প্রিন্ট ভিউ

উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন, ২০১১

( ২০১১ সনের ৫ নং আইন )

উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির আন্তর্জাতিক পরিবহনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধ এবং উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ এতদ্‌সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক ও সহায়ক ব্যবস্থাদি গ্রহণকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির আন্তর্জাতিক পরিবহনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধ এবং উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ এতদ্‌সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক ও সহায়ক ব্যবস্থাদি গ্রহণকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন, ২০১১ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
 
 
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
(১) ‘‘আমদানি’’ অর্থ জল, স্থল বা আকাশপথে অন্য কোন দেশ হইতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনয়ন করা;
 
 
(২) ‘‘আমদানি অনুমতিপত্র’’ অর্থ ধারা ১০ এর বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত একটি দাপ্তরিক সনদপত্র যাহা উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিপালন সাপেক্ষে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানির অনুমতি প্রদান করে;
 
 
(৩) ‘‘আমদানিকারক’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সংগঠন, স্বত্বাধিকারী, প্রাপক (consignee) বা প্রতিনিধি (agent)যাহার অধিকারে বা তত্ত্বাবধানে বা নিয়ন্ত্রণে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি রহিয়াছে এবং যাহা আইনানুগভাবে অন্য কোন দেশ হইতে বাংলাদেশে পৌঁছিয়াছে বা পৌঁছানোর অপেক্ষমান;
 
 
(৪) ‘‘আক্রমণ (infestation) ’’ অথবা ‘‘সংক্রমণ (infection)’’ অর্থ কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ, উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি বা উহার প্যাকিং দ্রব্যাদির মধ্যে জীবন্ত বালাই এর উপস্থিতি;
 
 
(৫) ‘‘উপকারী জীবাণু’’ অর্থ ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, নেমাটোড, ভাইরাস, ভাইরাসের মত জীবাণুসহ যে কোন সমজাতীয় জীবাণু বা এমন কোন অমেরুদন্ডী প্রাণী যাহা বালাই দমনে বা পরাগায়নে বা বাণিজ্যিকভাবে মূল্যবান কৃষিজ দ্রব্যাদি উৎপাদনের জন্য উপকারী এবং যাহা সরকার কর্তৃক সময় সময় কৃষি উৎপাদনের জন্য উপকারী বলিয়া ঘোষিত;
 
 
(৬) ‘‘উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্র (phytosanitary certificate) ’’ অর্থ-
 
 
(ক) আমদানির ক্ষেত্রে, উৎপাদনকারী দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্র; এবং
 
 
(খ) রপ্তানির ক্ষেত্রে, ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (৩) এবং বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্র।
 
 
(৭) ‘‘উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা;
 
 
(৮) ‘‘উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি’’ অর্থ উদ্ভিদ প্রজাতি বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি বা বীজসহ উদ্ভিদের জীবন্ত বা মৃত অংশ, উদ্ভিদ উৎসের বংশ উৎপাদনকারী, জার্মপ্লাজম, উদ্ভিদ উৎসের প্রক্রিয়াকৃত বা অপ্রক্রিয়াকৃত দ্রব্যাদি যাহা তাহাদের বৈশিষ্ট্যের কারণে অথবা প্রক্রিয়াকরণের কারণে বালাই বহন, সংক্রমণ এবং বিস্তার করিতে সক্ষম;
 
 
(৯) ‘‘কনটেইনমেন্ট’’ অর্থ উদ্ভিদ সংগনিরোধ বালাই এর বিস্তার রোধকল্পে সংক্রমিত এলাকার ভিতরে এবং বাহিরে উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা;
 
 
(১০) ‘‘কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা-৩ এ বর্ণিত জাতীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ;
 
 
(১১) ‘‘ট্রানজিট’’ অর্থ কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিতজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রবাদি এক দেশে হইতে অন্য দেশে পরিবহনকালে বাংলাদেশ অতিক্রমের সময় উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা ও সংগনিরোধ পদ্ধতির আওতায় থাকা;
 
 
(১২) ‘‘নিয়ন্ত্রিত এলাকা’’ অর্থ ধারা ২১ এর অধীন ঘোষিত নিয়ন্ত্রত এলাকা;
 
 
(১৩) ‘‘প্যাকিং দ্রব্যাদি’’ অর্থ উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই বা উপকারী জীবাণু প্যাকিং, ধারণ অথবা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় এমন কোন দ্রব্যাদি;
 
 
(১৪) ‘‘পরিদর্শন’’ অর্থ উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদিতে বালাই এর উপস্থিতি অথবা উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিপালন করা হইতেছে কিনা তাহা নির্ণয়ের লক্ষ্যে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদির চাক্ষুস পরীক্ষণ;
 
 
(১৫) ‘‘প্রবেশোত্তর সংগনিরোধ’’ অর্থ বাংলাদেশে প্রবেশের পর উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির উপর পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, পরিদর্শন, শোধন সম্পর্কিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক এইরূপ উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির কনসাইনমেন্ট এর উপর আরোপিত বাধা-নিষেধ;
 
 
(১৬) ‘‘ফসল’’ অর্থ যে কোন কৃষিজ, উদ্যানতাত্ত্বিক, ঔষধি ও আঁশ ফসল এবং সকল প্রকার উদ্ভিদ, লতা গুল্মাদি এবং অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি;
 
 
(১৭) ‘‘বাহন’’ অর্থ উদ্ভিদ, উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি জল, স্থল বা আকাশপথে এক স্থান হইতে অন্য স্থানে পরিবহন করিতে সক্ষম এমন সকল প্রকার যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক বা প্রাণী বা মানুষ চালিত বাহন;
 
 
(১৮) ‘‘বালাই নির্জিবীকরণ (disinfestation) ’’ বা ‘‘সংক্রামক জীবাণু নাশকরণ (disinfection) ’’ অর্থ উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির উপরে, ভিতরে বা মধ্যস্থিত অংশে থাকে বা থাকিতে পারে এমন যে কোন পোকামাকড় বা রোগ জীবাণুর সংক্রমণ ধ্বংস বা হ্রাস করিবার উদ্দেশ্যে গৃহীত যে কোন বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা;
 
 
(১৯) ‘‘বালাই (pests) ’’ অর্থ যে কোন ধরনের উদ্ভিদ বা জীবন্ত প্রাণীর প্রজাতি, স্ট্রেইন বা বায়োটাইপ বা উপকারী জীবাণু ব্যতীত রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন জীবাণু, যাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি বা উপকারী জীবাণুর ক্ষতিসাধন করিতে সক্ষম এবং লিভিং মডিফাইড অর্গানিজমস্, এলিয়েন ইনভেসিভ স্পেসিস এবং আগাছাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(২০) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি ; এবং
 
 
(২১) ‘‘রপ্তানী’’ অর্থ জল, স্থল বা আকাশপথে বাংলাদেশ হইতে আইনানুগভাবে অন্য যে কোন দেশে প্রেরণ করা।
 

দ্বিতীয় অধ্যায়

জাতীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ ও ইহার কার্যাবলী

জাতীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ
৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, জাতীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী জাতীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ নামে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত পরিচালক, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জাতীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ হিসাবে গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং-এ কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবে।
 
কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৪। কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
 
(ক) অন্য দেশ হইতে বাংলাদেশে সংগনিরোধ বালাই এর অনুপ্রবেশ রোধের লক্ষ্যে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু ও প্যাকিং দ্রব্যাদির আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা;
 
 
(খ) আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহের সহিত সঙ্গতি রাখিয়া আমদানিকারী দেশের উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা চাহিদা মোতাবেক উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই, উপকারী জীবাণু ও প্যাকিং দ্রব্যাদির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা;
 
 
(গ) আন্তর্জাতিক পরিবহনে রহিয়াছে এমন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু এবং প্যাকিং দ্রব্যাদির, কনসাইনমেন্ট, যাহা প্রাসঙ্গিকভাবে বালাই এর বাহন হিসাবে ব্যবহৃত হইতে পারে, তাহা পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান করা;
 
 
(ঘ) বালাই এর প্রাদুর্ভাব এবং বিস্তার রোধের লক্ষ্যে বর্ধনশীল উদ্ভিদ, আবাদকৃত এলাকা, গুদামজাত অথবা ট্রানজিটরত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি পরিদর্শন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ;
 
 
(ঙ) আমদানিকারি দেশের উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা চাহিদা অনুযায়ী উদ্ভিদস্বাস্থ্য সনদপত্র প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
 
 
(চ) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির কনসাইনমেন্ট ও ইহাদের কনটেইনার, প্যাকিং দ্রব্যাদি, সংরক্ষণ স্থান অথবা বাহন বালাই আক্রমণমুক্ত বা সংক্রামণযুক্ত করার নিমিত্ত শোধন কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(ছ) উপকারী জীবাণুর প্রবর্তন নিয়ন্ত্রণ করা;
 
 
(জ) কোন একটি সংক্রমিত এলাকাকে ‘‘নিয়ন্ত্রিত এলাকা’’ হিসাবে ঘোষণা করা;
 
 
(ঝ) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির প্রবেশোত্তর সংগনিরোধ(post-entry quarantine) কার্যক্রম পরিচালনা এবং উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থাদি বাস্তবায়ন করা;
 
 
(ঞ) বালাই ঝুঁকি বিশ্লেষণ (pest risk analysis) এবং বালাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (pest risk management ) কার্যক্রম পরিচালনা ;
 
 
(ট) উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থাদি হালনাগাদ এবং সমন্বয় (harmonization) করিবার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ বা শর্তারোপকৃত (restricted) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই ও উপকারী জীবাণুর তালিকা নিয়মিত পর্যালোচনা এবং হালনাগাদ করা;
 
 
(ঠ) বিভিন্ন স্বীকৃত আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক অথবা অন্যান্য জাতীয় উদ্ভিদ সংরক্ষণ সংস্থার সহিত কারিগরি তথ্য, মতামত ও প্রতিবেদন বিনিময় এবং উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও সংগনিরোধ বিষয়ে সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত থাকা;
 
 
(ড) নির্দিষ্ট বালাই এর ডায়াগনোস্টিকস্, সনাক্তকরণ এবং পরিচিতি নির্ণায়ক কার্যক্রম পরিচালনা ;
 
 
(ঢ) বাংলাদেশে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা এর উন্নতি সাধন এবং নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(ণ) উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সংশিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত বা স্বাক্ষরকারী এমন আন্তর্জাতিক চুক্তি, প্রটোকল, কনভেনশন ইত্যাদি অনুসরণ এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং উদ্ভিদ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রম অনুসরণ, পরিচালনা ও সমন্বয় করা;
 
 
(ত) জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজমস্, লিভিং মডিফাইড অর্গানিজমস্ এবং এলিয়েন ইনভেসিভ স্পেসিস এর ট্রান্সবাউন্ডারী মুভমেন্টস এবং উহাদের অনুপ্রবেশ ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা;
 
 
(থ) বাংলাদেশে বিদ্যমান উদ্ভিদ সংগনিরোধ সম্পর্কিত বালাই এর উপর জরিপ, নজরদারী (surveillance) ও উদ্ভিদ সংগনিরোধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(দ) বাংলাদেশের ভিতরে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির বালাই সম্বন্ধীয় তথ্যাদি, ইহাদের আক্রমণ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ পদ্ধতি ও উহার নিয়ন্ত্রণ এবং এতদ্‌সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্যাদি সংরক্ষণ;
 
 
(ধ) এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার উপক্রম হইয়াছে বা আমদানি অনুমতিপত্র বা উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্রের শর্তাবলী লঙ্ঘিত হইতেছে বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ; যথাঃ-
 
 
(অ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট রক্ষিত রেজিস্টার অথবা রেকর্ড হইতে সার-সংক্ষেপ সংগ্রহ এবং অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে যে সকল রেজিস্টার প্রয়োজনীয়, তাহা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আটক ও স্বীয় তত্ত্বাবধানে সংরক্ষণ করা;
 
 
(আ) বাংলাদেশে প্রবেশ অথবা বাংলাদেশ হইতে প্রস্থানের সময় যে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি অথবা ব্যক্তির সাথে বহনকৃত অন্য কোন বস্তু মালপত্র ও যানবাহন তল্লাশি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আটক করা;
 
 
(ই) নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্য বিতরণ, বিক্রয় বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা;
 
 
(ন) উদ্ভিদ সংগনিরোধ গবেষণাগার রক্ষনাবেক্ষণ ও উন্নয়ন; এবং
 
 
(প) সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোন দায়িত্ব।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতার্পণ
৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ উহার যে কোন ক্ষমতা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের অধীন অন্য যে কোন কর্মকর্তার অনুকূলে অর্পণ করিতে পারিবে।
 
 
উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ (prohibition) বা শর্তারোপকরণ (restriction), ইত্যাদি
৬। (১) Imports and Exports (Control) Act, 1950 (Act No. XXXIX of 1950)এর অধীন সরকার কর্তৃক, সময় সময় জারীকৃত আমদানি বা রপ্তানি নীতি আদেশে উল্লিখিত শর্তে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদিতে বালাই সংক্রমণের কারণ হইতে পারে এইরূপ কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির আমদানি বা রপ্তানি নিষিদ্ধ বা শর্তারোপকৃত বা অন্য কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাইবে।
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি এবং প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে Customs Act, 1969 (Act IV of 1969)-এ শুল্ক কর্মকর্তাদের, সময় সময়, বাধা- নিষেধ আরোপ করিবার যেই ক্ষমতা রহিয়াছে, সেই একই ক্ষমতা প্রয়োগ করা যাইবে এবং উক্ত আইন এর বিধানাবলী একইরূপে এই আইনের ক্ষেত্রেও বলবৎ থাকিবে।
 
সংগনিরোধের জন্য উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি নিয়ন্ত্রণ
৭। উদ্ভিদ সংগনিরোধের জন্য আটক বা বাজেয়াপ্ত সকল উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে থাকিবে, এবং তিনি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির সংগনিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
 
উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা নিয়োগ
৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং-এর প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তাকে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে।
 

তৃতীয় অধ্যায়

আমদানি ও রপ্তানি

আমদানি নিষেধাজ্ঞা
৯।(১) আমদানি অনুমতিপত্র ব্যতিরেকে কোন আমদানিকারক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু, মাটি অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানি করিতে পারিবে না।
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ, সময় সময়, সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি আমদানির পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদিকে আমদানির শর্তাবলী হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
অনুমতিপত্র ও প্রত্যয়নপত্র
১০। (১) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আমদানি অনুমতিপত্র ও প্রত্যয়নপত্র ব্যতিত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানি করা যাইবে না।
 
 
(২) যে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রবেশ পথে বাংলাদেশে আমদানি করা যাইবে এবং আমদানি ঘোষণা প্রদান করিয়া কনসাইনমেন্টটির অনুকূলে প্রদত্ত আমদানি অনুমতিপত্র এবং রপ্তানিকারক দেশের জাতীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্রসহ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার পরীক্ষার জন্য দাখিল করিতে হইবে।
 
 
(৩) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি আমদানি করা হইলে উহাতে কিরূপ শোধন প্রক্রিয়া প্রয়োগ করিতে হইবে বা আমদানির পূর্বে বা পরে উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতকরণার্থে প্রবেশোত্তর সংগনিরোধসহ যে সকল ব্যবস্থাদি গ্রহণ করিতে হইবে, তাহা আমদানি অনুমতিপত্রে বর্ণিত থাকিবে।
আমদানি অনুমতিপত্র ও প্রত্যয়নপত্র সংশোধন, বাতিল ইত্যাদি
১১। কর্তৃপক্ষ যুক্তিসংগত কারণে-
 
 
(ক) ইস্যুকৃত আমদানি অনুমতিপত্র ও প্রত্যয়নপত্র বাতিল করিতে পারিবে; এবং
 
 
(খ) যে কোন সময়ে উহা পরিবর্তন বা সংশোধন করিতে পারিবে।
 
উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার নিকট ঘোষণা প্রদান
১২। (১) কোন ব্যক্তি তাহার সম্মতিক্রমে বা অসম্মতিতে, কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাংলাদেশের বাহির হইতে প্রাপ্ত হইলে, তিনি উহা নিকটস্থ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার নিকট ঘোষণা প্রদান করিবেন।
 
 
(২) উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা উল্লিখিত দ্রব্যাদি পরীক্ষান্তে উহা ছাড়করণ বা ধ্বংসকরণ বা শোধন বা নিষ্পত্তি করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
 
 
পরিদর্শন
১৩। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার আদেশ মোতাবেক উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি বহনকারী ও গুদামজাতকারী বা বাহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত বাহন, এবং উহার অভ্যন্তরস্থ দ্রব্যাদি পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শোধনের জন্য উন্মুক্ত করিয়া দিতে বাধ্য থাকিবে।
 
পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ
১৪। যে কোন আমদানিকারক উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার চাহিদা মোতাবেক আমদানিকৃত দ্রব্যাদি পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করিবার অনুমতি প্রদানে বাধ্য থাকিবে।
 
কন্টেইনার স্থানান্তর
১৫। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার পরীক্ষাধীন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই, উপকারী জীবাণু এবং প্যাকিং দ্রব্যাদি তাহার অনুমতি ব্যতিত স্থানান্তরিত করা যাইবে না বা কোন কন্টেইনার খোলা যাইবেনাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কাস্টমস্ অথবা পোস্ট অফিসের কর্মকর্তার কার্য নির্বাহের জন্য বর্ণিত বিধানটি শিথিলযোগ্য হইবে।
বালাই সংক্রমিত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির আটকাদেশ
১৬। এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া বাংলাদেশে আমদানি করা উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি অথবা ট্রানজিটে থাকা উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি অথবা বাংলাদেশের এক অংশ হইতে অন্য অংশে বহন করা উক্ত দ্রব্যাদি, যাহা বালাই পোষণকারী হিসাবে সন্দেহযুক্ত, তাহা আটক করা যাইবে অথবা ক্ষেত্রবিশেষে উহা প্রবেশে অসম্মতি প্রদান, ধ্বংস, অপসারণ, শোধন বা উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
 
রপ্তানি-পূর্ব পরীক্ষা
১৭। (১) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি রপ্তানির ক্ষেত্রে সংগনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিটি কনসাইনমেন্ট রপ্তানি-পূর্ব পরীক্ষা করাইতে হইবে।
 
 
(২) রপ্তানীর উদ্দেশ্যে উপস্থাপনকৃত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির প্রত্যেকটি কনসাইনমেন্ট আমদানিকারী দেশের উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা চাহিদা অনুযায়ী উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরীক্ষিত হইবে।
 
 
(৩) উপস্থাপনকৃত কনসাইনমেন্টটি উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্র প্রাপ্তির উপযুক্ত প্রতীয়মান হইলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্র ইস্যু করিবেন।
 
 
রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা
১৮। (১) কোন রপ্তানিকারক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্র (phytosanitary certificate) ব্যতিরেকে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি করিতে পারিবে না।
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ, সময় সময় সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি রপ্তানির পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষ, সরকারের অনুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময় রপ্তানির শর্তাবলী হইতে কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
 

চতুর্থ অধ্যায়

বালাই সীমাবদ্ধকরণ ও নির্মূলকরণ

বালাই সীমাবদ্ধকরণ (containment) বা নির্মূলকরণ (eradication)
১৯। কর্তৃপক্ষ, সরকারের পৃর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই, জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজমস্, লিভিং মডিফাইড অর্গানিজমস্ এবং এলিয়েন ইনভেসিভ স্পেসিস, উপকারী জীবাণু, জার্মপ্লাজম, প্যাকিং দ্রব্যাদি অথবা বালাই পোষণকারী ও বিস্তারকারী সমজাতীয় যে কোন দ্রব্যাদির অনুপ্রবেশ, প্রবর্তন, বিক্রয়, চাষাবাদ, বংশবৃদ্ধিকরণ বা পরিবহন নিষিদ্ধ বা বাধা-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে।
 
সংগনিরোধ বালাই সম্বন্ধে ঘোষণা
২০। (১) কোন সংগনিরোধ বালাই বিরাজমান থাকিলে বা বিরাজমান থাকিবার আশঙ্কা থাকিলে অথবা কোন বালাই যদি ফসল উৎপাদন, উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির ব্যবসা, উপকারী জীবাণু বা প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য শঙ্কাপূর্ণ হয় বা কোন বালাই যদি বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করিয়াছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া যায় অথবা বাংলাদেশে বিদ্যমান রহিয়াছে এমন বালাই সীমাবদ্ধকরণ ও নির্মূলকরণ প্রয়োজনীয় বলিয়া পরিগণিত হয় তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত বালাইকে সংগনিরোধ বালাই হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
 
(২) কোন জমি অথবা কোন আঙ্গিনায় সংগনিরোধ বালাই হিসাবে পরিচিত বা অনুমিত বালাই পাওয়ার ক্ষেত্রে, ঐ জমি বা আঙ্গিনার অধিকারী বা মালিক উহা নিকটস্থ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।
 
 
 
সংক্রমিত এলাকাকে নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা
২১। কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) বাংলাদেশের যে কোন এলাকা যাহা কোন বালাই দ্বারা সংক্রমিত হইয়াছে বা সংক্রমিত হইয়াছে বলিয়া যুক্তিঙ্গতভাবে সন্দেহ হইতেছে এমন এলাকাকে নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা;
 
 
(খ) কোন জমি বা আঙ্গিনা যাহা সংক্রমিত হইয়াছে বা সংক্রমিত হইয়াছে বলিয়া সন্দেহ হইতেছে এমন জমি বা আঙ্গিনাকে সংগনিরোধের আওতাধীন নিয়ন্ত্রিত এলাকা বলিয়া ঘোষণা করা;
 
 
(গ) বালাই-এর বিস্তার নির্মূল বা সীমিত করিবার নিমিত্ত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি সংক্রমিত বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত বাহন অথবা গুদামজাত এলাকায় শোধন কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঘ) উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া তাৎক্ষনিকভাবে কোন বালাই সীমিত বা নির্মূল করা সম্ভব নহে বলিয়া উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হইলে, তিনি উদ্ভিদ সংগনিরোধের আওতাধীন এলাকায় আংশিক বা সম্পূর্ণ আক্রান্ত অঞ্চলের ফসল উৎপাদন ও ফসল সংগ্রহ নিষিদ্ধকরণ, সীমাবদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন এবং তৎমর্মে এইরূপ নিষিদ্ধকরণ, সীমাবদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ বহাল থাকিবার সময় নির্দিষ্ট করিতে পারিবেন।
 
 
লিখিত বিজ্ঞপ্তি
২২। (১) যদি উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, কোন একটি স্থানে সংগনিরোধ বালাই রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি ঐ স্থানের অধিকারী বা মালিকের উপর লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারী করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি সংগনিরোধ বালাই নির্মূল, সীমাবদ্ধ এবং বিস্তার সীমিত করিবার লক্ষ্যে উক্ত জমি বা আঙ্গিনার অধিকারী মালিককে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পন্ন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
(২) কোন জমি বা আঙ্গিনার মালিক বা অধিকারী যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তির কোন শর্ত অমান্য করে বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিপালন করিতে অপারগ হয়, তাহা হইলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা ঐ জমিতে বা আঙ্গিনায় প্রবেশ করিতে এবং লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারী করিয়া উদ্ভিদ স্বাস্থ্যসুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা, সংগনিরোধ ব্যবস্থার অধীন রক্ষিত কোন জমি বা আঙ্গিনার অবস্থা সম্বন্ধে নিয়মিত পর্যালোচনা করিবেন এবং যখন এই মর্মে নিশ্চিত হইবেন যে, সংশ্লিষ্ট বালাই নির্মূল হইয়াছে এবং সংশ্লিষ্ট জমিতে বা উহার অংশবিশেষে সংগনিরোধ বিধি-নিষেধ বজায় রাখার প্রয়োজন নেই, সেই ক্ষেত্রে, সংগনিরোধ বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত হওয়ার তারিখ উল্লেখপৃর্বক বিজ্ঞপ্তি দ্বারা জমির মালিক বা অধিকারীকে উহা জ্ঞাত করাইবেন।
 
সহায়তা
২৩। কাস্টমস, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, ডাক বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, রেল বিভাগ, শিপিং এজেন্সীজ, বিমান এবং সমজাতীয় সকল প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা এই আইনের পরিপন্থী কার্যক্রম রোধ করিতে এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তাকে এই আইনের আওতায় ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে।
 
 
ক্ষতিপূরণ
২৪। (১) সরকার, উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া সংগনিরোধ বালাই নির্মূল, সীমাবদ্ধ বা বিস্তার রোধ করিবার ক্ষেত্রে কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি বা অন্য কোন দ্রব্যাদি ধ্বংস করিলে ক্ষেত্রমত, সরকারি অর্থের যোগান ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করিয়া ধ্বংসকৃত উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি বা সমজাতীয় অন্যান্য দ্রব্যাদির ক্ষতিপূরণ উহার স্বত্বাধিকারীকে প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) কোন ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হইবেন না, যদি উপ-ধারা-১ এর অধীন গৃহীত ব্যবস্থা সংশোধনের জন্য গ্রহণ করা হইয়া থাকে এবং উহা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অমনোযোগিতার জন্য বা আইনানুগ নির্দেশাবলী মানিতে অপারগ হওয়ার জন্য বা এই আইনের বর্ণিত বিধান ভঙ্গের জন্য ঘটিয়া থাকে।
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষ সরকারের পৃর্বানুমোদনক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা পারিপার্শ্বিক অবস্থার সার্বিক বিচার-বিশ্লেষণ করিয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
 
 
আটকের ক্ষেত্রে মালিককে অবহিতকরণ
২৫। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি আটক, অপেক্ষারত অবস্থায় রাখা, প্রবেশাধিকার নিষেধ, ফেরত প্রদান, শোধন, অপসারণ বা ধ্বংস কার্যক্রম গ্রহণ করিবার ক্ষেত্রে, যথাশীঘ্র সম্ভব, যেই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইয়াছে তাহাসহ উক্তরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের কারণ দ্রব্যের মালিককে অবগত করিবে।
 
 
 

পঞ্চম অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড

অপরাধ
২৬। কোন ব্যক্তি, কোম্পানি বা সংস্থা নিজে অথবা কর্মচারী বা প্রতিনিধির মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত কার্যসমূহসহ এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে এই আইনের আওতায় উহা অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:-
 
 
(ক) এই আইনের আওতায় নিষিদ্ধ কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই, উপকারী জীবাণু, মাটি অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি বাংলাদেশে আমদানি বা রপ্তানী করিলে;
 
 
(খ) জ্ঞাতসারে নিষিদ্ধ কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, বালাই, উপকারী জীবাণু, মাটি অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি উৎপাদন করা, স্বত্বাধিকারী হওয়া, বিক্রয় করা, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার, বিতরণ বা পরিবহণ করিলে;
 
 
(গ) ধারা ২২ এর অধীন জারীকৃত বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করিলে;
 
 
(ঘ) কোন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করিলে, প্রতিরোধ করিলে অথবা ভীতি প্রদর্শন করিলে;
 
 
(ঙ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা প্রতিপালনে অস্বীকার করিলে অথবা অবজ্ঞা করিলে;
 
 
(চ) ধারা ১৩, ১৪ ও ১৫ অনুযায়ী প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য কিংবা অগ্রাহ্য করিলে;
 
 
(ছ) অনুমতিপত্র বা প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অথবা এই আইনের বিধান ভ্রান্তি মূলকভাবে পালনের লক্ষ্যে জ্ঞাতসারে বা বেপরোয়াভাবে বস্তুগত মিথ্যা তথ্য প্রদান করিলে; এবং
 
 
(জ) উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপিত অথবা তৎকর্তৃক জারিকৃত কোন দলিলের পরিবর্তন বা বিকৃত করিলে।
কোম্পানী ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২৭। কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এমন প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
 
 
ব্যাখ্যা: এই ধারায়-
 
 
(ক) ‘‘কোম্পানী’’ বলিতে কোন কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং
 
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘‘পরিচালক’’ বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে।
ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ বিচার
২৮। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
২৯। এই আইনের অধীন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা
৩০। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য(non-cognizable)এবং জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।
দণ্ড
৩১। (১) কোন ব্যক্তি ধারা ২৬ এ বর্ণিত অপরাধ করিলে তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা ৫,০০,০০০(পাঁচ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
 
 
(২) নিষিদ্ধ দ্রব্য হইতে প্রাপ্ত সকল অর্থ ও মুনাফা বাজেয়াপ্ত করা যাইবে।
বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির নিস্পত্তিকরণ
৩২। (১) এই আইনের অধীন কোন দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হইলে, ধ্বংস করিতে হইবে এমন দ্রব্য ব্যতীত অন্যান্য দ্রব্যাদি, প্রকাশ্য নিলামে বা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক অন্য কোন আইনসম্মত উপায়ে বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে নিষ্পত্তি করা যাইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করিতে হইবে।
দণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা
৩৩। ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধারা ৩১ এ বর্ণিত যে কোন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
প্রশাসনিক আদেশের বিরুদ্ধে আপীল, ইত্যাদি
৩৪। (১) এই আইনের অধীন লিখিত কোন আদেশ দ্বারা কোন অনুমতিপত্র বা সনদপত্র গ্রহীতা সংক্ষুদ্ধ হইলে উক্ত সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি অনুরূপ আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১৫(পনের) দিনের মধ্যে প্রতিকার লাভের উদ্দেশ্যে নিম্নরূপ নিয়ম অনুসরণপূর্বক আপীল করিতে পারিবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) আদেশটি যদি কোন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে তাহা হইলে কর্তৃপক্ষের নিকট; এবং
 
 
(খ) আদেশটি যদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আপীল দাখিল হইলে, আপীল দাখিলের অনধিক ৯০(নববই) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে।

ষষ্ঠ অধ্যায়

বিবিধ

ফিস ও মাসুল
৩৫। সরকার কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি পরিদর্শন, পরীক্ষণ অথবা ঐ সব উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্য শোধনের জন্য, সময় সময়, ফিস ও মাসুল নির্ধারণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত ফিস ও মাসুল আদায় পদ্ধতিও নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
 
 
ব্যয় নির্বাহ
৩৬। কোন আমদানিকারক আমদানি অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্ত লঙ্ঘন করিয়া কোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি, উপকারী জীবাণু অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদি আমদানি করিলে উক্ত আমদানিকৃত দ্রব্যাদি শোধন বা অপসারণ বা ধ্বংস করিবার ক্ষেত্রে যাবতীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বহন করিবে।
 
 
দায়মুক্তি
৩৭। এই আইন বা তদাধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন সরল বিশ্বাসে কৃতকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য কর্তৃপক্ষ বা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা বা সরকারের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না
অসুবিধা দুরীকরণ
৩৮। এই আইনের কোন বিধানে অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে, কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্তরূপ অসুবিধা দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
 
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৯। (১) সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রীকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, উক্তরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত বিষয়েও বিধান করা যাইবে, যথা:-
 
 
(ক) যে সকল উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি অথবা প্যাকিং দ্রব্যাদির সহিত পরিবাহিত হইয়া কোন বালাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের সম্ভবনা রহিয়াছে উহা নির্ধারণের পদ্ধতি সংক্রান্ত;
 
 
(খ) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদি আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রবেশ পথ বা বহির্গমন পথ নির্ধারণ এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত;
 
 
(গ) উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগে অনুসরণীয় বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ;
 
 
(ঘ) পরিদর্শন, তত্ত্বাবধান, শোধন, ধ্বংস ও অপসারণ সংক্রান্ত;
 
 
(ঙ) আমদানি অনুমতিপত্র বা প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তির জন্য আবেদনপত্র দাখিল, উহা নিষ্পত্তি এবং আপীল দায়ের ও উহার নিষ্পত্তির পদ্ধতি সংক্রান্ত ;
 
 
(চ) উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদপত্র সংক্রান্ত;
 
 
(ছ) নিয়ন্ত্রিত এলাকা ঘোষণা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান সংক্রান্ত;
 
 
(জ) প্রশিক্ষণ, ল্যাবরেটরী স্থাপন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত;
 
 
(ঝ) ফিস ও মাসুল আদায়ের পদ্ধতি; এবং
 
 
(ঞ) সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোন বিষয় যাহা এই আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে।
 
 
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৪০। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের হুবহু ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, মূল বাংলা পাঠ এবং ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
 
 
 
রহিতকরণ ও হেফাজত
৪১। The Destructive Insects and Pests Act, 1914 (Act No. II of 1914) অত:পর রহিতকৃত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্‌দ্বারা রহিত করা হইল। উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিতকৃত আইনের অধীন কৃত কাজ কর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs