প্রিন্ট ভিউ
মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক এবং টার্নওভার কর আরোপের ক্ষেত্র বিস্তৃতকরণ এবং কর আদায় প্রক্রিয়া সহজীকরণ সংক্রান্ত বিধি-বিধান সুসংহতকরণ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে আনীত আইন।
যেহেতু মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক এবং টার্নওভার কর আরোপের ক্ষেত্র বিস্তৃতকরণ এবং কর আদায় প্রক্রিয়া সহজীকরণ সংক্রান্ত বিধি-বিধান সুসংহতকরণ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:―
১। (১) এই আইন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ নামে অভিহিত হইবে।
(২) এই আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়, দ্বাদশ অধ্যায় ও পঞ্চদশ অধ্যায় এবং ধারা ১২৮, ১৩২, ১৩৪ ও ১৩৫ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অধ্যায় ও ধারাসমূহ ব্যতীত এই আইনের অন্যান্য অধ্যায় ও ধারাসমূহ সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে কার্যকর হইবে।
* এস, আর, ও নং ১৬৮-আইন/২০১৯/২৫-মূসক, তারিখঃ ১৩ জুন, ২০১৯ ইং দ্বারা ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১ জুলাই, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে উক্ত উল্লিখিত অধ্যায় ও ধারাসমূহ কার্যকর ।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,―
(১) ‘‘অনাবাসিক ব্যক্তি’’ অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি আবাসিক নহেন;
(২) ‘‘অপরাধ’’ অর্থ ধারা ১১১, ১১২, ১১৩,১১৬ ও ১১৭ এ উল্লিখিত কোন অপরাধ;
(৩) ‘‘অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ’’ অর্থ ধারা ২৬ এ উল্লিখিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ;
(৪) ‘‘অব্যাহতিপ্রাপ্ত আমদানি’’ অর্থ ধারা ২৬ এ উল্লিখিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত আমদানি;
(৫) ‘‘অর্থ’’ অর্থ বাংলাদেশ বা যেকোন দেশে প্রচলিত কোন মুদ্রা (legal tender) , এবং নিম্নবর্ণিত দলিলাদিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) বিনিমেয় দলিল (negotiable instrument)
(খ) বিল অব এক্সচেঞ্জ, প্রমিসরি নোট, ব্যাংক ড্রাফট, পোস্টাল অর্ডার, মানি অর্ডার বা সমতুল্য দলিল;
(গ) ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড; বা
(ঘ) এ্যাকাউন্ট ডেবিট বা ক্রেডিটের মাধ্যমে প্রদত্ত সরবরাহ;
(৬) ‘‘অর্থনৈতিক কার্যক্রম’’ অর্থ পণ্য, সেবা বা স্থাবর সম্পত্তি সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিয়মিত বা ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত কোন কার্যক্রম; এবং
(ক) নিম্নবর্ণিত কার্যক্রমও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(অ) কোন ব্যবসা পেশা, বৃত্তি, জীবিকা উপার্জনের উপায়, পণ্য প্রস্তুত বা কোন ধরনের উদ্যোগ (undertaking) মুনাফার লক্ষ্যে কার্যক্রমটি পরিচালিত হউক বা না হউক;
(আ) লিজ, লাইসেন্স বা অনুরূপ উপায়ে কোন পণ্য, সেবা বা সম্পত্তি সরবরাহ;
(ই) কেবল একবারের জন্য পরিচালিত কোন বাণিজ্যিক কার্যক্রম বা উদ্যোগ; বা
(ঈ) উক্ত কার্যক্রমের প্রারম্ভে বা শেষে সম্পাদিত কোন কার্য; তবে―
(খ) নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:―
(অ) কর্মচারী কর্তৃক তাহার নিয়োগকর্তাকে প্রদত্ত সেবা;
(আ) কোম্পানীর কোন পরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত কোন সেবা:
তবে, যেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি তাহার ব্যবসা পরিচালনার নিমিত্ত উক্ত পরিচালকের পদ গ্রহণ করেন, সেইক্ষেত্রে তৎকর্তৃক প্রদত্ত সেবা অর্থনৈতিক কার্যক্রম হইবে;
(ই) বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত নয় এমন কোন বিনোদনমূলক কাজ বা শখ;
(ঈ) বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত, সরকার কর্তৃক পরিচালিত নির্ধারিত কোন কার্যক্রম;
(৭) ‘‘অংশীদারি কারবার’’ অর্থ অংশীদারি কারবার আইন, ১৯৩২ (১৯৩২ সনের ৯ নং আইন) এর ধারা ৪ এ সংজ্ঞায়িত অংশীদারি কারবার;
(৮) ‘‘আগাম কর’’ অর্থ ধারা ৩১(২) এর অধীন করয্যেগ্য আমদানির উপর আগাম প্রদেয় কর;
(৯) ‘‘আদেশ’’ অর্থ বোর্ড বা অনুমোদিত মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন সাধারণ বা বিশেষ আদেশ;
1[(১০) “আনুক্রমিক (progressive) বা পর্যাবৃত্ত (periodic) সরবরাহ” অর্থ কোন চুক্তি বা লিজ বা হায়ার অব লাইসেন্স (ফাইন্যান্স লিজসহ) এর অধীন আনুক্রমিক বা পর্যাবৃত্তভাবে অর্থ পরিশোধের শর্তে প্রদত্ত কোন সরবরাহ;]
(১১) ‘‘আনুষঙ্গিক পরিবহন সেবা’’ অর্থ জাহাজে পণ্য বোঝাইকরণ বা খালাসকরণ সংক্রান্ত সেবা, পণ্য বাঁধা সংক্রান্ত সেবা, পণ্য পরিদর্শন সংক্রান্ত সেবা, শুল্ক দলিলাদি প্রস্তুতকরণ ও প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত সেবা, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সংক্রান্ত সেবা, পণ্য গুদামজাতকরণ বা সংরক্ষণ সংক্রান্ত সেবা ও অনুরূপ অন্য কোন সেবা;
(১২) ‘‘আন্তর্জাতিক পরিবহন’’ অর্থ আনুষঙ্গিক পরিবহন সেবা ব্যতিরেকে, সড়ক, নৌ বা আকাশপথে যাত্রী ও পণ্যাদির নিম্নবর্ণিত পরিবহন, যথা:―
(ক) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন স্থান হইতে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন স্থানে পরিবহন;
(খ) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন স্থান হইতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন স্থানে পরিবহন; বা
(গ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোন স্থান হইতে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন স্থানে পরিবহন;
(১৩) ‘‘আন্তর্জাতিক সহায়তা ও ঋণ চুক্তি’’ অর্থ বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, কারিগরি বা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সরকার এবং বিদেশী সরকার বা আন্তঃদেশীয় আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত আবদ্ধ কোন চুক্তি;
2[(১৪) “আপীলাত ট্রাইব্যুনাল” অর্থ Customs Act, 1969 এর section 196 এর অধীন গঠিত “শুল্ক, আবগারি ও মূল্য সংযোজন কর আপীলাত ট্রাইব্যুনাল; ]
(১৫) ‘‘আবাসিক ব্যক্তি’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি, যিনি―
(ক) স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে বসবাস করেন; বা
(খ) চলতি বর্ষপঞ্জির ১৮২ (একশত বিরাশি) দিবসের অধিককাল বাংলাদেশে অবস্থান করেন; বা
(গ) কোন বর্ষপঞ্জির ৯০ (নববই) দিবসের অধিককাল বাংলাদেশে অবস্থান করেন এবং উক্ত বর্ষপঞ্জির অব্যবহিত পূর্ববর্তী চার বৎসরের মধ্যে ৩৬৫ (তিনশত পয়ষট্টি) দিবসের অধিককাল বাংলাদেশে অবস্থান করিয়া থাকেন; এবং নিম্নবর্ণিত সত্তাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) কোম্পানী, যদি উহা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের অধীন নিগমিত হয় বা উহার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশে অবস্থিত হয়;
(খ) ট্রাস্ট, যদি ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি বাংলাদেশে আবাসিক হন বা ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশে অবস্থিত হয়;
(গ) ট্রাস্ট ব্যতীত কোন ব্যক্তি সংঘ, যদি উহা বাংলাদেশে গঠিত হয় বা উহার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশে অবস্থিত হয়;
(ঘ) সকল সরকারি সত্তা; বা
(ঙ) সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ;
(১৬) ‘‘আমদানি’’ অর্থ বাংলাদেশের বাহির হইতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার অভ্যন্তরে কোন পণ্য আনয়ন;
3[(১৭) “আমদানিকৃত সেবা” অর্থ বাংলাদেশের বাহির হইতে সরবরাহকৃত সেবা;]
(১৮) ‘‘ইলেকট্রনিক সেবা’’ অর্থ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, স্থানীয় কিংবা বৈশ্বিক তথ্য নেটওয়ার্ক বা অনুরূপ মাধ্যমে প্রদানকৃত নিম্নবর্ণিত সেবা―
(ক) ওয়েব সাইট, ওয়েব-হোস্টিং বা অনুষ্ঠান ও যন্ত্রপাতির দূরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ;
(খ) সফটওয়্যার এবং দূরবর্তী সেবা প্রদানের মাধ্যমে উহার হালনাগাদকরণ;
(গ) প্রদত্ত ইমেজ (image) , টেক্সট এবং তথ্য;
(ঘ) ডাটাবেইজ বা তথ্যভান্ডারে প্রবেশাধিকার (access to database);
(ঙ) স্ব-শিক্ষণ প্যাকেজ;
(চ) সঙ্গীত, চলচ্চিত্র এবং ক্রীড়া; এবং
(ছ) রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিল্পকলা, খেলাধুলা, বিজ্ঞান বিষয়ক এবং টেলিভিশন সম্প্রচারসহ যেকোন বিনোদনমূলক সম্প্রচার এবং অনুষ্ঠান।
4[(১৮ক) “উপকরণ” অর্থ সকল প্রকার কাঁচামাল, ল্যাবরেটরী রি-এজেন্ট, ল্যাবরেটরী ইকুইপমেন্ট, ল্যাবরেটরী এক্সেসরিজ, জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত যে কোন পদার্থ, মোড়ক সামগ্রী, সেবা, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ; তবে নিম্নবর্ণিত পণ্য বা সেবাসমূহ উপকরণ হিসাবে বিবেচিত হইবে না, যথাঃ-
(ক) শ্রম, ভূমি, ইমারত, অফিস ইকুইপমেন্ট ও ফিক্সচার, দালানকোঠা বা অবকাঠামো বা স্থাপণা নির্মাণ, সুষমীকরণ, আধুনিকীকরণ, প্রতিস্থাপন, সম্প্রসারণ, সংস্কারকরণ ও মেরামতকরণ;
(খ) সকল প্রকার আসবাবপত্র, অফিস সাপ্লাই, স্টেশনারী দ্রব্যাদি, রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার, এয়ারকন্ডিশনার, ফ্যান, আলোক সরঞ্জাম, জেনারেটর ক্রয় বা মেরামতকরণ;
(গ) ইন্টেরিয়র ডিজাইন, স্থাপত্য পরিকল্পনা ও নকশা;
5[(ঘ) যানবাহন ক্রয়, ভাড়া ও লিজ গ্রহণ;]
(ঙ) ভ্রমণ, আপ্যায়ন, কর্মচারীর কল্যাণ, উন্নয়নমূলক কাজ ও উহার সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবা; এবং
(চ) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গন, অফিস, শো-রুম বা অনুরূপ ক্ষেত্র, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ভাড়া (Rent) গ্রহণ:
6[তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের তৃতীয় তফসিলের অনুচ্ছেদ (৩) এ উল্লিখিত ব্যবসায়ী কর্তৃক ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিক্রয়, বিনিময় বা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত, ক্রয়কৃত, অর্জিত বা অন্যকোনভাবে সংগৃহীত পণ্য বা সেবা উপকরণ হিসাবে গণ্য হইবে;]
7[(১৯) “উপকরণ কর” (Input Tax) অর্থ কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক উপকরণ হিসাবে আমদানিকৃত পণ্য বা সেবার বিপরীতে আমদানি পর্যায়ে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর (আগাম কর ব্যতীত) এবং স্থানীয় উৎস হইতে উপকরণ হিসাবে ক্রয়কৃত বা সংগৃহীত পণ্য বা সেবার বিপরীতে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর;]
(২০) ‘‘উৎপাদ কর’’ (output tax) অর্থ কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রদেয় 8[মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক], যথা:―
(ক) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক করযোগ্য পণ্য, সেবা বা স্থাবর সম্পত্তি সরবরাহ; বা
(খ) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক করযোগ্য সেবা আমদানি;
9[২১) “উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা” অর্থ―
(ক) কোন সরকারি সত্তা;
(খ) এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বা সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান;
(গ) কোন ব্যাংক, বীমা কোম্পানী বা অনুরূপ আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(ঘ) কোন মাধ্যমিক বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; 10[***]
(ঙ) কোন লিমিটেড কোম্পানী 11[; বা]
12[(চ) দশ কোটি টাকার অধিক বার্ষিক টার্নওভারযুক্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।]
(২২) ‘‘উৎসে কর কর্তন সনদপত্র’’ অর্থ উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত কোন সনদপত্র;
13[(২৩) “কমিশনার” অর্থ ধারা ৭৮ এর অধীন নিয়োগকৃত কমিশনার;]
(২৪) ‘‘কর’’ অর্থ মূসক, টার্নওভার কর ও সম্পূরক শুল্ক, এবং বকেয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে সুদ, জরিমানা ও অর্থদন্ডও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২৫) ‘‘কর চালানপত্র’’ (tax invoice) অর্থ ধারা ৫১ এর অধীন সরবরাহকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন দলিল;
(২৬) ‘‘করদাতা’’ অর্থ এই আইনের অধীন কর পরিশোধকারী এবং উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা;
(২৭) ‘‘কর নিরূপণ’’ অর্থ পঞ্চম অধ্যায় এর অধীন করদাতা কর্তৃক কর নিরূপণ (assessment);
14[(২৮) “কর নির্ধারণ” অর্থ একাদশ অধ্যায় এর অধীন যথোপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক কর নির্ধারণ (determination);]
15[(২৯) "কর ভগ্নাংশ" অর্থ নিম্নবর্ণিত ভগ্নাংশ,
যথা:- {R/(১০০+ R)}
যেইক্ষেত্রে, R অর্থ ধারা ১৫ (৩) এ উল্লিখিত মূসক হার;]
(৩০) ‘‘কর মেয়াদ’’ অর্থ―
(ক) মূল্য সংযোজন কর এবং সম্পূরক শুল্কের ক্ষেত্রে, খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জিতে চিহ্নিত এক মাস; বা
(খ) টার্নওভার করের ক্ষেত্রে, ত্রৈমাসিক সময়কাল, যাহা মার্চ ৩১, জুন ৩০, সেপ্টেম্বর ৩০ বা ডিসেম্বর ৩১ এ সমাপ্তি ঘটে;
(৩১) ‘‘করযোগ্য আমদানি’’ অর্থ অব্যাহতিপ্রাপ্ত আমদানি ব্যতীত যেকোন আমদানি;
16[(৩২) “করযোগ্য সরবরাহ” অর্থ কোন অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ ব্যতীত যে কোন সরবরাহ;]
(৩৩) ‘‘করহার’’ অর্থ প্রাসঙ্গিকতা ভেদে―
(ক) ধারা ১৫(৩) এ উল্লিখিত মূসক হার;
(খ) ধারা ৫৫(৪) এ উল্লিখিত সম্পূরক শুল্কহার; বা
(গ) ধারা ৬৩(১) এ উল্লিখিত টার্নওভার করহার;
(৩৪) ‘‘কর সুবিধা’’ অর্থ নিম্নবর্ণিত কোন সুবিধা, যথা:―
(ক) উৎপাদ কর হ্রাসকরণ;
(খ) পণ্য আমদানির উপর মূসক হ্রাসকরণ;
(গ) জের টানা অতিরিক্ত অর্থের বৃদ্ধি বা করদাতার করদায়ের পরিমাণ হ্রাসকরণ;
(ঘ) হ্রাসকারী সমন্বয়ের প্রাপ্যতা বৃদ্ধিকরণ;
(ঙ) বৃদ্ধিকারী সমন্বয় হ্রাসকরণ;
(চ) কর ফেরত প্রদান;
(ছ) উৎপাদ কর স্থগিতকরণ বা উপকরণ কর রেয়াতের দাবী উত্থাপন ত্বরান্বিতকরণ;
(জ) উৎপাদ কর বা বৃদ্ধিকারী সমন্বয় হিসাব বিলম্বিতকরণ বা উপকরণ কর রেয়াত বা হ্রাসকারী সমন্বয় দাবি উত্থাপন ত্বরান্বিতকরণ;
(ঝ) মূলত ও কার্যত একটি করযোগ্য সরবরাহ বা করযোগ্য আমদানিকে অকরযোগ্য সরবরাহ বা আমদানিতে পরিণতকরণ;
(ঞ) মূলত ও কার্যত কোন আমদানি বা অর্জনের ক্ষেত্রে উপকরণ কর রেয়াত প্রাপ্তির অধিকার না থাকা সত্ত্বেও রেয়াত প্রাপ্তির অধিকার সৃষ্টিকরণ; বা
(ট) করদাতার টার্নওভার কম প্রদর্শন;
17[(৩৫) “কার্যধারা (Proceedings)” অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের অধীন গৃহীত কোন কার্যধারা বা কার্যক্রম, কিন্তু ষোড়শ অধ্যায়ে উল্লিখিত অপরাধ সংক্রান্ত মামলার কার্যক্রম উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;]
18[(৩৬) “কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ চুক্তি” অর্থ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কোন চুক্তি যাহার অধীন কোন সরবরাহের পণ একাধিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়;]
19[(৩৭) “কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান” অর্থ ধারা ৫ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান;]
20[(৩৮) “কোম্পানি” অর্থ বাংলাদেশ বা অন্য কোন দেশের বিদ্যমান কোন আইনের অধীন কোম্পানি হিসাবে নিগমিত কোন প্রতিষ্ঠান;]
(৩৯) ‘‘ক্রেডিট নোট’’ অর্থ হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে করদাতা কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন দলিল;
21[(৪০) “চালানপত্র” অর্থ পণ পরিশোধের দায় সংক্রান্ত কোন দলিল;]
(৪১) ‘‘জরিমানা’’ অর্থ ধারা ৮৫ এর অধীন 22[মূসক কর্মকর্তা] কর্তৃক আরোপিত জরিমানা, কিন্তু অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত অর্থদণ্ড উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৪২) ‘‘টার্নওভার’’ অর্থ কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন নির্ধারিত সময়ে বা কর মেয়াদে তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রম দ্বারা প্রস্তুতকৃত, আমদানিকৃত বা ক্রয়কৃত করযোগ্য পণ্যের সরবরাহ বা করযোগ্য সেবা প্রদান হইতে প্রাপ্ত বা প্রাপ্য সমুদয় অর্থ;
(৪৩) ‘‘টার্নওভার কর’’ অর্থ ধারা ৬৩ এর অধীন আরোপিত কর;
(৪৪) ‘‘ডেবিট নোট’’ অর্থ বৃদ্ধিকারী সমন্বয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে করদাতা কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন দলিল;
(৪৫) ‘‘তফসিল’’ অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(৪৬) ‘‘তালিকাভুক্ত’’ অর্থ ধারা ১০(২) এর অধীন টার্নওভার কর তালিকাভুক্ত;
(৪৭) ‘‘তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তি’’ অর্থ ধারা ১০(১) এর অধীন টার্নওভার কর তালিকাভুক্তিযোগ্য কোন ব্যক্তি;
(৪৮) ‘‘তালিকাভুক্তিসীমা’’ অর্থ কোন ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের টার্নওভার প্রতি ১২ (বার) মাস সময়ে 23[৫০ (পঞ্চাশ)] লক্ষ টাকার সীমা, কিন্তু নিম্নবর্ণিত মূল্য উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:―
(ক) অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহের মূল্য;
(খ) মূলধনী সম্পদের বিক্রয় মূল্য;
(গ) অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রতিষ্ঠান বা উহার কোন অংশ বিশেষের বিক্রয় মূল্য; বা
(ঘ) অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করিবার ফলশ্রুতিতে কৃত সরবরাহের মূল্য;
(৪৯) ‘‘দলিল’’ অর্থে নিম্নবর্ণিত বস্তু অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) কোন কাগজ বা অনুরূপ কোন বস্তু যাহার উপর অক্ষর, সংখ্যা, প্রতীক বা চিহ্নের মাধ্যমে কোন লেখনী প্রকাশ করা হয়; বা
(খ) কোন ইলেক্ট্রনিক উপাত্ত, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার ফিতা, কম্পিউটার ডিস্ক বা অনুরূপ কোন ডিভাইস (device) যাহা উপাত্ত ধারণ করিতে পারে;
(৫০) ‘‘দাখিলপত্র’’ অর্থ কর নিরূপণ ও কর নির্ধারণের উদ্দেশ্যে কোন করমেয়াদে করদাতা কর্তৃক পেশকৃত কোন দাখিলপত্র;
(৫১) ‘‘দেওয়ানী কার্যবিধি’’ অর্থ দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৫ নং আইন);
(৫২) ‘‘নির্দিষ্ট স্থান’’ অর্থ বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিম্নবর্ণিত কোন স্থান, যথা:―
(ক) ব্যবস্থাপনার স্থান;
(খ) শাখা, দপ্তর, কারখানা বা ওয়ার্কশপ;
(গ) খনি, গ্যাসকূপ, পাথর বা অনুরূপ কোন খনিজ সম্পদ আহরণ ক্ষেত্র (quarry); বা
(ঘ) নির্মাণ বা স্থাপনা প্রকল্পের অবস্থান;
(৫৩) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বোর্ড কর্তৃক প্রণীত কোন বিধি বা আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;
(৫৪) ‘‘নিবন্ধন’’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন মূসক নিবন্ধন;
(৫৫) ‘‘নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি’’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন মূসক নিবন্ধনযোগ্য কোন ব্যক্তি;
(৫৬) ‘‘নিবন্ধিত ব্যক্তি’’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন মূসক নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি;
(৫৭) ‘‘নিবন্ধনসীমা’’ অর্থ কোন ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের টার্নওভার প্রতি ১২ (বার) মাস সময়ে 24[৩ (তিন) কোটি] টাকার সীমা, কিন্তু নিম্নবর্ণিত মূল্য উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:―
(ক) অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহের মূল্য;
(খ) মূলধনী সম্পদের বিক্রয় মূল্য;
(গ) অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রতিষ্ঠান বা উহার কোন অংশের বিক্রয় মূল্য; বা
(ঘ) অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করিবার ফলশ্রুতিতে কৃত সরবরাহের মূল্য 25[:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) এর অধীন কোন ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিবার ক্ষেত্রে এই নিবন্ধনসীমা প্রযোজ্য হইবে না;]
(৫৮) ‘‘ন্যায্য বাজার মূল্য’’ অর্থ―
(ক) পরস্পর সহযোগী নয় এরূপ ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত কোন সরবরাহের পণ;
(খ) যদি দফা (ক) এ উল্লিখিত ন্যায্য বাজার মূল্য পাওয়া না যায়, তাহা হইলে ইতোপূর্বে একই পরিস্থিতিতে সমজাতীয় কোন সরবরাহের পণ;
(গ) যদি উক্তরূপে ন্যায্য বাজার মূল্য নির্ধারণ করা না যায়, তাহা হইলে পরস্পর সহযোগী নয় এমন ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সাধারণ ব্যবসায় সম্পর্কের ভিত্তিতে নিরূপিত পণের নৈর্ব্যক্তিক গড়ের ভিত্তিতে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য;
(৫৯) ‘‘পণ’’ অর্থ কোন সরবরাহের 26[বিপরীতে] প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদত্ত বা প্রদেয় অর্থ বা নগদ অর্থের পরিবর্তে প্রদত্ত বা প্রদেয় দ্রব্যের ন্যায্য বাজার মূল্য,―
এবং নিম্নবর্ণিত বিষয়ের অর্থও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন আরোপিত কর, যাহা―
(অ) সরবরাহের উপর বা সরবরাহের কারণে সরবরাহকারী কর্তৃক প্রদেয় হয়; বা
(আ) গ্রহীতার নিকট হইতে প্রাপ্ত মূল্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বা উহার সহিত সংযোজিত হয়;
(খ) সার্ভিস চার্জ হিসাবে উল্লিখিত কোন অর্থ; বা
(গ) হায়ার পারচেজ বা ফাইন্যান্স লিজ চুক্তির অধীন পণ্য সরবরাহের পণের মধ্যে ফাইন্যান্স লিজ বা হায়ার পারচেজের অধীন ঋণ প্রদান সম্পর্কিত প্রদেয় যে কোন অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে;
কিন্তু সরবরাহের সময় যে মূল্যছাড় দেওয়া হয় তাহা উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৬০) ‘‘পণ্য’’ অর্থ শেয়ার, স্টক, সিকিউরিটিজ এবং অর্থ ব্যতীত সকল প্রকার দৃশ্যমান অস্থাবর সম্পত্তি;
27[(৬১) “পণ্য সরবরাহ” অর্থ―
(ক) পণ্যের বিক্রয়, বিনিময় বা অন্যবিধভাবে বিক্রয়ের মাধ্যমে পণ্যের অধিকার হস্তান্তর; বা
(খ) লিজ, ভাড়া, কিস্তি, হায়ার পারচেজ বা অন্য কোনভাবে পণ্য ব্যবহারের অধিকার প্রদান এবং ফাইন্যান্স লিজের আওতায় পণ্য বিক্রয়ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;]]
(৬২) ‘‘প্রচ্ছন্ন রপ্তানি’’ অর্থে নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) বাংলাদেশের বাহিরে ভোগের জন্য অভিপ্রেত কোন 28[পণ্য বা সেবা] নির্ধারিত পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে 29[নির্ধারিত পদ্ধতিতে] সরবরাহ;
(খ) কোন আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে 30[নির্ধারিত পদ্ধতিতে] বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন পণ্য বা সেবার সরবরাহ; বা
(গ) স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন পণ্য বা সেবার সরবরাহ;
(৬৩) ‘‘প্রতিনিধি’’ অর্থ―
(ক) অক্ষম ব্যক্তির ক্ষেত্রে, অভিভাবক বা তৎকর্তৃক নিযুক্ত ব্যবস্থাপক;
31[(খ) কোম্পানীর ক্ষেত্রে, অবসায়নাধীন কোম্পানী ব্যতিরেকে কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা তৎকর্তৃক নিযুক্ত অন্যকোন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি;]
(গ) অংশীদারি কারবারের ক্ষেত্রে, উহার কোন অংশীদার;
(ঘ) ট্রাস্টের ক্ষেত্রে, উক্ত ট্রাস্টের ট্রাস্টি বা নির্বাহক বা প্রশাসক;
(ঙ) ব্যক্তি সংঘের ক্ষেত্রে, উহার চেয়ারম্যান, সম্পাদক বা কোষাধ্যক্ষ;
32[(চ) সরকারি সত্তার ক্ষেত্রে, উহার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা তৎকর্তৃক নিযুক্ত অন্যকোন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি;]
(ছ) বৈদেশিক সরকারের ক্ষেত্রে, উক্ত বৈদেশিক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা;
(জ) অনাবাসিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে, তৎকর্তৃক নিযুক্ত মূসক এজেন্ট; 33[***]
34[(জজ) কোন ব্যক্তি কর্তৃক নিযুক্ত মূসক পরামর্শক; বা;]
(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন প্রতিনিধি;
35[(৬৪) “প্রদেয় নীট কর” অর্থ কোন কর মেয়াদে ধারা ৪৫ এর অধীন নিরূপিত কর;]
(৬৫) ‘‘প্রস্তুতকরণ (manufacturing) ’’ অর্থ―
(ক) কোন পদার্থ এককভাবে বা অন্য কোন পদার্থ বা সরঞ্জাম বা উৎপাদনের অংশবিশেষের সহিত সংযোগ বা সম্মেলনের দ্বারা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে অন্য কোন সুনির্দিষ্ট পদার্থ বা পণ্যে রূপান্তরকরণ বা উহাকে এইরূপে পরিবর্তিত, রূপান্তরিত বা পুনরাকৃতি প্রদানকরণ যাহাতে উক্ত পদার্থ ভিন্নভাবে বা সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহারের উপযোগী হয়;
(খ) পণ্যের প্রস্তুতি সম্পন্ন করিবার জন্য কোন আনুষঙ্গিক বা সহায়ক প্রক্রিয়া;
(গ) মুদ্রণ, প্রকাশনা, শিলালিপি বা মিনাকরণ প্রক্রিয়া;
(ঘ) সংযোজন, মিশ্রণ, পরিশুদ্ধকরণ, কর্তন, তরলীকরণ, বোতলজাতকরণ, মোড়কাবদ্ধকরণ বা পুনঃমোড়কাবদ্ধকরণ; বা
(ঙ) মধ্যবর্তী বা অসমাপ্ত প্রক্রিয়াসহ পণ্য উৎপাদন বা তৈরীতে গৃহীত সকল প্রক্রিয়া;
(৬৬) ‘‘ফাইন্যান্স লিজ’’ অর্থ হায়ার পারচেজ ব্যতীত এমন কোন লিজ যাহা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ফাইন্যান্স লিজ হিসাবে গণ্য;
(৬৭) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন);
(৬৮) ‘‘বকেয়া কর’’ অর্থ ধারা ৯৫ এ উল্লিখিত বকেয়া কর;
(৬৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ বোর্ড কর্তৃক প্রণীত কোন বিধি;
(৭০) ‘‘বিল অব এন্ট্রি’’ (Bill of Entry) অর্থ 36[কাস্টমস আইনের] ধারা ২ (সি)-তে সংজ্ঞায়িত Bill of Entry;
(৭১) ‘‘বৃদ্ধিকারী সমন্বয়’’ অর্থ নিম্নবর্ণিত কোন বৃদ্ধিকারী সমন্বয়, যথা:―
(ক) উৎসে কর্তিত করের বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(খ) বাৎসরিক পুনঃহিসাব প্রণয়নের ফলে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(গ) ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পরিশোধ না করিবার ফলে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(ঘ) ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত (private use) পণ্যের ক্ষেত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(ঙ) নিবন্ধিত হওয়ার পর বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(চ) নিবন্ধন বাতিলের কারণে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(ছ) মূসক হার পরিবর্তিত হওয়ার কারণে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
37[(ছছ) পূর্ববর্তী যে কোন কর মেয়াদে কম পরিশোধিত মূসকের বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;]
38[(জ) সুদ, জরিমানা, অর্থদণ্ড, ফি, বকেয়া কর ইত্যাদি পরিশোধ সংক্রান্ত বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; বা]
(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(৭২) ‘‘বৃহৎ করদাতা ইউনিট’’ অর্থ ধারা ৭৮(৩) এর অধীন গঠিত কোন বৃহৎ করদাতা ইউনিট;
(৭৩) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আদেশ, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সনের ৭৬ নং আদেশ) এর
অধীন গঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড;
(৭৪) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ স্বাভাবিক কোন ব্যক্তি, এবং নিম্নবর্ণিত সত্তাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) কোন কোম্পানী;
(খ) কোন ব্যক্তি সংঘ;
(গ) কোন সরকারি সত্তা;
(ঘ) কোন বৈদেশিক সরকার বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন বিভাগ বা নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা;
39[(ঙ) কোন আন্তঃ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন;
(চ) সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ বা অনুরূপ কোন উদ্যোগ; বা
(ছ) অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান;]
(৭৫) ‘‘ব্যক্তি সংঘ’’ অর্থ অংশীদারি কারবার, ট্রাস্ট বা অনুরূপ কোন ব্যক্তি সংঘ, কিন্তু কোন কোম্পানী বা অনিগমিত যৌথ মূলধনী কারবার উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৭৬) ‘‘ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা’’ অর্থ নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত কোন ব্যক্তির অনুকূলে ইস্যুকৃত মূসক নিবন্ধন সনদপত্র বা টার্নওভার কর সনদপত্রে উল্লিখিত কোন অনন্য ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা;
(৭৭) ‘‘ভূমির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সেবা’’ অর্থে―
(ক) ভূমির উপর প্রত্যক্ষভাবে প্রদত্ত সেবা;
(খ) নির্দিষ্ট ভূমির উপর বিশেষজ্ঞ এবং এস্টেট এজেন্ট প্রদত্ত সেবা;
(গ) নির্দিষ্ট ভূমির উপর গৃহীত বা গৃহীতব্য নির্মাণ কাজ সম্পর্কিত সেবা;
(৭৮) ‘‘মূল্য’’ অর্থ―
(ক) ধারা ২৮ এ উল্লিখিত আমদানি মূল্য; বা
(খ) ধারা ৩২ এ উল্লিখিত সরবরাহ মূল্য;
(৭৯) ‘‘মূল্য সংযোজন কর’’ বা ‘‘মূসক’’ অর্থ ধারা ১৫ এর অধীন আরোপিত মূল্য সংযোজন কর;
(৮০) ‘‘মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৭৮ এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ;
(৮১) ‘‘মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা’’ বা ‘‘মূসক কর্মকর্তা’’ অর্থ ধারা ৭৮(১) এ উল্লিখিত কোন কর্মকর্তা;
40[(৮২) “রপ্তানি” অর্থ বাংলাদেশের অভ্যন্তর হইতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার বাহিরে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে কোন সরবরাহ এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;]
41[***]
42[(৮৪) “কাস্টমস আইন” অর্থ Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) বা তদধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রদত্ত কোন আদেশ;]
43[(৮৫) “কাস্টমস কমিশনার” বা “কাস্টমস কর্মকর্তা” অর্থ কাস্টমস আইনের অধীন নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা;]
(৮৬) ‘‘শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ’’ অর্থ ধারা ২১ এ উল্লিখিত শূন্যহার বিশিষ্ট কোন সরবরাহ;
(৮৭) ‘‘সমন্বয় ঘটনা’’ অর্থ নিম্নবর্ণিত কোন ঘটনা, যথা:―
(ক) কোন সরবরাহ বাতিলকরণ;
(খ) কোন সরবরাহের পণ পরিবর্তন;
(গ) সরবরাহকৃত পণ্য সম্পূর্ণ বা উহার অংশবিশেষ সরবরাহকারীর নিকট ফেরত প্রদান;
(ঘ) সরবরাহের প্রকৃতি পরিবর্তনের কারণে কোন সরবরাহ অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহে পরিণত হওয়া; বা
(ঙ) নির্ধারিত অন্য কোন ঘটনা;
(৮৮) ‘‘সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ’’ অর্থ কোন চুক্তি যাহার অধীন কোন ভূমির মালিক তাহার ভূমিতে ভবন নির্মাণের জন্য কোন নির্মাতার সহিত শর্তাধীনে অঙ্গিকারাবদ্ধ হয়;
(৮৯) ‘‘সম্পূরক শুল্ক’’ অর্থ ধারা ৫৫ এর অধীন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক;
(৯০) ‘‘সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য’’ অর্থ দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত কোন পণ্য;
(৯১) ‘‘সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য সেবা’’ অর্থ দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত কোন সেবা;
(৯২) 44[***] উৎসে কর কর্তন সনদপত্র’’ অর্থ ধারা ৫৩ এ উল্লিখিত কোন দলিল;
(৯৩) ‘‘সরকারী সত্তা’’ অর্থ―
(ক) সরকার বা উহার কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বা দপ্তর;
(খ) আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কোন সংস্থা;
(গ) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠান; বা
(ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পরিষদ বা অনুরূপ কোন সংস্থা;
(৯৪) ‘‘সরবরাহ’’ অর্থ যে কোন সরবরাহ এবং নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) পণ্য সরবরাহ;
(খ) স্থাবর সম্পত্তি সরবরাহ;
(গ) সেবা সরবরাহ; বা
(ঘ) দফা (ক), (খ) এবং (গ) তে বর্ণিত সরবরাহের সমাহার;
(৯৫) ‘‘সনদপত্র ’’ অর্থ এই আইনের অধীন 45[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] কর্তৃক সরবরাহকৃত কোন সনদপত্র;
(৯৬) ‘‘সরবরাহের সময়’’ অর্থ―
(ক) পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে, যে সময়ে পণ্যের দখল অর্পণ বা অপসারণ করা হয়;
(খ) সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, যে সময়ে সেবা প্রদান, সৃষ্টি, হস্তন্তর বা স্বত্ব অর্পণ করা হয়; বা
(গ) স্থাবর সম্পত্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে, যে সময়ে সম্পত্তি অর্পণ, সৃষ্টি, হস্তন্তর বা স্বত্ব প্রদান করা হয় সেই সময়;
46[৯৭) “সহযোগী”অর্থ দুইজন ব্যক্তির মধ্যে এমন সম্পর্ক যাহার কারণে একে অপরের বা উভয়ে অপর কোন তৃতীয় ব্যক্তির অভিপ্রায় অনুযায়ী কাজ করেন বা কাজ করিবেন বলিয়া প্রত্যাশা করা হয়, এবং নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন, যথা:-
(ক) অংশীদারি কারবারের কোন অংশীদার;
(খ) কোম্পানীর কোন শেয়ার হোল্ডার;
(গ) কোন ট্রাস্ট এবং উক্ত ট্রাস্টের সুবিধাভোগী;
(ঘ) কোন সম্পত্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ এবং উক্ত উদ্যোগের অংশীদার ভূমি মালিক, নির্মাতা বা অন্য কোন ব্যক্তি; বা
(ঙ) প্রতিনিধি, মূসক এজেন্ট, পরিবেশক, লাইসেন্সী বা অনুরূপ সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিবর্গ: তবে শর্ত থাকে যে, চাকুরির সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিবর্গ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না;]
47[(৯৭ক) “সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা” অর্থ এইরূপ যে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা যিনি এই আইনের অধীন কতিপয় দায়িত্ব পালনের জন্য বোর্ডের নিকট হইতে বোর্ড কর্তৃক জারীকৃত সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন;]
(৯৮) ‘‘সেকেন্ড-হ্যান্ড পণ্য’’ অর্থ এমন কোন পণ্য যাহা পূর্বে ব্যবহৃত হইয়াছে, কিন্তু মূল্যবান ধাতু বা উহার দ্বারা তৈরী কোন পণ্য (যেমন: স্বর্ণ, রৌপ্য, প্লাটিনাম বা অনুরূপ কোন ধাতু), এবং হীরা, পদ্মরাগমণি বা চুন্নি, পান্না, নীলমণি বা নীলকান্তমণি উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৯৯) ‘‘সেবা’’ অর্থ যে কোন সেবা তবে, পণ্য, স্থাবর সম্পত্তি এবং অর্থ (money) উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(১০০) ‘‘সেবা সরবরাহ’’ অর্থ এমন সরবরাহ যাহা পণ্য, অর্থ বা স্থাবর সম্পত্তির সরবরাহ নহে, তবে সামগ্রিকতাকে ক্ষূন্ন না করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(ক) অধিকার প্রদান (grant) , হস্তান্তর (assignment) , সমাপ্তি (termination) , বা কোন অধিকার সমর্পণ;
(খ) কোন সুযোগ, সুবিধা বা উপকার গ্রহণের ব্যবস্থা করণ;
(গ) কোন কার্য করা, কোন অবস্থা বা কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা হইতে বিরত থাকা বা মানিয়া লওয়ার জন্য চুক্তি; এবং
(ঘ) লাইসেন্স, পারমিট, সনদপত্র, বিশেষ সুবিধা, অনুমতিপত্র বা অনুরূপ অধিকার জারিকরণ, হস্তান্তর বা সমর্পণ;
48[(১০১) “স্থাবর সম্পত্তি” অর্থ স্থাবর সম্পত্তির উপর স্বত্ব বা অধিকার যাহাতে ভূমি, বা ভূমির উপর অবস্থিত কোন ভবন বা উহাতে স্থাপিত বা স্থায়ীভাবে সংযুক্ত কোন কাঠামো, সংস্থাপিত থাকুক বা না থাকুক;]
(১০২) ‘‘স্থাবর সম্পত্তি সরবরাহ’’ অর্থে নিম্নবর্ণিত সরবরাহসমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে―
(ক) ভূমির উপর কোন অধিকার বা স্বার্থ;
(খ) ভূমির উপর কোন অধিকার বা স্বার্থ প্রদানের আহবান সম্বলিত ব্যক্তিগত অধিকার,
(গ) আবাসন সরবরাহসহ ভূমিতে অধিষ্ঠানের (occupy)
নিমিত্ত লাইসেন্স প্রদান বা ভূমিতে প্রয়োগযোগ্য কোন চুক্তিভিত্তিক অধিকার;
(ঘ) দফা (ক), (খ) এবং (গ)তে বর্ণিত কোন বিষয় অর্জনের অধিকার বা ভবিষ্যতে উক্ত অধিকার প্রয়োগের অভিপ্রায় (option);
49[ (১০৩) “হ্রাসকারী সমন্বয়” অর্থ নিম্নবর্ণিত কোন হ্রাসকারী সমন্বয়, যথাঃ-
(ক) আগাম কর হিসাবে পরিশোধিত অর্থের হ্রাসকারী সমন্বয়;
(খ) সরবরাহকারী কর্তৃক প্রদত্ত সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর্তিত করের হ্রাসকারী সমন্বয়;
(গ) বাৎসরিক পুনঃহিসাব প্রণয়ন বা নিরীক্ষার ফলে প্রযোজ্য হ্রাসকারী সমন্বয়;
(ঘ) ক্রেডিট নোট ইস্যুর কারণে হ্রাসকারী সমন্বয়;
50[***]
(চ) মূসক হার হ্রাস পাইবার ক্ষেত্রে হ্রাসকারী সমন্বয়;
(ছ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদ হইতে নেতিবাচক অর্থের পরিমাণ জের টানার নিমিত্ত হ্রাসকারী সমন্বয়;
(জ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদে অতিরিক্ত পরিশোধিত মূসক হ্রাসকারী সমন্বয়; বা
(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন হ্রাসকারী সমন্বয়।]
51[৪। (১) নিম্নবর্ণিত প্রত্যেক ব্যক্তি কোন মাসের প্রথম দিন হইতে মূসক নিবন্ধনযোগ্য হইবেন, যথা:¾
(ক) যে ব্যক্তির টার্নওভার উক্ত মাসের পূর্ববর্তী মাসের শেষে সমাপ্ত ১২ (বার) মাস সময়ে নিবন্ধনসীমা অতিক্রম করে; বা
(খ) যে ব্যক্তির প্রাক্কলিত টার্নওভার উক্ত মাসের পূর্ববর্তী মাসের প্রারম্ভ হইতে পরবর্তী ১২ (বার) মাস সময়ে নিবন্ধনসীমা অতিক্রম করে।
52[(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে টার্নওভার নির্বিশেষে মূসক নিবন্ধিত হইতে হইবে, যিনি-
(ক) বাংলাদেশে সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বা সেবা সরবরাহ, প্রস্তুত বা আমদানি করেন;
(খ) কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বা কোন চুক্তি বা কার্যাদেশের বিপরীতে পণ্য বা সেবা বা উভয়ই সরবরাহ করেন;
(গ) কোন আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় নিয়োজিত;
(ঘ) বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ অফিস বা লিয়াজোঁ অফিস বা প্রজেক্ট অফিস স্থাপন করেন;
(ঙ) মূসক এজেন্ট হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন;
(চ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বা কোন নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা সরবরাহ, প্রস্তুত বা আমদানি সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নিয়োজিত।]
53[৫। 54[ (১) যদি কোন ব্যক্তি এক বা একাধিক স্থান হইতে অভিন্ন অথবা সমজাতীয় পণ্য বা সেবা বা উভয়ই সরবরাহ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সকল হিসাব-নিকাশ, কর পরিশোধ ও রেকর্ডপত্র সফটওয়্যার ভিত্তিক অটোমেটেড পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি, নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে, একটি কেন্দ্রীয় মূসক নিবন্ধন গ্রহণ করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, অভিন্ন বা সমজাতীয় পণ্য বা সেবা সরবরাহ করা সত্ত্বেও কোন ইউনিটে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের হিসাব-নিকাশ, কর পরিশোধ ও রেকর্ডপত্র স্বতন্ত্রভাবে সংরক্ষণ করিলে তাহাকে প্রতিটি ইউনিটের জন্য পৃথক নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে।
55[(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৫৮ এর অধীন বিশেষ পরিকল্পের অধীন তামাকজাত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নিবন্ধন প্রযোজ্য হইবে না।
(১খ) কেন্দ্রীয় নিবন্ধন গ্রহণ ও কর পরিশোধের লক্ষ্যে বোর্ড বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।]
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যক্তি দুই বা ততোধিক স্থান হইতে ভিন্ন ভিন্ন পণ্য বা সেবা সরবরাহ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাহা হইলে তাহাকে প্রতিটি স্থানের জন্য পৃথক নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত ব্যক্তির কেন্দ্রীয় এক ইউনিট হইতে অপর ইউনিটে পণ্য বা সেবার আদান-প্রদান বা চলাচল সরবরাহ বলিয়া গণ্য হইবে না এবং ফলশ্রুতিতে উৎপাদ কর দায় বা উপকরণ কর রেয়াত উদ্ভূত হইবে না।]
56[৬। (১) প্রত্যেক নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, মূসক নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিবেন।
(২) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সংবলিত নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আবেদন বিধিসম্মত না হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কারণ উল্লেখপূর্বক, নির্ধারিত সময়সীমা ও পদ্ধতিতে, আবেদনকারীকে উহা অবহিত করিবেন।]
57[৮। (১) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৪ এর বিধান অনুযায়ী নিবন্ধনের আবশ্যকতা না থাকা সত্ত্বেও নিবন্ধিত হইতে ইচ্ছুক হন, তাহা হইলে তিনি 58[***] স্বেচ্ছায় মূসক নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট মূসক কর্মকর্তার নিকট, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সংবলিত নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করিবেন।
(৩) স্বেচ্ছায় নিবন্ধিত ব্যক্তির উপর নিবন্ধিত অন্যান্য ব্যক্তির ন্যায় এই আইনের সকল বিধান প্রতিপালন বাধ্যতামূলক হইবে এবং তিনি নিবন্ধনের তারিখ হইতে অন্যূন এক বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন না।]
৯। (১) যদি কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা হইতে বিরত থাকেন, তাহা হইলে তিনি, নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, মূসক নিবন্ধন বাতিলের জন্য 59[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি যাহার আর নিবন্ধিত থাকিবার প্রয়োজন নাই, তাহার করযোগ্য সরবরাহ প্রদান অব্যাহত থাকিলে, তিনি নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন60[ । ]
61[***]
(৩) [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা], নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, মূসক নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন।
(৪) যদি কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি মূসক নিবন্ধন বাতিলের জন্য উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন দাখিল না করেন এবং যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তির মূসক নিবন্ধন বাতিলযোগ্য, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে মূসক নিবন্ধন বাতিলের আবেদনপত্র দাখিল করিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী আবেদন করা না হইলে 62[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] স্ব-উদ্যোগে তাহার মূসক নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন।
(৫) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির মূসক নিবন্ধন বাতিলের পর যদি দেখা যায় যে, তিনি তালিকাভুক্তিযোগ্য তাহা হইলে [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] আবেদনের ভিত্তিতে বা স্ব-উদ্যোগে তাহাকে টার্নওভার করদাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবেন।
(৬) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির মূসক নিবন্ধন বাতিল করা হইলে, তিনি―
(ক) অনতিবিলম্বে কর চালানপত্র, 63[***] উৎসে কর কর্তন সনদপত্র, রশিদ, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট, ইত্যাদি ব্যবহার বা ইস্যু করা হইতে বিরত থাকিবেন; এবং
(খ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূসক নিবন্ধন সনদপত্র এবং উহার সকল প্রত্যায়িত অনুলিপি [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট ফেরত প্রদান এবং বকেয়া কর পরিশোধ ও চূড়ান্ত মূসক দাখিলপত্র দাখিল করিবেন।
64[(৭) কোন ব্যক্তি অনলাইনে নিবন্ধন গ্রহণ করিবার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা¾
(ক) নিবন্ধনের আবেদনে উল্লিখিত ব্যক্তির ঠিকানা, অস্তিত্ব ও কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক অন্যান্য তথ্যাদি যাচাই করিবেন;
(খ) যাচাইয়ান্তে ব্যক্তির ঠিকানা বা অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি অসত্য প্রমাণিত হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধন বাতিলের জন্য 65[নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।]
66[***]
১০। (১) যদি কোন ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া ১২ মাসের কোন ত্রৈমাসিক শেষে তালিকাভুক্তিসীমা অতিক্রম করেন কিন্তু যদি নিবন্ধনসীমা অতিক্রম না করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত ত্রৈমাসিক সময় সমাপ্ত হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে, টার্নওভার করদাতা হিসাবে তালিকাভুক্তির জন্য 67[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট আবেদন করিবেন।
(২) 68[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তিকে টার্নওভার করদাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সম্বলিত টার্নওভার কর সনদপত্র প্রদান করিবেন।
১১। (১) প্রত্যেক তালিকাভুক্ত ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কারণে তাহার টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি বাতিলের জন্য 69[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে পারিবেন, যথা:―
(ক) যদি তিনি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ করেন;
(খ) যদি তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রমের টার্নওভার পর পর তিনটি কর মেয়াদে আনুপাতিক হারে তালিকাভুক্তি সীমার নিম্নে থাকে।
(২) 70[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্ত] নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তির তালিকাভুক্তি বাতিল করিতে পারিবেন।
(৩) মূসক নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত আবেদন তালিকাভুক্তি বাতিলের আবেদন হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং 71[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] যে তারিখে মূসক নিবন্ধন সনদপত্র ইস্যু করিবেন সেই তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী দিবসে টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি বাতিল হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) যদি কোন ব্যক্তি তালিকাভুক্তি বাতিলের জন্য উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন না করেন, তাহা হইলে 72[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] নির্ধারিত সময়সীমা ও পদ্ধতিতে, উক্ত ব্যক্তির তালিকাভুক্তি বাতিল করিয়া প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
১২। 74[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি সন্তুষ্ট হন যে, কোন ব্যক্তি মূসক নিবন্ধনযোগ্য বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্তিযোগ্য কিন্তু তিনি নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেন নাই, তাহা হইলে 75[সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা] স্ব-উদ্যোগে উক্ত ব্যক্তিকে মূসক নিবন্ধিত বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্ত করিবেন।
76[১৪। নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট নিম্নবর্ণিত তথ্যের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন, যথাঃ-
(ক) ব্যবসায়ের নাম বা অন্য কোন বাণিজ্যিক নামসহ উক্ত ব্যক্তির নাম বা ব্যবসার ধরন পরিবর্তন;
(খ) উক্ত ব্যক্তির ঠিকানা বা অন্য কোন যোগাযোগের তথ্যাদি পরিবর্তন;
(গ) অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার স্থান পরিবর্তন;
(ঘ) উক্ত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের কোন তথ্যের পরিবর্তন;
(ঙ) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত এক বা একাধিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রকৃতি পরিবর্তন;
(চ) মালিকানায় বা অংশীদারিত্বে পরিবর্তন;
(ছ) নির্ধারিত অন্য কোন পরিবর্তন। ]
১৫। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, করযোগ্য আমদানি এবং করযোগ্য সরবরাহের উপর মূসক আরোপিত ও প্রদেয় হইবে।
(২) করযোগ্য আমদানি বা করযোগ্য সরবরাহ মূল্যের সহিত উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত মূসক হার গুণ করিয়া প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ নিরূপণ ও নির্ধারণ করিতে হইবে।
77[(৩) করযোগ্য সরবরাহ বা করযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে মূসক হার হইবে ১৫ শতাংশ:
তবে, শর্ত থাকে যে, সরকার জনস্বার্থে তৃতীয় তফসিলে সুনির্দিষ্টকৃত যে কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত মূসকের হার কিংবা সুনির্দিষ্ট পরিমাণ কর নির্ধারণ করিতে পারিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত হ্রাসকৃত মূসক হার কিংবা সুনির্দিষ্ট করের পরিবর্তে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রদান করিতে পারিবে। ]
১৬। নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিকে মূসক প্রদান করিতে হইবে, যথা:―
(ক) মূল্য সংযোজন কর আরোপযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে: আমদানীকারক;
(খ) বাংলাদেশে করযোগ্য সরবরাহ প্রদানের ক্ষেত্রে: সরবরাহকারী;
(গ) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে: সরবরাহ গ্রহীতা;
78[(ঘ) অন্যান্য ক্ষেত্রে: সরবরাহকারী বা সরবরাহগ্রহণকারী।]
১৯। (১) কোন অনাবাসিক ব্যক্তি বাংলাদেশের কোন নির্দিষ্ট স্থান হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা না করিলে, তাহাকে একজন মূসক এজেন্ট নিয়োগ করিতে হইবে।
79[(২) অনাবাসিক ব্যক্তির সকল দায়দায়িত্ব ও কার্যাবলী উক্ত মূসক এজেন্ট পালন ও সম্পাদন করিবেন, তবে আরোপিত কর, জরিমানা, দণ্ড এবং সুদসহ যাবতীয় অর্থ পরিশোধের জন্য অনাবাসিক ব্যক্তি দায়বদ্ধ থাকিবেন।]
(৩) মূসক এজেন্ট কর্তৃক সম্পাদিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের নিবন্ধন তাহার প্রধানের (principal) নামে হইতে হইবে।
(৪) বোর্ড, মূসক এজেন্ট নিয়োগের শর্ত, পদ্ধতি ও তাহার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে পারিবে।
২০। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আমদানিকৃত কোন সেবা সরবরাহ করযোগ্য সরবরাহ হইবে, যদি―
(ক) সরবরাহ গ্রহীতা একজন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি হন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় উক্ত সেবা অর্জন (acquire) করেন; এবং
80[(খ) সরবরাহটি নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে প্রদত্ত হইত এবং উক্ত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট না হইয়া অন্য কোন হারে করযোগ্য হইত।]
(২) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের গ্রহীতা কর্তৃক প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর উক্ত ব্যক্তির উৎপাদ এবং উপকরণ উভয়বিধ কর হইবে।
(৩) আমদানিকৃত সেবা সরবরাহের কারণে যদি কোন সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হইয়া থাকে বা হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ সমন্বয় সংঘটনের কারণে উক্ত সেবা একটি করযোগ্য সরবরাহ হইবে এবং উক্ত সেবার সরবরাহ গ্রহীতা সেবা সরবরাহকারী হিসাবে গণ্য হইবেন।
(৪) ‘‘আমদানিকৃত সেবা’’র সংজ্ঞা এবং উক্ত সেবার ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, যদি কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট কোন স্থান হইতে এবং বাংলাদেশের বাহিরে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তবে―
(ক) উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাহিরে পরিচালিত করযোগ্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দুইজন পৃথক ব্যক্তি হিসাবে গণ করা হইবে;
(খ) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যান্তরে অবস্থিত ব্যক্তির নিকট (এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংজ্ঞায়িত) সেবার প্রকৃতি বিশিষ্ট সুবিধা সম্বলিত সেবা প্রদান করিয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে, যাহা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বা ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রাপ্ত হইয়াছে;
(গ) সেবা সরবরাহ করা হইয়াছে উহা অনুমান করিয়া সরবরাহের সময় নির্ধারণ করা হইবে; এবং
(ঘ) সেবা সরবরাহ বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে অবস্থিত কোন সহযোগীর নিকট প্রদান করা হইয়াছে অনুমান করিয়া উহার মূল্য নির্ধারণ করা হইবে।
81[(৫) এই ধারার অন্যান্য উপ-ধারাসমূহে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রথম তফসিলে বর্ণিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবাসমূহ ব্যতীত নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত নহেন অথবা নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তিযোগ্য নহেন এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক আমদানিকৃত কোন সেবা করযোগ্য সরবরাহ হইবে এবং উহা হইতে নিম্নরূপে মূল্য সংযোজন কর আদায় হইবে, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট সেবা আমদানির ক্ষেত্রে সেবামূল্যের আংশিক বা পূর্ণমূল্য পরিশোধের সময় প্রদেয় সমুদয় মূল্য সংযোজন কর মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তন করিবে; এবং
(খ) কর্তনকারী ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেবা আমদানিকারকের পক্ষে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করিয়া তাহার দাখিলপত্রে প্রদর্শন করিবে।]
২৩। (১) রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, পুনঃআমদানিকৃত বা পুনঃআমদানির জন্য অভিপ্রেত কোন পণ্যের 82[***] ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(২) নিম্নবর্ণিত সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:―
(ক) যদি পণ্যটি সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয় এবং উক্ত পণ্য সরবরাহকারী কর্তৃক বাংলাদেশে সংযোজন, সংস্থাপন বা আমদানি করা না হয়;
(খ) যদি পণ্যটি আমদানির পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভোগের নিমিত্তে প্রবেশের পূর্বে বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে সরবরাহ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য সরবরাহকালে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ছিল বলিয়া গণ্য হইবে;
(গ) লাইসেন্সধারী শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রেতা কর্তৃক পর্যটক বা বিদেশ হইতে আগত কোন দর্শনার্থীর নিকট বাংলাদেশের বাহিরে ভোগের নিমিত্ত কোন পণ্যের সরবরাহ; বা
(ঘ) যদি পণ্যটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের সমগ্র সময়কাল বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করে, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের লিজ, হায়ার, লাইসেন্স বা উহার ব্যবহার সম্পর্কিত অন্যান্য সরবরাহ পৃথক সরবরাহ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
তবে, শর্ত থাকে যে, যদি পণ্যটি আন্তর্জাতিক ভূখন্ডে অবস্থানের অব্যবহিত পূর্বে এবং পরে বাংলাদেশে অবস্থান করে, তাহা হইলে লিজকৃত পণ্যটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন পণ্যের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অনুরূপ কাজে ব্যবহার্য কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:―
(ক) যদি সরবরাহকৃত পণ্য উক্ত পণ্যের সহিত সংযোজন করা হয় বা উহার অংশে পরিণত হয় বা সংযোজিত হইবার ফলে উহা অব্যবহারযোগ্য বা নষ্ট হইয়া যায়;
(খ) যদি উক্ত পণ্য 83[কাস্টমস আইনের] অধীন বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হয়; বা
(গ) যদি উক্ত পণ্য বাংলাদেশে সেবা গ্রহণের নিমিত্ত অস্থায়ীভাবে আনয়ন করা হয় ও সেবা গ্রহণের পর উক্ত পণ্য সেবা গ্রহণ ব্যতীত বাংলাদেশে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করিয়া উহা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানি করা হয়।
(৪) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ওয়ারেন্টিযুক্ত পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:―
(ক) অনাবাসিক ও অনিবন্ধিত ওয়ারেন্টি প্রদানকারী কর্তৃক পণ প্রদান করা হইবে মর্মে ওয়ারেন্টি প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন যদি উক্ত পণ্য সরবরাহ করা হয়; এবং
(খ) মালিকের উপর কোনরূপ মাশুল (charge) আরোপ ব্যতিরেকে যদি উক্ত পণ্য মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা হয়।
(৫) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ বা অনুরূপ কোন যানবাহনের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্যবিধভাবে উহার কায়িক অবস্থার উপর অন্য কোন প্রভাব বিস্তারকরণের প্রক্রিয়ায় সরবরাহকৃত পণ্য শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
(৬) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ সম্পর্কিত পণ্য-সম্ভার বা যন্ত্রাংশ ফ্লাইটের সময় বা সামুদ্রিক যাত্রাপথে উক্ত যানবাহনে ব্যবহার, ভোগ বা বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত হইলে উক্ত পণ্য-সম্ভার বা যন্ত্রাংশ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
ব্যাখ্যা: এই ধারায়, ‘‘পণ্য-সম্ভার’’ অর্থ কোন সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের ক্রু বা যাত্রীগণের ব্যবহার্য বা উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে ব্যবহার্য পণ্য-সম্ভার, এবং ব্যবহার্য পণ্য, জ্বালানী, খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, অনুরূপ পণ্য, তাৎক্ষণিক ব্যবহৃত হউক বা না হউক, উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
২৪। (১) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন ভূমির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
(২) সরবরাহ প্রদানকালে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন পণ্যের উপর কায়িকভাবে প্রদত্ত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
(৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন পণ্যের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার্য কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:―
(ক) যদি উক্ত পণ্য 84[কাস্টমস আইনের] অধীন অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হয়; বা
(খ) যদি সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে অস্থায়ীভাবে উক্ত পণ্য বাংলাদেশে আনয়ন করিবার পর সেবা গ্রহণ শেষে বাংলাদেশে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হইয়া উহা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানি করা হয়।
(৪) আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কমূল্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
85[(৫) বাংলাদেশের বাহিরে সেবা রপ্তানি শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।]
(৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যদি―
(ক) সরবরাহ গ্রহীতা―
(অ) কোন অনাবাসিক ব্যক্তি হন এবং সেবা সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন; বা
(আ) কোন আবাসিক ব্যক্তি হন এবং সেবা সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করিয়া কার্যত উক্ত সেবা গ্রহণ করেন; এবং
(খ) উক্ত সেবা―
(অ) বাংলাদেশে অবস্থিত ভূমির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সর্ম্পকযুক্ত না হয়;
(আ) সরবরাহকালে বাংলাদেশে অবস্থিত পণ্যের উপর উহা কায়িকভাবে প্রদান করা না হয়; বা
(ই) বাংলাদেশের বাহিরে সাময়িকভাবে অবস্থানরত কোন ব্যক্তিকে বৈশ্বিক পদচারণার (global roaming) ক্ষেত্রে প্রদান করা না হয়।
(৭) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে না, যদি―
(ক) উক্ত সেবা সরবরাহ বাংলাদেশে অন্য কোন বিষয়ে একটি পরবর্তী সরবরাহ প্রাপ্তির (যাহা অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা শূন্যহার বিশিষ্ট নয়) অধিকার (right) বা ভবিষ্যতে ক্রয়ের অধিকার অর্জন (option) করা সংক্রান্ত হয়; বা
(খ) উক্ত সেবা বাংলাদেশে অনিবন্ধিত কোন ব্যক্তির নিকট সরবরাহ করিবার উদ্দেশ্যে কোন অনাবাসিক ব্যক্তির সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন সরবরাহ করা হয়।
(৮) বাংলাদেশের বাহিরে কোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সম্পর্কিত অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে মামলা নথিভুক্তকরণ, মামলা পরিচালনা, অধিকার অর্পণ, উহার সংরক্ষণ, হস্তান্তর, স্বত্ব হস্তান্তর, লাইসেন্সকরণ বা অধিকার বলবৎকরণ সংক্রান্ত সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
(৯) কোন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী কর্তৃক অন্য কোন অনাবাসিক টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারীর নিকট প্রদত্ত টেলিযোগাযোগ সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
(১০) মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ওয়ারেন্টিযুক্ত পণ্যের অনুকূলে প্রদত্ত সেবা সরবরাহ নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:―
(ক) অনাবাসিক ও অনিবন্ধিত ওয়ারেন্টি প্রদানকারী কর্তৃক পণ প্রদত্ত হইবে মর্মে ওয়ারেন্টি প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন যদি উক্ত সেবা সরবরাহ করা হয়; 86[এবং]
(খ) মালিকের উপর কোনরূপ মাশুল আরোপ ব্যতিরেকে সেবা প্রদান করা হয়।
87[(১১) নিম্নবর্ণিত সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:-
(ক) পণ্যের আন্তর্জাতিক পরিবহণে বীমা সেবা সরবরাহ;
(খ) আন্তর্জাতিক পরিবহণে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের মেরামত, সংরক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্যকোনভাবে কায়িক অবস্থার উপর প্রভাব বিস্তারকরণের সেবা সরবরাহ; বা
(গ) আন্তর্জাতিক পরিবহণে নিয়োজিত কোন সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের চালনা, পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা, অনুরূপ বিষয়ের সহিত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সেবা অনিবন্ধিত ও অনাবাসিক ব্যক্তির নিকট সরবরাহ।]
খণ্ড ‘ক’- আমদানির ক্ষেত্রে
88[২৭। কাস্টমস আইনের অধীন যে পদ্ধতি ও সময়ে আমদানি শুল্ক আদায় করা হয় সেই একই পদ্ধতি ও সময়ে, আমদানির উপর আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য না হইলেও করযোগ্য আমদানির উপর মূসক আদায় করিতে হইবে।]
89[২৮। কোন করযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে মূসক আরোপের ভিত্তিমূল্য হইবে নিম্নবর্ণিত পরিমাণের সমষ্টি, যথা:-
(ক) কাস্টমস আইনের অধীন আমদানি শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্যে ধার্যকৃত পণ্য মূল্যের পরিমাণ; এবং
২৯। পণ্য রপ্তানির পর উহা পুনঃআমদানি করিবার ক্ষেত্রে যদি পণ্যটির আকৃতি, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও গুণগতমান অপরিবর্তিত থাকে, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের মেরামতের পর যে পরিমাণ মূল্য বর্ধিত হয় উহার সহিত বীমা, ভাড়া এবং ল্যান্ডিং চার্জ যোগ করিয়া 90[শু্ল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করিতে হইবে, যাহা মূসক আরোপের ভিত্তিমূল্য হইবে]।
91[৩১। (১) প্রত্যেক নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি আমদানিকৃত পণ্যের সরবরাহের উপর প্রদেয় মূসক উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত হারে আগাম পরিশোধ করিবেন।
92[(২) করযোগ্য আমদানির উপর মূসক যে সময় ও পদ্ধতিতে আদায় করা হয় সেই একই সময় ও পদ্ধতিতে করযোগ্য আমদানির মূসক আরোপযোগ্য ভিত্তিমূল্যের উপর বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানিকৃত উপকরণের ক্ষেত্রে 93[৩ (তিন)] শতাংশ হারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) শতাংশ হারে আগাম কর প্রদেয় হইবে।]
(৩) প্রত্যেক নিবন্ধিত আমদানিকারক যিনি আগাম কর পরিশোধ করিয়াছেন তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদ বা তৎপরবর্তী 94[চারটি কর মেয়াদের] মধ্যে মূসক দাখিলপত্রে পরিশোধিত আগাম করের সমপরিমাণ অর্থ হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৪) যে ব্যক্তি আগাম কর পরিশোধ করিয়াছেন কিন্তু নিবন্ধিত নহেন তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে আগাম কর ফেরত প্রদানের নিমিত্ত কমিশনারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(৫) কমিশনার আবেদন প্রাপ্তির পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা নিষ্পত্তি করিবেন।]
খন্ড ‘খ’- সাধারণ সরবরাহের ক্ষেত্রে
95[৩২। (১) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, করযোগ্য কোন সরবরাহের পণ হইতে উক্ত পণের কর-ভগ্নাংশের সমপরিমাণ অর্থ বিয়োগ করিয়া যাহা পাওয়া যাইবে তাহাই হইবে সরবরাহ মূল্য।
96[(২) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের পণ্য হইবে সরবরাহের মূল্য বা সরবরাহকারী এবং সরবরাহগ্রহীতা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হইলে ন্যায্য বাজার মূল্য।]
(৩) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক তাহার সহযোগীর নিকট সরবরাহকৃত করযোগ্য সরবরাহের মূল্য হইবে উক্ত সরবরাহের ন্যায্য বাজার মূল্য হইতে উহার কর-ভগ্নাংশ বিয়োজিত মূল্য, যদি―
(ক) উক্ত সরবরাহ পণবিহীন হয় বা উহার পণ ন্যায্য বাজার মূল্য অপেক্ষা কম হয়; এবং
(খ) উক্ত সহযোগী এইরূপ সরবরাহের নিমিত্ত উদ্ভূত সমুদয় উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণের অধিকারী না হন।
(৪) অন্যবিধভাবে নির্ধারিত না থাকিলে পণবিহীন করযোগ্য সরবরাহের মূল্য হইবে উক্ত সরবরাহের ন্যায্য বাজার মূল্য হইতে উহার কর-ভগ্নাংশ বিয়োজিত মূল্য।
97[(৫)পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ও তালিকাভুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপকরণ-উৎপাদ সহগ (Input-Output Coefficient) দাখিল করিতে হইবে।] ]
98[৩২ক। বোর্ড এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা করযোগ্য যে কোন সেবার পরিধি নির্ধারণের লক্ষ্যে কিংবা অন্য যে কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারিবে।]
99[৩৩। (১) কোন করযোগ্য সরবরাহের উপর আরোপিত মূসক নিম্নবর্ণিত কার্যাবলির মধ্যে যাহা সর্বাগ্রে ঘটে, উহা সংঘটিত হইবার সময় প্রদেয় হইবে, যথা:-
(ক) যখন সরবরাহ প্রদান করা হয়;
(খ) যখন সরবরাহ সংক্রান্ত চালানপত্র ইস্যু করা হয়;
(গ) যখন পণের আংশিক বা সমুদয় গ্রহণ করা হয়; এবং
(ঘ) যখন কোন সরবরাহ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা হয় বা অন্যের ব্যবহারের জন্য প্রদান করা হয়।
(২) কোন সরবরাহ আনুক্রমিক (Progressive) বা পর্যাবৃত্ত (Periodic) সরবরাহ হিসাবে বিবেচিত হইলে উহার উপর আরোপিত মূসক নিম্নবর্ণিত কার্যাবলির মধ্যে যাহা সর্বাগ্রে ঘটে, উহা সংঘটিত হইবার সময় প্রদেয় হইবে, যথা:-
(ক) যখন উক্ত সরবরাহের প্রত্যেকটির বিপরীতে পৃথক চালানপত্র ইস্যু করা হয়;
(খ) যখন উক্ত সরবরাহের প্রত্যেকটির বিপরীতে প্রাপ্য পণের আংশিক বা সমুদয় গ্রহণ করা হয়; এবং
(গ) যখন 100[আনুক্রমিক] সরবরাহের বিপরীতে মূল্য প্রদেয় হয়।
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও বিতরণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পানি, গ্যাস, জ্বালানী তৈল বা বিদ্যুৎ এর আনুক্রমিক বা পর্যাবৃত্তিক সরবরাহ করা হইলে, যে তারিখে উক্ত সরবরাহের প্রত্যেকটির বিপরীতে চালানপত্র ইস্যু করা হয়, উক্ত তারিখ হইতে 101[৯০ (নব্বই)] দিনের মধ্যে প্রদেয় মূসক পরিশোধ করিতে হইবে।]
102[৩৫। কোন সরবরাহে একাধিক ধরনের পণ্য বা সেবা থাকিলে নিম্নরূপে করারোপ করিতে হইবে, যথা:¾
(ক) প্রতিটি সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ধরনের পণ্য বা সেবাকে পৃথকভাবে প্রদর্শন করিতে হইবে;
খন্ড ‘গ’- বিশেষ সরবরাহের ক্ষেত্রে
৩৮। (১) কোন টেলিযোগাযোগ দ্রব্য বা সেবা সরবরাহকারী কর্তৃক কোন আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ দ্রব্য মূল্যছাড়সহ টেলিযোগাযোগ মধ্যস্বত্বভোগীর নিকট সরবরাহ করা হইলে, উক্ত মূল্যছাড়সহ, উক্ত সরবরাহের পণ নিরূপণ করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারা একজন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী কর্তৃক অন্য কোন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারীর নিকট টেলিযোগাযোগ দ্রব্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
(২) কোন টেলিযোগাযোগ মধ্যস্বত্বভোগী কর্তৃক আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ দ্রব্য ক্রয় করিয়া পরবর্তীতে বিক্রয় করা হইলে, বিক্রয়টি কোন করযোগ্য সরবরাহ বলিয়া গণ্য হইবে না।
(৩) যেইক্ষেত্রে কোন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী তাহার প্রতিনিধির মাধ্যমে আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ দ্রব্য বা সেবা সরবরাহ করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত প্রতিনিধিকে প্রদত্ত কমিশনসহ সরবরাহের পণ নিরূপণ করিতে হইবে।
(৪) টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী বা অন্য কোন টেলিযোগাযোগ মধ্যস্বত্বভোগীর প্রতিনিধি হিসাবে কার্য সম্পাদনকারী কোন টেলিযোগাযোগ মধ্যস্বত্বভোগী কর্তৃক আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ দ্রব্যের বিতরণ এই আইনের অধীন কোন করযোগ্য সরবরাহ হিসাবে গণ্য হইবে না।
(৫) কোন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী যিনি আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ দ্রব্য সরবরাহ করেন এবং এই ধারার শর্তাবলী মোতাবেক 103[মূসক ও সম্পূরক শু্ল্ক পরিশোধ] করেন, তিনি হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণ করিতে পারিবেন, যদি―
(ক) উক্ত দ্রব্যের অভিহিত মূল্যের আংশিক বা সমুদয় উক্ত টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন কিছু ক্রয়ে ব্যবহৃত হয়;
(খ) অন্য কোন ব্যক্তি―
(অ) বাংলাদেশে পরিচালিত কোন অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সরবরাহ প্রদান করেন; বা
(আ) নিবন্ধিত হন; এবং
(গ) টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী সরবরাহের বিষয়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে অর্থ প্রদান করেন।
(৬) হ্রাসকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে উক্ত অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রদত্ত অর্থের কর-ভগ্নাংশের সমান এবং যে কর মেয়াদে উক্ত অর্থ প্রদান করা হয় সেই কর মেয়াদে সমন্বয় সাধন করিতে হইবে।
(৭) আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ বা দ্রব্য ব্যবহারকারী ব্যক্তির উপকরণ কর রেয়াত পাওয়ার অধিকার প্রমাণ এবং রেয়াত গ্রহণের পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া বোর্ড বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা: এই ধারায়,―
(ক) ‘‘আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ দ্রব্য’’ অর্থ ফোন কার্ড, আগাম মূল্য পরিশোধের কার্ড, রিচার্জ কার্ড, বা অন্য কোন উপায়ে যেকোন টেলিযোগাযোগ পণ্য অর্জনের নিমিত্ত আগাম পরিশোধ, বা উহা যে নামেই অভিহিত বা আকারেই থাকুক না কেন, টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য পবনকাল (airtime) , ইন্টারনেট সুবিধা গ্রহণের সময় বা ডাউনলোড ক্ষমতা উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(খ) ‘‘টেলিযোগাযোগ মধ্যস্বত্বভোগী’’ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি পরিবেশক, প্রতিনিধি, মূসক এজেন্ট বা আগাম পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ দ্রব্যাদির কোন মধ্যস্বত্বভোগী;
(গ) ‘‘টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী’’ অর্থ টেলিযোগাযোগ সেবার সরবরাহকারী, তবে টেলিযোগাযোগ মধ্যস্বত্বভোগী উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না ; এবং
(ঘ) ‘‘টেলিযোগাযোগ সেবা’’ অর্থ তার, বেতার, অপটিকাল (optical) বা অনুরূপ কোন তড়িৎ চুম্বকীয় পদ্ধতিতে বা ইলেক্ট্রনিক সংকেতের মাধ্যমে লেখা, প্রতিচ্ছবি প্রক্ষেপণ, প্রচার, শব্দ বা অনুরূপ কোন তথ্য প্রেরণ, নির্গতকরণ ও সংকেত গ্রহণ করা সংক্রান্ত সেবা,―
এবং নিম্নবর্ণিত বিষয়াদিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:―
(অ) উক্ত প্রেরণ, নির্গতকরণ ও সংকেত গ্রহণের সামর্থ সম্বলিত ব্যবহারের অধিকার সম্পর্কিত হস্তান্তর বা এ্যাসাইনমেন্ট সেবা; এবং
(আ) বৈশ্বিক বা স্থানীয় পর্যায়ের তথ্য নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ সম্বলিত সেবা;
কিন্তু উহার মূলে থাকা (underlying) লিখন, প্রতিচ্ছবি, শব্দাবলী বা তথ্যসমূহের সরবরাহ সেবা উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
৪৫। (১) কোন কর মেয়াদে করদাতা কর্তৃক প্রদেয় নীট করের পরিমাণ নিম্নবর্ণিত উপায়ে নিরূপণ করিতে হইবে, যথা:―
(ক) উক্ত কর মেয়াদে প্রদেয় সকল উৎপাদ কর এবং সম্পূরক শুল্ক যোগ করিয়া;
(খ) উক্ত কর মেয়াদে যেই সকল উপকরণ কর রেয়াত পাওয়ার অধিকারী উহা দফা (ক) এর অধীন 104[নিরূপিত যোগফল] হইতে বিয়োগ করিয়া;
(গ) উক্ত কর মেয়াদে উক্ত নিবন্ধিত ব্যক্তির সকল বৃদ্ধিকারী সমন্বয় যোগ করিয়া; এবং
(ঘ) উক্ত কর মেয়াদে উক্ত নিবন্ধিত ব্যক্তির সকল হ্রাসকারী সমন্বয় বিয়োগ করিয়া।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পদ্ধতিতে নিরূপিত নীট কর, উক্ত কর মেয়াদের দাখিলপত্র পেশ করিবার পূর্বে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিশোধ করিতে হইবে।
105[৪৬। (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় করযোগ্য সরবরাহের উপর উৎপাদ করের বিপরীতে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, পরিশোধিত উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথা:-
106[(ক) একই মালিকানাধীন নিবন্ধিত সরবরাহকারী বা সরবরাহগ্রহীতার মধ্যে উপকরণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্র ব্যতীত যদি করযোগ্য সরবরাহের মূল্য ১ (এক) লক্ষ টাকা অতিক্রম করে এবং উক্ত সরবরাহের সমুদয় পণ ব্যাংকিং মাধ্যম বা মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম ব্যতিরেকে পরিশোধ করা হয়;]
107[(খ) যদি আমদানিকৃত সেবার সরবরাহ গ্রহণের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতা কর্তৃক দাখিলপত্রে উক্ত সেবার বিপরীতে প্রদেয় উৎপাদ কর ধারা ২০ অনুসারে পৃথকভাবে প্রদর্শন না করা হয়;]
(গ) যেই কর মেয়াদে চালানপত্র বা বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে উপকরণ ক্রয় বা সংগ্রহ করা হয় সেই কর মেয়াদে বা তৎপরবর্তী 108[চারটি কর মেয়াদের] মধ্যে যদি উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ না করে;
109[(ঘ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, চুক্তিভিত্তিতে পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্র ব্যতীত, অন্যের অধিকারে, দখলে বা তত্ত্বাবধানে রক্ষিত পণ্য বা সেবার বিপরীতে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর;”]
(ঙ) যদি কোন পণ্য বা সেবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্রয় হিসাব পুস্তকে 110[বা ক্রয়-বিক্রয় হিসাব পুস্তকে] অন্তর্ভুক্ত না করা হয়;
(চ) যদি কর চালানপত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নাম, ঠিকানা ও নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ না থাকে;
(ছ) আমদানিকারকের নিকট হইতে সরবরাহ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমদানিকারক কর্তৃক ইস্যূকৃত কর চালানপত্রে আমদানি চালান সংশ্লিষ্ট বিল অব এন্ট্রি নম্বর উল্লেখ না থাকিলে এবং কর চালান পত্রে বর্ণিত পণ্যের বর্ণনার সহিত আমদানি বিল অব এন্ট্রিতে বর্ণিত 111[পণ্যের বর্ণনার আলোকে যথাযথ বাণিজ্যিক বর্ণনার মিল না থাকিলে];
(জ) ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে খালাসকৃত উপকরণ বা পণ্যের ক্ষেত্রে, যে কারণে উক্তরূপ ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হইলে, উক্ত ব্যাংক গ্যারান্টি অংশের সহিত সংশ্লিষ্ট উপকরণ কর ;
(ঝ) অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য উৎপাদনে বা সেবা প্রদানে ব্যবহৃত পণ্য বা সেবার উপর পরিশোধিত উপকরণ কর;
(ঞ) টার্নওভার করের আওতায় পরিশোধিত টার্নওভার কর;
(ট) পণ্য উৎপাদনে বা সেবা প্রদানে ব্যবহৃত পণ্য বা সেবার উপর পরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক;
(ঠ) 112[রপ্তানির ক্ষেত্র ব্যতীত মূসকের হার ১৫ শতাংশের] নিম্নে কিংবা সুনির্দিষ্ট কর আরোপিত রহিয়াছে এমন নির্দিষ্টকৃত কোন পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ক্রীত উপকরণের উপর পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর;
(ড) উপকরণ-উৎপাদ সহগ (Input-Output Coefficient) এ ঘোষিত নেই এমন উপকরণ বা পণ্যের বিপরীতে পরিশোধিত উপকরণ কর 113[;
(ঢ) মোট উপকরণ মূল্য ৭.৫ (সাত দশমিক পাঁচ) শতাংশের অধিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নূতন উপকরণ-উৎপাদ সহগ প্রদান না করিলে অতিরিক্ত বর্ধিত উপকরণ কর 114[;
(ণ) উপকরণ মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে পণ্য বা সেবা সরবরাহ করা হইলে।]]
(২) কোন অর্জন বা আমদানির বিপরীতে পরিশোধিত উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা যাইবে না, যদি―
(ক) উক্ত অর্জন বা আমদানি যাত্রী যানবাহন সংক্রান্ত হয় বা উহার খুচরা যন্ত্রাংশ বা উক্ত যানবাহনের মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ সেবার উদ্দেশ্যে করা হয়, তবে, যানবাহনের ব্যবসা করা, ভাড়া খাটানো বা পরিবহন সেবা প্রদান উক্ত ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হইলে এবং যানবাহনটি উক্ত উদ্দেশ্যে অর্জিত হইলে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা যাইবে;
(খ) উক্ত অর্জন বা আমদানি চিত্তবিনোদন সংক্রান্ত বা চিত্তবিনোদনের নিমিত্ত ব্যবহৃত হয়; তবে, বিনোদন প্রদান উক্ত ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট হইলে এবং বিনোদনটি অর্থনৈতিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রদান করা হইলে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা যাইবে;
(গ) উক্ত অর্জন ক্রীড়া বিষয়ক, সামাজিক বা বিনোদনমূলক ক্লাব, সংঘ বা সমিতিতে কোন ব্যক্তির সদস্যপদ বা প্রবেশাধিকার সম্পর্কিত হয়;
115[(ঘ) উক্ত অর্জন পণ্য পরিবহন সেবা সংক্রান্ত ব্যয়ের ৮০ (আশি) শতাংশের অধিক হয়।]
(৩) নিবন্ধিত ব্যক্তিকে দাখিলপত্র পেশকালে উপকরণ কর রেয়াত দাবির সমর্থনে নিম্নবর্ণিত দলিলাদি দখলে রাখিতে হইবে, যথা:¾
(ক) আমদানির ক্ষেত্রে, আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা এবং ব্যবসা সনাক্তকরণ নম্বর সম্বলিত বিল অব এন্ট্রি (Bill of Entry);
(খ) সরবরাহের ক্ষেত্রে, সরবরাহকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত কর চালানপত্র;
116[***]
(ঘ) ধারা ২০ এর উপ-ধারা 117[(২)] এর ক্ষেত্রে কর পরিশোধের স্বপক্ষে ট্রেজারি চালান118[;
(ঙ) গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ119[, ব্যাংক, বীমা, বন্দর] ও টেলিফোন সেবার উপর পরিশোধিত মূসক রেয়াত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত বিল, যাহা চালানপত্র হিসাবে গণ্য হইবে 120[;]
121[(চ) গ্রাহক কর্তৃক পরিশোধিত বিদ্যুৎ বিলের বিপরীতে ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ইনভয়েস, যাহা নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে, চালানপত্র হিসাবে গণ্য হইবে।]
৪৭। (১) যেক্ষেত্রে একজন নিবন্ধিত ব্যক্তি কোন করযোগ্য সরবরাহের আংশিক পণ পরিশোধ করেন বা পরিশোধে দায়ী থাকেন, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি যে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করিতে পারিবেন, তাহা উক্ত ব্যক্তি যে পরিমাণ পণ পরিশোধ করেন বা পরিশোধ করিতে দায়ী থাকেন সেই পরিমাণের ভিত্তিতে নিরূপণ করিতে হইবে।
122[(১ক) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক আদর্শ মূসক হার বা হ্রাসকৃত হার বা সুনির্দিষ্ট কর বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা শূন্যহার বিশিষ্ট বা এইরূপ কতিপয় ধরনের বা এইরূপ সকল ধরনের পণ্য বা সেবা সরবরাহ করা হইলে কেবল শূন্য হার ও আদর্শ মূসক হারে সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবার বিপরীতে উপকরণের উপর পরিশোধিত মূসক রেয়াত গ্রহণ করা যাইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক উপকরণ হিসেবে পণ্য বা সেবা সরবরাহ গ্রহণের পর ধারা ৪৬ অনুসরণপূর্বক সমুদয় সরবরাহের বিপরীতে রেয়াত গ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে, সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদ সমাপ্তির পর তাহাকে উক্ত কর মেয়াদে সরবরাহকৃত হ্রাসকৃত হার বা সুনির্দিষ্ট কর বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা এইরূপ কতিপয় ধরনের বা এইরূপ সকল ধরনের পণ্য বা সেবার উপকরণের বিপরীতে গৃহীত রেয়াত বৃদ্ধিকারী সমন্বয়পূর্বক দাখিলপত্রে প্রদর্শন করিতে হইবে।]
