প্রিন্ট ভিউ
মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে 2[বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি] স্থাপন করিবার জন্য প্রণীত আইন
যেহেতু উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেরিটাইম বিষয়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিদ্যমান ক্যাম্পাসে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ‘3[বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি]’ স্থাপন করিবার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:—
১। (১) এই আইন 4[বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি] আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে—
(১) “অঙ্গীভূত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠান” অর্থ এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি এবং প্রবিধান অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত ও অঙ্গীভূত, স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোন মেরিন বা মেরিটাইম শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান;
(২) “অধিভুক্ত একাডেমি, ইনস্টিটিউট, কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠান” অর্থ এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি এবং প্রবিধান অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত ও অধিভুক্ত, স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোন মেরিন বা মেরিটাইম শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান;
(৩) “অনুষদ” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ;
(৪) “অর্থ কমিটি” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি;
(৫) “ইনস্টিটিউট” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত বা স্থাপিত কোন ইনস্টিটিউট;
(৬) “একাডেমি” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত বা স্থাপিত কোন একাডেমি;
(৭) “একাডেমিক কাউন্সিল” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল;
(৮) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ২১ এ উল্লিখিত কোন কর্তৃপক্ষ;
(৯) “কর্মকর্তা” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তা;
(১০) “কর্মচারী” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মচারী;
(১১) “কেন্দ্র” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র;
(১২) “চ্যান্সেলর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর;
(১৩) “ট্রেজারার” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার;
(১৪) “ডিন” অর্থ অনুষদের ডিন;
(১৫) “নির্ধারিত” অর্থ সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;
(১৬) “পরিচালক” অর্থ একাডেমি, ইনস্টিটিউট বা কেন্দ্রের পরিচালক;
(১৭) “প্রক্টর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর;
(১৮) “প্রভোস্ট” অর্থ কোন হলের প্রধান;
(১৯) “পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটি” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের “পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটি;
(২০) “পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক;
(২১) “প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর;
(২২) “বিভাগ” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগ;
(২৩) “বিভাগীয় প্রধান” অর্থ কোন বিভাগের প্রধান;
(২৪) “বিশ্ববিদ্যালয়” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন স্থাপিত ‘5[বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি]’;
(২৫) “মঞ্জুরী কমিশন” অর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P.O.No.10 of 1973) এর অধীন গঠিত University Grants Commission of Bangladesh;
(২৬) “বোর্ড অব গভর্ণরস” অর্থ অঙ্গীভূত একাডেমি বা ইনস্টিটিউটের বোর্ড অব গভর্ণরস;
(২৭) “সংবিধি (Statute)” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত সংবিধি;
(২৮) “বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(২৯) “প্রবিধান (Regulation)” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(৩০) “ভাইস-চ্যান্সেলর” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর;
(৩১) “রেজিস্ট্রার” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার;
(৩২) “রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট” অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট;
(৩৩) “শিক্ষার্থী” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র বা ছাত্রী;
(৩৪) “শিক্ষক’’ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
(৩৫) “সিন্ডিকেট” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট;
(৩৬) “সংস্থা” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সংস্থা; এবং
(৩৭) “হল” অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ জীবন এবং সহশিক্ষাক্রমিক শিক্ষাদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন আবাসন।
৪। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জায়গায় 6[বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি] (7[Bangladesh Maritime University]) নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে।
(২) বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণের সমন্বয়ে 8[বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি] নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হইবে।
(৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের করা যাইবে।
৭২। এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে—
(ক) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির অধিভুক্তি বাতিল হইবে এবং উক্ত একাডেমির বিষয়সম্পত্তি, শিক্ষক, কর্মচারী বা ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কে এই আইন অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উহার আর কোন এখতিয়ার থাকিবে না;
(খ) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত একাডেমিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীগণ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাঁহাদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আনুষঙ্গিক নিয়মাবলী এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আনুষঙ্গিক নিয়মাবলী এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত 9[বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি] কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছে।