প্রিন্ট ভিউ

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৯ নং আইন )

দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করা এবং স্থায়ী বিজ্ঞান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করিবার লক্ষ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার বিধানকল্পে প্রণীত আইন।
যেহেতু, দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করা এবং স্থায়ী বিজ্ঞান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করিবার লক্ষ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর নামে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজন ;
 
 
 
 
সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
 
 
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে।
 
 
 
 
(৩) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
 
 
(১) "জাদুঘর" অর্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর;
 
 
 
 
(২) "তহবিল" অর্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের তহবিল;
 
 
 
 
(৩) "প্রবিধান" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(৪) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(৫) "বোর্ড" অর্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালনা বোর্ড;
 
 
 
 
(৬) "মহাপরিচালক" অর্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক;
 
 
 
 
(৭) "সদস্য" অর্থ পরিচালনা বোর্ডের সদস্য; এবং
 
 
 
 
(৮) "সভাপতি" অর্থ পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি।
জাদুঘর প্রতিষ্ঠা
৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর নামে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হইবে।
 
 
 
 
(২) জাদুঘর একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং উহা হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহার নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
পরিচালনা ও প্রশাসন
৪। জাদুঘর পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং জাদুঘর যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
পরিচালনা বোর্ড
৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত ১৩ (তের) জন সদস্য সমন্বয়ে জাদুঘরের একটি পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
 
 
(ক) বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) অর্থ বিভাগ এর একজন যুগ্ম-সচিব;
 
 
 
 
(গ) সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এর একজন যুগ্ম-সচিব;
 
 
 
 
(ঘ) বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব;
 
 
 
 
(ঙ) বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(চ) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক;
 
 
 
 
(জ) সরকার কর্তৃক মনোনীত পাবলিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক;
 
 
 
 
(ঝ) বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিজ্ঞান ও গবেষণা কাজে অবদান রহিয়াছে এইরূপ ৩(তিন) জন ব্যক্তি; এবং
 
 
 
 
(ট) জাদুঘরের মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩(তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে, যে কোন সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, কোন মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।
জাদুঘরের কার্যাবলী
৬। জাদুঘরের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
 
 
 
(ক) জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও বিজ্ঞান সচেতনতা সৃষ্টি করা;
 
 
 
 
(খ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করিবার লক্ষ্যে-
 
 
 
 
(অ) জাদুঘরে স্থায়ী বিজ্ঞান প্রদর্শনীয় ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(আ) বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক নানাবিধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা;
 
 
 
 
(ই) বিভিন্ন জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরী বা টাউন হল এবং শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহে মিউজু [Museo] বাসের মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারী প্রদর্শন, বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শনী, টেলিস্কোপের মাধ্যমে আকাশ পর্যবেক্ষণ এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(ঈ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য ও গবেষণা এবং প্রকাশনার ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(উ) বক্তৃতামালা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনের ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(ঊ) জাদুঘর এর উন্নয়নে প্রদর্শনী বস্তুসমূহের সাহায্যে গবেষণামূলক কর্মকান্ডের ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(গ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড্ আয়োজন এবং প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে নবীন ও সৌখিন বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রকল্পের মান উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করিয়া উক্তরূপ বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনমূলক কাজে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করা;
 
 
 
 
(ঘ) দেশের বিজ্ঞান ক্লাবগুলিকে সাহায্য, সহযোগিতা ও উৎসাহ দান;
 
 
 
 
(ঙ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রাচীন ও আধুনিক নিদর্শনাবলী সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও এর প্রায়োগিক ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(চ) বৎসরের বিশেষ দিনগুলিতে চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ, ধূমকেতু, উল্কাপাত ইত্যাদি টেলিস্কোপের মাধ্যমে উন্মুক্ত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(ছ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ আবিষ্কার ও অবদানের জন্য স্বীকৃতি এবং পুরস্কার অথবা সম্মানী প্রদান করা; এবং
 
 
 
 
(জ) উপরে-বর্ণিত কার্যাদির সম্পূরক ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কার্য এবং সরকার কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব সম্পাদন করা।
 
 
 
 
বোর্ডের সভা
৭।(১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) বোর্ড প্রতি বৎসর অন্যূন তিনবার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
 
 
 
 
(৩) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
 
 
 
 
(৪) সভাপতি বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে তদকর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
 
 
(৫) প্রত্যেক সদস্যের একটি ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
 
 
(৬) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ, সদস্যদের নিকট প্রেরণ এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে।
 
 
 
 
(৭) শুধু কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
 
 
 
 
মহাপরিচালক
৮। (১) জাদুঘরের একজন মহাপরিচালক থাকিবে।
 
 
 
 
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবে এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
 
 
 
 
(৩) মহাপরিচালক জাদুঘরের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
 
 
(ক) জাদুঘরের চাকুরী প্রবিধানমালা ও তফসিল অনুযায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা কার্যকর করিবেন;
 
 
 
 
(খ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিবেন;
 
 
 
 
(গ) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) জাদুঘরের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং
 
 
 
 
(ঙ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক জাদুঘরের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন।
 
 
 
 
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
৯। জাদুঘর উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
কমিটি গঠন
১০। জাদুঘর ইহার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
তহবিল
১১। (১) জাদুঘরের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোন বিদেশী সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, ব্যাংক বা এনজিও হইতে গৃহীত ঋণ বা প্রাপ্ত অনুদান;
 
 
(গ) জাদুঘরের নিজস্ব উৎস হইতে আয়;
 
 
(ঘ) জাদুঘরের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ এবং উহার সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ; এবং
 
 
(ঙ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(২) এই তহবিলের সকল অর্থ কোন তফসিলি ব্যাংকে জাদুঘরের নামে রাখা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করা হইবে।
 
ব্যাখ্যা।-তফসিলি ব্যাংক' বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972)এর Article 2 (J) তে সংজ্ঞায়িত Schedule Bank ।
 
(৩) এই তহবিলের অর্থ দ্বারা সরকারের নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে জাদুঘরের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।
 
 
(৪) জাদুঘরের তহবিলের অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।
বাজেট
১২। জাদুঘর প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে জাদুঘরের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৩।(১) জাদুঘর যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর জাদুঘরের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও জাদুঘরের নিকট প্রেরণ করিবেন।
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি জাদুঘরের এতদসংক্রান্ত সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং জাদুঘরের যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 
 
 
প্রতিবেদন
১৪। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে জাদুঘর তদ্কর্তৃক উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, জাদুঘরের নিকট হইতে যে কোন সময়ে জাদুঘরের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং জাদুঘর উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
 
 
(৩) সরকার যে কোন সময়ে জাদুঘরের কর্মকান্ড অথবা যে কোন প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।
ক্ষমতা অর্পণ
১৫। মহা-পরিচালক প্রয়োজনবোধে এবং তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা জাদুঘরের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জাদুঘর সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা
১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জাদুঘর সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।
জনসেবক
১৯। জাদুঘরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860)এর Section 21 এ Public Servant (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে অর্থে Public Servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর বিলোপ, ইত্যাদি
২০। এই আইনের অধীন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে-
 
 
(ক) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, অতঃপর উক্ত প্রতিষ্ঠান বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;
 
 
(খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার জাদুঘরে হস্তান্তরিত হইবে এবং জাদুঘর উহার অধিকারী হইবে;
 
 
(গ) বিলুপ্ত হইবার পূর্বে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যে ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব ছিল তাহা জাদুঘর এর ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(ঘ) উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা-মোকদ্দমা জাদুঘর কর্তৃক বা জাদুঘর এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(ঙ) উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী জাদুঘর এ ন্যস্ত হইবেন এবং তাহারা জাদুঘর কর্তৃক নিযুক্ত কমকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এইরূপ ন্যস্ত হইবার পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, জাদুঘর কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে জাদুঘর এর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পূর্বের মত আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিবেন।
রহিতকরণ ও হেফাজত
২১।(১)এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর (Museum of Science & Technology) প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোন দলিল, উহা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, এতদদ্বারা রহিত করা হইল।
 
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোন দলিল এর অধীন কৃত সকল কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs