প্রিন্ট ভিউ

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ১৫ নং আইন )

অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত 1[এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান] করিবার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করিবারউদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত 2[এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান] করিবার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট গঠনকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :
 
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
 
সংজ্ঞা
 
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
(ক) ‘‘ট্রাস্ট’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন গঠিত শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট;
 
(খ) ‘‘ট্রাস্টি বোর্ড’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৮ এর অধীন গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড;
 
(গ) ‘‘তহবিল’’ অর্থ ধারা ১২ এ উল্লিখিত ট্রাস্টের তহবিল;
 
(ঘ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
3[ (ঘঘ) “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়” অর্থ আপাতত বলবৎ কোন আইন দ্বারা বা আইনের অধীন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়, এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বলিয়া ঘোষিত কোন ইনস্টিটিউটও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;]
 
(ঙ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
(চ) ‘‘সদস্য’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য;
 
(ছ) ‘‘সভাপতি’’ অর্থ ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি।
 
ট্রাস্ট স্থাপন
৩। (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপন করিবে।
 
 
(২) ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে, ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
 
 
 
 
ট্রাস্টের কার্যালয়
৪। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং ট্রাস্টি বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
সাধারণ পরিচালনা
৫। ট্রাস্টের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি ট্রাস্টি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ট্রাস্ট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে উক্ত ট্রাস্টি বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক
৬। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হইবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ
৭। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকিবে, যথা :―
 
 
(ক) প্রধানমন্ত্রী;
 
 
(খ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;
 
 
(গ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;
 
 
(ঘ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী; এবং
 
 
(ঙ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী।
 
 
(২) প্রধানমন্ত্রী অথবা তদ্‌কর্তৃক মনোনীত অন্য কোন মন্ত্রী, যিনি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হইবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ প্রয়োজনবোধে, সময় সময়, ট্রাস্টি বোর্ডকে দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করিবে।
 
 
ট্রাস্টি বোর্ড গঠন
৮। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হইবে, যথাঃ―
 
 
(ক) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;
 
 
(খ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার সহ-সভাপতি হইবেন;
 
 
(গ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান;
 
 
(ঘ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব;
 
 
(ঙ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব;
 
 
(চ) অর্থ বিভাগের সচিব;
 
 
(ছ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব;
 
 
(জ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব;
 
 
(ঝ) সদস্য, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ;
 
 
(ঞ) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর;
 
 
(ট) মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর;
 
 
(ঠ) সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস্ অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই);
 
 
(ড) সভাপতি, ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ;
 
 
(ঢ) সরকার কর্তৃক মনোনীত অন্যূন দুইজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ;
 
 
(ণ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সাতজন শিক্ষক যাহাদের মধ্যে একজন সরকারি কলেজের, একজন বেসরকারি কলেজের, একজন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের, একজন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের, একজন সরকারি মাদ্রাসার, একজন বেসরকারি মাদ্রাসার ও একজন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হইবেন;
 
 
(ত) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) (ঢ) ও (ণ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে তিন বৎসর পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার, যে কোন মনোনীত সদস্যকে কোনরূপ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেঃ
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উক্তরূপ কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
 
 
ট্রাস্টের দায়িত্ব ও কার্যাবলি
৯। ট্রাস্টের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
(ক) ৬ষ্ঠ হইতে স্নাতক ও সমমান শ্রেণী পর্যন্ত দরিদ্র, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি ও উপবৃত্তি প্রদান;
 
4[ (কক) স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এম.ফিল. বা পিএইচ.ডি. কোর্সে নিবন্ধিত বা গবেষণায় নিয়োজিত গবেষককে ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান;]
 
(খ) ট্রাস্টের তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিয়োগ;
 
(গ) প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের মানদণ্ড নির্ধারণ;
 
(ঘ) 5[ ফেলোশিপ, বৃত্তি বা উপবৃত্তির] হার ও পরিমাণ নির্ধারণ;
 
(ঙ) ট্রাস্টের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও হেফাজতকরণ;
 
(চ) ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্ত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
 
(ছ) ট্রাস্টের অধীন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালন;
 
(জ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ট্রাস্ট ফান্ড সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্তকরণ;
 
(ঝ) শিক্ষা কার্যক্রমে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং সমাজের বিত্তশালীদের সম্পৃক্তকরণ;
 
(ঞ) শিক্ষার্থী ঝরিয়া পড়া রোধসহ সকল পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণ 6[ ;
 
(ট) এই আইন এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নীতিমালা প্রণয়ন।]
কমিটি
১০। (১) ট্রাস্টের কার্যাবলিভুক্ত যে কোন কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তার জন্য ট্রাস্টি বোর্ড এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
 
 
(২) ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হইবে।
 
 
বোর্ডের সভা
১১। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, ট্রাস্টি বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) বোর্ডের সভা, উহার সভাপতির সম্মতিক্রমে উহার সদস্য সচিব কর্তৃক আহুত হইবে এবং সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি চার মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) সভাপতি বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি এবং তাহাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোন সদস্য বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৪) বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
 
 
(৫) বোর্ডের সভায় উহার প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের ভিত্তিতে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং কোন বিষয়ে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
ট্রাস্টের তহবিল
১২। (১) ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহা নিম্নরূপ দুইটি অংশে বিভক্ত থাকিবে, যথা:-
 
 
(ক) স্থায়ী তহবিল; এবং
 
 
(খ) চলতি তহবিল।
 
 
(২) এই আইনের অধীন ট্রাস্ট গঠিত হইবার পর সরকার, যতশীঘ্র সম্ভব, ট্রাস্টের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকল্পে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসাবে প্রদান করিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) (ক) এর অধীন গঠিত স্থায়ী তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এককালীন; এবং
 
 
(খ) উক্তরূপে জমাকৃত অর্থ হইতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ।
 
 
(৪) স্থায়ী তহবিলের অর্থ কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং ট্রাস্টের কোন কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে উক্ত তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাইবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ডের পূর্বানুমোদনক্রমে দরিদ্র, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে উক্ত তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাইবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) (খ) এর অধীন গঠিত চলতি তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ;
 
 
(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত দান ও অনুদান;
 
 
(গ) বিভিন্ন অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংক, বীমা ইত্যাদি) আর্থিক সহায়তা;
 
 
(ঘ) লটারি (সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে);
 
 
(ঙ) সমাজের বিত্তবান, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান;
 
 
(চ) প্রবাসীদের আর্থিক সহায়তা;
 
 
(ছ) সরকার অনুমোদিত বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অনুদান (গ্রান্টস);
 
 
(জ) সরকার অনুমোদিত দেশী এবং বিদেশী উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ; এবং
 
 
(ঝ) সরকার অনুমোদিত অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত চলতি তহবিলের অর্থ যে কোন তফসিলি ব্যাংকে একটি হিসাবে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্তরূপ অর্থ হইতে ট্রাস্টের যে কোন কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।
 
 
(৭) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত তহবিলের ব্যাংক-হিসাব ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।
 
 
(৮) তহবিলের অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।
 
 
ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারী
১৩। ট্রাস্ট উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
১৪। (১) ট্রাস্টের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকিবেন।
 
 
(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
 
 
(৩) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্রাস্টের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
(ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
(খ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব ও কার্য সম্পাদন করিবেন;
 
 
(গ) ট্রাস্টের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন।
 
 
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কতৃর্ক মনোনীত কোন ব্যক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।
 
 
বাজেট
১৫। বোর্ড প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ট্রাস্টের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ উল্লেখ থাকিবে।
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৬। (১) ট্রাস্ট উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্ত্তত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ট্রাস্টের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ট্রাস্টের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করিতে পারিবেন।
 
 
প্রতিবেদন
১৭। (১) প্রতি অর্থ বৎসরে ট্রাস্ট কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন ট্রাস্ট পরবর্তী বৎসরের ৩০শে জুনের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) সরকার প্রয়োজনমত ট্রাস্টের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং ট্রাস্ট সরকারের নিকট উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
ক্ষমতা অর্পণ
১৮। বোর্ড এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীন উহার যে কোন ক্ষমতা, প্রয়োজনবোধে এবং নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, সভাপতি বা অন্য কোন সদস্য বা অন্য কোন কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২০। বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

  • 1
    “এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান” শব্দগুলি “নিশ্চিত” শব্দটির পর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৪০ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    “এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান” শব্দগুলি “নিশ্চিত” শব্দটির পর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৪০ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 3
    দফা (ঘঘ) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৪০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 4
    দফা (কক) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৪০ নং আইন) এর ৫(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 5
    “ফেলোশিপ, বৃত্তি বা উপবৃত্তির” শব্দগুলি ও কমা “উপবৃত্তির” শব্দটির পর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৪০ নং আইন) এর ৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    সেমিকোলন “;” দাড়ির “।” প্রতিস্থাপিত এবং দফা (ট) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৪০ নং আইন) এর ৫(গ) ধারাবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs