প্রিন্ট ভিউ

এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ১৫ নং আইন )

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, এক্সচেঞ্জসমূহে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক সু-শাসন প্রতিষ্ঠা, সিকিউরিটিজ এ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিশ্চিত করিবার জন্য বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, এক্সচেঞ্জসমূহে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক সু-শাসন প্রতিষ্ঠা, সিকিউরিটিজ এ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিশ্চিতকরণ সমীচীন ও প্রয়োজন;
 
 
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
 
 
সংজ্ঞা
২। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
(১) ‘‘অর্ডিন্যান্স’’ অর্থ Securities and Exchange Ordinance, 1969 (Ordinance No. XVII of 1969) );
 
 
(২) ‘‘অনুমোদিত স্কীম’’ অর্থ কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোন ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কীম;
 
 
(৩) ‘‘এক্সচেঞ্জ’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীনে নিগমিত একটি শেয়ার দ্বারা সীমিত দায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী যাহা সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি বাজার অথবা সিকিউরিটিজ এর ক্রেতা-বিক্রেতাদের কার্যক্রম পরিচালনায় সুবিধা প্রদান করে অথবা প্রয়োজনীয় সুবিধাদিসহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যাহা সাধারণভাবে একটি এক্সচেঞ্জ এর সর্বপ্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করে;
 
 
(৪) ‘‘কমিটি’’ অর্থ এক্সচেঞ্জ কর্তৃক গঠিত কোন কমিটি;
 
 
(৫) ‘‘কমিশন’’ অর্থ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন;
 
 
(৬) ‘‘কোম্পানী’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীনে গঠিত এবং নিবন্ধিকৃত কোন কোম্পানী বা কোন বিদ্যমান কোম্পানী;
 
 
(৭) ‘‘কৌশলগত বিনিয়োগকারী’’ অর্থ কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত দেশী বা বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠান;
 
 
 
 
(৮) ‘‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক)’’ অর্থ এই আইন কার্যকর হইবার পর কোন এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ অনুমোদিত স্কীম অনুযায়ী ব্রোকার বা ডিলার হিসাবে লেনদেন করিবার যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে উক্ত এক্সচেঞ্জ কর্তৃক ইস্যুকৃত সিকিউরিটিজ লেনদেনের অধিকার সম্বলিত সনদ;
 
 
(৯) ‘‘ডিপজিটরি’’ অর্থ ডিপজিটরি আইন, ১৯৯৯ (১৯৯৯ সনের ৬ নং আইন) এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোন ডিপজিটরি;
 
 
(১০) ‘‘ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন’’ অর্থ অনুমোদিত স্কীম অনুযায়ী যেকোন এক্সচেঞ্জ এর সিকিউরিটিজ লেনদেনের অধিকার (Trading Right) হইতে উহার মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ;
 
 
(১১) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
(১২) ‘‘পরিচালনা পরিষদ’’ অর্থ কোন এক্সচেঞ্জ এর পরিচালনা পরিষদ;
 
 
(১৩) ‘‘প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার’’ অর্থ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন এর তারিখে কোন এক্সচেঞ্জ এর শেয়ারের আইনগত মালিক;
 
 
(১৪) ‘‘বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ’’ অর্থ কোন স্টক এক্সচেঞ্জ যাহা Securities and Exchange Ordinance, 1969 (Ordinance No. XVII of 1969) এর অধীনে নিবন্ধিত অথবা নিবন্ধিত বলিয়া গণ্য এবং এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখে বাংলাদেশে কার্যরত;
 
 
(১৫) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ স্বাভাবিক ব্যক্তিসহ (natural person) যে কোন কোম্পানী, অংশীদারী কারবার বা ফার্ম বা একাধিক ব্যক্তির সমিতি বা সংঘ তাহা নিবন্ধিত হউক বা না হউক;
 
 
(১৬) ‘‘ব্লকড হিসাব (blocked account) ’’ অর্থ ধারা ৮ এর দফা (গ) অনুযায়ী কোন এক্সচেঞ্জ কর্তৃক ডিপোজিটরিতে খোলা হিসাব;
 
 
(১৭) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীনে কোম্পানীসমূহ নিবন্ধনের দায়িত্ব পালনকারী রেজিস্ট্রার বা অন্য যে কোন কর্মকর্তা, তিনি যে নামেই অভিহিত হউন না কেন;
 
 
(১৮) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ এর কোন সদস্য;
 
 
(১৯) ‘‘সম্পর্কিত ব্যক্তি’’ অর্থ প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্ত্বার (Natural Person) ক্ষেত্রে তাহার স্বামী বা স্ত্রী, অথবা তাহার উপর নির্ভরশীল কোন ব্যক্তি, অথবা তাহার কোন অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদার, অথবা তাহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার রহিয়াছে বা তিনি উহার একজন পরিচালক এমন কোন কোম্পানী বা নিগমিত সংস্থা, এবং আইনানুগ ব্যক্তিসত্ত্বার ক্ষেত্রে উহার সহিত সম্পর্কিত কোন আন্ডারটেকিং, কোম্পানী বা নিগমিত সংস্থা যাহা উক্ত আইনানুগ ব্যক্তিসত্ত্বার একটি নিয়ন্ত্রণকারী (holding), অধিনস্থ (subsidiary) বা সহযোগী (associate) কোম্পানী;
 
 
(২০) ‘‘সিকিউরিটিজ’’ অর্থ Securities and Exchange Ordinance, 1969 (Ordinance No. XVII of 1969) এর section 2 এর clause (l) এ সংজ্ঞায়িত “securities”;
 
 
(২১) ‘‘স্বতন্ত্র পরিচালক’’ অর্থ এক্সচেঞ্জ এর কোন পরিচালক, যিনি উহার ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা, সেবা, লেনদেন এবং উহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার ধারকের সহিত সম্পর্কিত নহে।
 
 
 
 
(২) প্রসংগের প্রয়োজনে ভিন্নরূপ না হইলে, এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি Securities and Exchange Ordinance, 1969 (Ordinance No. XVII of 1969), ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নং আইন), আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন), কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন), ডিপজিটরি আইন, ১৯৯৯ (১৯৯৯ সনের ৬ নং আইন), বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে উক্ত শব্দ বা অভিব্যক্তি সেই অর্থ বহন করিবে।
আইনের প্রাধান্য
৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, চুক্তি বা আইনগত দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
এক্সচেঞ্জ এর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন
৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর ধারা ৫ অনুযায়ী স্কীম দাখিল এবং এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী অনুসরণ ও কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ এর সিকিউরিটিজ লেনদেনের অধিকার (Trading Right) উহার মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা হইতে পৃথকীকরণের মাধ্যমে ডিমিউচ্যুয়ালাইজ করিতে হইবে।
 
 
 
 
(২) এই আইন কার্যকর হইবার পর নিম্নলিখিত শর্তাবলী পরিপালন না করিয়া কোন এক্সচেঞ্জ অথবা কোন ব্যক্তি সিকিউরিটিজ লেনদেনের উদ্দেশ্যে এক্সচেঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত কোন কার্যক্রম পরিচালনা বা সেবা প্রদান করিতে পারিবে না, যদি না,-
 
 
(ক) উক্ত এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত হয়;
 
 
(খ) উহা শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ একটি পাবলিক কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত হয়;
 
 
(গ) উহা ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হয়।
 
 
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন এর জন্য স্কীম দাখিল
৫। এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কীমসহ নিম্নলিখিত তথ্যাদি কমিশন এর নিকট দাখিল করিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) উহার সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রস্তাব যাহাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পরিচালনা পরিষদের সদস্য হইবার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ থাকিতে হইবে;
 
 
(খ) উহার প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের নামের তালিকা এবং তাহাদের প্রত্যেকের নামে নগদ অর্থের বিনিময় ব্যতিরেকে (For consideration other than cash) বরাদ্দতব্য শেয়ারের পরিমাণ;
 
 
(গ) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা কাঠামো (Governance Structure) সংক্রান্ত Board and Administration Regulations , অথবা অনুরূপ বিধানাবলীর খসড়া;
 
 
(ঘ) প্রস্তাবিত প্রথম পরিচালনা পরিষদের পরিচালকদের তালিকা;
 
 
(ঙ) কমিটিসমূহের কাঠামো এবং উক্ত কমিটিসমূহে স্বতন্ত্র পরিচালকদের ভূমিকার বিস্তারিত বিবরণ;
 
 
(চ) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন তারিখে এক্সচেঞ্জ এর আর্থিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন যাহা ডিসকাউন্টেড ক্যাশ ফ্লো, ডিভিডেন্ড ডিসকাউন্ট, এন্টারপ্রাইজ ভ্যালু, সদস্যদের সম্মিলিত মূলধনের নীট সম্পদ মূল্য এবং ভবিষ্যৎ আয়ের বর্তমান মূল্য এর সংমিশ্রনে, অথবা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য যে কোন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণে, কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত কোন মার্চেন্ট ব্যাংকার অথবা বিদেশী ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রস্ত্তত করিতে হইবে;
 
 
(ছ) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন তারিখে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোন নিরীক্ষক কর্তৃক প্রস্ত্ততকৃত এক্সচেঞ্জ এর দায় ও সম্পদের পুনঃমূল্যনির্ধারণ (Re-valuation) এবং উহার ভিত্তিতে ১০ (দশ) টাকা অভিহিত মূল্যে (Face Value) শেয়ারের সংখ্যা নির্ধারণ;
 
 
(জ) উহার ইস্যূতব্য শেয়ারসংখ্যাসহ অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধন সংক্রান্ত প্রস্তাব;
 
 
(ঝ) সংশ্লিষ্ট যে সকল বিধানাবলীর পরিবর্তন করিতে হইবে সেইগুলির খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব;
 
 
(ঞ) স্বার্থ-সংঘাত নিয়ন্ত্রণ এবং বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সংরক্ষণ পদ্ধতি;
 
 
(ট) স্ব-নিয়ন্ত্রক এর দায়িত্ব হইতে ব্যবসা কার্যক্রম পৃথকীকরণের পদ্ধতি;
 
 
(ঠ) শেয়ার মালিকানা বিস্তৃতকরণ পদ্ধতি এবং উহা অর্জনের জন্য সময়সীমা;
 
 
(ড) নতুন ট্রেক-হোল্ডারদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ কর্তৃক যোগ্যতা, ফি নির্ধারণ, এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালনের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্টকরণ;
 
 
(ঢ) অন্যূন ৩ (তিন) বৎসরের ব্যবসায় পরিকল্পনাসহ উহার লভ্যাংশ সংক্রান্ত নীতিমালা (policy on dividend), সম্ভাব্য মূলধনী ব্যয় (Capital expenditure) এবং অর্থায়নের উৎস সংক্রান্ত বিবরণী;
 
 
(ণ) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় অথবা উহার সহিত সম্পর্কিত অন্য যে কোন বিষয়।
 
 
স্কীম অনুমোদন
৬। (১) ধারা ৫ অনুযায়ী দাখিলকৃত স্কীম প্রাপ্তির পর অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কমিশন তৎকর্তৃক প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকেই উক্ত স্কীম অনুমোদন করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কোন সংশোধন বা পরিবর্তন করিবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান এক্সচেঞ্জকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিতে হইবে ।
 
 
(৩) দাখিলকৃত স্কীম ও তথ্যাদির মধ্যে অসম্পূর্ণতা থাকিলে উহা দূরীকরণের জন্য কমিশন সময় নির্দিষ্ট করিয়া বিদ্যমান এক্সচেঞ্জকে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৪) বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, কমিশন, সংশ্লিষ্ট দলিলাদি প্রস্তুত করিয়া উহার সিদ্ধান্ত বিদ্যমান এক্সচেঞ্জকে প্রতিপালনের জন্য জানাইয়া দিতে পারিবে এবং উক্ত দলিলাদি প্রস্তুতের জন্য কোন মার্চেন্ট ব্যাংকার বা কোন নিরীক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন হইলে, উহার যাবতীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ বহন করিবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কমিশন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত দলিলাদি বা গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহা সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ এবং উহার সদস্যবৃন্দের জন্য বাধ্যকর হইবে।
 
 
অনুমোদিত স্কীম প্রকাশনা
৭। বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ স্কীম অনুমোদন প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অনুমোদিত স্কীম-
 
 
(ক) সকল সদস্যের নিকট বণ্টন করিবে;
 
 
(খ) সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করিবে;
 
 
(গ) দুইটি বাংলা এবং দুইটি ইংরেজীতে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিবে; এবং
 
 
(ঘ) সরকারি গেজেটে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
 
 
সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তন, শেয়ার বরাদ্দ, ইত্যাদি
৮। স্কীম অনুমোদন প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ-
 
 
(ক) উহার শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সভায় অনুমোদিত স্কীম, সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তন এবং ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এর প্রথম পরিচালনা পরিষদ এর পরিচালকগণের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসাবে গ্রহণ (adopt) করিবে;
 
 
(খ) প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারগণের অনুকূলে অজড় (Dematerialized) অবস্থায় শেয়ার বরাদ্দ করিবে, যাহা কোন সময় বা কোন কারণেই জড় (Rematerialized) অবস্থায় রূপান্তর করা যাইবে না;
 
 
(গ) প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারের অনুকূলে বরাদ্দকৃত শেয়ারের অন্যূন ৬০ (ষাট) শতাংশ শেয়ার একটি ব্লকড হিসাবে ধারা ১৪ অনুযায়ী হস্তান্তরের সময় পর্যন্ত জমা রাখিবে;
 
 
(ঘ) প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারকে ব্লকড হিসাবে জমাকৃত উহার শেয়ারের সংখ্যা উল্লেখপূর্বক একটি করিয়া সনদ প্রদান করিবে; এবং
 
 
(ঙ) প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারকে একটি করিয়া ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) প্রদান করিবে।
 
 
সংঘস্মারক ও সংঘবিধি দাখিল, ইত্যাদি
৯। (১) বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ ধারা ৮ এর দফা (ক) অনুযায়ী সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তনের বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উহা কমিশন এবং রেজিস্ট্রারের নিকট নিম্নলিখিত কাগজাদি দাখিল করিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) গৃহীত সংঘস্মারক ও সংঘবিধির একটি অনুলিপি;
 
 
(খ) সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তন সংক্রান্ত বিশেষ সিদ্ধান্তের অনুলিপি;
 
 
(গ) উহার প্রথম পরিচালনা পরিষদ এর পরিচালকদের বিবরণ (Particulars of Directors) ;
 
 
(ঘ) উহার শেয়ার বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের (Return of allotment of shares) অনুলিপি;
 
 
(ঙ) প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারের অনুকূলে অজড় অবস্থায় শেয়ার বরাদ্দ করা হইয়াছে মর্মে উহার নিরীক্ষক কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র; এবং
 
 
(চ) প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারের অনুকূলে বরাদ্দকৃত শেয়ারের অন্যূন ৬০ (ষাট) শতাংশ ব্লকড হিসাবে জমা করা হইয়াছে মর্মে ডিপজিটরির প্রত্যয়নপত্র।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কাগজাদি দাখিল হওয়ার পর উক্ত কাগজাদি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুসরণের বিষয়ে সন্তুষ্ট হইলে, রেজিস্ট্রার, দাখিল হওয়ার অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে-
 
 
(ক) গৃহীত সংঘস্মারক ও সংঘবিধি নিবন্ধিকৃত করিয়া নিবন্ধন প্রত্যায়নপত্র প্রদান করিবেন; এবং
 
 
(খ) গ্যারাণ্টি দ্বারা সীমাবদ্ধ পাবলিক কোম্পানী হইতে শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ পাবলিক কোম্পানীতে রূপান্তরের প্রমাণস্বরূপ সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ এর অনুকুলে একটি পুনঃনিবন্ধন সনদ প্রদান করিবেন।
 
 
 
 
(৩) এই আইন দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় পর্যন্ত এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পরিষদ উহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবে।
 
 
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ
১০। ধারা ৮ এর দফা (ক)-তে বর্ণিত সভা অনুষ্ঠানের তারিখ অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ধারা ৯ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র প্রদানের তারিখ, এই দুইয়ের মধ্যে যেই তারিখ পরে হয়, ক্ষেত্র বিশেষে সেই তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড বলিয়া গণ্য হইবে।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী পালনীয় শর্তাদি
১১। (১) বিদ্যমান অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ, নিম্নলিখিত শর্তাদি আবশ্যিকভাবে পালন করিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন এর তারিখ হইতে ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে সংঘবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করিয়া পরিচালনা পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠান করিবে;
 
 
(খ) লেনদেনের অধিকার হইতে উহার মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করিবে;
 
 
(গ) অনুমোদিত স্কীম-এ বর্ণিত যোগ্যতা ও শর্তাদি অনুযায়ী ট্রেডিং রাইট এণ্টাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট প্রদান করিবে;
 
 
(ঘ) কমিশনের লিখিত পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, বিশেষ সিদ্ধান্তবলে, নতুন শেয়ার ইস্যু করিবে।
 
 
 
 
(২) ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এর পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য স্বতন্ত্র পরিচালক হইবেন।
 
 
(৩) ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এর পরিচালনা পরিষদ স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য হইতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করিবে।
 
 
শেয়ারহোল্ডিং এর সীমা, ইত্যাদি
১২। (১) ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এর ক্ষেত্রে-
 
 
(ক) ব্লকড হিসাবে প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারগণ কর্তৃক সাময়িকভাবে ধারণকৃত শেয়ার ব্যতীত, ট্রেক হোল্ডারগণ এবং তাহাদের সহিত সম্পর্কিত ব্যক্তি কর্তৃক সামষ্টিকভাবে ধারণকৃত শেয়ার উহার মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের শতকরা ৪০ (চল্লিশ) ভাগের অধিক হইবে না;
 
 
(খ) কোন কৌশলগত বিনিয়োগকারী, কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে, উহার মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের শতকরা ২৫ (পঁচিশ) ভাগ পর্যন্ত ধারণ করিতে পারিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন, জনস্বার্থে, এই সীমার অধিক শেয়ার ধারণ করিবার জন্য কোন কৌশলগত বিনিয়োগকারীকে অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
(গ) কোন ব্যক্তি, কৌশলগত বিনিয়োগকারী ব্যতীত, এককভাবে এবং তাহার সহিত সম্পর্কিত ব্যক্তির সহিত যৌথভাবে উহার মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগের অধিক শেয়ার ধারণ করিতে পারিবে না।
 
 
 
 
(২) যদি কোন এক্সচেঞ্জ এর এমন ধারণা পোষণ করিবার কারণ ঘটে যে, কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) বা (খ) বা (গ) লংঘন করিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শেয়ারের প্রকৃত মালিকের পরিচয় প্রকাশের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং এইরূপ নির্দেশ অমান্য করিলে, এক্সচেঞ্জ উক্ত নির্দেশ অমান্যকারী শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক ধারণকৃত শেয়ার জব্দ করিতে পারিবে এবং বিষয়টি ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করিবে।
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) বা (খ) বা (গ) এ বর্ণিত শেয়ার হোল্ডিং সীমা লংঘন করিলে, কমিশন উক্ত ব্যক্তিকে তাহার ধারণ সীমার অতিরিক্ত শেয়ারসমূহ তদকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং সময়ে হস্তান্তর করিবার নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
ব্লকড হিসাবে ধারণকৃত শেয়ারের প্রাপ্যতা ও রক্ষণাবেক্ষণ
১৩। (১) ব্লকড হিসাবে সংরক্ষিত শেয়ারের প্রাপ্যতা হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
 
(ক) উহাদের বিপরীতে অর্জিত লভ্যাংশ, বোনাস শেয়ার, রাইটস শেয়ার এবং বিক্রয়ের ফলে অর্জিত বিনিময়মূল্য প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারগণ প্রাপ্য হইবেন;
 
 
(খ) উহাদের বিপরীতে অর্জিত বোনাস শেয়ার বা রাইটস শেয়ার ব্লকড হিসাবে ধারণকৃত শেয়ারের সহিত যোগ হইবে এবং ধারা ১৪ এ উল্লিখিত উপায়ে ব্লকড হিসাবে সংরক্ষিত শেয়ারের সহিত হস্তান্তরিত হইবে।
 
 
(২) ব্লকড হিসাবে সংরক্ষিত শেয়ার রক্ষণাবেক্ষণ এবং হস্তান্তরের অধিকার পরিচালনা পরিষদের উপর বর্তাইবে।
 
 
ব্লকড হিসাবে (blocked account) সংরক্ষিত শেয়ার হস্তান্তর
১৪। (১) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে যে কোন সময়, কমিশন, কোন এক্সচেঞ্জকে নিম্নলিখিত কার্যাদি নির্দেশনা প্রদানের ১ (এক) বৎসরের মধ্যে সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) ব্লকড হিসাবে সংরক্ষিত শেয়ার হইতে মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের অনধিক শতকরা ২৫ (পঁচিশ) ভাগ শেয়ার বিক্রয়ের জন্য কোন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সহিত ১ (এক) বৎসর মেয়াদী বা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের জন্য চুক্তি সম্পাদন;
 
 
(খ) কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বরাদ্দকৃত শেয়ার ব্যতিরেকে ব্লকড হিসাবে সংরক্ষিত অবশিষ্ট শেয়ার জনগণ বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট বিক্রয়ের প্রস্তাব প্রদান করা যাইবে;
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে উক্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করিতে না পারিবার যুক্তিসংগত কারণ উল্লেখ করিয়া আবেদন করিলে, কমিশন, উক্তরূপ প্রতিপালনের সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ১ (এক) বৎসর অথবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন এক্সচেঞ্জ যদি বর্ণিত শেয়ার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সহিত চুক্তি সম্পাদনে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত এক্সচেঞ্জ, কমিশনের অনুমোদনক্রমে, কৌশলগত বিনিয়োগকারী ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট উহার পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত শেয়ারসমূহ হস্তান্তর করিতে পারিবে।
 
 
(৩) ব্লকড হিসাবে সংরক্ষিত শেয়ারের হস্তান্তর সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত উহার বিপরীতে ভোটদানের ক্ষমতা রহিত থাকিবে।
 
 
কৌশলগত বিনিয়োগকারী কর্তৃক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়
১৫। (১) ধারা ১৪ অনুসারে কোন কৌশলগত বিনিয়োগকারী শেয়ার অর্জন করিলে, কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে, উহা কেবলমাত্র অন্য কোন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর নিকট বিক্রয় করিতে পারিবে।
 
 
(২) কমিশন, লিখিত আদেশ দ্বারা, কৌশলগত বিনিয়োগকারীর শেয়ার ক্রয়, বিক্রয়, অর্জন, অধিগ্রহণ বা কর্তৃত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে এতদ্‌সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধানাবলীর প্রযোজ্যতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
ট্রেডিং রাইট এন্টাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক গ্রহণ, হস্তান্তর, ইত্যাদি
১৬। (১) অনিবন্ধিত কোন প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার, যাহার অনুকূলে ট্রেক ইস্যু করা হইয়াছে, তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নং আইন) বা তদধীন প্রণীত কোন বিধিমালার বিধান অনুসারে নিবন্ধিত না হইয়া থাকিলে, তাহাকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে উক্ত আইন বা বিধিমালার বিধান অনুসারে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করিতে হইবে এবং উক্ত সনদ প্রাপ্তির ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ব্যবসা শুরু করিতে হইবে।
 
 
(২) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে ইস্যুকৃত ট্রেক একবার হস্তান্তর করা যাইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন কোম্পানী হস্তান্তরিত ট্রেক গ্রহণ করিলে, উক্তরূপ গ্রহণের ১২ (বার) মাসের মধ্যে উহাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নং আইন) বা তদধীন প্রণীত কোন বিধিমালার বিধান অনুসারে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করিতে হইবে এবং উক্ত সনদ গ্রহণের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করিতে হইবে।
 
 
(৪) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে, কোন এক্সচেঞ্জ শেয়ারহোল্ডারদের সভায় বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক ট্রেকের সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
 
 
(৫) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর কোন এক্সচেঞ্জ কর্তৃক, ধারা ১১ এর দফা (গ) পরিপালন সাপেক্ষে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন আবেদনকারীর অনুকূলে ট্রেক ইস্যু করা যাইবে।
 
 
(৬) ধারা ১১ এর দফা (গ) এর অধীনে কোন কোম্পানী ট্রেক গ্রহণ করিলে, উহার ১২ (বার) মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নং আইন) বা তদধীন প্রণীত কোন বিধিমালার বিধান অনুসারে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করিতে হইবে এবং নিবন্ধন সনদ গ্রহণের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ব্যবসা শুরু করিতে হইবে।
 
 
(৭) ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রান্ত হইলে সকল ট্রেক অ-হস্তান্তরযোগ্য হইবে।
 
 
(৮) কোন কোম্পানী বা প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার উপ-ধারা (১) ও (৩) এর বিধান অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ গ্রহণ এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবসা শুরু করিতে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট ট্রেক বাতিল হইয়া যাইবে।
 
 
(৯) ট্রেডিং রাইট এন্টাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট ধারকগণের জন্য উহার শেয়ার ধারক হইবার বাধ্যবাধকতা থাকিবে না।
 
 
(১০) ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ট্রেক ইস্যু, স্থগিত ও বাতিল করিতে পারিবে।
 
 
তালিকাভুক্তি
১৭। কোন এক্সচেঞ্জের শেয়ার উহার সিদ্ধান্ত ও সময় অনুযায়ী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য যে কোন এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হইতে পারিবে।
চলমান কার্যধারা, ইত্যাদি
১৮। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন এর ফলে বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ এর-
 
 
(ক) সকল সিকিউরিটিজ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
(খ) প্রবিধান বা বিধি-বিধান অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ, অনুমোদিত স্কীম এর সহিত সাংঘর্ষিক না হওয়া সাপেক্ষে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে;
 
 
(গ) অর্জিত কোন অধিকার, সুবিধা, দায়-দায়িত্ব, সম্পাদিত কোন চুক্তি বা দেনা-পাওনার কোন পরিবর্তন হইবে না, বা উহার বিরুদ্ধে সূচিত কোন আইনানুগ কার্যধারা ত্রুটিপূর্ণ বলিয়া গণ্য হইবে না, এবং উহার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ কার্যধারা অব্যাহত থাকিলে বা উহা দ্বারা সূচিত হইয়া থাকিলে উহা চলমান ও অব্যাহত থাকিবে;
 
 
(ঘ) কোন বিধি-বিধান লংঘনের কারণে কাহারও বিরুদ্ধে সূচিত হইতে পারে, এমন কোন আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণে বাধা হইবে না;
 
 
(ঙ) নতুন কোন আইনগত সত্ত্বা প্রতিষ্ঠিত হইবে না বা উহার পরিচিতি বা ধারাবাহিকতায় কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি হইবে না;
 
 
(চ) সকল সম্পদ সংশ্লিষ্ট ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এর সম্পদ হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
(ছ) সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জ এর কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তাহাদের বেতন-ভাতা, প্রভিডেন্ট ফাণ্ড, ছুটি, অবসর ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি একইরূপে বহাল থাকিবে;
 
 
(জ) কোন অনুমোদন, দায়িত্ব ঘোষণা, দায়মুক্তি ঘোষণা, প্রদত্ত ছাড়পত্র, অব্যাহতি, গৃহীত সিদ্ধান্ত, ব্যবস্থা, প্রদত্ত ফিস, কৃত বন্ধক, হস্তান্তর, বহি বা অন্যবিধ দলিল বা কৃত কার্যাদি বা উহাদের অনুবলে সম্পাদিত কার্যাদি পূর্বের ন্যায় বহাল ও কার্যকর থাকিবে।
 
 
এক্সচেঞ্জ এর কার্যক্রম পরিচালনায় বাধ্যবাধকতা
১৯। এক্সচেঞ্জ সকল সময়,-
 
 
(ক) জনস্বার্থ তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করিবে; এবং
 
 
(খ) উহার স্বার্থের সহিত সাংঘর্ষিক হইলে জনস্বার্থ তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে প্রাধান্য প্রদান করিবে।
 
 
অপরাধ ও দণ্ড
২০। (১) কমিশনের নিকট প্রাথমিকভাবে (Prima facie) যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন এক্সচেঞ্জ বা বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ বা উহার কোন পরিচালক, সদস্য, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কমিটির কোন সদস্য, শেয়ারহোল্ডার বা কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে এই আইনের কোন বিধান পালনে ব্যর্থ হইয়াছে বা লংঘন করিয়াছে, তাহা হইলে কারণ প্রদর্শনের যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া উক্তরূপ ব্যর্থতা বা লংঘনের জন্য কমিশন-
 
 
(ক) সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জকে অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিতে পারিবে, অথবা উক্ত এক্সচেঞ্জের নিবন্ধন সনদ স্থগিত করিতে পারিবে;
 
 
(খ) উহার কোন পরিচালক, সদস্য, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কমিটির কোন সদস্য, শেয়ারহোল্ডার বা ব্যক্তিকে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিতে পারিবে, যাহা তাহার ব্যক্তিগত তহবিল হইতে পরিশোধ করিতে হইবে।
 
 
(২) এই আইনের অধীন কমিশন কর্তৃক আরোপিত অর্থদন্ড অনাদায়ী হইলে উহা বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর বিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, কমিশন-
 
 
(ক) এক্সচেঞ্জ বা বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ এর পরিচালনা পরিষদ অথবা কোন পরিচালক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে এই আইনের বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে বা লংঘন করিলে, উক্ত পরিচালনা পরিষদ বাতিল অথবা পরিচালনা পরিষদের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করিতে পারিবে, অথবা সংশ্লিষ্ট পরিচালককে পরিচালনা পরিষদ হইতে অপসারণ বা তাহার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত, অথবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত বা অপসারণ করিতে পারিবে;
 
 
(খ) এক্সচেঞ্জ বা বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে এই আইনের বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে বা লংঘন করিলে, কমিশন তাহাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত বা অপসারণ করিতে পারিবে;
 
 
(গ) কোন কমিটি বা কোন কমিটির সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে এই আইনের বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে বা লংঘন করিলে, কমিশন উক্ত কমিটির সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত বা অপসারণ, বা উক্ত কমিটি বাতিল করিতে পারিবে;
 
 
(ঘ) কোন সদস্য, শেয়ারহোল্ডার হউক বা না হউক, ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে এই আইনের বিধান পালনে ব্যর্থ হইলে বা লংঘন করিলে, কমিশন উক্ত সদস্যের নিবন্ধন সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে;
 
 
(ঙ) কোন এক্সচেঞ্জ বা বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ এর পরিচালনা পরিষদ বাতিল অথবা উহার কোন পরিচালক বা কমিটির সদস্য বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অপসারণ করিলে, লিখিত আদেশ দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তি অথবা কর্তৃপক্ষকে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, তাহাদের স্থলাভিষিক্ত করিতে পারিবে।
 
 
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২১। এই আইনের কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে বা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশন, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুসরণ এবং প্রাক-প্রকাশনা করিতে হইবে।
 
 
(৩) প্রাক-প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বিধি, বা সংশোধনের নিমিত্ত উহার খসড়া অন্যূন ৩ (তিন) সপ্তাহের সময় প্রদানপূর্বক জনমত আহবান করিয়া সরকারি গেজেটের পাশাপাশি কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিতে হইবে এবং কমপক্ষে ৩ (তিন)টি দৈনিক পত্রিকাতে উল্লিখিত ওয়েবসাইটের ঠিকানাসহ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিধির প্রাক-প্রকাশনা সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ করিতে হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী প্রাক-প্রকাশনার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি, যদি কোন, পাওয়া গেলে উহা বিবেচনা করিয়া, কমিশন, খসড়া বিধি সংশোধনপূর্বক উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে চূড়ান্তভাবে সরকারি গেজেটে প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে।
 
 
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, এক্সচেঞ্জ, কমিশনের পূর্বানুমতিক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা উহার অধীন প্রণীত বিধির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
(২) যদি কমিশনের নিকট এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে কোন এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত কোন প্রবিধান প্রণয়ন অথবা বিদ্যমান কোন প্রবিধানের সংশোধন বা বাতিল করা প্রয়োজন তাহা হইলে কমিশন উক্ত কার্য সম্পাদনের জন্য এক্সচেঞ্জকে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখপূর্বক লিখিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) যদি কোন এক্সচেঞ্জ উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত আদেশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পালনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে কমিশন উক্ত প্রবিধান প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে প্রণীত, সংশোধিত বা বাতিলকৃত প্রবিধান এই ধারার অধীন এক্সচেঞ্জ কর্তৃক প্রণীত, সংশোধিত বা বাতিল হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
আদেশ বা নির্দেশ প্রদানে কমিশনের ক্ষমতা
২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবার প্রয়োজন হইলে, কমিশন, কোন এক্সচেঞ্জ অথবা এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার অথবা ট্রেকহোল্ডার অথবা কোন কমিটি বা কমিটির সদস্যকে যথোপযুক্ত আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
গোপনীয়তা সংরক্ষণ
২৫। এক্সচেঞ্জ বা বিদ্যমান এক্সচেঞ্জ এর কোন পরিচালক, সদস্য, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কমিটির কোন সদস্য, শেয়ারহোল্ডার বা কোন ব্যক্তি এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন দায়িত্ব পালনকালে অথবা অন্য কোনভাবে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য, তদন্তাধীন কোন বিষয়ের তথ্য বা বাজার নজরদারি (Market surveillance) হইতে প্রাপ্ত কোন তথ্য অবগত হইলে উহা কমিশনের সম্মতি ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট প্রকাশ করিতে পারিবেন না।
জটিলতা নিরসন
২৬। এই আইনের বিধানবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে এই আইনের কোন বিধানের অস্পষ্টতার কারণে কোন জটিলতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের দিক-নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২৭। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs