে পারে।

 
 

(৩) এই অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয়, এইরূপ কোন পদে নিযুক্ত বা কর্মরত ব্যক্তি কোন লাভজনক পদ কিংবা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় বহাল হইবেন না কিংবা মুনাফালাভের উদ্দেশ্যযুক্ত কোন কোম্পানী, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বা পরিচালনায় কোনরূপ অংশগ্রহণ করিবেন না:

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার উদ্দেশ্যসাধনকল্পে উপরের প্রথমোল্লিখিত পদে অধিষ্ঠিত বা কর্মরত রহিয়াছেন, কেবল এই কারণে কোন ব্যক্তি অনুরূপ লাভজনক পদ বা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় অধিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবেন না।

 
 

(৪) এই অনুচ্ছেদ নিম্নলিখিত পদসমূহে প্রযোজ্য হইবে:

 
 

(ক) রাষ্ট্রপতি,

 
 

2[* * *]

 
 

3[(খ) প্রধানমন্ত্রী ;]

 
 

(গ) স্পীকার বা ডেপুটি স্পীকার,

 
 

4[(ঘ) মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী;]

 
 

(ঙ) সুপ্রীম কোর্টের বিচারক,

 
 

(চ) মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক,

 
 

(ছ) নির্বাচন কমিশনার,

 
 

(জ) সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য।

পদের শপথ

১৪৮। (১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভারগ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে "শপথ" বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন।

 
 

5[* * *]

 
 

(২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে 6[* * *] অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে।

 
 

7[২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি যে কোন কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।]

 
 

(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথগ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

প্রচলিত আইনের হেফাজত

১৪৯। এই সংবিধানের বিধানাবলী-সাপেক্ষে সকল প্রচলিত আইনের কার্যকরতা অব্যাহত থাকিবে, তবে অনুরূপ আইন এই সংবিধানের অধীন প্রণীত আইনের দ্বারা সংশোধিত বা রহিত হইতে পারিবে।

ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী

8[১৫০।(১) এই সংবিধানের অন্য কোন বিধান সত্ত্বেও ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে এই সংবিধান প্রবর্তনকালে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত বিধানাবলী ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী হিসাবে কার্যকর থাকিবে।

 
 

(২) ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখ হইতে ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে এই সংবিধান প্রবর্তন হইবার অব্যবহিত পূর্ব পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে বর্ণিত ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ, ষষ্ঠ তফসিলে বর্ণিত ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার টেলিগ্রাম এবং সপ্তম তফসিলে বর্ণিত ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র হইল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ঐতিহাসিক ভাষণ ও দলিল, যাহা উক্ত সময়কালের জন্য ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী বলিয়া গণ্য হইবে।]

রহিতকরণ

১৫১। রাষ্ট্রপতির নিম্নলিখিত আদেশসমূহ এতদ্বারা রহিত করা হইল:

 
 

(ক) আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ (১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে প্রণীত);

 
 

(খ) ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ অস্থায়ী সংবিধান আদেশ;

 
 

(গ) ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ হাইকোর্ট আদেশ (১৯৭২ সালের পি.ও. নং ৫);

 
 

(ঘ) ১৯৭২ সালের বাংলদেশ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক আদেশ (১৯৭২ সালের পি.ও. নং ১৫);

 
 

(ঙ) ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ (১৯৭২ সালের পি.ও. নং ২২);

 
 

(চ) ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আদেশ (১৯৭২ সালের পি.ও. নং ২৫);

 
 

(ছ) ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনসমূহ আদেশ (১৯৭২ সালের পি.ও. নং ৩৪);

 
 

(জ) ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ (সরকারী কর্ম সম্পাদন) আদেশ (১৯৭২ সালের পি.ও. নং ৫৮) ।

ব্যাখ্যা

১৫২। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের প্রয়োজনে অন্যরূপ না হইলে এই সংবিধানে

 
 

"অধিবেশন" (সংসদ-প্রসঙ্গে) অর্থ এই সংবিধান-প্রবর্তনের পর কিংবা একবার স্থগিত হইবার বা ভাঙ্গিয়া যাইবার পর সংসদ যখন প্রথম মিলিত হয়, তখন হইতে সংসদ স্থগিত হওয়া বা ভাঙ্গিয়া যাওয়া পর্যন্ত বৈঠকসমূহ;

 
 

"অনুচ্ছেদ" অর্থ এই সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ;

 
 

9[***]

 
 

"অবসর-ভাতা" অর্থ আংশিকভাবে প্রদেয় হউক বা না হউক, যে কোন অবসর-ভাতা, যাহা কোন ব্যক্তিকে বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেয়; এবং কোন ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা বা ইহার সহিত সংযোজিত অতিরিক্ত অর্থ প্রত্যর্পণ-ব্যপদেশে দেয় অবসরকালীন বেতন বা আনুতোষিক ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 
 

"অর্থ-বৎসর" অর্থ জুলাই মাসের প্রথম দিবসে যে বৎসরের আরম্ভ;

 
 

"আইন" অর্থ কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন প্রথা বা রীতি;

 
 

10["আদালত" অর্থ সুপ্রীমকোর্টসহ যে কোন আদালত;]

 
 

"আপীল বিভাগ" অর্থ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ;

 
 

"উপ-দফা" অর্থ যে দফায় শব্দটি ব্যবহৃত, সেই দফার একটি উপ-দফা;

 
 

11[* * *]

 
 

"ঋণগ্রহণ" বলিতে বাৎসরিক কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য অর্থসংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং

 

"ঋণ" বলিতে তদনুরূপ অর্থ বুঝাইবে;

 
 

"করারোপ" বলিতে সাধারণ, স্থানীয় বা বিশেষ-যে কোন কর, খাজনা, শুল্ক বা বিশেষ করের আরোপ অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং "কর" বলিতে তদনুরূপ অর্থ বুঝাইবে;

 
 

"গ্যারান্টি" বলিতে কোন উদ্যোগের মুনাফা নির্ধারিত পরিমাণের অপেক্ষা কম হইলে তাহার জন্য অর্থ প্রদান করিবার বাধ্যবাধকতা-যাহা এই সংবিধান-প্রবর্তনের পূর্বে গৃহীত হইয়াছে-অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 
 

"জেলা-বিচারক" বলিতে অতিরিক্ত জেলা-বিচারক অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

 
 

"তফসিল" অর্থ এই সংবিধানের কোন  তফ্সিল;

 
 

"দফা" অর্থ যে অনুচ্ছেদে শব্দটি ব্যবহৃত, সেই অনুচ্ছেদের একটি দফা;

 
 

"দেনা" বলিতে বাৎসরিক কিস্তি হিসাবে মূলধন পরিশোধের জন্য যে কোন বাধ্যবাধকতাজনিত দায় এবং যে কোন গ্যারান্টিযুক্ত দায় অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং "দেনার দায়" বলিতে তদনুরূপ অর্থ বুঝাইবে;

 
 

"নাগরিক" অর্থ নাগরিকত্ব-সম্পর্কিত আইনানুযায়ী যে ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক;

 
 

"প্রচলিত আইন" অর্থ এই সংবিধান-প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানায় বা উহার অংশবিশেষে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সক্রিয় থাকুক বা না থাকুক, এমন যে কোন আইন;

 
 

"প্রজাতন্ত্র" অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ;

 
 

"প্রজাতন্ত্রের কর্ম" অর্থ অসামরিক বা সামরিক ক্ষমতায় বাংলাদেশ সরকার-সংক্রান্ত যে কোন কর্ম, চাকুরী বা পদ এবং আইনের দ্বারা প্রজাতন্ত্রের কর্ম বলিয়া ঘোষিত হইতে পারে, এইরূপ অন্য কোন কর্ম;

 
 

12[***]

 
 

"প্রধান নির্বাচন কমিশনার" অর্থ এই সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের অধীন উক্ত পদে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি;

 
 

"প্রধান বিচারপতি" অর্থ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি;

 
 

"প্রশাসনিক একাংশ" অর্থ জেলা কিংবা এই সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যসাধনকল্পে আইনের দ্বারা অভিহিত অন্য কোন এলাকা;

 
 

"বিচারক" অর্থ সুপ্রীম কোর্টের কোন বিভাগের কোন বিচারক;

 
 

"বিচার-কর্মবিভাগ" অর্থ জেলা-বিচারক-পদের অনূর্ধ্ব কোন বিচারবিভাগীয় পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের লইয়া গঠিত কর্মবিভাগ;

 
 

"বৈঠক" (সংসদ-প্রসঙ্গে) অর্থ মূলতবী না করিয়া সংসদ যতক্ষণ ধারাবাহিকভাবে বৈঠকরত থাকেন, সেইরূপ মেয়াদ;

 
 

"ভাগ" অর্থ এই সংবিধানের কোন ভাগ;

 
 

"রাজধানী" অর্থ এই সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের রাজধানী বলিতে যে অর্থ করা হইয়াছে;

 
 

"রাজনৈতিক দল" বলিতে এমন একটি অধিসঙ্ঘ বা ব্যক্তিসমষ্টি অন্তর্ভুক্ত, যে অধিসঙ্ঘ বা ব্যক্তিসমষ্টি সংসদের অভ্যন্তরে বা বাহিরে স্বাতন্ত্র্যসূচক কোন নামে কার্য করেন এবং কোন রাজনৈতিক মত প্রচারের বা কোন রাজনৈতিক তৎপরতা পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্যান্য অধিসঙ্ঘ হইতে পৃথক কোন অধিসঙ্ঘ হিসাবে নিজদিগকে প্রকাশ করেন;

 
 

"রাষ্ট্র" বলিতে সংসদ, সরকার ও সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ অন্তর্ভুক্ত;

 
 

"রাষ্ট্রপতি" অর্থ এই সংবিধানের অধীন নির্বাচিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কিংবা সাময়িকভাবে উক্ত পদে কর্মরত কোন ব্যক্তি;

 
 

"শৃঙ্খলা-বাহিনী" অর্থ

 
 

    (ক) স্থল, নৌ বা বিমান-বাহিনী;

 
 

    (খ) পুলিশ-বাহিনী;

 
 

    (গ) আইনের দ্বারা এই সংজ্ঞার অর্থের অন্তর্গত বলিয়া ঘোষিত যে কোন শৃঙ্খলা-বাহিনী;

 
 

"শৃঙ্খলামূলক আইন" অর্থ শৃঙ্খলা- বাহিনীর  শৃঙ্খলানিয়ন্ত্রণকারী কোন আইন;

 
 

"সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ" অর্থ যে কোন কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান, যাহার কার্যাবলী বা প্রধান প্রধান কার্য কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ বা বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন চুক্তিপত্র-দ্বারা অর্পিত হয়;

 
 

"সংসদ" অর্থ এই সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ-দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সংসদ;

 
 

"সম্পত্তি" বলিতে সকল স্থাবর ও অস্থাবর, বস্তুগত ও নির্বস্তগত সকল প্রকার সম্পত্তি, বাণিজ্যিক ও শিল্পগত উদ্যোগ এবং অনুরূপ সম্পত্তি বা উদ্যোগের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন স্বত্ব বা অংশ অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 
 

"সরকারী কর্মচারী" অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে বেতনাদিযুক্ত পদে অধিষ্ঠিত বা কর্মরত কোন ব্যক্তি;

 
 

"সরকারী বিজ্ঞপ্তি" অর্থ বাংলাদেশে গেজেটে প্রকাশিত কোন বিজ্ঞপ্তি;

 
 

"সিকিউরিটি" বলিতে স্টক অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 
 

"সুপ্রীম কোর্ট" অর্থ এই সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদ-দ্বারা গঠিত বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট;

 
 

"স্পীকার" অর্থ এই সংবিধানের ৭৪ অনুচ্ছেদ-অনুসারে সাময়িকভাবে স্পীকারের পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি;

 
 

"হাইকোর্ট বিভাগ" অর্থ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

 
 

(২) ১৮৯৭ সালের জেনারেল ক্লজেস্ অ্যাক্ট

 
 

(ক) সংসদের কোন আইনের ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য, এই সংবিধানের ক্ষেত্রে সেইরূপ প্রযোজ্য হইবে;

 
 

(খ) সংসদের কোন আইনের দ্বারা রহিত কোন আইনের ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য, এই সংবিধানের দ্বারা রহিত কিংবা এই সংবিধানের কারণে বাতিল বা কার্যকরতালুপ্ত কোন আইনের ক্ষেত্রে সেইরূপ প্রযোজ্য হইবে।

প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ

১৫৩। (১) এই সংবিধানকে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান" বলিয়া উল্লেখ করা হইবে এবং ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে ইহা বলবৎ হইবে, যাহাকে এই সংবিধানে "সংবিধান-প্রবর্তন" বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে।

 
 

(২) বাংলায় এই সংবিধানের একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ ও ইংরাজীতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য অনুমোদিত পাঠ থাকিবে এবং উভয় পাঠ নির্ভরযোগ্য বলিয়া গণপরিষদের স্পীকার সার্টিফিকেট প্রদান করিবেন।

 
 

(৩) এই অনুচ্ছেদের (২) দফা-অনুযায়ী সার্টিফিকেটযুক্ত কোন পাঠ এই সংবিধানের বিধানাবলীর চূড়ান্ত প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরাজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।


  • 1
    সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৪৮ ধারাবলে ১৪৫ক অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত ।
  • 2
    উপ-দফা (কক) সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৮ নং আইন) -এর ২১ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 3
    সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৪৯(ক) ধারাবলে (খ) উপ-দফার পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৪৯ (খ) ধারাবলে (ঘ) উপ-দফার পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    দফা (১ক) সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৮ নং আইন) -এর ২২ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 6
    "এবং কোন কারণে সেই ব্যক্তির নিকট শপথ গ্রহণ সম্ভব না হইলে" শব্দগুলি সংবিধান (চতুর্থ সংশোধন) আইন, ১৯৭৫ (১৯৭৫ সনের ২ নং আইন) -এর ২৯ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 7
    দফা (২ক) সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৪ নং আইন) -এর ৮ ধারাবলে সনি্নবেশিত
  • 8
    সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫০ ধারাবলে ১৫০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫১(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 10
    সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫১(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 11
    "উপ-রাষ্ট্রপতি" কথার ব্যাখ্যাটি সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৮ নং আইন) -এর ২৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 12
    সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫১(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs