প্রিন্ট ভিউ
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
দ্বিতীয় অধ্যায়
মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা
৭। (১) চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য নিম্নবর্ণিত সাত জন সদস্য সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠিত হইবে, যথাঃ-
(ক) জাতীয় সংসদের স্পীকার, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;
(খ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;
(গ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;
(ঘ) চেয়ারম্যান, আইন কমিশন;
(ঙ) মন্ত্রি পরিষদ সচিব, মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ;
(চ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত দুইজন সংসদ-সদস্য, যাহাদের মধ্যে একজন সরকার দলীয় এবং অন্যজন বিরোধী দলীয় হইবেন।
(২) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।
(৩) অন্যূন ৪ (চার) জন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম গঠিত হইবে।
1[(৩ক) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাছাই কমিটির সভাপতির অবর্তমানে বা অনুপস্থিতিতে কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যগণের সম্মতিতে যে কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(৩খ) কেবল বাছাই কমিটির কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বাছাই কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে উহার কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।]
(৪) বাছাই কমিটি, চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুই জন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করিবে এবং সিদ্ধান্তের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত প্রদানের অধিকার থাকিবে।
(৫) বাছাই কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
১২। (১) কমিশন নিম্নবর্ণিত সকল বা যেকোন কার্যাবলী সম্পাদন করিবে, যথা :-
(ক) কোন ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় বা সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন কর্তৃক মানবাধিকার লংঘন বা লংঘনের প্ররোচনা সম্পর্কিত কোন অভিযোগ স্বতঃই বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত করা;
(খ) কোন জনসেবক কর্তৃক মানবাধিকার লংঘন বা লংঘনের প্ররোচনা বা অনুরূপ লংঘন প্রতিরোধে অবহেলা করা সম্পর্কিত কোন অভিযোগ স্বতঃই বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত করা ;
(গ) জেল বা সংশোধনাগার, হেফাজত, চিকিৎসা বা ভিন্নরূপ কল্যাণের জন্য মানুষকে আটক রাখা হয় এমন কোন স্থানের বাসিন্দাদের বসবাসের অবস্থা পরিদর্শন করা এবং এইরূপ স্থান ও অবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকারের নিকট প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করা;
(ঘ) মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য সংবিধান বা আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের অধীন স্বীকৃত ব্যবস্থাদি পর্যালোচনা করা এবং উহাদের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা;
(ঙ) মানবাধিকার সংরক্ষণের পথে বাধা স্বরূপ সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা এবং যথাযথ প্রতিকারের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা;
(চ) মানবাধিকার বিষয়ক চুক্তি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক দলিলাদির উপর গবেষণা করা এবং উহাদের বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা ;
(ছ) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এর মানের সহিত কোন প্রস্তাবিত আইনের সাদৃশ্য পরীক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলের সহিত উহাদের সমন্বয় নিশ্চিত করিবার স্বার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় সংশোধন সুপারিশ করা;
(জ) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলের অনুসমর্থন বা উহাতে স্বাক্ষর প্রদানে সরকারকে পরামর্শ প্রদান এবং উহাদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা;
(ঝ) মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা করা এবং শিক্ষা ও পেশাগত প্রতিষ্ঠানে উহাদের বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করা;
(ঞ) সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনের মধ্যে মানবাধিকার শিক্ষার প্রচার এবং প্রকাশনা ও অন্যান্য উপায়ে মানবাধিকার সংরক্ষণ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা;
(ট) মানবাধিকার বিষয়ে বে-সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রচেষ্টাকে উৎসাহ প্রদান এবং উক্তরূপ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় করা;
(ঠ) মানবাধিকার লংঘন বা লংঘিত হইতে পারে এমন অভিযোগের উপর তদন্ত ও অনুসন্ধান করিয়া মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তি করা;
(ড) মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রণয়নের ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা;
(ঢ) দেশের প্রচলিত আইন ও প্রশাসনিক কর্মসূচীর মাধ্যমে গৃহীতব্য ব্যবস্থা যাহাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানের ও নিয়মের হয় সেই লক্ষ্যে সরকারের নিকট সুপারিশ করা;
(ণ) মানবাধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে কর্মরত সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণভাবে সুশীল সমাজকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা;
(ত) মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ এবং অনুরূপ অন্যবিধ ব্যবস্থার মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রকাশ ও প্রচার করা;
(থ) মানবাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা;
(দ) কমিশনে অভিযোগ দায়েরের জন্য সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি বা সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তির পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে আইনী সহায়তা প্রদান করা; এবং
(ধ) মানবাধিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিবেচিত অন্য যেকোন কার্য করা।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি কমিশনের কার্যাবলী বা দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথাঃ-
(ক) আদালতে বিচারাধীন মামলার কোন বিষয়;
(খ) ন্যায়পাল আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ১৫ নং আইন) এর অধীন ন্যায়পাল কর্তৃক বিবেচ্য কোন বিষয়;
(গ) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত সরকারী কর্মচারী এবং সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত কর্মচারীর চাকুরী সংক্রান্ত এমন কোন বিষয় যাহা Administrative Tribunals Act, 1980( VII of 1981) এর অধীন স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য।
তৃতীয় অধ্যায়
কমিশনের কার্যাবলী ও তদন্তের ক্ষমতা
চতুর্থ অধ্যায়
কমিশনের কর্মকর্তা, ইত্যাদি