(২) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি কোন কর মেয়াদে আমদানি বা অর্জনের বিপরীতে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করিতে পারিবেন; তবে, পূর্ণ উপকরণ কর রেয়াত প্রাপ্য না হইলে তদীয় সমুদয় আমদানি বা অর্জনের ক্ষেত্রে উপকরণ কর রেয়াত প্রাপ্যতা উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিরূপণ করিতে হইবে।
(৩) প্রতি কর মেয়াদে এই ধারার সহিত সংশ্লিষ্ট আমদানি কিংবা অর্জনের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা যাইবে উহা নিম্নবর্ণিত সূত্র অনুযায়ী নিরূপণ করিতে হইবে:
I x T/A
যে ক্ষেত্রে―
I হইলো এই উপ-ধারার সহিত সংশ্লিষ্ট আমদানি কিংবা অর্জনের উপর যে পরিমাণ উপকরণ করের উদ্ভব হয় তাহার মোট পরিমাণ এবং যাহার নিমিত্তে উক্ত কর মেয়াদে রেয়াত দাবি করা হয়;
123[T হইল কোন কর মেয়াদে নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক ধারা ৪৬ এর অধীনে উপকরণ কর রেয়াত প্রাপ্ত হয় এইরূপ সকল সরবরাহের মূল্য;] এবং
A হইলো কোন কর মেয়াদে নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত সকল সরবরাহের মূল্য।
(৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড নির্ধারণ করিতে পারিবে যে,―
(ক) কোন উপাদান উক্ত সূত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হইবে বা অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(খ) কখন এবং কিভাবে T/A ভগ্নাংশ পূর্ণ সংখ্যায় উন্নীত বা অবনত করা হইবে;
(গ) পঞ্জিকা বর্ষ শেষে সম্পাদিত কোন বার্ষিক সমন্বয়;
(ঘ) আর্থিক সেবা সরবরাহকারীর আংশিক উপকরণ কর রেয়াত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি;
(ঙ) মূলধনী সম্পদের বিপরীতে সাধিত অতিরিক্ত সমন্বের ক্ষেত্রে দাবিকৃত উপকরণ কর রেয়াতের সহিত সম্পদের প্রকৃত ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
124[৪৮। (১) নির্ধারিত পরিমাণ, শর্ত, সময়সীমা ও পদ্ধতিতে করদাতা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন, যথাঃ-
(ক) উৎসে কর্তিত করের বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(খ) বাৎসরিক পুনঃহিসাব প্রণয়নের ফলে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(গ) ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পরিশোধ না করিবার ফলে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(ঘ) ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত (private use) পণ্যের ক্ষেত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(ঙ) নিবন্ধিত হইবার পর বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(চ) নিবন্ধন বাতিলের কারণে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(ছ) মুসক হার পরিবর্তিত হইবার কারণে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়;
(জ) সুদ, জরিমানা, অর্থদণ্ড, ফি ইত্যাদি পরিশোধ সংক্রান্ত বৃদ্ধিকারী সমন্বয়; বা
(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন বৃদ্ধিকারী সমন্বয়।
(২) নির্ধারিত পরিমাণ, শর্ত, সময়সীমা ও পদ্ধতিতে করদাতা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন, যথাঃ-
(ক) আগাম কর হিসাবে পরিশোধিত অর্থের হ্রাসকারী সমন্বয়;
(খ) সরবরাহকারী কর্তৃক প্রদত্ত সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর্তিত করের হ্রাসকারী সমন্বয়;
(গ) বাৎসরিক পুনঃহিসাব প্রণয়ন বা নিরীক্ষার ফলে প্রযোজ্য হ্রাসকারী সমন্বয়;
(ঘ) ক্রেডিট নোট ইস্যুর কারণে হ্রাসকারী সমন্বয়;
125[***]
(চ) মূসক হার হ্রাস পাইবার ক্ষেত্রে হ্রাসকারী সমন্বয়;
(ছ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদ হইতে নেতিবাচক অর্থের পরিমাণ জের টানিবার নিমিত্ত হ্রাসকারী সমন্বয়;
(জ) পূর্ববর্তী কর মেয়াদে অতিরিক্ত পরিশোধিত মূসক হ্রাসকারী সমন্বয়; বা
(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন হ্রাসকারী সমন্বয়।]
৪৯। 126[(১) 127[ধারা ৩৩ এর বিধানাবলী সত্ত্বেও, ] উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন সরবরাহকারী উৎসে কর কর্তনকারী সত্তার নিকট চুক্তি, টেন্ডার, কার্যাদেশ বা অন্যবিধভাবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা শূণ্যহার বিশিষ্ট নহে এমন সরবরাহ প্রদান করিলে, উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা উক্ত সরবরাহকারীর নিকট পরিশোধযোগ্য পণ হইতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্টকৃত মূসক উৎসে কর্তন করিবে।]
(২) সরবরাহকারী নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত না হইলে এবং 128[কর চালানপত্র ] জারি না করিলে, উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা সরবরাহকারীর নিকট হইতে কোন সরবরাহ গ্রহণ করিবে না এবং সরবরাহকারীকে উক্ত সরবরাহের বিপরীতে কোন মূল্য পরিশোধ করিবে না 129[;]
130[তবে শর্ত থাকে যে, সরবরাহ গ্রহীতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত নহে এইরূপ ব্যক্তির নিকট হইতে সরবরাহ গ্রহণ করিয়া থাকিলে প্রযোজ্য মূসক পরিশোধে তিনি দায়ী থাকিবেন।]
131[(৩) উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে উৎসে মূসক কর্তন ও পরিশোধ করিবে।]
(৪) উৎসে কর কর্তন এবং সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা এবং সরবরাহকারী যৌথ ও পৃথকভাবে দায়ী থাকিবে।
132[(৫) কোন প্রকল্পের আওতায় কোন সেবা গ্রহণকারী কর্তৃক প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর যদি সেবা গ্রহণকারী বা, ক্ষেত্রমত, সেবার মূল্য বা কমিশন পরিশোধকারী ব্যক্তি সেবার মূল্য বা কমিশন পরিশোধকালে নির্ধারিত পদ্ধতিতে উৎসে আদায় বা কর্তনপূর্বক সরকারি ট্রেজারিতে জমা করেন এবং উক্ত সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত সমুদয় সেবার অংশবিশেষ সরবরাহের লক্ষ্যে কোন সাব-কন্ট্রাক্টর, এজেন্ট বা অন্যকোন সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন, সেইক্ষেত্রে উক্ত সেবা সরবরাহকারীর সাব-কন্ট্রাক্টর, এজেন্ট বা নিয়োগকৃত অন্যকোন সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তির নিকট হইতে, উক্ত সেবার উপর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর আদায় বা কর্তন এবং সরকারি ট্রেজারিতে জমা প্রদানের দালিলিক প্রমাণাদি উপস্থাপন সাপেক্ষে 133[মূল্য সংযোজন কর এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না বিধায়] পুনরায় উৎসে মূল্য সংযোজন কর আদায় করা যাইবে না; তবে, প্রকল্পের আওতায় পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।]
৫০। (১) উৎসে কর কর্তন করা হইলে, নিবন্ধিত ব্যক্তি উৎসে কর্তিত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ নির্ধারিত পদ্ধতিতে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন।
134[(২) যে কর মেয়াদে কোন সরবরাহের বিপরীতে মূল্য পরিশোধ করা হয়, সেই কর মেয়াদে বা সেই কর মেয়াদের 135[পরবর্তী ৩ (তিন) কর মেয়াদে] উক্ত সমন্বয় সাধন করিতে হইবে এবং উক্ত সময়ের পর সমন্বয় দাবী তামাদি হইবে।]
136[(৩) সরবরাহকারী উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা হইতে উৎসে কর কর্তন সনদপত্র গ্রহণ ব্যতীত হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন না। ]
137[৫১। প্রত্যেক নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি করযোগ্য সরবরাহের উপর যে তারিখে কর প্রদেয় হইবে সেই তারিখে বা তৎপূর্বে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি কর চালানপত্র জারি করিবেন।]
৫২। (১) ক্রেডিট বা ডেবিট নোটে নিম্নবর্ণিত তথ্যাবলী অন্তর্ভুক্ত থাকিতে হইবে, যথা:―
(ক) ডেবিট বা ক্রেডিট নোটের ক্রমিক নম্বর, ইস্যুর তারিখ ও সময়;
(খ) সরবরাহকারীর নাম, ঠিকানা ও ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা;
(গ) প্রাসঙ্গিক মূল কর চালানপত্রের ক্রমিক নম্বর, তারিখ ও সময়;
(ঘ) সমন্বয়ের প্রকৃতি;
(ঙ) মূসকের পরিমাণের উপর প্রভাব;
(চ) সরবরাহের উপর প্রদেয় মূসকের প্রভাব ৫,০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকার অধিক হইলে সরবরাহ গ্রহীতার নাম, ঠিকানা ও 138[ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)]; এবং
(ছ) সমন্বয় ঘটনার কারণে বৃদ্ধিকারী বা হ্রাসকারী সমন্বয়ের পরিমাণ সনাক্তকরণের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় তথ্য।
(২) কোন ক্রেডিট নোটে উপ-ধারা (১) এর দফা (চ) এ উল্লিখিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে, উক্ত ক্রেডিট নোট হ্রাসকারী সমন্বয় দাবীর সমর্থনে ব্যবহার করা যাইবে না।
139[৫৩। কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির নিকট হইতে উৎসে কর কর্তনকারী সত্তা কোন সরবরাহ গ্রহণের ক্ষেত্রে, উক্ত উৎস কর কর্তনকারী সত্তা তৎকর্তৃক উক্ত সরবরাহের বিপরীতে মূল্য পরিশোধের সময় বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উৎসে কর কর্তন সনদপত্র ইস্যু করিবেন।]
৫৫। (১) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য আমদানির উপর, বাংলাদেশে প্রস্ত্ততকৃত সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য সরবরাহের উপর এবং বাংলাদেশে সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য সেবা সরবরাহের উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপিত এবং প্রদেয় হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভোগের নিমিত্ত আমদানি না করিয়া রপ্তানির নিমিত্ত আমদানি করা হইলে, উক্ত পণ্যের আমদানির উপর কোন সম্পূরক শুল্ক আরোপিত হইবে না।
(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের তৃতীয় অধ্যায় এর অধীন শূন্যহার 140[বিশিষ্ট মূসক] আরোপযোগ্য পণ্য বা সেবা সরবরাহের উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপিত হইবে না।
(৪) প্রদেয় সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ হইবে-
(ক) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য কোন পণ্য বা সেবার উপর দ্বিতীয় তফসিলের কলাম (৪) এ কোন সম্পূরক শুল্ক হার সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকিলে, উক্ত পণ্য বা সেবার সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্যের সহিত উক্ত হার গুণ করিয়া নিরূপিত অর্থ; বা
(খ) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য কোন পণ্য বা সেবার উপর দ্বিতীয় তফসিলের কলাম (৪) এ সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকিলে, উক্ত পরিমাণ।
(৫) কোন সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বা সেবা সরবরাহের উপর কেবলমাত্র একটি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক প্রদেয় হইবে।
৫৭। সম্পূরক শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্যে পণ্য বা সেবার সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্য হইবে নিম্নরূপ, যথা:―
(ক) আমদানিকৃত সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে, 141[কাস্টমস আইনের] ধারা ২৫ বা ধারা ২৫(ক) এর অধীন আমদানি শুল্ক আরোপনীয় মূল্যের সহিত আমদানি শুল্ক 142[, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অন্যান্য শুল্ক] (যদি থাকে) যোগ করিয়া যে মূল্য হয় সেই মূল্য;
(খ) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বা সেবার সরবরাহের ক্ষেত্রে, পণ্য বা সেবার করযোগ্য সরবরাহের মূল্য হইবে ধারা ৩২ অনুযায়ী নির্ণীত মূল্য হইতে সম্পূরক শুল্ক বিয়োগ করিয়া:
তবে শর্ত থাকে যে, সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বা সেবা পণবিহীন বা অপর্যাপ্ত পণবিশিষ্ট হইলে, উহার সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্য হইবে উক্ত সরবরাহের কর-ভগ্নাংশ হ্রাসকৃত ন্যায্য বাজার মূল্য হইতে সম্পূরক শুল্ক বিয়োগ করিয়া; এবং
(গ) যে পণ্যের ক্ষেত্রে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে মূসক আরোপিত হইবে, সেই পণ্যের ক্ষেত্রে, ধারা ৫৮(২) এ বর্ণিত খুচরা মূল্য সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।
৫৮। (১) বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত 143[বা বাংলাদেশে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত] নিম্নবর্ণিত সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং আদায়ের উদ্দেশ্যে বোর্ড, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধানাবলী সাপেক্ষে, উক্ত পণ্যের প্রস্তুতকারকের জন্য আবশ্যকীয় বিশেষ পরিকল্প প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:―
(ক) তামাকজাত পণ্য বা উহার মিশ্রিত পণ্যসহ সমতুল্য অন্য কোন পণ্য; বা
(খ) মদ জাতীয় পানীয়, মদ জাতীয় পানীয়ের উপকরণ বা সমতুল্য অন্য কোন পণ্য।
(২) উক্ত বিশেষ পরিকল্প দ্বারা বোর্ড উক্ত পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং উক্ত মূল্য মূসক এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্য হিসাবে গণ্য হইবে।
(৩) উক্ত বিশেষ পরিকল্পে নিম্নবর্ণিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা:―
(ক) উক্ত পণ্যের মোড়ক, বোতল, পাত্র বা ধারকে বা উহার গায়ে নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য সম্বলিত স্ট্যাম্প, ব্যান্ডরোল বা বিশেষ চিহ্ন বা বিশেষ আকারের এবং ডিজাইনের ছাপ সংক্রান্ত বা অনুরূপ কোন বিষয়; এবং
(খ) উক্ত স্ট্যাম্প, ব্যান্ডরোল বা বিশেষ চিহ্ন বা ছাপের প্রস্ত্ততকরণ, অর্জন, বিতরণ, সংরক্ষণ, ব্যবহার, তদারকি, পর্যবেক্ষণ, হিসাব-নিকাশ, নিষ্পত্তিকরণ, ইত্যাদি সংক্রান্ত বা অনুরূপ কোন বিষয়।
৫৯। (১) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের উপর যে সময় ও পদ্ধতিতে আমদানি শুল্ক আদায় করা হয়, সেই একই সময় ও পদ্ধতিতে, সম্পূরক শুল্ক আদায় করিতে হইবে।
(২) এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, সম্পূরক শুল্ক আদায় এবং পরিশোধের উদ্দেশ্যে 144[কাস্টমস আইনের] বিধানাবলী (প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং অভিযোজনসহ) এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন আমদানির উপর প্রদেয় সম্পূরক শুল্ক একটি আমদানি শুল্ক।
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধানাবলীর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, 145[কাস্টমস আইনের] অধীন কোন পরিমাণ বন্ড বা গ্যারান্টির দাবী করা হইলে, উহা এমনভাবে হিসাব করিতে হইবে যেন প্রদেয় সম্পূরক শুল্ক আমদানি পণ্যের উপর একটি আমদানি শুল্ক।
146[৬১। (১) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য প্রস্তুতকারী কোন ব্যক্তি যদি তৎকর্তৃক সরবরাহকৃত পণ্যের পরিমাণের বিষয়ে নিরীক্ষাকালে যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট হিসাব প্রদান করিতে না পারেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির ঘোষিত উপকরণ-উৎপাদ সহগ এর ভিত্তিতে সরবরাহকৃত পণ্যের পরিমাণ নির্ণীত হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি পণ্যসমূহ ন্যায্য বাজার মূল্যে সরবরাহ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) যদি উক্ত পণ্য অগ্নিকান্ড বা অন্য কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহা হইলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশনারের নিকট আবেদন করিলে এবং উক্ত আবেদন বিবেচিত হইলে সেই ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক প্রদেয় হইবে না।]
147[৬২। সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের আমদানিকারক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে আমদানির উপর তৎকর্তৃক পরিশোধিত সম্পূরক শুল্কের হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন, যদি পণ্যটি কাস্টমস আইনের অধীন শুল্ক-করাদি প্রত্যর্পণের (Drawback) শর্তাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।]
৬৩। (১) তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তি তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রমের টার্নওভারের উপর 148[৪ (চার)] শতাংশ হারে টার্নওভার কর প্রদান করিবেন:
149[***]
(২) কোন তালিকাভুক্ত ব্যক্তির কোন কর মেয়াদে প্রদেয় টার্নওভার কর, উক্ত কর মেয়াদের দাখিলপত্র পেশ করিবার পূর্বে পরিশোধ করিতে হইবে।
(৩) প্রদেয় টার্নওভার কর নিরূপণ ও আদায় পদ্ধতি, হিসাবরক্ষণ, টার্নওভার কর প্রত্যর্পণ, ন্যায়-নির্ণয়ন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
150[(৪) তালিকাভুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক ক্রয়কৃত উপকরণের উপর পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর বা টার্নওভার কর রেয়াত গ্রহণ কিংবা হ্রাসকারী সমন্বয় করা যাইবে না।]
৬৪। (১) প্রত্যেক নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত বা নিবন্ধনযোগ্য বা তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তিকে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যেক কর মেয়াদের জন্য মেয়াদ সমাপ্তির অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করিতে হইবে 151[:
তবে শর্ত থাকে যে, ১৫ (পনেরো) তম দিবসে সরকারি ছুটি থাকিলে তৎপরবর্তী কার্যদিবসে দাখিলপত্র পেশ করিতে হইবে। ]
152[(১ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, দৈব-দুর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে, বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, আদেশ দ্বারা, উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য সুদ ও জরিমানা আদায় হইতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(১খ) উপ-ধারা (১ক) এ উল্লিখিত আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে।]
(২) মূসক দাখিলপত্রে সম্পূরক শুল্ক পরিশোধের তথ্যাদি অন্তর্ভুক্ত করিয়া উক্ত দাখিলপত্রে পেশ করিতে হইবে।
153[৬৮। (১) যদি কোন কর মেয়াদে উপকরণ কর এবং প্রাপ্য হ্রাসকারী সমন্বয়ের সমষ্টি, উৎপাদ কর, সম্পূরক শুল্ক এবং বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের সমষ্টিকে অতিক্রমের কারণে উক্ত কর মেয়াদে প্রদেয় নীট অর্থের পরিমাণ ঋণাত্মক হয়, তাহা হইলে অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ জের টানিতে হইবে এবং পরবর্তী ছয়টি কর মেয়াদে উক্ত অর্থ বিয়োজন করা যাইবে, তৎপরবর্তীতে অবশিষ্ট অর্থ এই ধারা অনুসারে ফেরৎ প্রদান করিতে হইবে।
(২) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তিকে পূর্ববর্তী কর মেয়াদ হইতে জের টানা অতিরিক্ত অর্থ নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে হ্রাসকারী সমন্বয় প্রদান করিতে হইবে-
(ক) সকল উৎপাদন করের পরিমাণ এবং এই ধারার অধীন প্রদত্ত সমন্বয় ব্যতীত অন্যান্য সমুদয় সমন্বয় হিসাবে লইয়া পরবর্তী কর মেয়াদে উক্ত মেয়াদের জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে;
(খ) যদি নিরূপিত অর্থের পরিমাণ ধনাত্মক হয়, তবে পূর্বের কর মেয়াদ হইতে জের টানা অতিরিক্ত অর্থের এমন অংশ হ্রাসকারী সমন্বয় প্রদান করিতে হইবে যাহাতে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ শূণ্যে হ্রাস পায়;
(গ) পূর্বের কর মেয়াদ হইতে জের টানা যে পরিমাণ অর্থ দফা (খ) এর অধীন সমন্বয় করা যাইবে না, উহা ততক্ষণ পর্যন্ত জের টানিতে হইবে, যতক্ষণ না-
(অ) কোন কর মেয়াদের জন্য জের টানা সমুদয় অতিরিক্ত অর্থ বিয়োজিত হয়; বা
(আ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য জের টানা অতিরিক্ত অর্থের আংশিক বা সমুদয় পরিমাণ ছয়টি কর মেয়াদ পর্যন্ত জের টানা হয়।
(৩) যদি ছয়টি কর মেয়াদ যাবৎ জের টানিবার পর অতিরিক্ত অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তাহা হইলে-
(ক) অতিরিক্ত অর্থের পরিমাণ (৫০,০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকার অধিক না হইলে উক্ত পরিমাণ শূণ্যে হ্রাস না পাওয়া পর্যন্ত উহার জের টানিতে হইবে; বা
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, উক্ত পরিমাণ অর্থ নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে আবেদন প্রাপ্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ফেরৎ প্রদান করিতে হইবে।]
৬৯। (১) ধারা ৬৮ এর বিধানাবলী সত্ত্বেও, কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির প্রদেয় অর্থের পরিমাণ ঋণাত্মক হইলে, তিনি উহা ফেরৎ পাওয়ার অধিকারী হইবেন, যদি কমিশনার নিশ্চিত হন যে,―
(ক) উক্ত ব্যক্তির টার্নওভারের ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ বা তদূর্ধ্ব তৃতীয় অধ্যায় এর অধীন শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ হইতে উদ্ভূত হয় বা হইবে;
(খ) উক্ত ব্যক্তির উপকরণ ব্যয়ের ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ বা তদূর্ধ্ব আমদানি বা অর্জন তৃতীয় অধ্যায় এর অধীন শূন্য করহার বিশিষ্ট সরবরাহ প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়;
154[(গ) উক্ত ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রকৃতির ফলে (যে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ধারা ৬৮ এর উপ-ধারা (২) প্রযোজ্য নহে) নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত উপকরণ কর রেয়াতের উদ্ভব হয়;
(ঘ) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পণ্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি পর্যায়ে উপকরণের উপর প্রদত্ত সম্পূরক শুল্ক হ্রাসকারী সমন্বয়যোগ্য হয় এবং উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্থানীয় সরবরাহ পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য সরবরাহ না করা হয়।]
(২) এই ধারার অধীন নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে অর্থ ফেরৎ লাভের জন্য আবেদন করা হইলে,―
(ক) অর্থের পরিমাণ অনূধর্ব ৫০,০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা হইলে, উক্ত অর্থ পরবর্তী কর মেয়াদে হ্রাসকারী সমন্বয় হিসাবে জের টানিতে হইবে; বা
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, আবেদনের তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে কমিশনার উক্ত অর্থ ফেরৎ প্রদান করিবেন।
৭১। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি-বিধানে উল্লিখিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে, 155[কমিশনার বা মহাপরিচালক] নিম্নবর্ণিত সরবরাহের উপর প্রদত্ত কর ফেরত প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:―
(ক) আপাতত: বাংলাদেশে বলবৎ কোন কনভেনশন বা অনুরূপ আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীন মূসক হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ; বা
(খ) বাংলাদেশে অধিষ্ঠিত বিদেশী রাষ্ট্রের কূটনৈতিক বা কনস্যুলার মিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রদত্ত সরবরাহ।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তির নিকট প্রদত্ত সরবরাহ অব্যাহতি প্রদান বা শূন্যহার বিশিষ্ট না করিয়া ফেরৎ প্রদানের মাধ্যমে কার্যকর করা হইবে।
৭২। 156[(১)] যদি কোন ব্যক্তি কোন কর মেয়াদের দাখিলপত্রে প্রদর্শিত প্রদেয় করের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণ কর পরিশোধ করেন, তাহা হইলে নির্ধারিত সময়সীমা, শর্ত ও পদ্ধতিতে উক্ত অর্থ ফেরত গ্রহণের জন্য আবেদন করা যাইবে বা পরবর্তী দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করা যাইবে।
157[(২) যদি কোনো অনিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক ভুলবশত কোন কর পরিশোধ করা হয়, তাহা হইলে যে কমিশনারেটের অর্থনৈতিক কোডে উক্ত কর জমা প্রদান করা হইয়াছে উক্ত কমিশনারেট নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত কর ফেরত প্রদান করিতে
পারিবে।]
৭৩। 158[(১) কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে তৎকর্তৃক প্রদেয় কর নির্ধারণের জন্য প্রাথমিক কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) যদি কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা দাখিলপত্র পরীক্ষা করিয়া দাখিলপত্রের যথার্থতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হন বা যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করেন যে,-
(অ) কোন দাখিলপত্রে উক্ত ব্যক্তি উৎপাদ কর, সম্পূরক শুল্ক বা বৃদ্ধিকারী বা হ্রাসকারী সমন্বয়ের বিষয়ে মিথ্যা ঘোষণা বা অসত্য বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন; বা
(আ)টার্নওভার কর দাখিলপত্রে উক্ত ব্যক্তি কোন কর মেয়াদে তাহার টার্নওভার সম্পর্কে মিথ্যা ঘোষণা প্রদান করিয়াছেন;
(খ) যদি উক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হন;
(গ) যদি উক্ত ব্যক্তি প্রদেয় কর পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন বা ফাঁকি প্রদান করেন বা পরিহার করেন; বা
(ঘ) যদি উক্ত ব্যক্তি অর্থ ফেরত লাভের বা প্রত্যর্পণ পাওয়ার অধিকারী না হওয়া সত্ত্বেও তাহার বরাবরে অর্থ ফেরত প্রদান বা প্রত্যর্পণ প্রদান করা হয়।]
159[(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন যে ব্যক্তির উপর কর নির্ধারণ করা হয় সেই ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারার অধীন কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে লিখিতভাবে উক্ত নোটিশের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করিলে তাহাকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে, অতঃপর উক্ত ব্যক্তির উত্থাপিত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সংশ্লিষ্ট কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তাউক্ত আপত্তি দাখিলের ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে, যাহার মধ্যে উক্ত ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত সময় অন্তর্ভুক্ত হইবে না বা কোন আপত্তি দাখিল না করা হইলে উক্ত উপ-ধারার অধীন নোটিশ জারির তারিখ হইতে ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে নোটিশ চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে চূড়ান্ত কর নির্ধারণ করিতে পারিবেন, যাহাতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের সহিত নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি উল্লেখ থাকিবে, যথা:-
(ক) কর নির্ধারণের কারণ, কর নির্ধারণের ফলে প্রদেয় করের পরিমাণ এবং যাহার ভিত্তিতে উক্ত পরিমাণ কর নির্ধারণ করা হইয়াছে উহার বিবরণ;
(খ) যে তারিখের মধ্যে কর প্রদান করিতে হইবে সেই তারিখ, তবে, উক্ত তারিখ নোটিশ জারির তারিখ হইতে কমপক্ষে ১৫ (পনের) কার্যদিবস পরে হইতে হইবে; এবং
(গ) কর নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করিবার স্থান ও সময়।]
160[(২ক) উপ-ধারা (১) ও উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কারণে উক্ত কর নির্ধারণ পরিস্থিতির উদ্ভব হইয়াছে উহাতে ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাঁকির উপাদান থাকিলে ধারা ৮৫ অনুযায়ী জরিমানা আরোপের বিষয়টি কর-র্নিধারণ সংক্রান্ত প্রাথমিক কারণ দর্শানো নোটিশে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে এবং উক্ত নোটিশ চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে কর নির্ধারণ চূড়ান্ত করিবার পাশাপাশি জরিমানা আরোপের বিষয়টিও চূড়ান্ত করা যাইবে।]
161[(৩) কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা কর মেয়াদ সমাপ্তির ৫ (পাঁচ) বৎসর, তবে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩ (তিন) বৎসরের অধিককাল পরে উল্লিখিত কর মেয়াদের জন্য সংশোধিত কর নির্ধারণসহ কোন কর নির্ধারণ করিতে পারিবেন না, যদি না-
(ক) নিবন্ধিত ব্যক্তি দাখিলপত্র পেশকরণে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা বা প্রতারণা করেন, কোন কর মেয়াদের জন্য দাখিলপত্র পেশ না করেন, বা কর মেয়াদে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য আবেদন করেন; বা
(খ) নিবন্ধিত ব্যক্তি কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোন তথ্য গোপন করেন, বিকৃত করেন বা মিথ্যা তথ্য প্রদানপূর্বক কর চালানপত্র ইস্যু করেন বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সকল বা অন্য কোন অপরাধ করেন; বা
(গ) আদালত বা আপীলাত ট্রাইব্যুনাল বা মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কার্যকরকরণের জন্য সংশোধিত কর নির্ধারণ প্রয়োজন হয়।]
(৪) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, এই ধারার কোন কিছুই 162[কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তাকে] কোন সুদ বা জরিমানা আরোপে ও আদায়ে বাধা সৃষ্টি করিবে না, যথা:―
(ক) প্রদেয় মূসক, সম্পূরক শুল্ক বা টার্নওভার কর পরিশোধের মূল ধার্য তারিখ হইতে হিসাব করিবার ক্ষেত্রে; বা
(খ) কোন ব্যক্তি অর্থ ফেরত লাভের অধিকারী না হওয়া সত্ত্বেও, যদি তাহাকে কোন অর্থ ফেরত প্রদান করা হয় এবং উপর্যুক্তভাবে ফেরত প্রদানকৃত অর্থ সমন্বয়ের নিমিত্ত কোন কর নির্ধারণের উদ্ভব হয়, তাহা হইলে যেই তারিখে উক্ত ব্যক্তিকে অর্থ ফেরত প্রদান করা হইয়াছিল, সেই তারিখ হইতে হিসাব করিবার ক্ষেত্রে।
163[(৫) দাখিলপত্র পরীক্ষায় উপকরণ কর রেয়াত বা হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের অনিয়ম উদঘাটিত হইলে সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া প্রদেয় করের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন।]
৭৪। (১) সরবরাহ গ্রহীতা কর্তৃক প্রতারণামূলক মিথ্যা বর্ণনার কারণে, যদি কোন সরবরাহকারী ভুলবশতঃ করযোগ্য সরবরাহকে শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ গণ্য করেন, তাহা হইলে 164[কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা] শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া বিলম্বে মূসক পরিশোধের ফলে প্রদেয় যেকোন সুদ বা জরিমানাসহ উক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রদেয় মূসক পরিশোধের লক্ষ্যে সরবরাহ গ্রহীতার বরাবরে কর ধার্য করিতে পারিবেন, এবং সরবরাহ গ্রহীতা নিবন্ধিত হউক বা না হউক উক্তরূপ কর নির্ধারণ, গ্রহীতা কর্তৃক প্রদেয় মূসক নির্ধারণ বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) 165[কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা] সরবরাহ গ্রহীতা বরাবরে প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নিম্নবর্ণিত বিষয় উল্লেখ করিয়া কর নির্ধারণ নোটিশ প্রেরণ করিবেন, যথা:―
(ক) কর নির্ধারণের কারণ;
(খ) কর নির্ধারণের ফলে প্রদেয় মূসকের পরিমাণ;
(গ) উক্ত মূসক প্রদেয় হইবার তারিখ; এবং
(ঘ) কর নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপীল করিবার স্থান ও সময়।
(৩) উপ-ধারা (১) এর কোনকিছুই 166[কমিশনারকে বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তাকে] সরবরাহকারীর নিকট হইতে উক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রদেয় মূসক, সুদ বা জরিমানা আদায় করিতে বাধা সৃষ্টি করিবে না এবং তিনি সরবরাহকারীর নিকট হইতে প্রদেয় পরিমাণের অংশবিশেষ এবং গ্রহীতার নিকট হইতে অংশবিশেষ আদায় করিতে পারিবেন।
(৪) সরবরাহ গ্রহীতা কর্তৃক প্রতারণা বা মিথ্যা বর্ণনার কারণে, যদি কোন সরবরাহকারী 167[কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা] বরাবরে মূসক, সুদ বা জরিমানা পরিশোধ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে সরবরাহকারী উক্তরূপ সরবরাহের জন্য গ্রহীতার নিকট হইতে উক্ত পরিমাণ অর্থ আদায় করিতে পারিবেন।
৭৫। (১) যেইক্ষেত্রে কোন অনিবন্ধিত ব্যক্তি কোন সরবরাহ গ্রহীতার নিকট পণ্য সরবরাহ করেন এবং কর চালানপত্র গণ্য করিয়া কোন মিথ্যা দলিল ইস্যু করেন, যাহা উক্ত সরবরাহকে একটি করযোগ্য সরবরাহ বলিয়া প্রতীয়মান করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত সরবরাহ করযোগ্য সরবরাহ বলিয়া গণ্য হইবে; এবং উক্ত ব্যক্তি নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে, সরবরাহের ক্ষেত্রে যেই হার প্রযোজ্য হইত সেই হারে কর আদায়যোগ্য হইবে:
তবে, শর্ত থাকে যে, যদি দলিলাদিতে উচ্চতর হার প্রদর্শিত বা অনুমিত হয়, তাহা হইলে উক্ত উচ্চতর হার প্রযোজ্য হইবে।
(২) 168[কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তা] উক্ত ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, তাহাকে নিবন্ধিত ব্যক্তি এবং উক্ত সরবরাহকে করযোগ্য সরবরাহ বিবেচনা করিয়া কর নির্ধারণ করিবেন।
৭৬। 169[(১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের অপব্যাখ্যা বা অপব্যবহার করিয়া কোন পরিকল্পের (scheme) মাধ্যমে কোন কর সুবিধা গ্রহণ করেন বা গ্রহণ করিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে কমিশনার করদাতাকে শুনানি প্রদান করিয়া নির্ধারিত ক্ষেত্র ও পদ্ধতিতে এমনভাবে কর সুবিধার যথার্থতা নিরূপণ, নির্ধারণ, রদকরণ বা হ্রাসকরণের জন্য যুক্তিযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং সুবিধা লাভকারী ব্যক্তির করদায়িতা নিরূপণ করিতে পারিবেন যেন বিশেষ প্রস্তাবটি গৃহীত হয় নাই বা কার্যকর হয় নাই।]
(২) এই ধারার উদ্দেশ্যে কোন কার্যধারা, চুক্তি, বন্দোবস্ত, প্রতিশ্রুতি, পরিকল্পনা, প্রস্তাব বা কার্যক্রম প্রকাশ্য বা নিহীত বা আইনসঙ্গতভাবে বলবৎযোগ্য হইক বা না হউক পরিকল্প (scheme) এর অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৭৭। (১) 170[চূড়ান্ত] কর নির্ধারণ নোটিশের মূল বা সত্যায়িত কপি কার্যধারায় চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে এমনরূপে গ্রহণযোগ্য হইবে যেন উক্ত কর নির্ধারণ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হইয়াছে এবং কর নির্ধারণ সম্পর্কিত কার্যক্রম ব্যতীত, কর নির্ধারণের সকল বিষয় এবং নির্ধারিত করের পরিমাণ যথার্থ বিবেচিত হইবে।
(২) কোন কর যাহা নির্ধারণ করা হইয়াছে বা কার্যকর করা হইয়াছে, উহা আকার ও প্রকারগত কারণে রদ করা যাইবে না বা বাতিল বা বাতিলযোগ্য বলিয়া গণ্য করা যাইবে না।
(৩) কোন কাজ না করা বা কোন ভুল-ক্রুটির কারণে কোন কর নির্ধারণ ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রভাবিত হইবে না, যদি কর নির্ধারণ এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং কর নির্ধারণের আওতাধীন ব্যক্তি বা যাহার উপর কর নির্ধারিত হইতে পারে তাহার নাম 171[উক্ত চূড়ান্ত নোটিশে] সাধারণ ধারণা অনুযায়ী উল্লিখিত হয়।
৭৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ থাকিবে যাহা বোর্ড, তদধীন এক বা একাধিক মূল্য সংযোজন কর দপ্তর এবং নিম্নবর্ণিত মূসক কর্মকর্তা সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:―
(ক) চীফ কমিশনার, মূল্য সংযোজন কর;
(খ) কমিশনার, মূল্য সংযোজন কর;
(গ) কমিশনার (আপীল), মূল্য সংযোজন কর;
(ঘ) কমিশনার (বৃহৎ করদাতা ইউনিট), মূল্য সংযোজন কর;
(ঙ) মহাপরিচালক, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল;
(চ) মহাপরিচালক, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর;
172[(চচ) মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি;]
173[(চচচ) মহাপরিচালক, শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তর;]
174[(ছ) অতিরিক্ত কমিশনার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা পরিচালক (সিআইসি), মূল্য সংযোজন কর;
(জ) যুগ্ম কমিশনার, যুগ্ম পরিচালক (সিআইসি) বা পরিচালক, মূল্য সংযোজন কর;]
(ঝ) উপ কমিশনার বা উপ-পরিচালক, মূল্য সংযোজন কর;
(ঞ) সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালক, মূল্য সংযোজন কর;
(ট) রাজস্ব কর্মকর্তা, মূল্য সংযোজন কর;
(ঠ) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, মূল্য সংযোজন কর; এবং
(ড) বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত অন্য কোন কর্মকর্তা।
175[(২) বোর্ড, আদেশ দ্বারা, মূসক কর্মকর্তাগণের নিয়োগ এবং আঞ্চলিক অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করিয়া এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি-বিধানের আওতায় তাহাদের দায়িত্ব, কর্তব্য, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সুনির্দিষ্ট করিতে পারিবে।]
(৩) বোর্ড, সমগ্র দেশ বা বিশেষ কোন অঞ্চলের জন্য বা একটি বিশেষ শ্রেণীর করদাতার জন্য, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এক বা একাধিক বৃহৎ করদাতা ইউনিট গঠন, উক্ত ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মূসক কর্মকর্তা নিয়োগ এবং উক্ত ইউনিটের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
176[(৪) বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন বিশেষায়িত কার্যক্রম (Special Function) সম্পন্নের লক্ষ্যে সরকারি গেজেটে প্রকাশিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা এক বা একাধিক বিশেষায়িত ইউনিট (Specialized Functional Unit) গঠন, উক্ত ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মূসক কর্মকর্তা নিয়োগ এবং উক্ত ইউনিটে কর্মরতদের দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও ভাতা নির্ধারণ করিতে পারিবে।]
177[৮১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, সদস্য (মূল্য সংযোজন কর), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড, আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, যেকোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার নাম ও পদবী উল্লেখপূর্বক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি-বিধানের অধীন কমিশনারের যে কোনো দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।
(৩) বোর্ডের ভিন্নতর নির্দেশ না থাকিলে, কমিশনার বা মহাপরিচালক অধস্তন যেকোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় তাহার যেকোন ক্ষমতা প্রয়োগের কর্তৃত্ব প্রদান করিতে পারিবেন।
(৪) কোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার অব্যবহিত উচ্চতর পদে চলতি দায়িত্বে পদায়ন করিলে তিনি উক্ত উচ্চতর পদের সকল দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।]
৮২। (১) মূসক কর্মকর্তাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন তাহাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও আনসারের যেকোন সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ, আবগারি, শুল্ক, আয়কর এবং মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী সকল সরকারি কর্মকর্তাসহ অন্য যেকোন 178[সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক, বীমা 179[, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম] 180[, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি] ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ সহায়তা প্রদানে বাধ্য থাকিবেন]।
(২) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন মূসক কর্মকর্তা, তাহাকে সহায়তা করিবার উদ্দেশ্যে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন সদস্য, কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তিকে যে কোন ব্যক্তির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব, ব্যাংক এ্যাকাউন্টের হিসাব বিবরণী, দলিলাদিসহ অন্য যেকোন তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সদস্য, কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা তলবকৃত তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
181[৮৩। (১) কমিশনার বা মহাপরিচালক এর নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ যে কোন মূসক কর্মকর্তা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন, যথা:¾
(ক) অর্থনৈতিক কার্যক্রমের স্থান, অঙ্গন, ঘরবাড়ি, যানবাহন, ইত্যাদিতে প্রবেশ, তল্লাশি এবং, ক্ষেত্রমত, জব্দকরণ ও আটক; এবং
(খ) অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিদর্শন ও উহার রেকর্ডপত্র, নথিপত্র, দলিলাদি ও হিসাব পরীক্ষাকরণ ও জব্দকরণ।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত স্থান কাহারও আবাসস্থল হইলে, উক্ত কর্মকর্তাকে উক্ত স্থানের স্বত্বাধিকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্বাবধানকারীকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে এবং সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ে উক্তরূপে প্রবেশ করা যাইবে না।
(৩) কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোন বিধান লংঘন করিলে, সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালক বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার মূসক কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।]
182[(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাজস্ব কর্মকর্তার নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তা তাঁহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তির উৎপাদনস্থল বা সরবরাহস্থল বা সেবা প্রদানস্থল বা ব্যবসায়স্থল পরিদর্শন এবং মজুদ পণ্য, সেবা, উপকরণ ও হিসাব পরীক্ষা করিতে পারিবেন।]
৮৪। (১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধান লংঘন করিয়া কোন পণ্য সরবরাহ করেন বা কোন সেবা প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত পণ্য, বা সেবা প্রদানের সহিত 183[সংশ্লিষ্ট পণ্য, দলিলাদি ও যানবাহন কমিশনার বা মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আটক,] জব্দ ও নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন।
(২) কোন কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকা অবস্থায় উপ-ধারা (১) এর অধীন জব্দকৃত পণ্য কমিশনার উহার মালিক বা প্রতিনিধির অনুকূলে নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে অন্তবর্তীকালীন ছাড় প্রদান করিতে পারিবেন।
৮৫। (১) নিম্নবর্ণিত সারণীর কলাম (২) এ বর্ণিত 185[ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে] 186[ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা] কলাম (৩) এ বর্ণিত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, যথা:-
সারণী
ক্রমিক নং
|
ব্যর্থতা বা অনিয়ম
|
জরিমানার পরিমাণ
|
(১) |
(২) |
(৩) |
(ক) |
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(খ) |
নিবন্ধন বা টার্নওভার কর সনদপত্র যথাস্থানে প্রদর্শন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(গ) |
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে কমিশনারকে অবহিত না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(ঘ) |
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি বাতিলের আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(ঙ) |
ধারা ৯(৫) এর বিধান পরিপালন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(চ) |
নির্ধারিত তারিখের মধ্যে মূসক বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
187[৫ (পাঁচ)] হাজার টাকা মাত্র |
(ছ) |
দাখিলপত্রে উৎপাদ করের কোন পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
অনুল্লেখিত উৎপাদ করের 188[অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ]; |
(জ) |
দাখিলপত্রে প্রাপ্য উপকরণ করের রেয়াত অধিক গ্রহণ করিবার অনিয়ম; |
অনিয়মিতভাবে গৃহীত উপকরণ করের 189[অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ] |
(ঝ) |
দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয়ের পরিমান বৃদ্ধি করিবার বা বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমান হ্রাস করিবার অনিয়ম; |
বর্ধিত হ্রাসকারী সমন্বয়ের দ্বিগুণ বা হ্রাসকৃত বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের 190[অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ]; |
(ঞ) |
কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট 191[***] বা উৎসে কর কর্তন সনদপত্র প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(ট) |
রেকর্ডপত্র নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(ঠ) |
নির্ধারিত জামানত প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; |
১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র |
(ড) |
আরোপিত কর নিরূপণ ও পরিশোধ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিহার বা পরিহারের চেষ্টা করিবার অনিয়ম; |
পরিহারকৃত করের 192[অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ]। |
193[(ঢ)
|
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপকরণ-উৎপাদ সহগ (Input-Output coefficient) দাখিল না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; | ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র 194[***] |
195[ (ণ) | অব্যাহতি প্রাপ্ত পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে আইনের ধারা ৫১, ৫৩, ৫৪, ৬৪ ও ১০৭ এ উল্লিখিত বিধান পরিপালন করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; | ১ (এক) লক্ষ টাকা মাত্র।] |
196[১ক) ধারা ৪৯ এর বিধান অনুযায়ী উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন এবং জমা প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী উক্ত ধারার অধীন উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে,-
(অ) ধারা ১২৭ অনুযায়ী আরোপিত সুদসহ উক্ত মূল্য সংযোজন কর তাহার নিকট হইতে এইরূপে আদায় করা হইবে যেন তিনি উক্ত ধারার অধীন একজন পণ্য বা সেবা সরবরাহকারী;
(আ) দফা (অ) এর বিধানাবলী ক্ষুন্ন না করিয়া উৎসে কর্তিত মূল্য সংযোজন কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী ব্যক্তি, কর্তিত মূল্য সংযোজন কর জমা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কমিশনার অনধিক ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা ব্যক্তিগত জরিমানা করিতে পারিবেন।]
(২) অপরাধ বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত 197[ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকি] ব্যতীত যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান অনুযায়ী করণীয় কোন কিছু করিতে ব্যর্থ হন বা নিষিদ্ধ কিছু করেন, তাহা হইলে 198[ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা] উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত ব্যর্থতা বা কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব ও পৌন:পুনিকতাভেদে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও পরিমাণে, জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
199[(২ক) কোন ব্যক্তি ভুলবশত বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে কর পরিশোধ না করিলে বা কর অনাদায়ী থাকিলে বা কর ফেরত গ্রহণ করিলে বা অধিক রেয়াত গ্রহণ করিলে বা যথাযথভাবে হ্রাসকারী/বৃদ্ধিকারী সমন্বয় না করিলে এবং পরবর্তীতে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নিরূপিত চূড়ান্ত কর সুদসহ পরিশোধ করিলে, উক্ত ক্ষেত্রে তাহার উপর কোন জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।]
(৩) কোন ঘটনায় অপরাধ ও ব্যর্থতা বা অনিয়মের উপাদান থাকিলে অপরাধের জন্য ফৌজদারী মামলা এবং ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য কার্যধারা গ্রহণে এই আইনের কোন কিছুই 200[ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তাকে] বাধাগ্রস্থ করিবে না।
201[(৪) ধারা ৮৬ এ উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা জরিমানা আরোপের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে, উপ-ধারা (১) এর সারণীর (১) নং কলামের ক্রমিক নং (চ) এর ক্ষেত্র ব্যতীত, ধারা ৭৩ অনুযায়ী প্রদানকৃত কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে বা পৃথক নোটিশের মাধ্যমে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন।]
202[(৪ক) কোন প্রতিষ্ঠানের কোন সরবরাহ না থাকিবার কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি সাময়িকভাবে বন্ধ হইয়া যায় এবং প্রতি কর মেয়াদান্তে দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর পুনরায় উক্ত প্রতিষ্ঠান চালু হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ এবং পুনরায় চালু হইবার মধ্যবর্তী কর মেয়াদ বা কর মেয়াদসমূহের দাখিলপত্র পেশের ব্যর্থতার জন্য উপ-ধারা (১) এর সারণীর (১) নং কলামের ক্রমিক নং (চ) এ উল্লিখিত জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।]
(৫) মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর, সুদ ও অর্থদণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে জরিমানা প্রদেয় হইবে।
203[৮৬। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বা করারোপ ও আদায়ের লক্ষ্যে―
(ক) আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস কর্মকর্তাগণ কাস্টমস আইন এর অধীন কার্যধারা গ্রহণ করিবেন; এবং
(খ) পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, মূসক কর্মকর্তাগণ এই আইনের অধীন, নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত আর্থিক ক্ষমতা সাপেক্ষে, কার্যধারা গ্রহণ করিবেন, যথা:-
204[সারণী
ক্রমিক নং |
কর্মকর্তা |
ক্ষমতা |
(১) |
(২) |
(৩)
|
(ক) |
কমিশনার |
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য ১ (এক) কোটি টাকার অধিক হইলে;
|
(খ) |
অতিরিক্ত কমিশনার |
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা হইলে;
|
(গ) |
যুগ্ম কমিশনার |
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা হইলে;
|
(ঘ) |
উপ-কমিশনার |
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা হইলে;
|
(ঙ) |
সহকারী কমিশনার |
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা হইলে;
|
(চ) |
রাজস্ব কর্মকর্তা |
পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা হইলে;
|
]
তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল কার্যধারার বিষয়বস্তুর সহিত কোন আর্থিক সংশ্লেষ নাই বা অনিয়ম সংক্রান্ত, সেই সকল কার্যধারা 205[সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কোন কর্মকর্তা] কর্তৃক নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
ব্যাখ্যা।- এই টেবিলে বর্ণিত “পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য” নির্ধারণের ক্ষেত্রে, আটককৃত পণ্য বা সেবা বহনকারী যানবাহনের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
(২) প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা এই ধারার অধীন গৃহীত প্রত্যেক কার্যধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন।]
206[(৩) যদি কোন ব্যক্তি তৎকর্তৃক 207[ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে] সংক্ষিপ্ত ন্যায় নির্ণয়ন এর আবেদন করেন, তবে সে ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি এ শুনানী গ্রহণ ব্যতিরেকে উক্ত ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে পারিবেন।]
208[৮৮। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার প্রয়োগ ও কার্যকরকরণার্থ কাস্টমস কর্মকর্তাগণের নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
(ক) করযোগ্য আমদানির উপর আরোপিত মূসক ও আগাম কর আদায়; এবং
(খ) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য আমদানির উপর প্রদেয় সম্পূরক শুল্ক আদায়।
(২) আমদানি পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে কাস্টমস আইন দ্বারা কাস্টমস কর্মকর্তা যেইরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন সেইরূপ ক্ষমতা এই আইনের অধীন আমদানি পণ্যের উপর মূসক, সম্পূরক শুল্ক এবং আগাম কর আরোপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।]
209[৮৯ক। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কাস্টমস আইন বা Excises and Salt Act, 1944 (Act No. I of 1944) এবং উহার অধীন প্রণীত বিধিমালার যে কোন বিধান প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সহকারে এই আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে।]
৯০। (১) কর ফাঁকি রোধকল্পে কমিশনার বা মহাপরিচালক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন যেকোন ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের যাবতীয় বিষয় নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান করিতে পারিবেন।
(২) বোর্ড, উক্ত নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বিধি প্রণয়ন এবং অডিট ম্যানুয়্যাল প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে।
(৩) কমিশনার বা মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত মূসক কর্মকর্তা 210[***] নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া কমিশনার বা মহাপরিচালক বরাবরে নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে, নিরীক্ষিত কর মেয়াদে করদাতার প্রদেয় করের দায়-দায়িত্ব উদঘাটিত হইলে, কমিশনার বা মহাপরিচালক উক্ত করদায় নির্ধারণ করিবেন, এবং অপরিশোধিত করের উপর প্রযোজ্য সুদ উল্লেখ করিয়া উহা আদায়ের জন্য পরবর্তী কার্যধারা গ্রহণের নিমিত্ত উহা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
211[(৫) ধারা ৭৩ এ যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কমিশনার কর মেয়াদ সমাপ্তির ৩ (তিন) বৎসরের অধিককাল পূর্বের কোন কর মেয়াদের জন্য কোন বকেয়া কর দাবি করিতে পারিবেন না।]
212[৯০ক। কোন নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানী পূর্ববর্তী বছরের ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্বলিত বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী চলমান অর্থ-বছরের প্রথম ছয় কর মেয়াদের মধ্যে কমিশনারের নিকট দাখিল করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট কমিশনার উক্ত কোম্পানীর আবেদনের ভিত্তিতে উক্ত সময়সীমা যৌক্তিক কারণ বিবেচনাপূর্বক আরো ছয় কর মেয়াদ পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।]
৯১। (১) 213[কমিশনার বা মহাপরিচালক এর নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালকের পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন] মূসক কর্মকর্তা অনুমোদিত উদ্দেশ্যে, নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে, যেকোন ব্যক্তির নিকট নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি দাবী করিতে পারিবেন, যথা:―
(ক) নিরীক্ষা এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন ব্যক্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য; বা
(খ) কোন ব্যক্তির কর্তৃত্বে থাকা দলিলাদি বা সাক্ষ্য-প্রমাণ।
(২) উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তার নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা:-
(ক) যেকোন রেকর্ডপত্রের প্রতিলিপি করিবার;
(খ) যেকোন রেকর্ড নির্ধারিত পদ্ধতিতে, জব্দ করিবার;
(গ) যেকোন রেকর্ড বা পণ্য সীল করিবার; এবং
(ঘ) নির্ধারিত ক্ষেত্রে ও পদ্ধতিতে, যেকোন ব্যক্তির ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ব্যবস্থা গ্রহণের।
(৩) 214[উক্ত] ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক কোন রেকর্ড, দলিলপত্র বা পণ্য জব্দ করিবার ক্ষেত্রে, উহা যাহার নিকট হইতে জব্দ করা হইয়াছে তাহার নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
215[***]
(৫) এই অধ্যায়ের কোন বিধানবলে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অনুসন্ধানমুক্ত কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা, কূটনৈতিক ভবন, কনস্যুলার বা বিদেশী রাষ্ট্রের মিশনসমূহে প্রবেশ ও তল্লাশি করা যাইবে না।
ব্যাখ্যা: এই ধারায় ‘‘অনুমোদিত উদ্দেশ্য’’ অর্থ―
(ক) কোন ব্যক্তির করদায় নির্ধারণের লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ;
(খ) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কর সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ;
(গ) কর ফাঁকি উদঘাটন; বা
(ঘ) এই আইনের বিধানাবলী পরিপালন নিশ্চিতকরণ।
৯২। (১) যেক্ষেত্রে কোন করদাতা 216[কর] ফাঁকির উদ্দেশ্যে এই আইনের বিধানাবলী পরিপালন না করেন, সেইক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক আদিষ্ট মূসক কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত করদাতার প্রকৃত করদায় নির্ধারণের লক্ষ্যে, তাহার 217[কর] আরোপযোগ্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট যেকোন স্থানে তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ এবং নজরদারী করিতে পারিবেন।
(২) উক্ত মূসক কর্মকর্তা উল্লিখিত করদাতার করদায় নির্ধারণের উদ্দেশ্যে যাবতীয় তথ্যাবলী উল্লেখ করিয়া কমিশনারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদন এবং এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন সংগৃহীত তথ্যাবলীর ভিত্তিতে, কমিশনার করদাতাকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া করদাতার প্রকৃত করদায় নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
৯৫। (১) মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর, সুদ, অর্থদণ্ড বা জরিমানার কোন অর্থ খেলাপি করদাতা কর্তৃক প্রদেয় হইলে, কমিশনার উক্ত বকেয়া কর খেলাপি করদাতার নিকট হইতে আদায় করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।
218[(১ক) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশনার 219[সহকারী কমিশনার]পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন 220[এক বা একাধিক] মূসক কর্মকর্তাকে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা (Debt Recovery Officer – DRO) হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বকেয়া কর আদায় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।]
(২) বকেয়া কর প্রদেয় বলিয়া গণ্য হইবে, যদি―
(ক) বকেয়া করের পরিমাণ দাখিলপত্রে প্রদেয় হিসাবে প্রদর্শিত হয় এবং উহা অপরিশোধিত থাকে;
(খ) খেলাপি করদাতার উপর জারিকৃত কর নির্ধারণী 221[নোটিশে বা সার্টিফিকেটে] বকেয়া করের পরিমাণ প্রদর্শিত হয় এবং খেলাপি করদাতা 222[নোটিশে বা সার্টিফিকেটে] উল্লিখিত সর্বশেষ তারিখে উহা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন; বা
(গ) এই আইনের অধীন কোন কার্যক্রম নিষ্পত্তির ফলে কোন বকেয়া কর প্রদেয় হয় ।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন খেলাপি করদাতা কর্তৃক বকেয়া কর প্রদেয় হইলে, উহা আদায়ের লক্ষ্যে কমিশনার 223[বা বকেয়া আদায় কর্মকর্তা] খেলাপি করদাতার বরাবরে নোটিশ প্রেরণ করিবেন।
(৪) বকেয়া কর আদায়ের কার্যধারায়, বকেয়া করের দায় ও পরিমাণ প্রমাণের ক্ষেত্রে, উক্ত নোটিশ 224[বা সার্টিফিকেট] চূড়ান্ত প্রামাণ্য দলিল (conclusive proof) বলিয়া গণ্য হইবে।
(৫) বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে 225[কমিশনার বা বকেয়া আদায় কর্মকর্তা] নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন, যথা:-
(ক) খেলাপি করদাতার কোন অর্থ কোন আয়কর, শুল্ক, মূসক বা আবগারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিলে, উহা হইতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে বকেয়া কর কর্তন করিবেন;
(খ) খেলাপি করদাতার অর্থ অপর কোন ব্যক্তি বা সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের নিকট থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি বা ব্যাংকে পরিশোধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন;
(গ) খেলাপি করদাতার ব্যবসা অঙ্গন হইতে কোন পণ্য বা সেবার সরবরাহ বন্ধের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন;
(ঘ) খেলাপি করদাতার আমদানিকৃত পণ্য খালাস বন্ধের লক্ষ্যে শুল্ক ভবনের বিল অব এন্ট্রি (Bill of Entry) প্রক্রিয়াকরণ সিস্টেমে ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা বন্ধ (lock) করিতে পারিবেন;
(ঙ) খেলাপি করদাতার ব্যাংক হিসাব নির্ধারিত পদ্ধতিতে অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন;
(চ) খেলাপি করদাতার ব্যবসা অঙ্গন তালাবদ্ধ করিয়া রাখিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন বা নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে তালাবদ্ধ করিতে পারিবেন;
(ছ) খেলাপি করদাতার যেকোন স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিক্রয়ের মাধ্যমে বকেয়া কর আদায় করিতে পারিবেন; বা
(জ) খেলাপি করদাতার কোন জিম্মাদারের নিকট হইতে নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে জামানত গ্রহণ করিতে পারিবেন 226[;
227[(ঝ) উক্ত কর সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত খেলাপি করদাতার ব্যবসা অঙ্গনের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিতে পারিবেন।]
(৬) 228[কাস্টমস কমিশনার] কর্তৃক বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক যে পদ্ধতিতে আদায় করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে উক্ত বকেয়া কর আদায় করিতে হইবে।
১০৭। (১) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির করদায় এবং অন্যান্য দায়দেনা নিরূপণের সুবিধার্থে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত নির্ধারিত উপায় ও পদ্ধতিতে করদাতা তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রমের হিসাবাদি, দলিলপত্র এবং অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর পরিধিকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, সংরক্ষিত রেকর্ডপত্র এবং হিসাবাদির মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা:-
(ক) করযোগ্য বা কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত নির্বিশেষে পণ্য, সেবা বা স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের বিবরণী, এবং তৎসংশ্লিষ্ট চালানপত্র;
(খ) পণ্য, সেবা বা স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় সংক্রান্ত বিবরণী;
(গ) কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট এবং উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক ইস্যুকৃত এবং প্রাপ্ত 229[***] কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র;
(ঘ) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পণ্য আমদানি বা রপ্তানি সংশ্লিষ্ট শুল্ক দলিলপত্র;
(ঙ) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রস্ত্ততকৃত পণ্য কোন নির্দিষ্ট সময়ে যেই মূল্যে সরবরাহ করা হয় সেই মূল্য, পণ্যের উপকরণ-উৎপাদ সম্পর্ক বা সহগ (input-output coefficient) , এবং উক্ত পণ্যের উপর প্রস্তুতকারক কর্তৃক প্রদত্ত মূল্যছাড় বা রেয়াত সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র;
(চ) সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য সেবা সরবরাহ বা সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্যের প্রস্তুতকরণ এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র;
(ছ) কর জমা প্রদানের সমর্থনে ট্রেজারি চালান এবং ট্রেজারি চালান ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতিতে কর জমা প্রদান করা হইয়া থাকিলে উক্তরূপ জমা প্রদানের সমর্থনে দালিলিক প্রমাণাদি;
(জ) প্রতিটি কর মেয়াদের দাখিলপত্র; এবং
(ঝ) নির্ধারিত অন্য কোন দলিলাদি বা রেকর্ডপত্র।
230[(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত সময়ের পরেও অনিষ্পন্ন কোন কার্যধারা-সংশ্লিষ্ট দলিলাদি কার্যধারাটি নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে।]
১১১। 231[(১) যদি কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে-
(ক) জাল বা ভুয়া ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা সম্বলিত মূসক নিবন্ধন সনদপত্র বা টার্নওভার কর সনদপত্র বা কর চালানপত্র এবং উৎসে কর কর্তন সনদপত্র তৈরী বা ব্যবহার করেন; বা
(খ) জাল বা ভুয়া কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট, উৎসে কর কর্তন সনদপত্র তৈরী বা ব্যবহার করেন; বা
(গ) জাল বা ভুয়া বা পুনঃব্যবহৃত স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ বা ব্যবহার করেন অথবা উক্ত কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেন; বা
(ঘ) জাল বা ভুয়া বা পুনঃব্যবহৃত স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোলযুক্ত কোন পণ্য উৎপাদন, গুদামজাতকরণ, পরিবহন, বিপণন বা বিক্রয় করেন অথবা উক্ত কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেন; বা
(ঙ) ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প ব্যবহার করিবার বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এমন কোন পণ্য ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প বিহীন উৎপাদন, গুদামজাতকরণ, পরিবহন, বিপণন বা বিক্রয় করেন অথবা উক্ত কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেন; বা
(চ) অন্যকোন উপায়ে প্রদেয় কর ফাঁকি প্রদান করেন; বা
(ছ) উক্ত ব্যক্তি প্রাপ্য না হওয়া সত্ত্বেও কর ফেরত দাবি করেন;
তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা প্রদেয় করের সমপরিমাণ অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।]
232[(২) কোন ব্যক্তি অনলাইনে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি গ্রহণের আবেদনের সময় কোন ভুল বা অসত্য তথ্য প্রদান করিলে, উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।]
233[১২১। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন অতিরিক্ত কমিশনার বা তৎনিম্ন পদধারী মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা কোন করদাতা বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ জারির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।
(২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবিকৃত 234[করের, জরিমানা ব্যতীত,] 235[১০ (দশ)] শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, যদি কমিশনার (আপীল) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যুক্তিসঙ্গত কারণে উপরি-উক্ত ৯০ (নব্বই) দিন মেয়াদের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত পদ্ধতিতে পক্ষগণকে যথাযথ শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসরের মধ্যে আপীল কার্যক্রম নিষ্পত্তি করিবেন।
(৪) কমিশনার (আপীল) তর্কিত আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা পরিবর্তন করিতে বা বাতিল করিতে অথবা তিনি যেইরূপ সঙ্গত মনে করিবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে (de novo) তিনি কার্যধারাটি পুনর্বিবেচনার জন্য রিমান্ডে প্রেরণ করিতে পারিবেন না।
(৫) আপীল নিষ্পত্তি করিবার প্রয়োজনে কমিশনার (আপীল), নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে, তর্কিত বিষয়ে অধিকতর নিরীক্ষা, তদন্ত অনুষ্ঠান, তথ্য সংগ্রহ বা কার্যধারার যথার্থতা যাচাই করিতে পারিবেন।
(৬) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আপীলটি কমিশনার (আপীল) কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।]
236[১২২। (১) কমিশনার বা কমিশনার (আপীল) বা মহাপরিচালক বা সমমর্যাদার কোন মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত দ্বারা কোন ব্যক্তি বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, তর্কিত সিদ্ধান্ত বা আদেশ জারীর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন 237[:
238[তবে শর্ত থাকে যে, প্রেসিডেন্ট, আপীলাত ট্রাইব্যুনাল যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যুক্তিসংগত কারণে উক্ত ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা হইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।]
239[(২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবীকৃত 240[করের, জরিমানা ব্যতীত,] 241[১০ (দশ)] শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে:
তবে উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এ আপীল দায়ের করা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে তাহার উপর 242[দাবীকৃত করের, জরিমানা ব্যতীত,] কোনো অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না;]
(৩) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল আপীলের পক্ষগণের শুনানি গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন কর আদায়ের স্থগিতাদেশসহ যেইরূপ সঙ্গত এবং সমীচীন মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৪) কর আদায় স্থগিতকরণ সংক্রান্ত আপীলাত ট্রাইব্যুনালের যেকোন অন্তবর্তীকালীন আদেশ, উহা প্রদানের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত হইবার পরের দিবসে অকার্যকর হইবে, যদি না কার্যধারাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পন্ন করা হয়, বা উহার পূর্বে আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক অন্তর্বর্তী আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
(৫) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল ২ (দুই) বৎসর সময়সীমার মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে আপীলটি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
243[(৫ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, মহামারী, দৈব-দূর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে সরকার উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আপীল নিষ্পত্তির সময়সীমা আদেশ দ্বারা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(৫খ) উপ-ধারা (৫ক) এ উল্লিখিত সময়সীমা বৃদ্ধির আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে।]
(৬) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এবং উহার বেঞ্চসমূহের কর্মপদ্ধতি উক্ত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
(৭) আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম Penal Code (Act No. XLV of 1860) এর ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর অধীন বিচার বিভাগীয় কার্যধারা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।]
১২৪। (১) বোর্ড বা আপীলাত ট্রাইব্যুনালের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা কমিশনার বা মহাপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তা, উক্ত আদেশের আইনগত প্রশ্নে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে 245[আপিলের] আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন।
(২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত 246[আপিলের] বিষয়ে, যতদূর সম্ভব দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে 247[আপিলের] আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৫ প্রযোজ্য হইবে।
(৪) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে 248[আপিলের] আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, তাহাকে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত প্রদেয় 249[করের, জরিমানা ব্যতীত,] ১০ (দশ) শতাংশ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে।
১২৫। (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন করদাতা নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্ত বা সময়ে কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত প্যানেল হইতে তৎকর্তৃক নির্বাচিত কোন সহায়তাকারীর নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং সহায়তাকারী নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্তে বা সময়ে উক্ত বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য, সময়ে সময়ে, এক বা একাধিক মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেট নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(৩) কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হইলে, উক্ত সমঝোতার বিরুদ্ধে কোন আদালতে আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না এবং যেসকল বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হইবে না, সেই সকল বিরোধের ক্ষেত্রে, এই আইনের বিধানানুযায়ী পুনরায় কার্যধারা গ্রহণ করিতে হইবে।
(৪) কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, উক্ত পন্থা অবলম্বনের জন্য ব্যয়িত সময়কাল আপীল দায়েরের সময়সীমা গণনায় অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
ব্যাখ্যা: এই ধারায়, ‘‘বিরোধ’’ অর্থ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির প্রয়োগ হইতে উদ্ভূত কোন বিরোধ; কিন্তু 250[জালিয়াতি বা ফৌজদারি] অপরাধ বা আইনগত প্রশ্ন জড়িত রহিয়াছে এমন বিরোধ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
251[১২৬। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, যে কোন পণ্য বা পণ্য শ্রেণির আমদানি বা সরবরাহ বা প্রদত্ত যে কোন সেবাকে এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক 252[বা আগাম কর ] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড, বিশেষ আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে কোন আন্তর্জাতিক চুক্তি বা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি পারস্পরিক ভিত্তিতে (reciprocal basis) বাস্তবায়নের জন্য, যে কোন পণ্যের আমদানি, সরবরাহ গ্রহণ বা সেবা গ্রহণকে এই আইনের অধীনে আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক 253[বা আগাম কর ] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) বোর্ড, বিশেষ আদেশবলে প্রত্যেক ক্ষেত্রে কারণ উল্লেখপূর্বক, করযোগ্য যে কোন পণ্যের আমদানি বা সরবরাহ বা প্রদত্ত সেবাকে এই আইনের অধীনে আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক 254[বা আগাম কর ] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।]
255[১২৬ক। (১) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে, পদ্ধতিতে এবং সীমা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে পুরস্কার ও কর্মদক্ষতা প্রণোদনা প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) এমন কোন ব্যক্তি যিনি এই আইন বা তদধীনে প্রণীত বিধিমালার বিধান লঙ্ঘনের বিষয়ে বা তদধীনে আদায়যোগ্য কর বা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বা উহার প্রচেষ্টার ব্যাপারে মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে তথ্য সরবরাহ করেন এবং প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁকিকৃত সমুদয় রাজস্ব বা তাহার অংশ বিশেষ আদায় হয়;
(খ) এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা অন্য কোন সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যিনি, এই আইন বা তদধীনে প্রণীত বিধিমালার অধীন আদায়যোগ্য কর বা রাজস্ব ফাঁকি বা উহা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা বা উক্ত আইনের কোন বিধানের লঙ্ঘন চিহ্নিত বা উদঘাটন করেন এবং তৎপ্রেক্ষিতে চিহ্নিতকরণ বা উদঘাটনের ফাঁকিকৃত রাজস্ব আদায় হয়; বা
(গ) এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা অন্য কোন সরকারি সংস্থা বা সরকারের জন্য কাজ করেন এমন কোন ব্যক্তি যিনি এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য কর দফা (ক) ও (খ) এ বর্ণিত পদক্ষেপ ব্যতিরেকে অন্য কোনভাবে আদায় করেন।
(২) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে, পদ্ধতিতে এবং সীমা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে কর্মদক্ষতা প্রণোদনা প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) আইনের ধারা ৭৮ এ বর্ণিত কোন কর্মকর্তা; বা
(খ) আইনের ধারা ৭৮ এর উপ-ধারা (১) এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত মূসক দপ্তরে কর্মরত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।]
১২৭। (১) যদি কোন ব্যক্তি নির্ধারিত তারিখে বা উক্ত তারিখের পূর্বে, 256[কমিশনার বা ধারা ৮৬ এর সারণীতে বর্ণিত যথোপযুক্ত কর্মকর্তার] নিকট প্রদেয় কর পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তাহাকে নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিন হইতে পরিশোধের দিন পর্যন্ত প্রদেয় করের পরিমাণের উপর 257[মাসিক ১ (এক) শতাংশ] সরল হারে সুদ পরিশোধ করিতে হইবে258[:
তবে শর্ত থাকে যে, উৎসে মূসক কর্তনজনিত বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় করের পরিমাণের উপর ষান্মাসিক ২ (দুই) শতাংশ সরলহারে সুদ পরিশোধ করিতে হইবে।
259[ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারায়, “পরিশোধের দিন পর্যন্ত” অর্থ নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিন হইতে নিষ্পন্নাধীন সময়সহ পরিশোধের দিন পর্যন্ত, তবে ২৪ (চব্বিশ) মাসের অধিক নহে।]
(২) যে পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে প্রদেয় কর আদায় করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে কমিশনার তাহার নিকট হইতে সুদ আদায় করিবেন।
(৩) কোন ব্যক্তি কর্তৃক সুদসহ করের কোন পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিবার পর, যদি প্রমাণিত হয় যে, সুদের সহিত সংশ্লিষ্ট অর্থ প্রদেয় ছিল না, তাহা হইলে উক্ত অর্থের উপর পরিশোধিত সুদ তাহাকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
(৪) অর্থদণ্ড বা জরিমানার অতিরিক্ত হিসাবে উক্ত সুদ প্রদেয় হইবে।
260[১২৭ক। যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির দেউলিয়াত্ব অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব বিলোপ বা অন্যকোন কারণে এইরূপ নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর ধার্যকৃত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক কিংবা আরোপিত কোন অর্থদন্ড কিংবা এই আইন বা তদঅধীনে প্রণীত বিধিমালার অধীনে সম্পাদিত কোন মুচলেকা বা অন্যকোন দলিলের অধীনে দাবিকৃত কোন অর্থ এই আইনের ধারা ৯৫ এর অধীনে আদায় করা সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে সরকার উক্ত সরকারি পাওনা আংশিক বা সমুদয় অংশ বিধি দ্বাধা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবলোপন (Write off) করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি পাওনা অবলোপনের পর যদি প্রমাণ থাকে যে, দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পত্তি নূতনভাবে উদ্ভব হইয়াছে বা ইতঃপূর্বে সরকারি অর্থের দায়-দেনা হইতে মুক্ত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বীয় সম্পত্তি অসৎ উদ্দেশ্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করিয়া দেউলিয়া হইয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত সম্পত্তির উপর সরকারি পাওনা আদায়ের নিমিত্তে অগ্রাধিকার সৃষ্টি হইবে এবং তাহা এমনভাবে আদায়যোগ্য হইবে যেন নূতনভাবে উদ্ভূত বা অসৎ উদ্দেশ্যে হস্তান্তরিত সম্পত্তির গ্রহীতার উপর সরকারি পাওনা পরিশোধের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত হইয়াছে।
১২৭খ। এই আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন বিশেষ পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে কর পরিশোধের সময়, পদ্ধতি ও পরিমাণসহ অগ্রিম পরিশোধ বা উৎসে কর্তনের বিধান করিতে পারিবে।]
১২৯। বোর্ড বা 261[কোন মূসক কর্মকর্তা] কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত বা গৃহীত কোন ব্যবস্থার (কর নিরূপণ, কর আরোপ, জরিমানা আরোপ, সুদ আরোপ, কর আদায়করণ বাতিল বা পরিবর্তন করিবার জন্য বা কোন নিরীক্ষা, তদন্ত বা অনুসন্ধান বা এইরূপ সকল বিষয়) বিরুদ্ধে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন কার্যধারা রুজু বা মামলা দায়ের করা ব্যতীত অন্য কোন আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না।
262[১২৯ক। এই আইন বা কোন বিধির অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার বা উহার কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের বা রুজু করা যাইবে না।]
১৩০। 263[(১) কোন কার্যধারায় কোন করদাতার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করা বা তাহাকে পরামর্শ প্রদানের জন্য চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বা 264[কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট বা] চার্টার্ড সেক্রেটারি বা লাইসেন্সধারী মূসক পরামর্শগণের মধ্য হইতে যে কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা যাইবে।]
265[(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড, মূসক পরামর্শক নিয়োগের শর্ত, পদ্ধতি ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে পারিবে। ]
266[১৩৫ক। বোর্ড, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে, মূসক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ইউনিফর্ম এবং এতদ্সংক্রান্ত ভাতা নির্ধারণ করিতে পারিবে।]