প্রিন্ট ভিউ

সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল বোর্ড আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ২৮ নং আইন )

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়কসমূহের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, সংস্কার, ইত্যাদির জন্য একটি সড়ক তহবিল গঠন এবং উক্ত তহবিলে অর্থ সংগ্রহ এবং এতদ্‌সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় পরিচালনার নিমিত্ত একটি বোর্ড গঠন করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়কসমূহের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, সংস্কার, ইত্যাদির জন্য একটি সড়ক তহবিল গঠন এবং উক্ত তহবিলে অর্থ সংগ্রহ এবং এতদ্‌সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় পরিচালনার নিমিত্ত একটি বোর্ড গঠন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
 
 
সংশ্লিষ্ট শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল বোর্ড আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।
 
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।
 
*এস, আর, ও নং ২৬৫-আইন/২০১৪, তারিখ: ১৭ নভেম্বর, ২০১৪ ইং দ্বারা ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪২১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে–
 
 
(১) “অধিদপ্তর” অর্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর;
 
 
(২) “কর্মসূচী” অর্থ ধারা ১৩ অনুযায়ী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে গৃহীত কর্মসূচী;
 
 
(৩) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
(৪) “তহবিল” অর্থ ধারা ১২ এর উপধারা (১) এর অধীন গঠিত সড়ক তহবিল;
 
 
(৫) “পরিচালনা পরিষদ” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত পরিচালনা পরিষদ;
 
 
(৬) “প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” অর্থ বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা;
 
 
(৭) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন গঠিত সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল বোর্ড;
 
 
(৮) “সরকার” অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সড়ক বিভাগ;
 
 
(৯) “সড়ক” অর্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত সড়ক, সড়কের ঢাল, সড়ক বাঁধ, সড়ক নিরাপত্তা কাঠামো, সড়ক পেভমেন্ট, সড়ক শোল্ডার, সেতু, ফেরী ও ফেরীঘাটসমূহ, বার্ম, বোরো পিট, ফুটওয়েজ, ফুট ওভারব্রীজ, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ওভারপাস, বাস বে, পার্কিং বে, ড্রেন, কালভার্ট, টোল প্লাজা, এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন, রাইট অফওয়ে, ইত্যাদি;
 
 
(১০) “সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ” অর্থ সড়কসমূহের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, সংস্কার, ইত্যাদি।
 
বোর্ড প্রতিষ্ঠা
৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক রক্ষনাবেক্ষণ তহবিল বোর্ড নামে একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হইবে।
 
 
(২) বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহার নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
 
 
কার্যালয়
৪। বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।
পরিচালনা ও প্রশাসন
৫। বোর্ডের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং বোর্ড যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা পরিষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে।
পরিচালনা পরিষদের গঠন
৬। ১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে বোর্ডের একটি পরিচালনা পরিষদ গঠিত হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সড়ক বিভাগ এর সচিব, যিনি উহার চেয়ারম্যান হইবেন;
 
 
(খ) সেতু বিভাগ এর সচিব;
 
 
(গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(ঘ) সড়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(ঙ) ভৌত অবকাঠামো বিভাগ এর বিভাগ প্রধান;
 
 
(চ) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান;
 
 
(ছ) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান;
 
 
(জ) ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এর নির্বাহী পরিচালক;
 
 
(ঝ) সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকৌশলী;
 
 
(ঞ) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত পুরকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক;
 
 
(ট) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক মনোনীত সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন প্রতিনিধি;
 
 
(ঠ) বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঞ) ও (ট) তে উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণ মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার প্রয়োজনবোধে, যে কোন সময় উক্তরূপ মনোনীত যে কোন সদস্যকে মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কোন কারণ না দর্শাইয়া অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেঃ
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ মনোনীত সদস্য যে কোন সময় চেয়ারম্যান বরাবর তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) পরিচালনা পরিষদ, প্রয়োজনবোধে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তিকে উহার সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে।
 
 
পরিচালনা পরিষদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিচালনা পরিষদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
 
(ক) সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সড়ক বিভাগ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন চার্জের হার নির্ধারণপূর্বক সরকারের নিকট সুপারিশ পেশকরণ;
 
 
(খ) কর্মসূচি পর্যালোচনা, অনুমোদন, হালনাগাদকরণ এবং উহা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিক্-নির্দেশনা প্রদান;
 
 
(গ) কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত রোড কন্ডিশন সার্ভে’র উপর ভিত্তি করিয়া সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনুসরণযোগ্য পদ্ধতি নির্ধারণ এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়ে দিক্-নির্দেশনা প্রদান;
 
 
(ঘ) সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ ও বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন;
 
 
(ঙ) এই আইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে, নীতিমালা প্রণয়ন।
 
 
পরিচালনা পরিষদের সভা
৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, পরিচালনা পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) পরিচালনা পরিষদের সভা, উহার চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহুত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) চেয়ারম্যান সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সেতু বিভাগ এর সচিব এবং তাহাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্যে হইতে মনোনীত কোন সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৪) প্রতি ৩ (তিন) মাসে অন্যূন একটি সভা আহবান করিতে হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, জরুরী প্রয়োজনে চেয়ারম্যান যে কোন সময় সভা আহবান করিতে পারিবেন।
 
 
(৫) পরিচালনা পরিষদের সভার কোরামের জন্য মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে।
 
 
(৬) পরিচালনা পরিষদের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিচালনা পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ, সদস্যদের নিকট প্রেরণ এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে।
 
 
(৮) শুধু কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
 
 
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
৯। (১) বোর্ডের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকিবেন।
 
 
(২) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
 
 
(৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ শূন্য হইলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করিবেন।
 
 
(৪) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বোর্ডের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি–
 
 
(ক) পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং
 
 
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্দেশিত কার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন।
 
 
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১০। বোর্ড উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
কমিটি গঠন
১১। বোর্ড, উহার কার্যাবলী দক্ষতার সহিত সম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য, প্রয়োজনবোধে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অন্য কোন ব্যক্তির সমন্বয়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব, কর্মপরিধি এবং কার্যধারা নির্ধারণ করিতে পারিবে।
তহবিল
১২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল” নামে বোর্ডের একটি তহবিল থাকিবে এবং উক্ত তহবিলে নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ–
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(খ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন উৎস বা অন্য আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদায়কৃত কর, লেভী, ফি, চার্জ, ইত্যাদি;
 
 
(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিদেশী সরকার, সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান।
 
 
(২) তহবিলের অর্থ নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ;
 
 
(খ) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও তাহাদের চাকুরির শর্তাবলী অনুসারে প্রদেয় অর্থ প্রদান; এবং
 
 
(গ) বোর্ডের প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয়।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন তহবিলের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।
 
 
(৪) তহবিলের সকল অর্থ কোন তফসিলি ব্যাংকে বোর্ডের নামে রাখা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে তহবিল পরিচালনা করা যাইবে।
 
 
ব্যাখ্যাঃ ‘তফসিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2(J) তে সংজ্ঞায়িত Schedule Bank কে বুঝাইবে।
কর্মসূচী, ইত্যাদি
১৩। (১) বোর্ড, প্রতি অর্থ বৎসরের প্রথম ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে, অনুমোদন করিবে এবং উক্ত অনুমোদিত কর্মসূচীর একটি তালিকা প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) বোর্ড, প্রয়োজনবোধে, সময়ে সময়ে, উপ-ধারা (১) এ গৃহীত কর্মসূচি সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবে।
 
 
বাজেট
১৪। বোর্ড প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে বোর্ডের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৫। (১) বোর্ড যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বোর্ডের এতদ্‌সংক্রান্ত সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন, এবং বোর্ডের যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 
প্রতিবেদন
১৬। (১) বোর্ড তহবিল প্রাপ্তি, পরিচালনা ও ব্যবহারসহ তদ্‌কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর সরকার যে কোন সময়ে বোর্ডের কর্মকাণ্ড অথবা যে কোন প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
 
(৪) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যে কোন সময় বোর্ডের নিকট হইতে উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং বোর্ড সরকারের নিকট উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
ক্ষমতা অর্পণ
১৭। বোর্ড উহার যে কোন ক্ষমতা, প্রয়োজনবোধে, তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে চেয়ারম্যান, কোন সদস্য বা, ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯। ধারা ১০ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২০। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs