সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১। (১) এই আইন 
বরিশাল মহানগরী পুলিশ আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে। 
 
     (২) ইহা ১৫ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। 
 
     (৩) ইহা বরিশাল মহানগরী এলাকায় প্রযোজ্য হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সংজ্ঞা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    	 
২। বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -
 
(ক) 'অধস্তন কর্মকর্তা' অর্থ সহকারী পুলিশ কমিশনারের অধস্তন যে কোন পুলিশ কর্মকর্তা ;
 
(খ) 'ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা' অর্থ পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার ;
 
(গ) 'গবাদি পশু' অর্থে হাতী, ঘোড়া, গাধা, খচ্চর, গরু, ভেড়া, ছাগল এবং শুকরও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে ;
 
(ঘ) 'জনসাধারণের প্রমোদাগার' অর্থ এমন স্থান যেখানে বাদ্য, সংগীত, নৃত্য বা চিত্তবিনোদনমূলক অন্য কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ব্যবস্থা থাকে এবং যেখানে অর্থ প্রদানের বিনিময়ে জনসাধারণকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়, এবং ঘোড় দৌঁড়ের মাঠ, সার্কাস, নাট্যশালা, চলচ্চিত্র গৃহ, সংগীতালয়, বিলিয়ার্ড কক্ষ, শরীরচর্চা গৃহ, সুইমিং পুল বা নৃত্যশালাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(ঙ) 'পুলিশ কমিশনার', 'অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার', 'যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার', 'উপ-পুলিশ কমিশনার' ও 'সহকারী পুলিশ কমিশনার' অর্থ ধারা ৭ এর অধীন নিযুক্ত যথাক্রমে পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার ;
 
(চ) 'পুলিশ কর্মকর্তা', অর্থ এই আইনের অধীন নিযুক্ত বাহিনীর যে কোন সদস্য এবং ধারা ১০ এর অধীন নিযুক্ত কোন সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা এবং এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনরত অন্য কোন পুলিশ বাহিনীর সদস্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন ;
 
(ছ) 'প্রবিধান' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান ;
 
(জ) 'ফৌজদারী কার্যবিধি' অর্থ 
Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
 
(ঝ) 'বাহিনী' অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত বরিশাল মহানগরী পুলিশ বাহিনী ;
 
(ঞ) 'বিধি' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি ;
 
(ট) 'মহা-পুলিশ পরিদর্শক' অর্থ 
Police Act, 1861(Act V of 1861) এর অধীন নিযুক্ত Inspector General of Police ;
 
(ঠ) 'যানবাহন' অর্থ যে কোন গাড়ী, গরু বা ঘোড়ার গাড়ী, ভ্যান, ট্রাক, ঠেলাগাড়ী, বাইসাইকেল, ট্রাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিক্সা বা চাকাযুক্ত রাস্তায় চলাচলের উপযোগী যে কোন প্রকারের বাহন;
 
(ড) ' বরিশাল মহানগরী এলাকা' বা 'মহানগরী এলাকা' অর্থ এই আইনের প্রথম তফসিলে বর্ণিত এলাকা ;
 
(ঢ) 'রাস্তা` অর্থ সর্বসাধারণের সরাসরি চলাচলের অধিকার আছে এমন কোন সড়ক, গলি, পায়ে হাঁটা পথ, প্রাংগণ, সংকীর্ণ পথ বা প্রবেশ পথ, সরাসরি চলাচলের জন্য উপযুক্ত হউক বা না হউক, কেও বুঝাইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                            Act V of 1861এর প্রয়োগ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩। এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিংবা বিরোধপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে 
Police Act, 1861 (Act V of 1861) অতঃপর Police Act বলিয়া উল্লিখিত, বরিশাল মহানগরী এলাকায় প্রযোজ্য হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             কতিপয় ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ার রহিত
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪। ফৌজদারী কার্য বিধিতে যাহাই থাকুক না কেন, এই আইনের বা উহার অধীন ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, এই আইনের  উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বরিশাল মহানগরী এলাকা কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কর্তৃত্বাধীন থাকিবে নাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বরিশাল মহানগরী এলাকায় ফৌজদারী বিচার কার্য সম্পন্নের জন্য যতদিন পর্যন্ত উপযুক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপন করা যাইবে না, ততদিন পর্যন্ত উক্ত এলাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর বিচারিক দায়িত্বে থাকিবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                    
                        
                            
                                
                                
                                দ্বিতীয় অধ্যায়
                                
                                
                            
                        
                        
                            
                                
                                বরিশাল মহানগরী পুলিশ বাহিনীর গঠন
                                
                                
                            
                        
                     
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বাহিনীর গঠনতন্ত্র
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫। (১) বরিশাল মহানগরী পুলিশ নামে বরিশাল মহানগরী এলাকার জন্য একটি স্বতন্ত্র পুলিশ বাহিনী থাকিবে। 
 
 
(২) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তার সমন্বয়ে বাহিনী গঠিত হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বাহিনীর তত্ত্বাবধান
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬। এ বাহিনী সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকিবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কমিশনার, ইত্যাদি
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭। (১) সরকার একজন পুলিশ কমিশনার নিয়োগ করিবেন, যিনি মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, এই আইন দ্বারা বা উহার অধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন। 
 
		 
     (২) সরকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার নিয়োগ করিতে পারিবে, যাহারা পুলিশ কমিশনারকে তাহার ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালনে সাহায্য করিবেন এবং তাহারা পুলিশ কমিশনার কর্তৃক তাহাদের উপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন। 
 
     (৩) পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে নিযুক্ত হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮। (১) বাহিনীতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক পুলিশ পরিদর্শক এবং অন্যান্য অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা থাকিবে। 	
 
 
(২) মহা-পুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক পুলিশ পরিদর্শক নিযুক্ত হইবেন এবং অন্যান্য অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা মহা-পুলিশ পরিদর্শক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পদের নীচে নহেন এমন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন। 	
 
 
(৩) অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে নিযুক্ত হইবেন। 	
 
 
(৪) নিযুক্ত হইবার পর প্রত্যেক অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা দ্বিতীয় তফসিল এর ফরমে একটি সার্টিফিকেট পাইবেন। 	
 
 
(৫) যে ব্যক্তিকে উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সার্টিফিকেট দেওয়া হইয়াছে, বাহিনীতে চাকুরীর অবসান হইলে, তাহার সেই সার্টিফিকেট বাতিল হইয়া যাইবে এবং সেই চাকুরী হইতে সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে উহার কার্যকরতা স্থগিত থাকিবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বদলী
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৷ এই আইন, Police Act  বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার বা মহা-পুলিশ পরিদর্শক এই আইনের অধীনে নিযুক্ত কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে Police Act  এর অধীন গঠিত পুলিশ বাহিনীতে এবং Police Act এর অধীন নিযুক্ত কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন গঠিত পুলিশ বাহিনীতে বদলী করিতে পারিবেন, এবং অনুরূপ বদলীর পর বদলীকৃত পুলিশ কর্মকর্তা যে পুলিশ বাহিনীতে বদলী হইয়াছেন সেই বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য আইনের অধীন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলিয়া গণ্য হইবেন৷ 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০। (১) বাহিনীর স্বার্থে পুলিশ কমিশনারের বিবেচনায় যদি কোন ব্যক্তির সাহায্য প্রয়োজন হয় তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে, সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবেন। 
 
 
(২) নিযুক্ত হইবার পর, প্রত্যেক সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা- 
 
 
(ক) এই আইনের দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত ফরমে একটি সার্টিফিকেট পাইবেন; 
 
 
(খ) অন্য যে কোন পুলিশ কর্মকর্তার অনুরূপ ক্ষমতা ও সুবিধাদি ভোগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন ; 
 
 
(গ) অন্য যে কোন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য যে শাস্তির বিধান রহিয়াছে সেই শাস্তির বিধানের আওতায় থাকিবেন ; 
 
 
(ঘ) অন্য যে কোন পুলিশ কর্মকর্তা যে কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বাধীন থাকিবেন সেইরূপ কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বাধীন থাকিবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                    
                        
                            
                                
                                
                                তৃতীয় অধ্যায়
                                
                                
                            
                        
                        
                            
                                
                                বাহিনীর প্রশাসন
                                
                                
                            
                        
                     
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বাহিনীর প্রশাসনে পুলিশ কমিশনারের আদেশ দানের ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১। পুলিশ কমিশনার এই আইন ও বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে আদেশ জারি করিতে পারিবেন, যথাঃ-  
 
 
(ক) বাহিনীর পরিদর্শন ; 
 
 
(খ) পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক সংবাদ ও গোপন তথ্য সংগ্রহ ও অবহিতকরণ ; 
 
 
(গ) বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র, পোশাক ও বস্ত্রাদি ও উহার পরিমাণ ; 
 
 
(ঘ) বাহিনীর সদস্যদের আবাসস্থল ; 
 
 
(ঙ) বাহিনীর প্রশাসন ও কল্যাণের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন তহবিল গঠন, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ; 
 
 
(চ) বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব এবং উহা পালনের পদ্ধতি ও শর্ত ; 
 
 
(ছ) বাহিনীর দক্ষতা ও শৃঙ্খলা ; 
 
 
(জ) পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও কর্তব্যে অবহেলা নিরোধ। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অধস্তন কর্মকর্তাদের শাস্তি
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১২। (১) সংবিধানের ১৩৫ অনুচ্ছেদের বিধান এবং বিধি সাপেক্ষে পুলিশ কমিশনার অথবা পুলিশ কমিশনার হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কোন অধস্তন কর্মকর্তাকে অবাধ্যতা, শৃঙ্খলা ভংগ, অসদাচরণ, দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা বা কর্তব্য পালনে শিথিলতা অথবা কোন কার্যের দ্বারা নিজকে কর্তব্য পালনে অযোগ্য প্রতিপন্ন করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করিলে, তাহাকে লিখিত আদেশ দ্বারা কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, নিম্নবর্ণিত যে কোন এক বা একাধিক শাস্তি দিতে পারিবেন, যথাঃ- 	
 
 
(ক) চাকুরী হইতে বরখাস্ত (Dismissal from Service); 	
 
 
(খ) চাকুরী হইতে অপসারণ (Removal from Service) ; 	
 
 
(গ) বাধ্যতামূলক অবসর (Compulsory Retirement) ; 	
 
 
(ঘ) পদাবনতি (Reduction in Rank); 	
 
 
(ঙ) পদোন্নতি বন্ধকরণ (Barring Promotion) ; 	
 
 
(চ) অনূর্ধ্ব এক বৎসরের জ্যেষ্ঠতা বাজেয়াপ্তকরণ (Forfeiture of Seniority for one year Maximum); 	
 
 
(ছ) অনূর্ধ্ব এক মাসের বেতন ও ভাতাদি বাজেয়াপ্তকরণ; 	
 
 
(জ) বেতন বৃদ্ধি বন্ধকরণ; 	
 
 
(ঝ) অনূর্ধ্ব একমাসের বেতনের পরিমাণ টাকা জরিমানা; 	
 
 
(ঞ) অনূর্ধ্ব ত্রিশ দিনের জন্য কোয়ার্টার গার্ডে আটক রাখা; 	
 
 
(ট) অনূর্ধ্ব ত্রিশ দিনের জন্য পুলিশ লাইনে আটক রাখা এবং তৎসহ এক্সট্রা ড্রিল, এক্সট্রা গার্ড, ফ্যাটিগ বা অন্য ডিউটি; 	
 
 
(ঠ) তিরস্কার; 	
 
 
(ড) দৈনিক দুই ঘন্টা করিয়া অনূর্ধ্ব ১৪ দিনের জন্য শাস্তিস্বরূপ ড্রিল প্রদান। 	
 
 
ব্যাখ্যা - (ক) অসদাচরণ বলিতে চাকুরীর শৃঙ্খলা ও নিয়মের হানিকর বা ভীরুতার দায়ে দোষী বা কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা ভদ্রজনের পক্ষে শোভনীয় নয় এমন অথবা আপাততঃ বলবৎ সরকারী কর্মচারীর আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার পরিপন্থী কোন আচরণকে বুঝাইবে। 	
 
 
(খ) দুনীতি বলিতে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারী অফিসে ক্ষমতা বা পদের অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ ও প্রদান, সরকারী কর্মচারী কর্তৃক কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কোন মূল্যবান বস্তু বিনা মূল্য গ্রহণ, কোন সরকারী কর্মচারী বে-আইনী ভাবে কোন ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত হওয়া, অসাধুভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎকরণ, দুর্নীতিতে সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গতিপূর্ন নয় এমন আয়েশী জীবন। 	
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পুলিশ কমিশনারের ক্ষমতাসমূহ পরিদর্শক ব্যতীত অন্য কোন অধস্তন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে উপ-পুলিশ কমিশনারের অধস্তন নয় এমন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রয়োগ করা যাইতে পারে। 	
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন যাহার বিরুদ্ধে কার্যক্রম নেওয়া বা তদন্ত করা প্রয়োজন, এমন যে কোন অধস্তন কর্মকর্তাকে পুলিশ কমিশনার বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক কর্তব্যরত থাকা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১৩। (১) ছুটিতে বা সাময়িক বরখাস্তকৃত নহেন এমন প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক কর্তব্যরত বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
     (২) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মহাপুলিশ পরিদর্শকের নির্দেশে যে কোন পুলিশ কর্মকর্তা মহানগরী এলাকার বাহিরে যে কোন স্থানে পুলিশের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত হইতে পারেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অধস্তন কর্মকর্তার পদত্যাগ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১৪। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন নহে এমন কর্মকর্তার লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অধস্তন কর্মকর্তা পদত্যাগ করিতে অথবা কর্তব্য হইতে নিজেকে প্রত্যাহার করিতে পারিবেন না। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                    
                        
                            
                                
                                
                                চতুর্থ অধ্যায়
                                
                                
                            
                        
                        
                            
                                
                                পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতা ও কর্তব্য
                                
                                
                            
                        
                     
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তার সাধারণ দায়িত্ব
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১৫। পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব হইবে - 		
 
 
(ক) যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহার নিকট প্রদত্ত আইনানুগ সমন জারি, পরোয়ানা বা অন্যবিধ আদেশ কার্যকর করা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করার জন্য আইন সম্মতভাবে চেষ্টা করা;
 
(খ) বিচারার্থ গ্রহণযোগ্য সংঘটিত এবং সংঘটিত হইতে পারে এমন অপরাধের সূত্র উপস্থাপনের জন্য তাহার সর্বশক্তি নিয়োগ ও তৎসম্পর্কিত গোপন তথ্য অনুসন্ধান করা, অপরাধীদের বিচার এবং উক্তরূপ অপরাধ এবং বিচারার্থ গ্রহণযোগ্য নয় এমন অপরাধ নিরোধের জন্য এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ মোতাবেক প্রাপ্ত তথ্য সরবরাহ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
 
 
(গ) গণ উৎপাত (nuisance) সংঘটনের চেষ্টা যথাসাধ্য প্রতিহত করা; 		
 
 
(ঘ) যাহাদিগকে গ্রেপ্তার করার জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং যাহাদিগকে গ্রেপ্তার করার যুক্তিসংগত কারণ আছে তাহাদিগকে অযৌক্তিকভাবে বিলম্ব না করিয়া গ্রেপ্তার করা; 		
 
 
(ঙ) কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুরোধ করা হইলে সেই কর্মকর্তাকে আইনানুগ এবং যুক্তিসংগত সাহায্য প্রদান করা; 		
 
 
(চ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন দ্বারা তাহার উপর প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             জনগণ এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের প্রতি কর্তব্য
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১৬। প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব হইবে - 	
 
 
(ক) রাস্তাঘাটে দৈহিকভাবে অক্ষম ও নিরাশ্রয় লোকদিগকে, যতদূর সম্ভব, সহায়তা দান করা, এবং কোন ব্যক্তি তাহার নিকট বিপজ্জনক, মাতাল বা নিজের নিরাপত্তার প্রতি অমনোযোগী উন্মাদ বিবেচিত হইলে উক্ত ব্যক্তির দায়িত্ব গ্রহণ করা; 	
 
 
(খ) গ্রেপ্তারকৃত আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য সংগ্রহের দ্রুত ব্যবস্থা করা এবং অনুরূপ ব্যক্তির প্রহরায় নিযুক্ত থাকাকালে তাহার অবস্থার প্রতি যত্নবান হওয়া; 	
 
 
(গ) গ্রেপ্তারকৃত বা জিম্মায় রাখা হইয়াছে এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্য যথাপোযুক্ত আহার্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা; 	
 
 
(ঘ) তল্লাশি চালাইবার সময়, দুর্ব্যবহার পরিহার করা এবং বিরক্তিকর আচরণের কারণ না হওয়া; 	
 
 
(ঙ) মহিলা ও শিশুদের সহিত ব্যবহারের সময় শালীনতাপূর্ণ আচরণ কঠোরভাবে মানিয়া চলা এবং যুক্তি সংগত ভদ্র ব্যবহার করা; 	
 
 
(চ) অগ্নিকান্ডের সময় ক্ষয়ক্ষতি রোধ করার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করা; 	
 
 
(ছ) সর্বসাধারণের দুর্ঘটনা বা বিপদ এড়াইবার জন্য নিজের সাধ্যমত কাজ করা।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় পুলিশ কর্মকর্তার কর্তব্য
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১৭। রাস্তায় পুলিশ কর্মকর্তার কর্তব্য হইবে - 	
 
 
(ক) যানবাহন নিয়ন্ত্রণ; 	
 
 
(খ) রাস্তায় অবৈধ নির্মাণকার্য রোধ করা; 	
 
 
(গ) রাস্তায় বা রাস্তার সন্নিকটে এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি, প্রবিধান বা প্রদত্ত কোন আদেশের বিধান যাহাতে কেহ ভঙ্গ করিতে না পারে সেই জন্য চেষ্টা করা;
 
(ঘ) রাস্তায় সর্বসাধারণের ব্যবহৃত জায়গায়, মেলায়, পার্কে সর্বসাধারণের সম্মিলিত হওয়ার অন্যান্য সকল জায়গায় এবং সর্বসাধারণের প্রার্থনার স্থানসমূহের আশেপাশে শৃঙ্খলা বজায় রাখা;
 
(ঙ) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীবাহী নৌকায় বিপজ্জনকভাবে বা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই রোধ এবং অনুরূপ যে কোন স্থানে বা নৌকায় কোন আইন বা আইনানুগ বিধি, আদেশ ইত্যাদি লঙ্ঘন রোধ করা। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তার যুক্তিসংগত নির্দেশ মান্য করা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১৮। এই আইনের দ্বারা প্রদত্ত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে পুলিশ কর্মকর্তার যে কোন নির্দেশ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি মানিতে বাধ্য থাকিবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             নির্দেশ কার্যকরকরণে পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১৯। ধারা ১৮ তে উল্লিখিত নির্দেশ পালনে বাধা প্রদান, অস্বীকার করা বা অপারগতার জন্য পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করিতে, বা ক্ষেত্র মত, সরাইয়া দিতে পারিবেন এবং অনুরূপ ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থিত করিতে অথবা ঘটনাটি নগণ্য হইলে উহার পরে লোকটিকে ছাড়িয়াও দিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             তথ্য সরবরাহে পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২০। এই আইন অনুযায়ী কোন পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট যে কোন তথ্য পেশ করিতে ও অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে রাস্তায় তল্লাশি করার ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২১।  রাস্তায় বা সর্বসাধারণের সমবেত হওয়ার কোন স্থানে কোন ব্যক্তির নিকট চোরাই মাল, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য আছে বলিয়া পুলিশ কর্মকর্তা যুক্তিসংগতভাবে সন্দেহ করিলে, তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তল্লাশি করিতে ও তৎসম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে তাহার বক্তব্য মিথ্যা বা সন্দেহজনক বলিয়া পুলিশ কর্মকর্তা মনে করিলে, তিনি প্রাপ্ত মালামাল আটক করিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ঘটনাটির ব্যাপারে রিপোর্ট দায়ের করিতে পারিবেন এবং আটককৃত ব্যক্তিকে আলামতসহ  (চোরাই মাল, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিষ্ফোরক ও মাদকদ্রব্যসহ) ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করিবেন, অতঃপর ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৫২৩ এবং ৫২৫ এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ এর অধীন নির্দেশ, প্রজ্ঞাপন, নোটিশ এবং আদেশ কার্যকর
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২২। (১) যখন ধারা ২৯ এর অধীন কোন নির্দেশ প্রদান করা হয়, ধারা ৩০ এর অধীন কোন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বা ধারা ৩১, ৩৩ ও ৩৪ এর অধীন কোন আদেশ দেওয়া হয় বা ধারা ৩২ এর অধীন কোন পাবলিক নোটিশ জারি করা হয়, সে ক্ষেত্রে উক্তরূপ নির্দেশ, প্রজ্ঞাপন, আদেশ বা নোটিশের পরিপন্থী কোন কাজ হইতে কোন ব্যক্তিকে বিরত রাখা পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে আইন সম্মত হইবে এবং পুলিশ কর্মকর্তার আদেশ অমান্যকারীকে তিনি গ্রেপ্তার করিতে এবং অনুরূপ নির্দেশ অমান্য করার কাজে ব্যবহৃত দ্রব্য বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত দ্রব্য আটক করিতে পারিবেন। 
 
 
(২) উপ-ধারা ১ এর অধীন আটককৃত দ্রব্য ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী নিষ্পত্তি (Dispose off) হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বেওয়ারিশ সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিলিবন্টন
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২৩। (১) নিম্নবর্ণিত জিনিসের সাময়িকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করা পুলিশ কর্মকর্তার কর্তব্য হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) তাহার নজরে আসিয়াছে বা তাহার নিকট আনীত হইয়াছে এইরূপ বেওয়ারিশ অস্থাবর সম্পত্তি; 			
 
 
(খ) সম্পত্তির মালিক বা দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি কর্তৃক অপসারণ করিতে অস্বীকার করার ক্ষেত্রে বা অপসারণ না করার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে বা রাস্তায় পড়িয়া থাকা সকল অস্থাবর সম্পত্তি। 			
 
 
(২) পুলিশ কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন সম্পত্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট উহা হস্তান্তর করিবেন এবং সংগে সংগে পুলিশ কমিশনারের নিকট বিষয়টি রিপোর্ট করিবেন। 			
 
 
(৩) অনুরূপ সম্পত্তি কোন মালিকানাবিহীন বা মৃত ব্যক্তির বলিয়া যৌক্তিক কারণ থাকিলে এবং উহার মূল্য পাঁচ হাজার টাকার কম না হইলে, পুলিশ কমিশনার বিষয়টি এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেলের গোচরে আনিবেন যাহাতে Administrator Generals Act, 1913 (Act III of 1913) এর, বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীনে উক্ত সম্পত্তির বন্দোবস্ত করা যায়। 			
 
 
(৪) অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বিবরণ দিয়া এই মর্মে একটি ঘোষণা জারী করিবেন যে, উহার দাবীদার যেন ঘোষণা জারীর তিন মাসের মধ্যে তাহার বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার নিকট উপস্থিত হইয়া দাবী প্রমাণ করেন।
 
 
(৫) উক্ত সম্পত্তির বা উহার কোন অংশ দ্রুত ও স্বাভাবিকভাবে বিনষ্ট হওয়ার মত হইলে, বা উহাতে গবাদি পশু থাকিলে বা উহার মূল্য ৫০০০ টাকার কম বলিয়া অনুমিত হইলে, উহা অনতিবিলম্বে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মোতাবেক নিলামে বিক্রয় করা যাইবে এবং অনুরূপ সম্পত্তির বিলিবন্টনের জন্য এই আইনের বিধান মোতাবেক বিক্রয় লব্ধ অর্থ বিলিবন্টন করা হইবে। 			
 
 
(৬) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত দ্রব্য সম্পর্কে দাবিদারের যৌক্তিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ কমিশনার পুলিশ কর্তৃক উহা আটক ও সংরক্ষণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হইয়াছে তাহা কর্তন সাপেক্ষে উক্ত দ্রব্য দাবিদারকে প্রত্যার্পণের নির্দেশ দিবেন। 			
 
 
(৭) উপ ধারা (৬) এর অধীন আদেশ দেওয়ার পূর্বে পুলিশ কমিশনার যেভাবে যথাযথ মনে করেন সেইভাবে যে ব্যক্তিকে সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হইতেছে তাহার নিকট হইতে জামানত গ্রহণ করিতে পারেন এবং যে ব্যক্তির নিকট সম্পত্তি হস্তান্তর করা হইতেছে তাহার নিকট হইতে উহার সম্পূর্ণ অংশ অথবা অংশবিশেষ উদ্ধারের জন্য কোন লোকের অধিকার থাকিলে সে অধিকার কোন ভাবেই ক্ষুণ্ন হইবে না। 			
 
 
(৮) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে অনুরূপ সম্পত্তির ব্যাপারে কোনরূপ দাবী পেশ না করেন, তাহা হইলে উহা সরকারী হেফাজতে থাকিবে, এবং উহা অথবা উহার অংশবিশেষ উপধারা (৫) এর অধীনে বিক্রয় না হইয়া থাকিলে, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশক্রমে উহা নিলামে বিক্রয় করা যাইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             গবাদি পশু আটক করা 
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২৪। কোন গবাদি পশু রাস্তায় বেওয়ারিশভাবে ঘোরাফেরা করিতে থাকিলে অথবা কোন সরকারী সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিলে, পুলিশ কর্মকর্তা সেই গবাদি পশু খোয়াড়ে রাখার জন্য আটক করিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অসুস্থ ও অক্ষম জীবজন্তু নিধন 
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২৫। কোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি কোন রাস্তা বা প্রকাশ্য স্থানে কোন অসুস্থ জখমপ্রাপ্ত বা দৈহিকভাবে অক্ষম জীবজন্তু দেখিতে পান এবং তিনি যদি মনে করেন যে, সংশ্লিষ্ট জন্তুটিকে নিধন করা প্রয়োজন এবং যে ক্ষেত্রে উক্ত জন্তুর মালিক অনুপস্থিত থাকেন বা নিধনের সম্মতি না দেন, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারী পশু চিকিৎসককে তলব করিবেন এবং সরকারী পশু চিকিৎসক যদি প্রত্যয়ন করেন যে, সংশ্লিষ্ট জন্তুটি এতই অসুস্থ বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত বা এমনই দুরব্স্থাগ্রস্থ হইয়াছে যে, উহাকে জীবিত রাখা চরম নিষ্ঠুরতার সামিল, তাহা হইলে পুলিশ কর্মকর্তা মালিকের আপত্তি সত্ত্বেও উক্ত জন্তুটিকে নিধন করিতে বা নিধনের ব্যবস্থা করিতে পারিবেনঃ 			
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারী পশু চিকিৎসক যদি মনে করেন যে, গুরুতর কষ্ট প্রদান ছাড়াই জন্তুটিকে স্থানান্তর করা সম্ভব, তাহা হইলে নিধনের পূর্বে উহাকে তাহার বিবেচনায় অন্য কোন উপযুক্ত স্থানে অপসারণের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে পরামর্শ দিতে পারিবেনঃ 			
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, কোন রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে কোন জন্তু নিধন করিতে হইলে উহাকে জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে রাখার জন্য যতদূরসম্ভব চারিদিকে আবরণ দিয়া লইতে হইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                             মিথ্যা পরিমাপযন্ত্র ও দাড়িপাল্লা তল্লাশি, পরীক্ষা ও আটক করার ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২৬৷ (১) ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৫৩ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পুলিশ কমিশনার কর্তৃক সাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা যে কোন পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা তল্লাশি বা পরীক্ষা করার জন্য বিনা পরোয়ানায় যে কোন দোকানে বা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিতে পারিবেন৷				
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তল্লাশিকালে পুলিশ কর্মকর্তার নিকট যদি কোন পরিমাপযন্ত্র  বা দাড়িপাল্লা  মিথ্যা অনুমান করার কারণ থাকে, তাহা হইলে তিনি উহা আটক করিতে পারিবেন, এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক তাহা অনতিবিলম্বে পুলিশ কমিশনারকে জানাইবেন৷  				
 
 
(৩) পরিমাপযন্ত্রের ওজন ও মাপ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে মাপ ঠিক  করা আছে উহার সহিত গরমিল হইলে এই ধারার অধীন সংশ্লিষ্ট পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা মিথ্যা বলিয়া গণ্য হইবে ৷
 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                    
                        
                            
                                
                                
                                পঞ্চম অধ্যায়
                                
                                
                            
                        
                        
                            
                                
                                পুলিশ কমিশনারের ক্ষমতা
                                
                                
                            
                        
                     
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             প্রবিধান প্রণয়নে পুলিশ কমিশনারের ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২৭। (১) পুলিশ কমিশনার সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং এই আইন ও বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন, যথাঃ  	
 
 
(ক) পোতাশ্রয়, লঞ্চ ও ফেরীঘাট ইত্যাদিতে যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য কাজ করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরীর হার নির্ধারণ; 	
 
 
(খ) রাস্তা ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে যানবাহন দাঁড় করাইয়া রাখার শর্তাবলী আরোপ এবং যানবাহন বা গবাদি পশুর বিশ্রামস্থল হিসাবে রাস্তার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ;
 
 
(গ) রাস্তা ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে সকল প্রকার যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং জনসাধারণের অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে রাস্তা ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে অশ্বারোহণ, গাড়ী ও সাইকেল চালনা, হাঁটা এবং গবাদি পশু লইয়া যাওয়া নিয়ন্ত্রণ; 	
 
 
(ঘ) রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনে আলো বাতির সংখ্যা ও উহাদের ব্যবহারের সময় নির্ধারণ ; 	
 
 
(ঙ) দিনের বেলায় রাস্তায় কখন গবাদি পশু চলাচল করিতে পারিবেনা অথবা কোন্ কোন্ রাস্তা দিয়া চলাচল করিতে পারিবে না তাহা নির্ধারণ অথবা উহাদের চলাচলের উপর শর্ত আরোপ; 
 
 
(চ) রাস্তা দিয়া কাষ্ঠ, মই, লোহার পাত, রড, ইত্যাদি জাতীয় লম্বা ও চওড়া দ্রব্য সামগ্রী বহনের সময় রাস্তা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ ও পদ্ধতি নির্ধারণ ; 	
 
 
(ছ) আশে পাশের বাসিন্দাদের এবং যানবাহন আরোহীদের অসুবিধা ও বিরক্তি দূরীকরণের উদ্দেশ্যে রাস্তায় সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গান বাজনা, বাদ্য বাজনা, হর্ণ বাজানো ইত্যাদির অনুমতি প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ ; 	
 
 
(জ) রাস্তা দিয়া শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের আচরণ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং শোভাযাত্রা গমনাগমনের রাস্তা ও সময় নির্ধারণ ; 	
 
 
(ঝ) যানবাহন চলাচলে যাহাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হইতে না পারে তজ্জন্য রাস্তায় বাঁশ বা খাম্বা লাগানো বা ঝুলানো নিষিদ্ধকরণ ; 	
 
 
(ঞ) কোন রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বা অন্যান্য জিনিস ফেলিয়া রাখা অথবা গরু ছাগল, ইত্যাদি বাঁধিয়া রাখা নিবারণ বা নিয়ন্ত্রণ; 	
 
 
(ট) বাসিন্দাদের অসুবিধা দূরীকরণের জন্য নিম্নবর্ণিত বিষয় নিষিদ্ধ করিয়া লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ, যথাঃ- 	
 
 
(অ) যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকার বা স্থানীয় সংস্থার কর্মচারী ছাড়া অন্য কাহারও দ্বারা রাস্তা ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে আলোকসজ্জা করা ; 	
 
 
(আ) রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা উহার সন্নিকটে পাথর বিদীর্ণ করা অথবা মাটি খোঁড়া ; 	
 
 
(ই) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা উহার সন্নিকটে লাউডস্পীকার ব্যবহার ; 	
 
 
(ঈ) পতনোন্মুখ বিল্ডিং এর বিপদ এড়ানো বা অন্যান্য কারণবশতঃ বিশেষ বিশেষ রাস্তায় সাময়িকভাবে চলাচল বন্ধ রাখা ; 	
 
 
(ঠ) কোন বিল্ডিং, প্লাটফরম বা কাঠামো ধ্বংস করার সময় আঘাত লাগা বা অন্যান্য বিপদ হইতে জনসাধারণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; 	
 
 
(ড) কাঠ-খড় অগ্নিদগ্ধ করা, বহ্নুৎসব, বাজী পোড়ানো ও পটকা ফুটানো ইত্যাদির নিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ; 	
 
 
(ঢ) সাধারণ চিত্তবিনোদন ও প্রমোদস্থলের জন্য লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ ; 	
 
 
(ণ) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে এবং সাধারণ চিত্তবিনোদন ও প্রমোদস্থলে গমনাগমনের পথ নিয়ন্ত্রণ; 	
 
 
(ত) সর্বসাধারণের চিত্তবিনোদন ও প্রমোদস্থলে, গান, বাজনা, নৃত্যপ্রদর্শন, নাটকাভিনয় ইত্যাদি লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ;
 
 
(থ) সাধারণের প্রমোদস্থলে প্রবেশের জন্য টিকেট বিক্রয় অথবা পাস প্রদান, নিয়ন্ত্রণ ও নিরোধ; 	
 
 
(দ) এই আইনের অধীনে কোন লাইসেন্স বা অনুমতি প্রদানের ফিস নির্ধারণ। 	
 
 
(২) এই ধারার অধীন প্রণীত প্রবিধান প্রাক-প্রকাশ করিতে হইবে এবং প্রণীত প্রবিধান সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিয়া ও সংশ্লিষ্ট এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লটকাইয়া জারী করিতে হইবে এবং পুলিশ কমিশনার, সমীচীন মনে করিলে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দ্বারাও প্রকাশ করিতে পারিবেনঃ 	
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহা হইলে প্রাক-প্রকাশনা না করিয়াও প্রবিধান প্রণয়ন করা যাইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় প্রতিবন্ধক নির্মাণের কর্তৃত্ব দান
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২৮। (১) যদি পুলিশ কমিশনার এই মর্মে প্রয়োজন বোধ করেন যে, কোন রাস্তায় অস্থায়ীভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা সমীচীন, তাহা হইলে তিনি কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে উক্ত রাস্তায় অস্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধক নির্মাণ করার ক্ষমতা দান করিতে পারেন। 
 
 
(২) অনুরূপ প্রতিবন্ধক কিভাবে ব্যবহার করা হইবে তজ্জন্য পুলিশ কমিশনার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারিবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             জনসাধারণকে নির্দেশ দানের ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ২৯। পুলিশ কমিশনার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন পুলিশ কর্মকর্তা, ধারা ২৭ এর অধীন প্রণীত প্রবিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক নির্দেশ দিতে পারিবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) রাস্তায় জনসমাবেশ বা মিছিলকারীদের শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিতকরণ ; 	
 
 
(খ) অনুরূপ মিছিল কোন্ কোন্ রাস্তা দিয়া বা কোন্ কোন্ সময়ে যাইতে পারিবে বা পারিবে না ; 	
 
 
(গ) কোন স্থান বা উপাসনাস্থলে বা উহার সন্নিকটে অনুরূপ মিছিল গমন বা সমাবেশ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকিবে ; 	
 
 
(ঘ) রাস্তা, জনসাধারণের গোসল করার জায়গা ইত্যাদি এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য অন্যান্য স্থানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ; 	
 
 
(ঙ) রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসাপাতাল বা উহার নিকটে গান বাজনা, ঢাক ঢোল ইত্যাদি বাজানো নিয়ন্ত্রণ ; 	
 
 
(চ) রাস্তা বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থান বা জনসাধারণের প্রমোদাগারে লাউডস্পীকার ব্যবহার।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বিশৃঙ্খলা রোধ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩০। (১) জনশৃঙ্খলা, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার খাতিরে পুলিশ কমিশনার যখনই যে স্থানে প্রয়োজন মনে করিবেন তখনই সেই স্থানে প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন, যথাঃ- 	
 
 
(ক) হিংসাত্নকভাবে আঘাত করার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র, তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা বা লাঠি বহন; 	
 
 
(খ) বিস্ফোরক দ্রব্য বহন; 	
 
 
(গ) ইট, পাথর, ইত্যাদি সংগ্রহ ও বহন; 	
 
 
(ঘ) মানুষের মৃতদেহ বা মূর্তি ও কুশপুত্তলিকা প্রদর্শনী; 	
 
 
(ঙ) সর্বসাধারণের শ্রুতিগোচরে চিৎকার করা, গান বাজনা করা; 	
 
 
(চ) শালীনতা ও নৈতিকতা বিরোধী এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিরোধী কোন কিছু প্রদর্শন বা প্লাকার্ড বহন বা ছবি, ইত্যাদি প্রদর্শনী। 	
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিয়া কোন ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক বা অনুরূপ কোন দ্রব্য বহন করিলে, পুলিশ কর্মকর্তা তাহাকে নিরস্ত্র করিতে, অস্ত্র আটক করিতে এবং অস্ত্র ও ক্ষেত্রমত, বিস্ফোরক দ্রব্য, বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             জনসমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধকরণ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩১। শান্তি-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন মনে করিলে, পুলিশ কমিশনার যে কোন স্থানে যে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য লিখিত নির্দেশ জারি করিয়া জনসমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবেনঃ 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোন নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকে ত্রিশ দিনের বেশি বহাল থাকিবে না।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             জনস্বার্থে কোন রাস্তা বা স্থান সংরক্ষিত রাখা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                      
 
৩২। পুলিশ কমিশনার প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তি জারী করিয়া যে কোন রাস্তা বা স্থান জনস্বার্থে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত রাখার আদেশ দিতে পারিবেন, এবং উক্ত সংরক্ষিত রাস্তা বা স্থানে তৎকর্তৃক আরোপিত শর্তাধীনে প্রবেশ করা যাইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             যানবাহন সরবরাহ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩৩।  আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, বাহিনীর কাজের প্রয়োজনে পুলিশ কমিশনার, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোন যানবাহন সরবরাহ করিতে উহার মালিককে নির্দেশ দিতে পারিবেনঃ 	
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকিলে, পুলিশ কমিশনার, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে যে কোন যানবাহন সরবরাহের জন্য উহার মালিককে নির্দেশ দিতে পারিবেন, তবে তিনি অনতিবিলম্বে সরকারকে অবহিত করিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             গান-বাজনা, ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩৪। কোন এলাকার জনসাধারণ বা কোন ব্যক্তি বিশেষের অসুবিধা বা বিরক্তি দূরীকরণের জন্য প্রয়োজন মনে করিলে পুলিশ কমিশনার লিখিত নির্দেশ জারী করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা বা শর্ত আরোপ করিতে বা উক্ত বিষয় নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) কোন প্রাংগণ বা বাড়ীতে মুখে বা বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে গান বাজনা করা ; 	
 
 
(খ) গান বাজনা বা অন্যান্য শব্দ জোরে শুনাইবার জন্য মাইক্রোফোনের লাউডস্পীকার বা অন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা ; 	
 
 
(গ) অন্য কোন প্রক্রিয়ায় শব্দ করা ; অথবা 	
 
 
(ঘ) কোন প্রাংগণ বা ব্যবসা কেন্দ্রে এমন কিছু ব্যবহার করা যাহাতে বিকট শব্দ হয়।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             জনস্বার্থে দাংগা ইত্যাদি বন্ধ করা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩৫। (১) দাঙ্গা, হাঙ্গামা বা শান্তির পরিপন্থী কোন কাজ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার লিখিত নির্দেশ জারী করিয়া অস্থায়ীভাবে যে কোন গৃহের বা স্থানের দখল লইতে এবং সেখান হইতে কোন বা সকল ব্যক্তিকে বাহির করিয়া দিতে পারিবেন। 	
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের দরুণ অনুরূপ গৃহের বা স্থানের মালিক বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে পুলিশ কমিশনারের নিকট দরখাস্ত করিলে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ ক্ষতিপূরণের অধিকারী হইবেন, যদি না পুলিশ কমিশনারের উক্তরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যথাযথ হইয়াছে বলিয়া প্রমাণিত হয়। 	
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন ঘটনার বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা দিলে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং প্রাপক নির্ধারণে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             জনস্বার্থে চিত্তবিনোদনের স্থানে ও জনসভায় গোলযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩৬। (১) জনসাধারণকে আহবান করা হইয়াছে বা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হইয়াছে এমন কোন চিত্তবিনোদনের স্থানে বা জনসমাবেশে বা জনসভায় গুরুতর গোলযোগ, অশান্তি বা আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের জন্য উক্ত স্থানে উপস্থিত সর্বোচ্চ পদাধিকারী পুলিশ কর্মকর্তা শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরাইয়া আনিবার জন্য উপযুক্ত যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবেন। 
 
 
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য অনুরূপ যে কোন স্থান, জনসমাবেশ বা সভায় পুলিশের অবাধ প্রবেশাধিকার থাকিবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বেওয়ারিশ কুকুর নিধন
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩৭। পুলিশ কমিশনার সাধারণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া রাস্তায় বা কোন প্রকাশ্য স্থানে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং তদনুসারে অনুরূপ বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা যাইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                    
                        
                            
                                
                                
                                ষষ্ঠ অধ্যায়
                                
                                
                            
                        
                        
                            
                                
                                জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার বিশেষ ব্যবস্থাসমূহ
                                
                                
                            
                        
                     
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩৮। (১) শান্তি, শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা রক্ষা অথবা এই আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীনে কোন অপরাধ সম্পর্কিত কোন বিধান কার্যকর করার জন্য কোন ব্যক্তি পুলিশ কমিশনারকে কোন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার অনুরোধ জানাইয়া দরখাস্ত করিলে পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করিতে পারিবেন। 
 
(২) উপধারা (১) এর অধীন আবেদনকারীর ব্যয়ে অনুরূপ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হইবে, কিন্তু তাহারা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশের অধীন এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের জন্য মোতায়েন থাকিবেন কিন্তু আবেদনকারীর লিখিত অনুরোধে পুলিশ কমিশনার যে কোন সময় উক্ত অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার লইবেন । 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             কতিপয় স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৩৯। (১) পুলিশ কমিশনার যদি মনে করেন যে, কোন সরকারী কাজে বা কোন শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ব্যক্তিদের আচরণে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ সংশ্লিষ্ট স্থানে নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং তিনি যতদিন প্রয়োজন মনে করিবেন, ততদিনের জন্য উক্ত পুলিশদের সেই স্থানে মোতায়েন রাখিতে পারিবেন। 	
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কাজ সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিকে উক্ত অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগের ব্যয় বহনের জন্য পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং অনুরূপ নির্দেশে উক্ত ব্যয়ের পরিমাণও নির্ধারণ করিয়া দিবেন, যাহা উক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি পরিশোধ করিবেন। 	
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত পুলিশ কমিশনারের নির্দেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন এবং তৎসম্পর্কে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             দুষ্কৃতিকারী দল বিতাড়ন
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪০। পুলিশ কমিশনারের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন স্থানে কোন একদল লোকের বা দুষ্কৃতিকারী দলের গতিবিধি বা তৎপরতা বিপজ্জনক বা আশঙ্কাজনক অথবা তাহারা বেআইনী কাজে লিপ্ত রহিয়াছে বলিয়া সন্দেহের কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিত নির্দেশ জারী করিয়া অনুরূপ দলের যে কোন সদস্যকে বা গোটা দলকে শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ করার জন্য আদেশ দিতে পারিবেন অথবা তাহাদিগকে মহানগরী এলাকা হইতে বহিষ্কার করিতে এবং ক্ষেত্রমত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাহাদের প্রত্যাবর্তন নিষেধ করিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অপরাধ করিতে উদ্যোগী ব্যক্তিদের অপসারণ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪১। পুলিশ কমিশনারের নিকট যখনই প্রতীয়মান হইবে যে, 	
 
 
(ক) কোন ব্যক্তির গতিবিধি অপর কোন ব্যক্তির বা কোন সম্পত্তির ক্ষতি বা বিপদ সৃষ্টি করিতেছে বা করিতে পারে; অথবা 	
 
 
(খ) ইহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ আছে যে, অনুরূপ ব্যক্তি হিংসাত্নক পন্থায় অপরাধজনক কাজে লিপ্ত আছে বা লিপ্ত হওয়ার উদ্যোগ লইয়াছে, অথবা Penal Code (Act XLV of 1960) এর Chapters XII, XVI  বা ইহার অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটনে উদ্যোগী হইয়াছে তাহা হইলে পুলিশ কমিশনার, লিখিত আদেশ জারি করিয়া অনুরূপ ব্যক্তিকে শান্তি শৃঙ্খলা পরিপন্থি তৎপরতা হইতে বিরত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য মহানগরী এলাকা হইতে বহিষ্কার করিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             কতিপয় অপরাধের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির অপসারণ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪২। কোন ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত যে কোন অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত হইলে এবং যদি পুলিশ কমিশনারের বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি পুনরায় অনুরূপ অপরাধ করিতে পারে, তাহা হইলে তিনি নিম্নলিখিত আদেশ জারী করিয়া অনুরূপ ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য মহানগরী এলাকার বাহিরে চলিয়া যাইতে নির্দেশ দিতে পারেন, যথাঃ- 	
 
 
(ক) Penal Code (Act XLV of 1860) এর Chapter XII, XVI বা XVII- এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ; 	
 
 
(খ) Suppressions of Immoral Traffic Act, 1933 (Act VI of 1933)এর অধীন অপরাধ; 	
 
 
(গ) 
Customs Act, 1969 (Act IV of 1969) অধীন অপরাধ; 	
 
 
(ঘ) এই আইনের ধারা ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮৪, ৮৯, বা ৯১ এর অধীন তিনবার বা তদপেক্ষা বেশী অপরাধ। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ৪০, ৪১, ও ৪২ এর অধীনে প্রদত্ত নির্দেশের মেয়াদ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪৩। ধারা ৪০, ৪১ ও ৪২ এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে মহানগরী এলাকার বাহিরে চলিয়া যাইতে নির্দেশ দেওয়া হইলে, উক্ত নির্দেশ অনধিক দুই বৎসর পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ৪০, ৪১ ও ৪২ এর অধীনে আদেশ জারীর পূর্বে কৈফিয়ত দানের সুযোগ দেওয়া
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪৪। (১) কোন ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৪০, ৪১ ও ৪২ এর অধীনে আদেশ জারীর পূর্বে পুলিশ কমিশনার ঐ ব্যক্তিকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত মৌলিক অভিযোগ এবং তজ্জন্য তাহার সম্পর্কে প্রস্তাবিত আদেশ জারীর বিষয়টি তাহাকে লিখিতভাবে জানাইবেন এবং এতদ্সম্পর্কে তাহাকে কৈফিয়ত দেওয়ার যুক্তিযুক্ত সুযোগ দান করিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তি যদি কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য দরখাস্ত করেন, তাহা হইলে পুলিশ কমিশনার অনুরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ করিবেন যদি না তিনি মনে করেন যে কেবল মাত্র বিরক্ত ও বিলম্ব করার উদ্দেশ্যেই অনুরূপ দরখাস্ত করা হইয়াছে। 	
 
 
(৩) অনুরূপ ব্যক্তির তাহার আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার সমীপে হাজির হইয়া বক্তব্য পেশের ও তৎকর্তৃক উপস্থাপিত সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার অধিকার থাকিবে। 	
 
 
(৪) অনুরূপ ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার তদন্ত চলাকালে অনুরূপ ব্যক্তিকে তৎসমীপে উপস্থিত হইয়া মুচলেকা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন এবং অনুরূপ মুচলেকা জামানতসহ বা জামানত ছাড়া হইতে পারে। 	
 
 
(৫) উপধারা (৪) এর অধীন মুচলেকা প্রদানে অনুরূপ ব্যক্তি ব্যর্থ হইলে অথবা তদন্ত চলাকালে পুলিশ কমিশনার সমীপে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হইলে, পুলিশ কমিশনার যথারীতি তদন্ত চালাইয়া তাহার সম্পর্কে প্রস্তাবিত আদেশ জারি করিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             আপীল
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪৫। (১) ধারা ৪০, ৪১, ও ৪২ এর অধীনে আদেশ জারীর ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি অনুরূপ আদেশ জারির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন। 	
 
 
(২) এই ধারার অধীন আপীল একটি স্মারকলিপির মাধ্যমে দায়ের করিতে হইবে এবং উহার সহিত আপীল করার কারণ উল্লেখসহ সংশ্লিষ্ট আদেশের একটি সত্যায়িত কপি দাখিল করিতে হইবে। 	
 
 
(৩) অনুরূপ আপীল-আবেদন প্রাপ্তির পর সরকার সংশ্লিষ্ট আপীলকারীকে ব্যক্তিগতভাবে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে শুনানীর সুযোগ দিবেন এবং অধিকতর তদন্ত করা হইলে সেই তদন্তের পর যে আদেশটির বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছে সে আদেশটি বহাল রাখিতে, সংশোধন করিতে বা বাতিল করিতে পারিবেঃ 	
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার ভিন্নরূপ নির্দেশ না দিলে আপীলের নিষ্পত্তি সাপেক্ষে যে আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছে তাহা কার্যকর থাকিবে। 	
 
 
(৪) এই ধারার অধীন আপীলের জন্য ত্রিশ দিনের মেয়াদ গণনার সময় যে আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছে সেই আদেশটির সত্যায়িত কপি সংগ্রহের জন্য যে কয়দিন লাগিবে তাহা বাদ যাইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কমিশনার বা সরকারের কতিপয় আদেশের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                      
 
৪৬। ধারা ৪০, ৪১, ও ৪২ এর অধীনে পুলিশ কমিশনার কর্তৃক অথবা ধারা ৪৫ এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             মহানগরী এলাকা ত্যাগ করিতে ব্যর্থতা এবং বহিষ্কারের পর পুনঃপ্রবেশ সম্পর্কে অনুসরণীয় কর্মপন্থা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪৭। (১) ধারা ৪০, ৪১, ও ৪২ এর অধীনে যে ব্যক্তিকে মহানগরী এলাকা হইতে অপসারণের আদেশ দেওয়া হইয়াছে তিনি যদি- 	
 
 
(ক) আদেশ পালনে ব্যর্থ হন; অথবা 	
 
 
(খ) অপসারণের পর, উপ-ধারা (২) এর অধীনে পুলিশ কমিশনারের অনুমতি ছাড়াই আদেশে উল্লিখিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত এলাকায় প্রবেশ করেন, 	
 
 
তাহা হইলে পুলিশ কমিশনার তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া উক্ত এলাকার বাহিরে নির্দিষ্ট স্থানে অপসারণের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন। 	
 
 
(২) ধারা ৪০, ৪১ ও ৪২ এর অধীনে আদেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে পুলিশ কমিশনার তৎকর্তৃক আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে মহানগরী এলাকায় অস্থায়ীভাবে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারিবেন এবং তাহাকে জামানতসহ বা জামানত ছাড়া আরোপিত শর্ত পালন নিশ্চিত করার স্বার্থে মুচলেকা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন।
 
 
(৩) পুলিশ কমিশনার অনুরূপ যে কোন অনুমতি যে কোন সময় বাতিল করিতে পারিবেন। 	
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীনে মহানগরী এলাকায় প্রত্যাবর্তন করার অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, অনুমতিতে উল্লিখিত মেয়াদ শেষে অথবা অনুরূপ অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে বাতিল করা হইলে অনুরূপ বাতিলের সংগে সংগে নিজে মহানগরী এলাকা ত্যাগ করিবেন এবং নূতন অনুমতি ব্যতীত ধারা ৪০, ৪১ ও ৪২ এর অধীনে উল্লিখিত মেয়াদ পূর্তি না হইলে মহানগরী এলাকায় প্রত্যাবর্তন করিবেন না।
 
 
(৫) অনুরূপ ব্যক্তি আরোপিত কোন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হইলে অথবা শর্তানুসারে মহানগর এলাকা ত্যাগ না করিলে অথবা অপসারণের পর বিনা অনুমতিতে পুনঃপ্রবেশ করিলে পুলিশ কমিশনার তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া মহানগরী এলাকার বাহিরে যে কোন নির্ধারিত স্থানে অপসারণ করিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                    
                        
                            
                                
                                
                                সপ্তম অধ্যায়
                                
                                
                            
                        
                        
                            
                                
                                অপরাধ, শাস্তি ও কার্যপদ্ধতি
                                
                                
                            
                        
                     
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪৮। কোন ব্যক্তি ধারা ১০ এর অধীনে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর যথেষ্ট কারণ ছাড়া উক্ত পদে কাজ করিতে অথবা তাহাকে প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ পালনে অসম্মত হইলে তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             মিথ্যা বিবৃতি ইত্যাদির জন্য দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৪৯। কোন ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরী লাভের অথবা চাকুরী হইতে অব্যাহতি লাভের জন্য কোন মিথ্যা বিবৃতি দান বা মিথ্যা তথ্য পেশ করিলে তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তার অসদাচরণের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫০। কোন পুলিশ কর্মকর্তা ভীরুতার অপরাধে বা ইচ্ছাকৃত কোন আইন, বিধি, প্রবিধান বা আদেশ লংঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ১৪ লঙ্ঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫১। কোন অধস্তন কর্মকর্তা ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া পদত্যাগ করিলে বা কর্তব্য পালন হইতে নিজেকে প্রত্যাহার করিলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             নিয়োগপত্র, প্রভৃতি ফেরত দিতে গাফিলতি বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫২। কোন পুলিশ কর্মকর্তা বাহিনীর সহিত সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার অব্যবহিত পরে তাহার নিয়োগপত্র, অস্ত্র, পোশাক ও অন্যান্য দ্রব্য ফেরত দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি বা অস্বীকার করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক বেআইনী প্রবেশ ও তল্লাশির দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫৩। কোন পুলিশ কর্মকর্তা আইনানুগ কর্তৃত্ব অথবা যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোন গৃহে, নৌযানে বা স্থানে প্রবেশ করিলে বা তল্লাশি চালাইলে তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বিরক্তিকর তল্লাশি, আটক, ইত্যাদির জন্য দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫৪। কোন পুলিশ কর্মকর্তা বিরক্তিকরভাবে বা বিনা প্রয়োজনে কোন ব্যক্তিকে তল্লাশি, আটক বা গ্রেপ্তার করিলে অথবা কাহারও কোন সম্পত্তি আটক করিলে, তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তিগত হামলা, ভীতি প্রদর্শন, ইত্যাদির দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫৫। কোন পুলিশ কর্মকর্তা কোন আটক ব্যক্তির উপর অপ্রয়োজনীয় হামলা চালাইলে বা কোন আসামীকে বেআইনীভাবে ভীতি প্রদর্শন করিলে, তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             নির্দিষ্ট মেয়াদের অতিরিক্ত হাজতে আটক করিয়া রাখার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫৬।  কোন পুলিশ কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারকৃত কোন ব্যক্তিকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত সময় হাজতে আটক করিয়া রাখিলে, অথবা ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৬৭ এর অধীন ম্যাজিস্ট্রেট এর বিশেষ আদেশ ছাড়া কোন ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার বেশী সময় হাজতে আটক করিয়া রাখিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অবৈধভাবে পুলিশের পোশাক ব্যবহারের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫৭। কোন ব্যক্তি, বাহিনীর সদস্য না হইয়া এবং পুলিশ কমিশনারের অনুমতি ব্যতিরেকে, বাহিনীর পোশাক পরিধান করিলে অথবা উহার সহিত সাদৃশ্যপূর্ণ অন্য কোন পোশাক পরিধান করিলে তিনি এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ২৭ এর অধীন প্রবিধান লংঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫৮। কোন ব্যক্তি ধারা ২৭ এর অধীনে প্রণীত কোন প্রবিধান অথবা অনুরূপ প্রবিধানের অধীন মঞ্জুরীকৃত লাইসেন্স বা অনুমতির কোন শর্ত লঙ্ঘন করিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ২৯ এর অধীনে প্রদত্ত নির্দেশ লংঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৫৯। কোন ব্যক্তি ধারা ২৯ এর অধীনে প্রদত্ত কোন নির্দেশ লঙ্ঘন করিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ৩০ এর অধীনে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা লংঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬০। কোন ব্যক্তি ধারা ৩০ এর অধীনে প্রদত্ত কোন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ৩১ এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ লংঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬১।  কোন ব্যক্তি ধারা ৩১ এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ লঙ্ঘন করিলে তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদন্ডে অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ৩২ এর অধীনে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা লংঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬২।  কোন ব্যক্তি ধারা ৩২ এর অধীনে প্রদত্ত কোন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ৩৪ এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ লংঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬৩। কোন ব্যক্তি ধারা ৩৪ এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ লঙ্ঘন করিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ধারা ৪০, ৪১, বা ৪২ এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ লংঘনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬৪। কোন ব্যক্তি ধারা ৪০, ৪১, বা ৪২ এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ লঙ্ঘন করিলে, তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             কতিপয় ক্ষেত্রে মহানগরীতে বিনানুমতিতে প্রবেশের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬৫। কোন ব্যক্তি ধারা ৪০, ৪১, বা ৪২ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ অমান্য করিয়া মহানগরী এলাকায় বিনানুমতিতে প্রবেশ বা প্রত্যাবর্তন করিলে অথবা ধারা ৪৭ (২) এর অধীনে অনুমতির ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় প্রবেশ করিবার পর অনুমতিতে উল্লিখিত সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও উক্ত এলাকা হইতে প্রস্থান করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি দুই বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হওয়ার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬৬। কোন ব্যক্তি যদি এই অইনের অধীনে কর্তব্য পালন প্রসংগে বা প্রয়োজনে প্রদত্ত পুলিশ কর্মকর্তার কোন যুক্তিসংগত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ভুল গাড়ী চালনা এবং ট্রাফিক প্রবিধান ভংগ করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬৭। কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া রাস্তার বাম পার্শ্ব দিয়া গাড়ী চালাইতে ব্যর্থ হইলে এবং একই দিকে গমনকালে কোন গাড়ী অতিক্রমের সময় উহার ডান পার্শ্ব দিয়া যাইতে ব্যর্থ হইলে অথবা পুলিশ কমিশনার কর্তৃক প্রণীত ট্রাফিক প্রবিধান ভংগ করিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অননুমোদিত স্থানে গাড়ী রাখার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬৮। কোন ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নিষিদ্ধ স্থানে বা রাস্তায় গাড়ী রাখিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ফুটপাতে বিঘ্ন সৃষ্টির দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৬৯। কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্যারাম্বুলেটর ছাড়া অন্য যে কোন গাড়ী ফুটপাতে রাখা বা চালানো হইলে, তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বিঘ্ন সৃষ্টির দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                      
 
৭০। কোন ব্যক্তি- 
 
 
(ক) মালামাল বোঝাই করা বা নামানোর জন্য বা যাত্রী উঠানামার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কোন স্থানে যানবাহন দাড় করাইয়া রাখিলে; 
 
 
(খ) যানবাহনকে অননুমোদিত স্থানে রাখিয়া অন্যত্র চলিয়া গেলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             প্রবিধান ভঙ্গ করিয়া বিক্রয়ের জন্য মালামাল রাখার দন্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭১। যে কোন ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক প্রণীত প্রবিধান ভংগ করিয়া রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে কোন কিছু বিক্রয় করার জন্য রাখিলে, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে জন্তু ছাড়িয়া রাখার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭২। কোন ব্যক্তি যদি কোন রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য্য স্থানে - 
 
 
(ক) গাফিলতি করিয়া কোন জন্তু এমন ভাবে রাখেন যাহাতে কোন পথচারী বা অন্য কোন প্রাণী ভীতসন্ত্রস্ত হয় বা জখম হয় বা বিপদগ্রস্ত হয় ; অথবা 
 
 
(খ) কোন হিংস্র কুকুর বা প্রাণী ছাড়িয়া দেন ; অথবা 
 
 
(গ) কোন কুকুর বা অন্য কোন জন্তু কাহাকেও ভয় দেখাইবার বা আক্রমণ করার জন্য লেলাইয়া দেন তিনি এক হাজার টাকা দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন । 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বিক্রি বা ভাড়ার উদ্দেশ্যে পশু বা যানবাহন রাস্তায় রাখার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭৩। কোন ব্যক্তি যদি পুলিশ কমিশনারের অনুমতি ছাড়া বিক্রি বা ভাড়া খাটাইবার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য প্রকাশ্য স্থানে কোন গাড়ী বা জন্তু মোতায়েন রাখেন অথবা গাড়ীর যন্ত্র ধোয়া মোছা করেন বা করান, তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গাড়ী তৈয়ার বা মেরামত করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭৪। কোন ব্যক্তি রাস্তায় সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গাড়ী নির্মাণ বা মেরামত করিলে বা গাড়ীর অংশবিশেষ বা যন্ত্রাংশ মেরামত বা নির্মাণ করিলে এবং উহাতে যাত্রী বা যান চলাচল বিঘ্নিত হইলে তিনি এক বৎসর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং এতদ্ব্যতিত সরকার সংশ্লিষ্ট গাড়ী বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তা বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গৃহ নির্মাণ সরঞ্জাম ও অন্যান্য জিনিস রাখার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭৫। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা রাস্তা বা সাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে গৃহ নির্মাণের সরঞ্জাম বা অন্যান্য জিনিস রাখিয়া বিঘ্ন সৃষ্টি করিলে, তাহাকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় করা যাইবে এবং সরকার উক্ত সরঞ্জাম বা জিনিসপত্রসমূহ বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পশু জবাই বা পশুর মৃতদেহ পরিষ্কার করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭৬। কোন ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোন স্থানে বা রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে বা উহার নিকটে অথবা সেখান হইতে দেখা যায় এমন স্থানে কোন পশু জবাই করিলে বা পশুর মৃতদেহ পরিষ্কার করিলে বা চামড়া ছাড়াইলে, তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বেশ্যাবৃত্তির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানাইবার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭৭। কোন ব্যক্তি রাস্তায় বা জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে অথবা গৃহভ্যন্তরে বা গৃহের বাহিরে - 
 
 
(ক) বেশ্যাবৃত্তির উদ্দেশ্যে মুখের ভাষায় বা অংগভংগী করিয়া বা অশালীন ভাব-ভংগী দেখাইয়া কাহাকেও আহবান করিলে, অথবা 
 
 
(খ) বেশ্যাবৃত্তির উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে আহবান করিলে বা শ্লীলতাহানী করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             প্রকাশ্যে অশালীন ব্যবহারের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭৮। কোন ব্যক্তি রাস্তায় বা জনসাধারণের ব্যবহার্য প্রকাশ্য স্থানে, অথবা রাস্তা বা অনুরূপ স্থান হইতে দেখা যায়, এইরূপ জায়গায় বা কোন ষ্টেশনে বা লোক অবতরণ স্থানে অথবা অফিসে বা গৃহভ্যন্তরে বা ঘরের বাহিরে ইচ্ছাকৃতভাবে ও অশালীনভাবে নিজের দেহ প্রদর্শন করিলে অথবা অশালীন ভাষা ব্যবহার করিলে অথবা অশালীন বা মারমুখী আচরণ করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             মহিলাদের উত্যক্ত করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৭৯। কোন ব্যক্তি কোন রাস্তা বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে অথবা গৃহভ্যন্তরে বা ঘরের বাহিরে মহিলাকে দেখাইয়া বা দেখাইবার উদ্দেশ্যে নিজের অংগ-প্রত্যংগ প্রদর্শন করিলে অথবা রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য প্রকাশ্য স্থানে ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন মহিলার পথ রোধ করিলে বা তাহার শরীরের কোন স্থানে স্পর্শ করিলে, অথবা অশালীন বাক্য বা শব্দ বা মন্তব্য বা অংগভংগী করিয়া তাহাকে উত্যক্ত করিলে তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় যাত্রীদের বাধাদান বা উত্যক্ত করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮০। কোন ব্যক্তি কোন রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে কোন যাত্রীকে ইচ্ছকৃতভাবে বাধা দিলে বা উত্যক্ত করিলে অথবা হিংসামূলক আচরণের দ্বারা বা চিৎকার করিয়া বা মারমুখী আচরণ করিয়া কোন যাত্রীক ভীতি প্রদর্শন করিলে অথবা অন্য কোন ভাবে জননিরাপত্তা বা শান্তি বিঘ্নিত করিলে, তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             শান্তি ভংগের উসকানিদানের উদ্দেশ্যে দুর্ব্যবহারের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮১। কোন ব্যক্তি শান্তিভংগের উসকানিদানের উদ্দেশ্যে কোন রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে ভীতিমূলক গালিগালাজপূর্ণ বা অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করিলে এবং তদ্বারা শান্তিভংগের কারণ সৃষ্টি করিলে, তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             গান বাজনা বা প্রদর্শনী ইত্যাদির দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮২। যদি কোন ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক প্রণীত কোন প্রবিধান ভংগ করিয়া রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে গান-বাজনা বা প্রদর্শনী করিলে যাহাতে ভীড় জমাইয়া অথবা বৃহদাকার বিজ্ঞাপন, ছবি, কাঠামো বা প্রতীক ব্যবহারের কারণে যাত্রীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় অথবা আশে পাশের বাসিন্দারা বিরক্ত হয়, তিনি দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তা বা উহার নিকটে প্রস্রাব বা পায়খানা করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮৩। কোন ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা উহার নিকটে প্রস্রাব বা পায়খানা করিলে, অথবা নিজ তত্ত্বাবধানে রক্ষিত সাত বৎসরের নিম্নবয়স্ক কোন শিশুকে প্রস্রাব বা পায়খানা করিতে দিলে, অথবা পথচারীদের বিরক্তির উদ্রেক করিতে পারে এইরূপভাবে ময়লা নিক্ষেপ করিলে, তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ভিক্ষাবৃত্তি বা কুৎসিত অসুস্থতা প্রদর্শনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮৪।  কোন ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধাণের ব্যবহার্য স্থানে ভিক্ষা করিলে, অথবা জনসাধারণের মনে দয়ার উদ্রেক করিয়া ভিক্ষা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দেহের কোন ঘা, জখমী, অসুস্থতা বা বিকলাংগ প্রদর্শন করিলে, তিনি এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অননুমোদিত স্থানে গোসল বা ধোলাই করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮৫। পুলিশ কমিশনারের আদেশক্রমে নির্ধারিত না হওয়া সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি যদি সাধারণ কুপ, পুকুর, দীঘি-তে বা সংরক্ষিত জলাধারে বা উহার পার্শ্বে গোসল করেন বা কিছু ধোলাই করেন, তিনি একশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বিজ্ঞপ্তি অমান্য করিয়া ধূমপান করা বা থুথু ফেলার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮৬। কোন ব্যক্তি সরকারী বা স্থায়ী কর্তৃপক্ষের কোন দালানে গিয়া উক্ত দালানে লটকানো নোটিশ থাকা সত্ত্বেও উক্ত নোটিশ অমান্য করিয়া ধূমপান করিলে বা থুথু ফেলিলে, তিনি তিনশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ইচ্ছাকৃতভাবে অনধিকার প্রবেশের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮৭। কোন ব্যক্তি সন্তোষজনক কারণ ছাড়া কোন বসতবাড়ীতে বা উহার প্রাংগনে বা উহার সংলগ্ন জমিতে বা মাঠে অথবা সরকারী জমি, স্মৃতিমিনার, নৌকা, জলযান বা যানবাহনে অনাধিকার প্রবেশ করিলে, তিনি একশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অগ্নিকান্ডের মিথ্যা সংকেত প্রদান অথবা সংকেত যন্ত্রের ক্ষতির দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮৮। কোন ব্যক্তি সজ্ঞানে অগ্নিকান্ডের মিথ্যা সংকেত দিলে অথবা দেওয়াইলে, অথবা মিথ্যা সংকেত প্রদানের জন্য রাস্তায় সংরক্ষিত অগ্নিকাণ্ডের সংকেত যন্ত্রের কাঁচ ভাঙ্গিলে অথবা অন্য ভাবে উহার ক্ষতি করিলে তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক চলাফেরার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৮৯। কোন ব্যক্তিকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মধ্যবর্তী সময়ে নিম্নবর্ণিত অবস্থায় পাওয়া গেলে সেই ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যথাঃ 		
 
 
(ক) সন্তোষজনক কারণ ছাড়া কোন মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত ; 		
 
 
(খ) সন্তোষজনক কারণ ছাড়া মুখ ঢাকা অবস্থায় অথবা ছদ্মবেশে ; 		
 
 
(গ) সন্তোষজনক কারণ ছাড়া কোন বাসগৃহে, অন্য কোন গৃহে অথবা কোন নৌযানে বা যানবাহনে প্রবেশ ; 		
 
 
(ঘ) সন্তোষজনক কারণ ছাড়া কোন রাস্তায়, প্রাংগণে বা অন্য কোন স্থানে শায়িত বা ঘুরাফেরা করিলে অথবা ; 		
 
 
(ঙ) সন্তোষজনক কারণ ছাড়া ঘরের দরজা ভাংগার যন্ত্র কাছে রাখা অবস্থায়।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             কর্তৃত্ব ছাড়া অস্ত্র বহনের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯০। পুলিশ অফিসার না হইয়া, অথবা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা বাংলাদেশ রাইফেলস্ এর সদস্য না হইয়া অনুরূপ দায়িত্বে রত না থাকিয়া, কোন ব্যক্তি তলোয়ার, অগ্নেয়াস্ত্র বা অন্য কোন আক্রমণাত্মক অস্ত্রে কিংবা কোন বিস্ফোরক দ্রব্যে কোন রাস্তায় বা জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সজ্জিত থাকিলে, পুলিশ কর্মকর্তা তাহাকে নিরস্ত্র করিয়া তাহার সঙ্গে প্রাপ্ত অস্ত্র কাড়িয়া লইতে পারিবেন এবং তজ্জন্য পুলিশ কমিশনার তাহাকে অনধিক এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবেন এবং উক্ত জরিমানার অর্থ একমাসের মধ্যে পরিশোধ না করিলে উহা সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করিবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সন্তোষজনক কারণ প্রদর্শন ব্যতিরেকে সম্পত্তি দখলে রাখার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯১। কোন ব্যক্তি চোরাই বলিয়া সন্দেহকৃত কোন সম্পত্তি বা জিনিস দখলে রাখিলে অথবা বিক্রয় করিলে বা বিক্রয়ের চেষ্টা করিলে এবং তজ্জন্য সন্তোষজনক কারণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হইলে, তিনি এক বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             হাসপাতাল প্রভৃতি স্থানে মদ, ইত্যাদি লইয়া প্রবেশ করার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯২। কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে কোন হাসপাতালে বা কারাগারে মদ বা মাদক জাতীয় কোন দ্রব্য লইয়া প্রবেশ করিলে বা প্রবেশ করার চেষ্টা করিলে, অথবা যেখানে নিয়মানুবর্তী কোন বাহিনী অবস্থান করিতেছে এইরূপ কোন ব্যারাকে বা গৃহে অথবা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মদ বা মাদক জাতীয় কোন দ্রব্য লইয়া গেলে বা লইয়া যাইবার চেষ্টা করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং অনুরূপ মদ, স্পিরিট বা মাদক জাতীয় দ্রব্য সরকার বাজেয়াপ্ত করিবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বন্ধকগ্রহীতা, প্রভৃতি কর্তৃক চোরাই সম্পত্তি সম্পর্কে পুলিশকে খবর না দেওয়ার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৩।  কোন বন্ধকগ্রহীতা বা পুরাতন জিনিসের ব্যবসায়ী বা ধাতব কারখানার কর্মচারী কোন দ্রব্য চুরি হওয়ার ব্যপারে পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক জ্ঞাত হওয়ায় পর অনুরূপ দ্রব্য তাহার দখলে আসা সত্বেও নিকটবর্তী থানায় তৎসম্পর্কে খবর না দিলে এবং যে ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত দ্রব্য লইয়াছে তাহার নাম জানাইতে ব্যর্থ হইলে, তিনি দুইশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             গলাইয়া ফেলা ইত্যাদির দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৪। কোন ব্যক্তি ধারা ৯৩ এ উল্লেখিত প্রকারে সংবাদ প্রাপ্তির পর পুলিশের পূর্বানুমতি ছাড়া উক্ত ধারায় উল্লেখিত সম্পত্তি গলাইয়া ফেলিলে অথবা অন্য কোনভাবে রূপান্তরিত করিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় জুয়া খেলার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৫। কোন ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে জমায়েত হইলে অথবা অনুরূপ জমায়েতে অংশগ্রহণ করিলে তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সাধারণের প্রমোদ স্থানে উচ্ছৃংখল আচরণ করার সুযোগ দেওয়ার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৬। সাধারণের প্রমোদ স্থানে কর্তৃপক্ষের উক্ত স্থানে নিজের কাহাকেও মাতলামী করার বা অন্য কোনরূপ উচ্ছৃংখল বা অশালীন আচরণে সুযোগ দিলে, তিনি পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             প্রবেশ টিকেট অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয়ের দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৭। কোন ব্যক্তি বিক্রিত প্রমোদাগারের টিকেট যে মূল্যে ক্রয় করা হইয়াছে উহার অধিক মূল্যে বিক্রয় করিলে বা বিক্রয়ের চেষ্টা করিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             রাস্তায় গবাদি পশু ছাড়িয়া দেওয়ার অথবা কাহারও সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিতে দেওয়ার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৮। কোন ব্যক্তি নিজের অথবা স্বীয় দায়িত্বহীন গবাদি পশু রাস্তায় চরাইলে বা চরাইতে দিলে অথবা কাহারও সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিতে দিলে, তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             দালান প্রভৃতির সৌন্দর্য বিনষ্ট করিয়া বিজ্ঞাপন, ইত্যাদি লাগাইবার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ৯৯। কোন ব্যক্তি মালিকের অনুমতি ছাড়া কোন দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, খুঁটি বা অন্য কিছুতে বিজ্ঞাপন, কাগজ প্রভৃতি লটকাইলে অথবা কালি বা রং দিয়া লিখিলে তিনি পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             আগুন জ্বালানো, বন্দুকের গুলি বর্ষণ বা আতসবাজী পোড়াইবার দণ্ড
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০০। কোন ব্যক্তি পুলিশ কমিশনারের অনুমোদিত নির্ধারিত সময় ও স্থান ছাড়া কোন রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা উহার নিকটে কোন খড়কুটায় অগ্নিসংযোগ করিলে বা অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি করিলে, কোন আগ্নেয়াস্ত্র বা এয়ারগানে গুলি ছুঁড়িলে অথবা আতসবাজী পোড়াইলে তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অপরাধ সংঘটনে সহায়তা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০১। কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিলে তিনি নিজেই উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদির অপরাধ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০২। এই আইনের অধীনকৃত অপরাধকারী কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা কর্পোরেশন হইলে, উহা সেই প্রতিষ্ঠানের জ্ঞাতসারে হয় নাই মর্মে অথবা উহা নিবারণের জন্য সেই প্রতিষ্ঠান সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছিল বলিয়া প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, অনুরূপ সংস্থার প্রত্যেক অংশীদার, ডাইরেক্টর, ম্যানেজার, সেক্রেটারী বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধের জন্য দোষী হইবেন। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০৩। (১) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অপরাধ ছাড়া এই আইনের অধীন দন্ডনীয় যে কোন অপরাধ সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত ভাবে রিপোর্ট পেশ না করা পর্যন্ত কোন আদালত অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
 
(২) ধারা ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ বা ৫৫ এর অধীন দন্ডনীয় অপরাধ সম্পর্কে আদালত নিজস্ব উদ্যোগ কিংবা যে কোন ব্যক্তির অভিযোগক্রমে অথবা কোন পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত রিপোর্ট পাইয়া উহা বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০৪। কোন ব্যক্তি এই আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য কোন অপরাধ কোন পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বা তাহার নজরে আসে এমনভাবে করিলে, পুলিশ কর্মকর্তা সেই ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন।
 
 
 
 
ব্যাখ্যা।- এই ধারার কোন কিছু অন্য কোন আইনের বলে পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের ক্ষমতা সংকুচিত করিবে না। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             কতিপয় মামলার নিষ্পত্তি
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০৫। (১) ধারা ৫৮, ৫৯, ৬২, ৬৩, ৬৬, ৭১,৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৬, ৮০, ৮১, ৮২, ৮৩, ৮৫, ৮৬, ৮৯, ৯৫, ৯৬, ৯৭, ৯৯, বা ১০০ এর অধীন দণ্ডনীয় অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণকারী আদালত আসামীর নিকট প্রেরিতব্য সমনে ইহা উল্লেখ করিতে পারিবে যে, অভিযোগের শুনানী আরম্ভের পূর্বে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন নির্দিষ্টকৃত তারিখে রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠাইয়া নিজেকে দোষী ঘোষণা করিতে এবং অনুরূপ অপরাধের জন্য নির্ধারিত অর্থ দণ্ডের অনধিক এক চতুর্থাংশ টাকা আদালতে পাঠাইতে পারেন। 
 
 
(২) অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে দোষী ঘোষণা করিয়া নির্দিষ্ট টাকা পাঠাইলে সংশ্লিষ্ট অপরাধ সম্পর্কে তাহার বিরুদ্ধে আর কোন ব্যবস্থা গৃহীত হইবে না। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             কতিপয় ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০৬। (১) পুলিশ কমিশনার কর্তৃক সাধারণ বিজ্ঞপ্তি মারফত নির্ধারিত পদের পুলিশ কর্মকর্তা যদি দেখেন যে, ধারা ৬৭, ৬৮, ৬৯, বা ৭০ এর অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ কোন ব্যক্তি করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি ঐ ব্যক্তির নামে অথবা তাহাকে পাওয়া না গেলে তাহার বাড়ির গায়ে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে নিম্নবর্ণিত বিষয় উল্লেখ করিয়া নোটিশ প্রেরণ করিবেন বা, ক্ষেত্রমত, লটকাইয়া দিবেন, যথাঃ- 	
 
 
(ক) অনুরূপ ব্যক্তি যে অপরাধ করিয়াছেন ; 
 
 
(খ) যে অর্থদণ্ড তাহাকে প্রদান করা হইবে ; 
 
 
(গ) ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত হইয়া উক্ত অর্থদণ্ড পরিশোধের তারিখ। 	
 
 
(২) অপরাধী ব্যক্তি নির্দিষ্ট তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করিলে এই সম্পর্কে তাহার বিরুদ্ধে আর কোন ব্যবস্থা গৃহীত হইবে না। 	
 
 
(৩) অপরাধী ব্যক্তি যদি নির্ধারিত তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন এবং এই ব্যর্থতা সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তিনি সন্তোষজনক কৈফিয়ত দিতে না পারেন, তাহা হইলে ম্যাজিস্ট্র্রেট কর্তৃক আরোপিত অর্থদণ্ড যেভাবে আদায় করা হয় সেইভাবে উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে উপরোক্ত অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করা হইবে। 	
 
 
(৪) উক্ত ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সমীপে উপস্থিত হইয়া নোটিশে উল্লিখিত অপরাধ করেন নাই বলিয়া দাবী করেন তাহা হইলে ম্যাজিস্ট্র্রেট সংশ্লিষ্ট নোটিশকে ঐ অপরাধ সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তার রিপোর্ট বলিয়া গণ্য করিয়া এই আইনের অন্যান্য বিধান অনুসারে মামলার বিচার চালাইয়া যাইবেন এবং অপরাধ না করার প্রমাণের দায়িত্ব অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে। 	
 
 
(৫) এই আইন ও আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই কিছু থাকুক না কেন, এই ধারার বিধান কার্যকর হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                    
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             অন্যান্য আইনের অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যাহত হইবে না
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০৭। এই আইনের কোন কিছুই ইহার অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য অন্য কোন আইনের অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যাহত করিবে নাঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ যাবতীয় মামলা ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪০৩ এর বিধান সাপেক্ষে হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             ফরম বা পদ্ধতির ত্রুটির জন্য প্রবিধান আদেশ, ইত্যাদি বেআইনী হইবে না
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০৮। এই আইনের অধীন প্রণীত কোন প্রবিধান, প্রজ্ঞাপিত কোন আদেশ, নির্দেশ, তদন্ত বা নোটিশ এবং উহার অধীনকৃত কোন কাজকর্ম কোন ফরম বা পদ্ধতির ত্রুটির জন্য অবৈধ হইবে না। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১০৯। এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের দরুন কোন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১০। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন, বিধি, প্রবিধান বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ এর অধীনে কোন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করিতে হইলে সরকারী কার্য-সম্পাদনকালে একজন সরকারী কর্মকর্তাকে ফৌজদারী কার্যবিধিতে যে সংরক্ষণ (প্রটেকশন) দেয়া হইয়াছে তাহা বলবৎ থাকিবে, তবে অন্যবিধ ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের ছয় মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করিতে হইবে এবং অনুরূপ দায়েরের কমপক্ষে এক মাস পূর্বে উক্ত মামলার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া একটি নোটিশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এবং তাহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পাঠাইতে হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১১। (১) এই আইনের অধীন জারীতব্য সকল গণবিজ্ঞপ্তি লিখিত এবং পুলিশ কমিশনার কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।
 
 
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে এইরূপ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজ্ঞপ্তিটির অনুলিপি লটকাইয়া সাঁটিয়া দিয়া বা ঢোল পিটাইয়া বিজ্ঞপ্তিটির বিষয় ঘোষণা করিয়া বা পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কোন স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করিয়া জনগণকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবহিত করিতে হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             স্বাক্ষরসীল মোহরাঙ্কিত করা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১২। এই আইন, বিধি বা প্রবিধান এর অধীন প্রদেয় সমন বা পরোয়ানা ব্যতীত লাইসেন্স লিখিত অনুমতি নোটিশ বা অন্য কোন দলিলে পুলিশ কমিশনার এর স্বাক্ষর এর সীল মোহরাঙ্কিত করা হইলে উহা তদকর্তৃক স্বাক্ষরিত বলিয়া গণ্য হইবে। 
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             মহানগরী এলাকা কর্তন বা বর্ধিতকরণে সরকারের ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১৩।  সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা মহানগরী এলাকার সন্নিহিত কোন এলাকাকে মহানগরী এলাকার সহিত সংযুক্ত করিতে এবং মহানগরী এলাকার কোন এলাকাকে মহানগরী হইতে বাদ দিতে পারিবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।  
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                             X of 1897 এর section 3 এর সংশোধন
                            
                            
                        
                        
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১৫। General Clause Act, 1897 (Act. X of 1897) এর section 3 এর- 	
 
 
(ক) Clause (32a) এর "or সিলেট মহানগরী পুলিশ অাইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৩ নং অাইন) এর প্রথম তফসিলে বর্ণিত এলাকা" শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পর " or 
বরিশাল মহানগরী পুলিশ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৪ নং অাইন ) এর প্রথম তফসিলে বর্ণিত এলাকা" শব্দগুলি, কমাটি, সংখ্যাগুলি এবং বন্ধনী সংযোজিত হইব; এবং 		
 
 
(খ) Clause (39a) এর "or সিলেট মহানগরী পুলিশ অাইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৩ নং অাইন) এর অধীন নিযুক্ত পুলিশ কমিশনার এবং উক্ত অাইনের অধীন নিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহাকারী পুলিশ কমিশনার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে" শব্দগুলির পর একটি কমা, এবং "or 
বরিশাল মহানগরী পুলিশ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৪ নং অাইন) এর অধীন নিযুক্ত পুলিশ কমিশনার এবং উক্ত আইনের অধীন নিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিনিয়র সহাকারী পুলিশ কমিশনার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে" শব্দগুলি, কমাগুলি, সংখ্যাগুলি এবং বন্ধনী সংযোজিত হইবে।
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                
 
             
            
            
                
            
        
            
                
                
                
                    
                    
                
                
                    
                        
                        
                        
                        
                        
                        
                            
                            
                            
                            
                             হেফাজত সংক্রান্ত বিশেষ বিধান
                            
                            
                        
                        
                    
                
                
                    
                    ১১৬। (১) বরিশাল মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২ নং অধ্যাদেশ), অতঃপর উক্ত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লিখিত, এর অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
(২) 
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ এর দফা (২) এর বিধান অনুসারে উক্ত অধ্যাদেশের কার্যকরতা লোপ পাওয়া সত্ত্বেও অনুরূপ লোপ পাইবার পর উহার ধারাবাহিকতায় বা বিবেচিত ধারাবাহিকতায় কোন কাজকর্ম কৃত বা ব্যবস্থা গৃহীত হইয়া থাকিলে উহা এই আইনের অধীনেই কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়াও গণ্য হইবে।