প্রিন্ট ভিউ
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে—
(১) ‘‘অভিবাসন’’ অর্থ বাংলাদেশের বাহিরে যে কোন দেশে কোন কাজ বা পেশায় নিযুক্ত হইবার উদ্দেশ্যে কোন নাগরিকের বাংলাদেশ হইতে বহির্গমন;
(২) ‘‘অভিবাসী’’ অর্থ বাংলাদেশের কোন নাগরিক যিনি কোন কাজ বা পেশায় নিযুক্ত হইবার উদ্দেশ্যে বিদেশে গমন করিয়াছেন এবং কোন বিদেশী রাষ্ট্রে অবস্থান করিতেছেন;
(৩) ‘‘অভিবাসী কর্মী’’ বা ‘‘কর্মী’’ অর্থ বাংলাদেশের কোন নাগরিক যিনি অন্য কোন রাষ্ট্রে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে—
(ক) কর্মের উদ্দেশ্যে যাইবার প্রস্ত্ততি গ্রহণ করিয়াছেন বা গমন করিতেছেন;
(খ) কোন কর্মে নিযুক্ত রহিয়াছেন; অথবা
(গ) কোন কর্মে নিযুক্ত থাকিবার পর বা নিযুক্ত না হইয়া বাংলাদেশে ফেরত আসিয়াছেন;
(৪) ‘‘চাহিদা পত্র’’ অর্থ বিদেশী অথবা বাংলাদেশী নিয়োগকারী কর্তৃক বাংলাদেশী কোন নাগরিকের বিদেশে কোন প্রকল্প, প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তির অধীন কাজের উদ্দেশ্যে নিয়োগের কোন প্রস্তাব বা চাহিদা, যাহা নিয়োগকারী দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিসা দ্বারা বা অন্য কোনভাবে অনুমোদিত ;
(৫) ‘‘নাগরিক’’ অর্থ Citizenship Act, 1951 (Act No. II of 1951) এবং Bangladesh Citizenship (Temporary Provisions) Order, 1972 (P.O. No. 149 of 1972) অনুযায়ী বাংলাদেশের কোন নাগরিক;
(৬) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(৭) ‘‘নির্ভরশীল’’ অর্থ অভিবাসীর স্ত্রী/স্বামী এবং মাতা, পিতা, ক্ষেত্রমত, সন্তান, ভাই, বোন বা যাহারা উক্ত ব্যক্তির উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল;
(৮) ‘‘নিয়োগকারী’’ অর্থ বৈদেশিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশি বা বাংলাদেশী নিয়োগকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;
(৯) ‘‘প্রতারণা’’ অর্থ ঘটনা বা আইন সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত বা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কথা, কাজ, আচরণ, লিখিত চুক্তি বা দলিল দ্বারা অন্যকে প্রতারিত বা প্রলুব্ধ বা ভুলপথে পরিচালিত করা, এবং প্রতারণাকারী ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির অভিপ্রায়কে কেন্দ্র করিয়া সংঘটিত প্রবঞ্চনা এবং Contract Act, 1872 (Act No. IX of 1872) এর section 17 এ ””fraud”” অভিব্যক্তি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে ইহাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১০) ‘‘বহির্গমন’’ অর্থ কোন বাংলাদেশী নাগরিকের দেশের বাহিরে গমন;
(১১) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১২) ‘‘ব্যুরো’’ অর্থ Ministry of Health Population Control and Labour এর স্মারক No. VIII/E-4/76/296, Dated 3-4-1976 দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো;
(১৩) ‘‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান’’ অর্থ বাংলাদেশের বাহিরে কোন নাগরিকের কর্মসংস্থান;
(১৪) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ কোন ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৫) ‘‘রিক্রুটমেন্ট’’ অর্থ বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে কোন বিদেশী বা বাংলাদেশী নিয়োগকারী কর্তৃক, মৌখিক বা লিখিতভাবে, কর্মী বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ বা প্রচার, পত্র যোগাযোগ এবং অন্য কোন পদ্ধতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করিয়া নিয়োগপত্র প্রদান;
(১৬) ‘‘রিক্রুটিং এজেন্ট’’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি;
(১৭) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন রিক্রুটিং এজেন্টকে প্রদত্ত লাইসেন্স 1[;]
2[(১৮) “সাব-এজেন্ট” বা “প্রতিনিধি” অর্থ ধারা ১৪ক এর অধীন নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি যিনি কোন রিক্রুটিং এজেন্টের সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসাবে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য উক্ত এজেন্টের চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী কর্মী সংগ্রহ করেন।]
দ্বিতীয় অধ্যায়
অভিবাসী কর্মী প্রেরণ, অভিবাসন, ইত্যাদি
তৃতীয় অধ্যায়
রিক্রুটিং এজেন্ট, লাইসেন্স, ইত্যাদি
১২। (১) সরকার নিম্নবর্ণিত কোন কারণে উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া কোন রিক্রুটিং এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে, যথা:—
(ক) মিথ্যা তথ্য অথবা প্রতারণার মাধ্যমে লাইসেন্স গ্রহণ করিলে;
(খ) লাইসেন্সের কোন শর্ত ভঙ্গ করিলে বা যথা সময়ে লাইসেন্স নবায়ন না করিলে;
(গ) এই আইন, বিধি বা রিক্রুটিং এজেন্টসমূহের জন্য নির্ধারিত আচরণবিধির কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে;
(ঘ) লাইসেন্স প্রদানের পর লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোন ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত হইলে;
(ঙ) বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো উদ্দেশ্যে অভিবাসী কর্মী নিয়োগ বা নির্বাচন করিলে; অথবা
(চ) কোম্পানী, সংস্থা, অংশীদারী কারবার বা আইনগত সত্ত্বার ক্ষেত্রে, উহার অবসায়ন হইলে।
3[(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারার দফা (ঘ) ও (চ) তে বর্ণিত কারণ ব্যতীত অন্যান্য কারণে সরকার, উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্টকে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা করিতে পারিবে।
(১খ) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনাপূর্বক, উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্ত ও শুনানি ব্যতিরেকে কিংবা তাহা চলাকালীন যে কোন লাইসেন্সের কার্যক্রম স্থগিত করিতে পারিবে।]
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন রিক্রুটিং এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত করা হইলে উক্ত রিক্রুটিং এজেন্ট রিক্রুটমেন্ট সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম করিতে পারিবে না।
(৩) কোন লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা হইলে, স্থগিত বা বাতিল আদেশের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্ট সরকারের নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবে এবং সরকার উক্তরুপ আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করিবে এবং এইক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন কোন রিক্রুটিং এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা হইলে উক্ত রিক্রুটিং এজেন্টের সহিত লেনদেনে জড়িত হইয়াছে এমন ব্যক্তিদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করিবার লক্ষ্যে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
4[১৪ক। কোন রিক্রুটিং এজেন্ট, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধিত কোন ব্যক্তিকে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ করিতে পারিবে এবং সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধির দায়িত্ব ও কর্তব্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]
চতুর্থ অধ্যায়
অভিবাসী কর্মীর নিবন্ধন, বহির্গমন ছাড়পত্র, ইত্যাদি
পঞ্চম অধ্যায়
কর্মসংস্থান চুক্তি
ষষ্ঠ অধ্যায়
শ্রম কল্যাণ উইং এবং অভিবাসন বিষয়ক চুক্তি
সপ্তম অধ্যায়
5[অভিবাসী কর্মীর অধিকার ও দায়-দায়িত্ব]
২৮। এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য ফৌজদারী মামলা দায়েরের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, কোন অভিবাসী কর্মী 6[বা অন্য কোন ব্যক্তি,] এই আইনের কোন বিধান বা কর্মসংস্থান চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়ানী মামলা দায়ের করিতে পারিবে।
7[৩০। (১) অভিবাসী কর্মী এবং তাহাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ ও উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে সরকার, প্রয়োজনে, তাহাদের জন্য ব্যাংক ঋণ, কর রেয়াত, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি, দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও সনদায়ন, পুনঃএকত্রীকরণ (reintegration) কার্যক্রম, ইত্যাদি প্রবর্তন এবং সহজলভ্য করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(২) সরকার, অভিবাসন প্রক্রিয়ার সকল স্তরে এবং বৈদেশিক কর্মস্থলে নারী অভিবাসী কর্মীদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করিবার জন্য বিশেষ আর্থিক ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।]
8[৩০ক। (১) প্রত্যেক অভিবাসী কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও বৈধ পন্থা অবলম্বন করিবেন এবং বিদেশে অবস্থানকালে আইন বহির্ভূত কোন কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
(২) এই আইনের অধীন অভিবাসন বা বৈদেশিক কর্ম সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরি বা অনুরূপ উদ্দেশ্যে কোন তথ্যের প্রয়োজন হইলে সংশ্লিষ্ট অভিবাসী কর্মী উক্ত তথ্য প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।]
অষ্টম অধ্যায়
অপরাধ, দণ্ড ও বিচার
৩৩। কোন ব্যক্তি বা রিক্রুটিং এজেন্ট কর্তৃক বৈদেশিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে নিয়োগকারী বা বিদেশ হইতে চাহিদাপত্র, ভিসা বা কার্যানুমতিপত্র সংগ্রহে অবৈধ পন্থা গ্রহণ করিলে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উহা ক্রয়-বিক্রয় করিলে উহা অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি 9[অন্যূন ২ (দুই) বৎসর এবং অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড] এবং অন্যূন ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
10[৩৩ক। ধারা ১২ বা ১৩ এর অধীন কোন রিক্রুটিং এজেন্টের যথাক্রমে, লাইসেন্স বাতিল বা প্রত্যাহার করা হইলে উক্ত রিক্রুটিং এজেন্ট রিক্রুটমেন্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর ও অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড এবং অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা ও অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।]
11[৩৫। (১) কোন রিক্রুটিং এজেন্ট ধারা ১৪ বা ১৪ক এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া যথাক্রমে, কোন শাখা অফিস পরিচালনা করিলে কিংবা কাউকে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত রিক্রুটিং এজেন্ট ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(২) কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ক এর অধীন নিবন্ধন গ্রহণ না করিয়া কোন রিক্রুটিং এজেন্টের সাব-এজেন্টরূপে কাজ করিলে অথবা নিজেকে সেই মর্মে উপস্থাপন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।]
12[৩৫ক। কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের এইরূপ কোন বিধান লঙ্ঘন করেন, যেক্ষেত্রে এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডের বিধান উল্লেখ নাই, তাহা হইলে উক্ত ক্ষেত্রে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ড অথবা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।]
15[৪০। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের 16[ধারা ৩২, ৩৩ক, ৩৫ ও ৩৫ক] এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হইবে।]
নবম অধ্যায়
বিবিধ