প্রিন্ট ভিউ
১০। কোন বন্য প্রাণীর দেহের অংশ, মাংস, ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি সংগ্রহ এবং তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ সংগ্রহ করা, দখলে রাখা, অথবা উহা হইতে উৎপাদিত দ্রব্য কোন বন অথবা দেশের যে কোন স্থান হইতে পরিবহনের জন্য নিম্নবর্ণিত কারণে প্রধান ওয়ার্ডেন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে পারমিট প্রদান করিতে পারিবেন, যথাঃ-
(ক) শিক্ষা;
(খ) বৈজ্ঞানিক পবেষণা;
(গ) বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা;
(ঘ) কোন উদ্ভিদ উদ্যান, সাফারী পার্ক, স্বীকৃত চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, হার্বেরিয়াম অথবা একইরূপ অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন;
(ঙ) জীবন রক্ষাকারী ঔষধ তৈরির জন্য উদ্ভিদ বা সাপের বিষ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ; এবং
(চ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বংশ বিস্তারের জন্য।
ব্যাখ্যা।-এই ধারায় ‘‘বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা’’ অর্থ-
(১) কোন বন্যপ্রাণীকে অন্য কোন সুবিধাজনক আবাসস্থলে স্থানান্তর করা;
(২) কোন বন্যপ্রাণী অথবা নির্দিষ্ট প্রজাতির উদ্ভিদের ব্যবস্থাপনার জন্য হত্যা না করিয়া বা বিষ প্রয়োগ না করিয়া অথবা ধ্বংস না করিয়া প্রজনন নিয়ন্ত্রন করা; এবং
(৩) বিজ্ঞানসম্মতভাবে কালিং (culling) করাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কালিংকৃত প্রাণী মাটি চাপা দিয়া ধ্বংস করিতে হইবে।
১৬। (১) প্রতিটি অভয়ারণ্যের জন্য সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে।
(২) প্রধান ওয়ার্ডেন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন এবং এতদ্উদ্দেশ্যে সীমিত আকারে অভয়ারণ্যের ভিতর-
(ক) কোন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য কোন পর্যটন দোকান, কটেজ বা হোটেল নির্মাণ ব্যতীত রাস্তা, সেতু, ভবন, বেষ্টনী বা প্রতিবন্ধক প্রবেশ তোরণ নির্মাণ ও সীমানা চিহ্নিতকরণ অথবা এই ধরণের অন্যান্য কাজ যাহা অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আবশ্যক তাহা করিতে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন;
(খ) বন্যপ্রাণী বা উহার আবাসস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
(গ) বন্যপ্রাণী রক্ষার স্বার্থে আবাসস্থল উন্নয়ন, প্রজনন ক্ষেত্র রক্ষা, প্রজননের সময় উপদ্রব মুক্তরাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সীমিত আকারে বন্যপ্রাণী খাদ্য উপযোগী বাগান সৃজন করিতে পারিবেন;
(ঘ) সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে, মাছ ধরা কার্যক্রম বা জলযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে কচ্ছপ, কুমির, ডলফিন, তিমি, শুশুক ইত্যাদি মিঠা ও নোনা পানির জলজ প্রাণী রক্ষা করিবার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবেন; অথবা
(ঙ) অভয়ারণ্য এলাকার সীমানা হইতে ২ (দুই) কিলোমিটারের মধ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কর্মকান্ড চিহ্নিত করিয়া উহা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।
২০। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্থানীয় জনসাধারণের মতামত গ্রহণপূর্বক ঘোষিত যে কোন এলাকা, রক্ষিত বা সংরক্ষিত বন এলাকার সীমানার বাহিরে কিন্তু উহার সংলগ্ন যে কোন সরকারি বা বেসরকারি এলাকাকে বন্যপ্রাণী চলাচলের উপযোগী বা বিশেষ উন্নয়ন সাধনের প্রয়োজনে বা উক্ত এলাকার যে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো বা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ল্যান্ডস্কেপ জোন বা করিডোর হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, রক্ষিত এলাকা বা কোর জোন এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বনজদ্রব্য আহরণের উপর চাপ হ্রাস ও রক্ষিত বন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য কোর জোন ব্যতীত রক্ষিত বনের অভ্যন্তরে বা প্রান্ত সীমানায় অবস্থিত অবক্ষয়িত বন এলাকাকে বাফার জোন হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণের জন্য জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ বা বনজদ্রব্য আহরণ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রক্ষিত এলাকার কেন্দ্রস্থলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বন বা দীর্ঘ মেয়াদী বনকে, কোর জোন হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
২১। (১) সরকার অভয়ারণ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বন অধিদপ্তর, বনাঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সকল পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবার জন্য সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করিতে এবং উক্ত কমিটির কার্যপরিধিও নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে।
৪৪। (১) ধারা ৪৩ এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অথবা ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতিরেকে কোন আদালত এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
(২) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ক্ষেত্রমত, Code of Criminal Procedure, 1898 এর section 12 এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বা স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ বিচার্য হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এবং Code of Criminal Procedure, 1898 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৩৬ এ উল্লিখিত অপরাধের বিচার Courts of Sessions কর্তৃক বিচার্য হইবে।
(৪) Code of Criminal Procedure, 1898 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে অনুমোদিত যে কোন অর্থদন্ড আরোপ করিতে পারিবে।