প্রিন্ট ভিউ

আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৫৯ নং আইন )

আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু ২১ ফেব্রুয়ারী ভাষা শহীদ দিবস এবং ইউনেস্কো উক্ত দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করিয়াছে; এবং
 
 
যেহেতু উক্ত দিবসকে সমুন্নত রাখা রাষ্ট্রীয় কর্তব্য; এবং
 
 
যেহেতু দেশের অভ্যন্তরে মাতৃভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ করা এবং বহির্বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারকল্পে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
 
 
সংজ্ঞা

২।-বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

 
 

(১) ‘‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’’ অর্থ পৃথিবীর সকল বৃহৎ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষা;

 
 

1[(২) “ইউনেস্কো” অর্থ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা;]

 
 

(৩) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট;

 
 

(৪) ‘‘কর্মকর্তা ও কর্মচারী’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী;

 
 

(৫) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

 
 

(৬) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ১১ এর অধীন গঠিত ইনস্টিটিউটের তহবিল;

 

2[(৬ক) “পরিচালক” অর্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক;]

 
 

(৭) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

 
 

(৮) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

 
 

(৯) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ড;

 
 

3[***]

 
 

(১১) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের সদস্য।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা
৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের বিধান অনুযায়ী সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট নামের একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করিবে।
 
 
(২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং উহার নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
প্রধান কার্যালয়
৪। ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে, এবং সরকার, প্রয়োজনবোধে, ঢাকার বাহিরে দেশ বা বিদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
সাধারণ পরিচালনা
৫। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক
৬। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইনস্টিটিউটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকিবে।
ইনস্টিটিউটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
৭। - ইনস্টিটিউটের নিম্নরূপ ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথাঃ-
 
 
(১) দেশে ও দেশের বাহিরে বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
(২) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ক্ষুদ্র জাতিসমূহের ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, এতদসংক্রান্ত গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(৩) বাংলাসহ অন্যান্য ভাষা-আন্দোলন বিষয়ে গবেষণা ও ইউনেস্কোর সদস্য দেশসমূহের মধ্যে এ সংশ্লিষ্ট ইতিহাস প্রচার;
 
 
(৪) বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
(৫) বাংলা ভাষার উন্নয়নে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা;
 
 
(৬) ভাষা ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ;
 
 
(৭) আআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন;
 
 
(৮) ভাষা-আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণ;
 
 
(৯) বিভিন্ন ভাষা বিষয়ে অভিধান বা কোষগ্রন্থ প্রকাশ এবং হালনাগাদকরণ;
 
 
(১০) পৃথিবীর সকল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষার লেখ্যরূপ প্রবর্তন;
 
 
(১১) বাংলাসহ পৃথিবীর সকল ভাষার বিবর্তন বিষয়ক গবেষণা;
 
 
(১২) ভাষা বিষয়ে গবেষণা-জার্নাল প্রকাশনা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন;
 
 
(১৩) ভাষা বিষয়ে গবেষণার জন্য দেশি ও বিদেশিদের ফেলোশিপ প্রদান;
 
 
(১৪) ভাষা ও ভাষা বিষয়ক গবেষণায় অবদানের জন্য দেশি ও বিদেশিদের পদক ও সম্মাননা প্রদান;
 
 
(১৫) ভাষা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান;
 
 
(১৬) ভাষা বিষয়ে আন্তর্জাতিক ভাষা প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের সহিত যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষা;
 
 
(১৭) সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন রাষ্ট্র, কোন দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত চুক্তি স্বাক্ষর;
 
 
(১৮) বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণমালার জন্য একটি আর্কাইভ নির্মাণ, সংরক্ষণ ও পরিচালনা;
 
 
(১৯) ভাষা বিষয়ে একটি জাদুঘর নির্মাণ, সংরক্ষণ ও পরিচালনা;
 
 
(২০) আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা;
 
 
(২১) ভাষা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়া চ্যানেল স্থাপন;
 
 
(২২) পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার ইতিহাস, নমুনা ও তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন;
 
 
(২৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা।
পরিচালনা বোর্ড

4[৮।  (১) পরিচালনা বোর্ড নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথাঃ-

 

(ক) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী (পদাধিকারবলে) বা তাহার প্রতিনিধি, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

 

(খ) মহাসচিব, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, ঢাকা বা তাহার প্রতিনিধি;

 

(গ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তাহার প্রতিনিধি;

 

(ঘ) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তাহার প্রতিনিধি;

 

(ঙ) ইউনেস্কো-র সদস্য রাষ্ট্রসমূহ থেকে মনোনীত প্রতিনিধিবৃন্দ;

 

(চ) ইউনেস্কো-র মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি।

 

   (২) বোর্ডের মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন;

 

   তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়ন প্রদানকারী রাষ্ট্র বা কর্তৃপক্ষ উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে, যে কোনো সময়, কোনো কারণ না দর্শাইয়া তাহাদের মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবেন এবং তাহারাও মনোনয়ন প্রদানকারী রাষ্ট্র বা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযু্ক্ত পত্রযোগে যে কোনো সময় স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।

 

   (৩) পরিচালক, বোর্ডের সচিব হইবেন।]

বোর্ডের সভা

৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

 
 

(২) বোর্ড প্রতি বৎসর কমপক্ষে দুইবার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক স্থিরিকৃত হইবে।

 
 

(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

 
 

(৪) বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য উহার মোট সদস্যের 5[অর্ধেকের] উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

 
 

(৫) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।

 
 

(৬) প্রত্যেক সদস্যের একটি ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

 
 

(৭) শুধু কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ক্রটি থাকিবার কারণে ইনস্টিটিউটের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

6[পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক]

১০। (১) ইনস্টিটিউটের একজন 7[পরিচালক] এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক 8[অতিরিক্ত পরিচালক] থাকিবে।

 
 

(২) 9[পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক] সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।

 
 

10[(৩) পরিচালক পদ শূন্য হইলে, অথবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য  কারণে পরিচালক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, বা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পরিচালক অথবা সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তি পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।]

 
 

(৪) 11[পরিচালক] ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন, এবং তিনি-

 
 

(ক) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;

 
 

(খ) ইনস্টিটিউটের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন;

 
 

(গ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন।

ইনস্টিটিউটের তহবিল, ইত্যাদি
১১। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(খ) কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(গ) ইনস্টিটিউটের সম্পত্তির বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
(ঘ) ইনস্টিটিউটের নিজস্ব উৎস হইতে আয় বা কোন তফসিলি ব্যাংক হইতে গৃহীত ঋণ;
 
 
(ঙ) সরকারের অনুমতিক্রমে, কোন বিদেশী সরকার, আত্মর্জাতিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত দান, সাহায্য, ঋণ বা মঞ্জুরি;
 
 
(চ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(২) তহবিলের অর্থ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, যে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা যাইবে এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিলের অর্থ উত্তোলন করা যাইবে।
 
 
(৩) তহবিল হইতে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।
 
 
(৪) তহবিলের অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।
ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা
১২। ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজনে কোন তফসিলি ব্যাংক হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১৩। (১) ইনস্টিটিউট, সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশাবলী সাপেক্ষে, উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(২) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
কমিটি গঠন
১৪। বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
বার্ষিক বাজেট বিবরণী
১৫। ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরের সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে।
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৬। (১) ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্ত্তত করিবে।

 
 

(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন।

 
 

(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক অথবা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ইনস্টিটিউটের 12[পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক] এবং অন্য যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

প্রতিবেদন
১৭। (১) প্রতি পঞ্জিকা বছর শেষ হইবার সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টিটিউট উক্ত বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান-সম্বলিত বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজনে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার কার্যাবলীর উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ

১৮। এই আইন, কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হইলে বা তাঁহার ক্ষতিগ্রস্হ হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড, চেয়ারম্যান, সদস্য, 13[পরিচালক] বা কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।

ক্ষমতা অর্পণ

১৯। বোর্ড উহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, সুনির্দিষ্ট শর্তে, 14[পরিচালক] বা ইনস্টিটিউটের অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।

জনসেবক

২০। ইনস্টিটিউটের 15[পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালকগণ] এবং সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী Penal Code (Act XLV of 1960) এর section 21 এ public servant (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে অর্থে জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবেন।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা অন্য কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রকল্পের বিলুপ্তি, ইত্যাদি
২৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ‘‘আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইসস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প’’ শীর্ষক প্রকল্পটি-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ বিলুপ্ত হইবে; এবং
 
 
(খ) বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উক্ত প্রকল্পের আওতাধীন সরকারের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা এবং সুবিধাদি ইনস্টিটিউটে ন্যস্ত হইবে; এবং
 
 
(গ) উক্ত প্রকল্পের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্ধারিত বেতন, ভাতা ও অন্যান্য শর্তাধীনে ইনস্টিটিউটের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী প্রকল্প বিলুপ্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউটের চাকুরীতে না থাকিবার ইচ্ছা ব্যক্ত করিলে তিনি উক্তরূপ ইচ্ছা ব্যক্ত করিবার তারিখ হইতে ইনস্টিটিউটের চাকুরীতে নিয়োজিত নহেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 

  • 1
    দফা (২) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬৯ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    দফা (৬ক) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ২(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 3
    দফা (১০) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ২(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 4
    ধারা ৮ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    ‘‘অর্ধেকের’’ শব্দটি ‘‘অন্যূন এক-তৃতীয়াংশের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    ‘‘পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক’’ শব্দগুলি ‘‘মহাপরিচালক ও পরিচালক’’ শব্দগুলির পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    ‘‘পরিচালক’’ শব্দ ‘‘মহাপরিচালক’’ শব্দের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 8
    ‘‘অতিরিক্ত পরিচালক’’ শব্দগুলি ‘‘পরিচালক’’ শব্দের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    ‘‘পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক’’ শব্দগুলি ‘‘মহাপরিচালক ও পরিচালক’’ শব্দগুলির পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৫(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 10
    উপ-ধারা (৩) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৫(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 11
    ‘‘পরিচালক’’ শব্দ ‘‘মহাপরিচালক’’ শব্দের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৫(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 12
    ‘‘পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘মহাপরিচালক, পরিচালক’’ শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 13
    ‘‘পরিচালক’’ শব্দ ‘‘মহাপরিচালক’’ শব্দের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 14
    ‘‘পরিচালক’’ শব্দ ‘‘মহাপরিচালক’’ শব্দের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 15
    ‘‘পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালকগণ’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘মহাপরিচালক, পরিচালকগণ’’ শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs