প্রিন্ট ভিউ

জাতীয় ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০১১

( ২০১১ সনের ৩ নং আইন )

1[জাতীয়] ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন

2[যেহেতু সরকার মনে করে যে, ক্রীড়া, খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ক্ষেত্রে যাহারা বিশেষ অবদান রাখিয়াছেন বা রাখিতেছেন তাঁহাদের এবং তাঁহাদের উপর নির্ভরশীলদের কল্যাণার্থে ‘বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদ কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর স্থলে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-]

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন 3[জাতীয়] ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০১১ নামে অভিহিত হইবে।

 
 

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

 
 

(ক) ‘কল্যাণ’ অর্থ ক্রীড়াসেবীদের আর্থিক ও বৈষয়িক সহায়তা;

 
 

4[(খ) “ক্রীড়াসেবী” অর্থ ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া প্রশিক্ষক বা কোচ, রেফারি, জাজ বা আম্পায়ার, গ্রাউন্ডসম্যান, কৃতী ক্রীড়া শিক্ষার্থী বা অন্য কোন ব্যক্তি যিনি ক্রীড়া, খেলাধুলা বা শরীরচর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখিয়াছেন বা রাখিতেছেন;]

 
 
 
 

(গ) ‘চেয়ারম্যান’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

 
 

(ঘ) ‘তহবিল’ অর্থ ফাউন্ডেশনের তহবিল;

 
 

(ঙ) ‘পরিবার’ অর্থ-

 
 

(অ) ক্রীড়াসেবী পুরুষ হইলে, তাঁহার স্ত্রী 5[***] এবং মহিলা হইলে, তাঁহার স্বামী; এবং

 
 

6[(আ) ক্রীড়াসেবীর সহিত একত্রে বসবাসরত এবং তাঁহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল সন্তান-সন্ততিগণ এবং পিতা-মাতা;]

 
 

(চ) ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

 
 

(ছ) ‘ফাউন্ডেশন’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত 7[জাতীয়] ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন;

 
 

(জ) ‘বোর্ড’ অর্থ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ড;

 
 

(ঝ) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

 

8[(ঝঝ) “ভাইস-চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান;]

 
 

(ঞ) ‘সদস্য’ অর্থ বোর্ডের কোন সদস্য;

 
 

(ট) ‘9[নির্বাহী পরিচালক]’ অর্থ ফাউন্ডেশনের 10[নির্বাহী পরিচালক] 11[;]

 

12[(টট) “সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান।]

 
 
13[জাতীয়] ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা

৩। (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, 14[জাতীয়] ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করিবে।

 
 

(২) ফাউন্ডেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয়বিধ সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহার নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

 
 
ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
৪। (১) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।
 
 
(২) ফাউন্ডেশন প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
 
 
 
ফাউন্ডেশনের পরিচালনা
৫। (১) ফাউন্ডেশনের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ফাউন্ডেশন যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
 
 
(২) বোর্ড উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নীতি অনুসরণ করিবে।
 
 
 
 
পরিচালনা বোর্ড

15[৬।  (১) ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী/উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন, তবে মন্ত্রী/উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী সকলেই বিদ্যমান থাকিলে মন্ত্রী/উপদেষ্টা চেয়ারম্যান এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অন্য দুইজন বা একজন সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;

(খ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, যিনি উহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;

(গ) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;

(ঘ) জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক;

(ঙ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ক্রীড়া অনুবিভাগের প্রধান;

(চ) বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক;

(ছ) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব;

(জ) ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক;

(ঝ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;

(ঞ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;

(ট) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;

(ঠ) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;

(ড) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;

(ঢ) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;

(ণ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;

(ত) বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি;

(থ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ক্রীড়া ও খেলাধুলায় অনুরাগী ৩ (তিন) জন ব্যক্তি, যাঁহাদের মধ্যে অন্যূন একজন নারী হইবেন;

(দ) ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (থ) এর অধীন মনোনীত কোন সদস্য তাঁহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে মনোনীত কোন সদস্য, ইচ্ছা করিলে, যে-কোন সময় চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক উহা গৃহীত হইবার তারিখ হইতে পদটি শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে:

আরও শর্ত থাকে যে, সরকার, মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বেই কোন কারণ প্রদর্শন ব্যতিরেকে, মনোনীত কোন সদস্যকে তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।]

ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ও কার্যাবলী

16[৭। ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-

(ক) অসচ্ছল, অসুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবী এবং তাঁহাদের পরিবারের জন্য, ক্ষেত্রমত, পুরস্কার, অনুদান, চিকিৎসা সহায়তা, আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তি প্রদানের নিমিত্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং ফাউন্ডেশনের নীতিমালার ভিত্তিতে-

(অ) অসচ্ছল, অসুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবী এবং তাঁহাদের পরিবারের জন্য মাসিক বা বাৎসরিক ক্রীড়া ভাতা প্রদান করা;

(আ) ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক বা বাৎসরিক ‘ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি’ প্রদান করা;

(ই) অসচ্ছল, অসুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবী এবং তাঁহাদের পরিবারের জন্য চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা;

(ঈ) ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ক্রীড়াসেবীদের পুরস্কার প্রদান করা;

(উ) দুর্যোগ ও মহামারিকালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াসেবীদের আর্থিক সহায়তা বা অনুদান প্রদান করা;

(খ) ক্রীড়াসেবীদের ডেটাবেজ সংরক্ষণ করা;

(গ) অসচ্ছল, অসুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবী এবং তাঁহাদের পরিবারের সার্বিক কল্যাণ ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প, কর্মসূচি, স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা;

(ঘ) তহবিল বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও পরিচালনা করা;

(ঙ) সরকার কর্তৃক আরোপিত শর্তাধীনে উহার অনুমোদিত প্রকল্পের জন্য ঋণ সংগ্রহ করা;

(চ) লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য চাঁদা, অনুদান ও উপহার গ্রহণ এবং লটারির ব্যবস্থা করা;

(ছ) তহবিল পরিচালনা ও প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা; এবং

(জ) উপরি-উক্ত দফাসমূহে উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য যে-কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্য সম্পাদন করা।]

বোর্ডের সভা

৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

 
 

(২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবেঃ

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ছয় মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।

 
 

(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে 17[সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান] সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

 
 

(৪) বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।

 
 

18[(৫) প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।]

 
 

(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

 
 
কমিটি গঠন
৯। বোর্ড উহার কার্যাবলী দক্ষতার সহিত সম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য যেইরূপ সঙ্গত মনে করিবে সেইরূপ এক বা একাধিক কমিটি গঠন এবং উহাদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে।
ফাউন্ডেশনের তহবিল
 
১০। (১) ফাউন্ডেশনের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
(ঘ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে অন্য যে কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ;
 
(ঙ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ।
 
(২) তহবিলের অর্থ ফাউন্ডেশনের নামে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।
 
(৩) চেয়ারম্যান ও বোর্ডের সদস্য-সচিব এর যৌথ স্বাক্ষরে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে।
 
(৪) তহবিল হইতে ফাউন্ডেশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।
নির্বাহী পরিচালক

19[১১।  (১) ফাউন্ডেশনের একজন নির্বাহী পরিচালক থাকিবেন।

(২) নির্বাহী পরিচালক সরকারের অন্যূন যুগ্মসচিব পর্যায়ের কোন কর্মকর্তার মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার বেতন, ভাতা ও চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।

(৩) নির্বাহী পরিচালক ফাউন্ডেশনের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-

(ক) ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং

(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব ও কার্য সম্পাদন করিবেন।

(৪) নির্বাহী পরিচালকের পদ শূন্য হইলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে নির্বাহী পরিচালক তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, কিংবা নির্বাহী পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।]

কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১২। ফাউন্ডেশন উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজ কর্ম রক্ষণ
১৩। এই আইন বা কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড বা কোন সদস্য বা অন্যান্য কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না।
ক্ষমতা অর্পণ

১৪। বোর্ড উহার যে কোন ক্ষমতা, প্রয়োজনবোধে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে চেয়ারম্যান, কোন সদস্য, 20[নির্বাহী পরিচালক] বা ফাউন্ডেশনের অন্য যে কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।

বাজেট
১৫। ফাউন্ডেশন প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ফাউন্ডেশনের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে।
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৬। (১) ফাউন্ডেশন, প্রচলিত আইন অনুসরণক্রমে, উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর ফাউন্ডেশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ফাউন্ডেশনের সকল রেকর্ড, দলিল এবং দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং যে কোন সদস্য এবং ফাউন্ডেশনের যে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
প্রতিবেদন
১৭। (১) ফাউন্ডেশন তদ্‌কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রতি বৎসর জানুয়ারি মাসে সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, প্রয়োজনে, যে কোন সময় ফাউন্ডেশনের নিকট হইতে উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং ফাউন্ডেশন সরকারের নিকট উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ফাউন্ডেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২০। এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, প্রয়োজনবোধে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
বিলোপ ও হেফাজত।
২১। (১) ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ৩০ এপ্রিল, ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ক্রীড়া-১/১০ম-৩৩/৮৪-১৬৭ নং প্রজ্ঞাপন, অতঃপর বিলুপ্ত প্রজ্ঞাপন বলিয়া উল্লিখিত, বাতিল হইয়া যাইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাতিল হইবার সঙ্গে সঙ্গে-
 
 
(ক) বিলুপ্ত প্রজ্ঞাপনের অধীন গঠিত বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদ কল্যাণ ট্রাস্ট, অতঃপর বিলুপ্ত ট্রাস্ট বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে এবং এতদ্‌বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ রহিত হইবে;
 
 
(খ) বিলুপ্ত ট্রাস্ট-এর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার ফাউন্ডেশনে হস্তান্তরিত হইবে এবং ফাউন্ডেশন উহার স্বত্বাধিকারী হইবে;
 
 
(গ) বিলুপ্ত ট্রাস্টের সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি যথাক্রমে ফাউন্ডেশনের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, পক্ষে বা সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত ট্রাস্ট কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা-মোকদ্দমা ফাউন্ডেশন কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
 
 
(ঙ) কোন চুক্তি, দলিল বা চাকুরীর শর্তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিলুপ্ত ট্রাস্টের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফাউন্ডেশনে বদলী হইবেন এবং তাহারা ফাউন্ডেশন কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ বদলীর পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে ফাউন্ডেশনের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন।
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs