সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে—
(১) ‘‘ক্রেতা’’ অর্থ অর্থের বিনিময়ে পণ্য বা সেবার স্বত্ব অর্জনকারী ব্যক্তি;
(২) ‘‘ক্রেতা-পরিবেশক’’ অর্থ মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর যে কোন স্তরের একজন ব্যক্তি যিনি একাধারে সংশ্লিষ্ট মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর পণ্য বা সেবার ক্রেতা এবং কমিশনের বিনিময়ে উক্ত পরিচালনাকারীর পণ্য বা সেবা বিক্রয় বা সরবরাহের নিমিত্ত পরিবেশক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন;
(৩) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(৪) ‘‘পণ্য’’ অর্থ কোন অস্থাবর বাণিজ্যিক সামগ্রী যাহা অর্থ বা মূল্যের বিনিময়ে বিক্রেতার নিকট হইতে কোন ক্রেতা ক্রয় করেন বা করিতে চুক্তিবদ্ধ হন ;
(৫) ‘‘প্রশাসক’’ অর্থ ধারা ৪৮ এর অধীন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত প্রশাসক;
(৬) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ
Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
(৭) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে যে কোন ব্যক্তি এবং কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী, অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোন দেশী বা বিদেশী সংস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৮) ‘‘মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম’’ অর্থ কোন পণ্য বা সেবা দুই বা ততোধিক স্তর বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কমিশন বা লভ্যাংশ বা অন্য কোন সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতির আওতায় পরিচালিত বিপণন কার্যক্রম;
(৯) ‘‘বিক্রেতা’’ অর্থে কোন পণ্যের উৎপাদনকারী, প্রস্ত্ততকারী, আমদানিকারক, সরবরাহকারী এবং পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১০) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১১) ‘‘ব্যাংক’‘ অর্থ ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত ব্যাংক;
(১২) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৭ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স;
(১৩) ‘‘সেবা’’ অর্থে পণ্য সরবরাহ ব্যতীত যে কোন ধরনের সুবিধা ও অধিকার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৪) ‘‘সুবিধা’’ অর্থ যে কোন কমিশন, বোনাস, লভ্যাংশ, বাট্টা প্রত্যর্পণ, পুরস্কার, উৎসাহ বা অন্য কোন অর্থ প্রদান, বা উক্ত উদ্দেশ্যে যে কোন প্রকারের লাভ বা লাভের প্রতিশ্রুতি।
আইনের প্রাধান্য
৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, চুক্তি বা আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স, ইত্যাদি
মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা ও লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা
৪। (১) কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন না।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, লাইসেন্সের অধীন নিম্নবর্ণিত পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাইবে, যথা:—
(ক) গৃহস্থালী পণ্য ;
(খ) ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য ;
(গ) হোম এপ্লায়েন্স পণ্য ;
(ঘ) প্রসাধন ও টয়লেট্রিজ পণ্য ;
(ঙ) হারবাল পণ্য ;
(চ) টেলিযোগাযোগ সেবা বা উহার ব্যবহারযোগ্য পণ্য ;
(ছ) প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পণ্য ও সেবা ; এবং
(জ) কৃষিজ ও কৃষিজাত পণ্য।
(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত পণ্য বা সেবার তালিকা সংশোধন করিতে পারিবে।
লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য কোম্পানী গঠনের অপরিহার্যতা
৫। মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই আইনের অধীন লাইন্সেস প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রত্যেক আবেদনকারীকে, আবেদন দাখিলের পূর্বে,
কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন একটি কোম্পানী গঠন করিতে হইবে।
লাইসেন্সের জন্য আবেদন, ইত্যাদি
৬। (১) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদানের একক এখতিয়ার থাকিবে সরকারের; এবং এইরূপ লাইসেন্সের জন্য সরকারের নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে, আবেদন করিতে হইবে।
(২) লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্রের সহিত নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রাদি ও তথ্যসমূহ সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা:—
(ক) আবেদনকারী কোম্পানীর নিবন্ধন সংক্রান্ত নিগমিতকরণ প্রত্যয়নপত্রের (Certificate of incorporation) অনুলিপি;
(খ) আবেদনকারী কোম্পানীর সংঘস্মারক ও সংঘবিধির অনুলিপি;
(গ) আবেদনকারী কোম্পানীর নিরীক্ষিত সর্বশেষ উদ্বৃত্তপত্র এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবসহ নিরীক্ষা প্রতিবেদন;
(ঘ) যে সমস্ত পণ্য বা সেবা বিপণন করা হইবে উহার নামসহ বিস্তারিত বিপণন পদ্ধতি ও পরিকল্পনা ;
(ঙ) হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের অনুলিপি;
(চ) আয়কর সনদপত্রের অনুলিপি;
(ছ) আবেদনকারী কোম্পানীর পরিচালকবৃন্দের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি;
(জ) আবেদনকারী কোম্পানী কর্তৃক মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক সঙ্গতি থাকা মর্মে প্রয়োজনীয় তথ্য;
(ঝ) লাইসেন্সের জন্য আবেদনের নির্ধারিত ফি পরিশোধের রশিদের অনুলিপি;
(ঞ) আবেদনকারী কোম্পানীর নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল;
(ট) আবেদনকারী কোম্পানী কর্তৃক পণ্য বা সেবার যথাযথ মান সংরক্ষণের বিষয়ে গৃহীতব্য ব্যবস্থাদির বিবরণ;
(ঠ) আবেদনকারী কোম্পানী কর্তৃক বিপণনকৃত পণ্য বা সেবা ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণকল্পে গৃহীত পদক্ষেপের বিবরণ;
(ড) পণ্যের সংগ্রহ, ক্রয়, উৎপাদন বা সেবার প্রকৃত খরচের উপর শতকরা কত হারে লভ্যাংশ যোগ করিয়া বিক্রয় মূল্য নির্ধারিত হইবে উহার সম্ভাব্য পরিমাণ সংক্রান্ত বিবরণ;
(ঢ) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আবেদনকারী কর্তৃক যে সকল স্তরে উহার পণ্য ও সেবা বিপণন করিবে উহার বিস্তারিত বিবরণ;
(ণ) আবেদনকারী কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ পয়েন্ট বা টার্গেট অর্জন বা নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বা সেবা বিপণনে ব্যর্থতার জন্য কোন অংশগ্রহণকারী সদস্য বা ক্রেতা-পরিবেশক বা বিক্রয়কর্মীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করিতে পারে এইরূপ কোন স্তরের কোন অংশগ্রহণকারী সদস্য বা ক্রেতা-পরিবেশক বা বিক্রয়কর্মীকে এমন কোন চুক্তিতে আবদ্ধ করিবে না মর্মে একটি অঙ্গিকারপত্র; এবং
(ত) নির্ধারিত অন্যান্য কাগজপত্রাদি ও তথ্যসমূহ।
ব্যাখ্যা । - উপ-ধারা (২) এর দফা (ণ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘টার্গেট’ অর্থ বিক্রেতা বা ক্রেতা-পরিবেশক পর্যায়ে কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য একটি পূর্বনির্ধারিত সংখ্যাসূচক একক যাহার ভিত্তিতে নির্ধারিত হারে কমিশন বা মুনাফা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রদেয় হয়।
লাইসেন্স ইস্যু, ইত্যাদি
৭। (১) ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদনে উল্লিখিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করিবে এবং প্রাপ্ত তথ্যাবলী পরীক্ষার পর, লাইসেন্স মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শন ও তদন্তের পর সরকার সন্তুষ্ট হইলে অনধিক ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে আবেদনকারী বরাবরে লাইসেন্স ইস্যু করিবে, অথবা সন্তুষ্ট না হইলে কারণ উল্লেখপূর্বক লাইসেন্স নামঞ্জুর করিবার সিদ্ধান্ত আবেদনকারীকে অবহিত করিবে।
(৩) সরকার তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত প্রতিটি লাইসেন্সের অনুলিপি সংরক্ষণ করিবে এবং যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত ফিস পরিশোধ সাপেক্ষে উক্ত অনুলিপি পরিদর্শন বা উহার প্রতিলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবে।
লাইসেন্স প্রদর্শন
৮। লাইসেন্সি কর্তৃক, ধারা ৭ এর অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একটি দৃষ্টিগ্রাহ্য স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
লাইসেন্সের শর্তাবলী
৯। সরকার এই আইন ও বিধির সহিত সংগতিপূর্ণ যে কোন শর্ত লাইসেন্সে উল্লেখ করিতে পারিবে এবং লাইসেন্স ইস্যুর পর প্রয়োজনে, কোন নূতন বা অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করিতে পারিবে, যাহা লাইসেন্সে উল্লিখিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
লাইসেন্স হস্তান্তর
১০। (১) সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, কোন লাইসেন্স বা উহার অধীনে অর্জিত স্বত্ব সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে হস্তান্তরযোগ্য হইবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিয়া কোন হস্তান্তর করা হইলে উহা অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।
লাইসেন্সের মেয়াদ ও নবায়ন
১১। (১) ধারা ৭ এর অধীন ইস্যুকৃত প্রতিটি লাইসেন্সের মেয়াদ হইবে উহা ইস্যুর তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসর।
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে ইস্যুকৃত লাইসেন্স, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফিস প্রদান সাপেক্ষে, নবায়নযোগ্য হইবে।
(৩) এই ধারার অধীন লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সরকারের নিকট দাখিল করিতে হইবে এবং উক্তরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর সরকার ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসরণক্রমে নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
লাইসেন্সের শর্তাবলী সংশোধন
১২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, তদ্কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্সের যে কোন শর্ত সংশোধন করিতে পারিবে।
লাইসেন্স স্থগিত, বাতিলকরণ ও পুনর্বহাল
১৩। (১) সরকার নিম্ন বর্ণিত যে কোন কারণে, যুক্তিসংগত মনে করিলে, কোন লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করিতে পারিবে, যদি লাইসেন্সি—
(ক) এই আইন বা বিধির কোন বিধান বা লাইসেন্সের কোন শর্ত ভংগ করিয়া থাকেন; বা
(খ) কোন অসত্য তথ্য প্রদান করিয়া বা কোন তথ্য গোপন করিয়া লাইসেন্স গ্রহণ করিয়া থাকেন; বা
(গ) লাইসেন্সে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উহাতে উল্লিখিত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকেন; বা
(ঘ) লাইসেন্সে অনুমোদিত ব্যবসা পরিত্যাগ করিয়া থাকেন বা অনুমোদনহীন অন্য কোন ব্যবসা পরিচালনা করিয়া থাকেন বা পরিচালনার সহিত জড়িত বা সংশ্লিষ্ট থাকেন; বা
(ঙ) এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ করিয়া থাকেন।
(২) লাইসেন্সিকে যথাযথভাবে কারণ দর্শানো ও শুনানীর সুযোগ প্রদান না করিয়া উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা যাইবে না; এবং উক্তরূপে কোন লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হইলে বাতিল বা স্থগিতাদেশে উহার উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৩) এই ধারার অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হইলে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সি যদি প্রমান করিতে সক্ষম হন যে, লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিতের সিদ্ধান্ত আইনানুগ বা সঠিক ছিল না বা যে কারণে উহা বাতিল বা স্থগিত করা হইয়াছিল উহা যথাযথভাবে সংশোধিত হইয়াছে, তাহা হইলে এতদুদ্দেশ্যে লাইসেন্সির লিখিত বক্তব্য, যদি থাকে, বিবেচনার পর সরকার উক্ত লাইসেন্স পুনর্বহাল করিতে পারিবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন গৃহীত ব্যবস্থার কারণে কোন প্রকার ক্ষতির জন্য লাইসেন্সি কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট কোন প্রকার ক্ষতিপূরণের দাবী উত্থাপন করিতে পারিবে না; এবং উক্তরূপ কোন দাবী উত্থাপিত হইলে উহা অগ্রাহ্য হইবে।
আইন প্রবর্তনের পূর্বে পরিচালিত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা সীমিত মেয়াদে অব্যাহত ও লাইসেন্স গ্রহণ
১৪। (১) এই আইন কার্যকর হইবার তারিখে মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যক্তিকে এই আইন কার্যকর হওয়ার ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে এই আইনের বিধান অনুসারে লাইসেন্সের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আবেদন দাখিল করা হইলে সরকার উহা, এই আইনের বিধান অনুসারে মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করিতে পারিবে।
(৩) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আবেদন দাখিল করা না হইলে, তিনি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন না।
তৃতীয় অধ্যায়
পিরামিড সদৃশ বিক্রয় কার্যক্রম
পিরামিড সদৃশ বিক্রয় কার্যক্রম, ইত্যাদি নিষিদ্ধ
১৫। এই আইন কার্যকর হইবার পর মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার আওতায়—
(ক) পিরামিড সদৃশ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা যাইবে না; বা
(খ) অবস্তুগত বা অলীক পণ্য এবং সময়ের ধারাবাহিকতা বা পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিপণনযোগ্য হইবে এইরূপ কোন পণ্য বা সেবা বিপণন করা যাইবে না।
ব্যাখ্যা । - এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘পিরামিড সদৃশ বিক্রয় কার্যক্রম’’ অর্থ এইরূপ বিপণন ব্যবস্থা বা প্রক্রিয়া যাহাতে জ্যামিতিক হারে অধিক সংখ্যক ক্রেতা সংযুক্তির শর্তে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ বা কমিশন প্রাপ্তির বা প্রদানের প্রত্যাশায় বা প্রতিশ্রুতিতে অগ্রিম ফি প্রদানপূর্বক অংশগ্রহণ করিতে হয় এবং যাহার ফলশ্রুতিতে নিম্নোক্ত এক বা একাধিক অবস্থার সৃষ্টি হয়—
(ক) উচ্চস্তরের বিক্রেতার লভ্যাংশ বা কমিশন প্রাপ্তি নিশ্চিত হইলেও নিম্নস্তরের ক্রেতা-পরিবেশকের লভ্যাংশ বা কমিশন প্রাপ্তি অনিশ্চিত থাকে;
(খ) পণ্য বা সেবা প্রকৃতমূল্যে বিনিময় হয় না; বা
(গ) পণ্য বা সেবার বাস্তব অস্তিত্ব থাকে না।
চতুর্থ অধ্যায়
মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা
পণ্যের মোড়কাবদ্ধকরণ
১৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মোড়কজাতকরণ ব্যতীত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে কোন পণ্য বিপণন করা যাইবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মোড়কাবদ্ধকরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মোড়কে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, স্পষ্টভাবে নিম্নবর্ণিত তথ্য লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, যথা:—
(ক) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও দেশের নাম;
(খ) পণ্যের ওজন, পরিমাণ ও ব্যবহার বিধি;
(গ) পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য;
(ঘ) পণ্য উৎপাদনের তারিখ;
(ঙ) পণ্য প্যাকেটজাতকরণের তারিখ;
(চ) পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ অথবা ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টির মেয়াদ; এবং
(ছ) পণ্যের গুণগতমান সংক্রান্ত তথ্য।
প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ
১৭। কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার আওতায় মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা, উক্ত পণ্যের মোড়কে উল্লিখিত নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা বেশী মূল্যে বিক্রয় বা সরবরাহ করিতে পারিবে না; এবং উক্তরূপে কোন পণ্য বা সেবার আংশিক সরবরাহ করিয়া সম্পূর্ণ মূল্য গ্রহণ করা যাইবে না।
অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি রোধ
১৮। মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার আওতায় মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোন পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারিত পদ্ধতি ব্যতিরেকে অন্য কোনভাবে অযৌক্তিক মাত্রা বা হারে নির্ধারণ করিতে পারিবে না।
নিম্নমানের পণ্য বিপণন নিষিদ্ধ
১৯। মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার আওতায় কোন ব্যক্তি পণ্য বা সেবার জন্য নির্ধারিত মান হইতে নিম্নমানের পণ্য বা সেবা বিপণন করিতে পারিবে না।
বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বেআইনী অবস্থান
২০। দ্বারে দ্বারে বিক্রয় বা অন্য যে কোন বিক্রয় পদ্ধতিতে পণ্য ও সেবা বিক্রয়ের লক্ষ্যে কোন ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর কোন সদস্য কর্তৃক উক্ত ব্যক্তির নিয়ন্ত্রনাধীন বা মালিকানাধীন গৃহ বা আঙ্গিনায় বা স্থাপনায় অবস্থান করিয়া উক্ত ব্যক্তিকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করিতে বাধ্য করা যাইবে না।
ব্যাখ্যা । - এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘দ্বারে দ্বারে বিক্রয়’’ অর্থ নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা বিক্রয়, যথা:—
(ক) কোন নির্দিষ্ট অবস্থানে ব্যবসা না চালাইয়া এক স্থান হইতে অন্য স্থানে গমন করিয়া বা টেলিফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এমন কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টিকে অনুসন্ধান করা যাহাতে উক্ত ব্যক্তি সাধারণভাবে পণ্য বা সেবা ক্রয় বা বিক্রয় চুক্তিতে আবদ্ধ হন বা হইতে সম্মত থাকেন; এবং
(খ) প্রথম ক্রেতা বা তৎপরবর্তী ক্রেতা বা পর্যায়ক্রমিকভাবে নিয়োজিত সম্ভাব্য নূতন ক্রেতার সহিত এইরূপ বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের জন্য আলোচনা বা চুক্তি সম্পাদন করা।
পণ্য ও সেবার বাস্তব উপস্থিতি
২১। কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যক্তি বা তদ্কর্তৃক নিয়োগকৃত কোন ব্যক্তি বা ক্রেতা পরিবেশক বা উক্ত কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের কোন স্তরের কোন অংশগ্রহণকারী কর্তৃক কাহাকেও প্রলুব্ধকরণের মাধ্যমে এইরূপ কোন চুক্তিতে আবদ্ধ করা যাইবে না, যাহাতে পণ্য বা সেবার বাস্তব উপস্থিতি বা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য বা সেবা পরিবেশনের বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য আয়োজন বা প্রস্ত্ততি না থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে উক্তরূপ কোন পণ্য বা সেবা পরিবেশনের নামে অর্থ আদায় করা হয়।
পরিচয়পত্র বহন বা ধারণ
২২। মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃক সরবরাহকৃত ছবিযুক্ত লেমিনেটেড পরিচয়পত্র প্রকাশ্যে ধারণ ব্যতীত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রমের আওতায় কোন ক্রেতা-পরিবেশক বা বিক্রেতা বা বিক্রয়কর্মী কোন প্রকার লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয় বা অন্য কোন কার্যক্রম সম্পাদন বা পরিচালনা করিতে পারিবে না ।
ব্যবসার প্রচারণা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ
২৩। কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর ক্রেতা-পরিবেশক, কোন স্তরের কোন সদস্য বা কোন কর্মী —
(ক) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে গঠিত কোম্পানীর সংঘবিধির পরিপন্থী তথ্য সম্বলিত কোন বিজ্ঞাপনের প্রচার বা অন্য কোন ধরনের প্রচারনা বা অন্য কোন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন না; বা
(খ) প্রলুব্ধ বা প্রতারিত করিবার উদ্দেশ্যে কোন অসত্য বা কাল্পনিক বা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচার করিতে পারিবেন না।
পঞ্চম অধ্যায়
অপরাধ, দণ্ড ও বিচার
ধারা ৪ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
২৪। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ৪ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ১০ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
২৫। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ১০ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর এবং অন্যূন ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ১৫ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
২৬। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ১৫ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ১৪ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
২৭। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ১৪ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যূন ৬ (ছয়) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ১৬ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
২৮। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ১৬ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর এবং অন্যূন ১(এক) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ১৭ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
২৯। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ১৭ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর এবং অন্যূন ১(এক) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে বা প্রতিশ্রুত পণ্য বা মূল্যের দ্বিগুণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ১৮ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
৩০। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ১৮ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর এবং অন্যূন ১(এক) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ৩ (তিন) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ১৯ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
৩১। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ১৯ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর এবং অন্যূন ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ২০ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
৩২। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ২০ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর এবং অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে এবং ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ২১ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
৩৩। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ২১ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর এবং অন্যূন ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা ২৩ এর বিধান লংঘনের দণ্ড
৩৪। কোন ব্যক্তি যদি ধারা ২৩ এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর এবং অন্যূন ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডের উল্লেখ নেই এইরূপ কোন বিধান লংঘনের দণ্ড
৩৫। কোন ব্যক্তি যদি এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডের বিধান উল্লেখ নাই এইরূপ কোন বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর এবং অন্যূন ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ডে এবং ২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
অপরাধ পুন:সংঘটনের দণ্ড
৩৬। এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুনঃ একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দণ্ডের দ্বিগুণ হারে দণ্ডনীয় হইবেন।
কোম্পানী, ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৩৭। কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এইরূপ প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
ব্যাখ্যা - এই ধারায়—
(ঙ) ‘‘কোম্পানী’’ অর্থে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ এবং সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত;
(চ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘‘পরিচালক’’ অর্থে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানী আইনগত ব্যক্তি স্বত্ত্বা বিশিষ্ট (Body Corporate) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানীকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারী মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।
ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
৩৮। এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
অপরাধের আমলযোগ্যতা ও অজামিনযোগ্যতা
৩৯। ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হইবে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
প্রশাসনিক তদন্ত পরিচালনা
প্রশাসনিক তদন্ত পরিচালনায় সরকারের ক্ষমতা
৪০। (১) প্রত্যেক মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী এই আইনের অধীন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার আওতায় কোন বিক্রয় বা সেবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারীর অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে, সময় সময়, নির্ধারিত সংখ্যক অভিযোগ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করিবে এবং উক্তরূপ কেন্দ্রের অবস্থান ও উহার সহিত যোগাযোগ সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সদস্যের অবগতির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৩) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার আওতায় কোন ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারীর নিকট হইতে কোন অভিযোগ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বা সেবা পরিচালনাকারী অবিলম্বে উহা নিষ্পত্তি করিবে এবং এই বিষয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিবে।
(৪) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার আওতায় কোন ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারী তাহার অভিযোগ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বা সেবা পরিচালনাকারীকে অবহিত করা সত্ত্বেও, যথাযথভাবে নিষ্পত্তি না করা হইলে উক্ত ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারী সরকার বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকার বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তদন্ত পরিচালনার পর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বা সেবা পরিচালনাকারীকে করণীয় সম্পর্কে যথাযথ নির্দেশ প্রদান করিবে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ, ইত্যাদি
৪১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, আদেশ দ্বারা, ধারা ৪০ এর অধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য, উহার যে কোন কর্মকর্তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে।
(২) এই আইনের অধীন তদন্ত কার্য পরিচালনাকারী তদন্তকারী কর্মকর্তা এই আইনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের প্রয়োজনে মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর উক্তরূপ কার্যক্রমের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন স্থানে যে কোন যুক্তিসঙ্গত সময়ে প্রবেশ করিতে পারিবেন।
(৩) তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃক তদন্তকালে এই আইনের পরিপন্থী কোন কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রমাণ পাইলে তিনি, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তদ্বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
(৪) তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালিত হয় এইরূপ কোন স্থানে প্রবেশ করিলে তাহাকে উহার দখলকার বা তত্ত্বাবধানকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত কর্মকর্তার অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিবেন যাহাতে উক্ত কর্মকর্তা এই আইনের অধীন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করিতে পারেন।
প্রশাসনিক জরিমানা
৪২। (১) ধারা ৪০ এর অধীন কোন ব্যক্তিকে কোন নির্দেশ দেওয়া হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত নির্দেশ মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি উক্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইলে সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তির উপর অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৪ লংঘনের ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।
(৩) কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি এই ধারার অধীন তাহার উপর আরোপিত প্রশাসনিক জরিমানা পরিশোধ না করিলে উক্তরূপ লংঘন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তদনুসারে লংঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
সপ্তম অধ্যায়
পরিবীক্ষণ ও তদারকি, ইত্যাদি
পরিবীক্ষণ ও তদারকি করিবার ক্ষমতা
৪৩। (১) প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষ হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকার বা সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রত্যেক ব্যক্তি উহার বার্ষিক লেনদেন ও অডিট প্রতিবেদনের পূর্ণাঙ্গ বিবরণী দাখিল করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত কর্মকর্তা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং উহার যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
(৩) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীয় অধিক্ষেত্রে মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার কর্মকাণ্ড তদারকি করিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক বা, ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, তাহার অধীনস্থ অন্য কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবেন।
নির্দেশনা জারির ক্ষমতা
৪৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রণয়ন ও জারি করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন নির্দেশনা জারি করা হইলে উহা লাইসেন্সের শর্ত হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত শর্ত প্রতিপালনে প্রত্যেক মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী বাধ্য থাকিবেন।
অষ্টম অধ্যায়
চুক্তি সম্পাদন, ইত্যাদি
কতিপয় চুক্তির শর্ত নিষিদ্ধ
৪৫ । (১) এই আইনের অধীন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী উহার পণ্য বা সেবার ক্রেতা বা বিক্রেতা বা ক্রেতা পরিবেশক বা উহার কোন স্তরের কোন সদস্য বা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইহার সহিত এমন কোন চুক্তিতে আবদ্ধ করিতে পারিবে না যাহাতে কোন পণ্য বা সেবার ক্রেতা বা ক্রেতা-পরিবেশক বা বিক্রেতা সংগ্রহ না করার কারণে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক নিয়োগকৃত ক্রেতা বা ক্রেতা-পরিবেশক বা বিক্রেতা বা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, ক্ষতিগ্রস্ত করে।
(২) কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘনের অভিযোগ উত্থাপিত হইলে বা এইরূপ কোন বিষয় লিখিত বা অন্য কোনভাবে সরকারের গোচরীভূত হইলে সরকার উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বা স্বীয় উদ্যোগে উক্ত বিধান লংঘনের বিষয়ে এই আইনের বিধান অনুসারে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে।
(৩) তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার পর কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিয়াছে মর্মে প্রমাণিত হইলে সরকার এই আইনের অধীন উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৪) আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিধান
৪৬। (১) এই আইনের অধীন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যক্তির সকল ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনা করিতে হইবে।
(২) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে পণ্য ও সেবা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিটি চুক্তি ক্রেতা-পরিবেশক কর্তৃক সরাসরি সংশ্লিষ্ট মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারীর সহিত সম্পাদিত হইতে হইবে; এবং কোন ক্রেতা-পরিবেশক অপর কোন ক্রেতা-পরিবেশকের সহিত কোনরূপ বিক্রয় চুক্তিতে আবদ্ধ হইতে পারিবে না, তবে এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে স্পন্সর করা যাইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন চুক্তি সম্পাদনের সময় ক্রেতা পরিবেশকগণের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র থাকিতে হইবে এবং ক্রেতা-পরিবেশকগণকে
Contract Act, 1872 (Act No. IX of 1872) এর বিধান অনুযায়ী চুক্তি সম্পাদনের যোগ্যতাসম্পন্ন হইতে হইবে।
চুক্তির শর্তাবলী অনুমোদন
৪৭ । ক্রেতা ও ক্রেতা-পরিবেশকের সাথে মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যক্তির চুক্তির শর্তাবলী সরকার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে।
নবম অধ্যায়
প্রশাসক, ইত্যাদি
প্রশাসক নিয়োগ
৪৮। (১) এই আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, সরকার, লিখিতভাবে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তৎকর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের জন্য এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোম্পানীর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে, এবং তদুদ্দেশ্যে সরকার উক্ত কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদ রহিত করিয়া এক বা একাধিক প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে, যদি, যথাযথ তদন্ত পরিচালনা সাপেক্ষে, সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে,—
(ক) উক্ত কোম্পানীর ব্যবসা ইহার পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডার বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রতারণার জন্য পরিচালিত হইতেছে অথবা ইহার প্রশাসনিক কার্যক্রম প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে অথবা কোন সদস্যকে হয়রানির উদ্দেশ্যে অথবা কোম্পানীটি প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে গঠিত হইয়াছে; অথবা
(খ) উহার গঠন বা ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ প্রতারণা, অবৈধ কর্ম সম্পাদন অথবা অন্য কোন সদস্যের প্রতি অসদাচারণের দায়ে অভিযুক্ত হইয়াছে; অথবা
(গ) উহার শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়োজন রহিয়াছে; অথবা
(ঘ) জনস্বার্থে উক্তরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে।
(২) সংশ্লিষ্ট মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোম্পানীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
(৩) ধারা ১৪ এর অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন না করা সত্ত্বেও বা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নহেন এমন কোন ব্যক্তির কৃত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ বা অন্য কোনভাবে সরকারের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, এই ধারার অধীন প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহা হইলে সরকার, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৪) প্রশাসকের যোগ্যতা, মেয়াদ, কর্মপরিধি ও অন্যান্য বিষয়াদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
জনসেবক
৪৯। ধারা ৪৮ এর অধীন নিযুক্ত প্রশাসক Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 21 এর Public Servant (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবেন।
ক্ষমতা অর্পণ
৫০। সরকার এই আইনের অধীন যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে, উহার যে কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।
সরকার কর্তৃক কোন পণ্য বা সেবার বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা
৫১। সরকার কর্তৃক কোন পণ্য বা সেবার বিক্রয় বা অন্যবিধ কার্যক্রম পরিচালনা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম হিসাবে গণ্য হইবে না।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৫২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
অসুবিধা দূরীকরণ
৫৩। এই আইনের কোন বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ লিখিত আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ
৫৪। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনুদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের নির্ভরযোগ্য ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই বাংলা পাঠ ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
৫৫। (১) মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬ নং অধ্যাদেশ) এতদ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত অধ্যাদেশের অধীন কৃত সকল কাজ-কর্ম এবং গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীনকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs